(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

দার্জিলিংয়ে দক্ষযজ্ঞ
দার্জিলিংয়ে দক্ষযজ্ঞ
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
  • গোয়েন্দা কাহিনি ও অ্যাডভেঞ্চার গল্পের বই এটি। 
    এ বইয়ের কোনো গল্পই শুরু করলে শেষ না করে ওঠার উপায় থাকে না।  পদে পদে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে রহস্যভেদের নেশায় ছুটে চলা দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের অভিযান কাহিনিগুলো পাঠকের মনে ছড়িয়ে দেয় প্রবল উত্তেজনা।  হঠাৎ করেই বিপদের জালে জড়িয়ে পড়া কিশোর-যুবকদের রহস্যজাল ভেদ করার প্রাণপণ প্রয়াস তাদের এনে দেয় গোয়েন্দা খ্যাতি।  বিশ্বখ্যাত  শৈলশহর দার্জিলিংয়ে ঘটে যাওয়া শ্বাসরুদ্ধকর গোয়েন্দা কাহিনি রয়েছে এ বইয়ে।  তা ছাড়া সুন্দরবনের গহিনে বাঘের আক্রমণ থেকে বেঁচে গেলেও ভয়ঙ্কর ডাকাত দলের খপ্পরে পড়ে জীবন খোয়াতে বসা যুবকের নিজের প্রাণ হাতে নিয়ে চালানো দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে সঙ্গীদের মুক্ত করে আনার রোমহর্ষক কাহিনি আছে এতে।  আছে গভীর সমুদ্রে অন্ধকার রাতে চালানো দুঃসাহসী অভিযান-কাহিনি। আবার আছে পুরাকীর্তি পাচারকারী চক্রের হাত থেকে প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি উদ্ধারের কাহিনিও।  আছে হত্যা-রহস্য উদ্ঘাটন কাহিনিও। বইজুড়েই আছে আবেগ-উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা।
    এ বইয়ের গল্পগুলো ঢাকা ও কলকাতার শীর্ষস্থানীয় ছোটদের পত্রিকায় ছাপা হয়ে এর মধ্যে পাঠকের মন জয় করেছে। 

120 150-20%
দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী
দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী
রওশন জামিল
  • স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে প্রাণপণ সংগ্রাম করে মানুষ, আর তা করতে গিয়ে অনেক সময়, বিশ্ববিধান লঙ্ঘন করে বসে সে। তখন তার ওপর নেমে আসে প্রকৃতির অমোঘ নির্মম কশাঘাত; কিন্তু তবু মানুষ হাল ছাড়ে না-চড়া মাসুল দিয়ে হলেও নিজের জেদ প্রতিষ্ঠা করে। মানবজীবনের এই নিগূঢ়তম সত্যটিই আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তাঁর দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী উপন্যাসে তুলে ধরতে চেয়েছেন। বুড়ো সান্তিয়াগো একজন জেলে। একটা বিরাট আকৃতির মার্লিন মাছ ধরেছে সে। পানি থেকে তাকে টেনে তোলা সহজ কাজ নয়। তিন দিন ধরে চলল সংগ্রাম। এই তিন দিনের কথাই উপন্যাসের আখ্যানভাগ-এক অননুকরণীয় কবিতালগ্ন গদ্যে লেখা। 

160 200-20%
দিনগত কপটতা
দিনগত কপটতা
আফসানা বেগম
  • ঘটনা, ছবি, ভাষাপ্রবাহ, চরিত্রের সংরাগ-বিরাগ এবং দৃশ্য সংলাপে তৈরি হয় একেকটি গল্প।  কিন্তু গল্প কেবল শুধু গল্প নয়; এর কাহিনিটাই সব নয়।  গল্পের উপকরণ ও প্রকরণ, এই দুইয়ের ভারসাম্য থাকা চাই।  সংকলনের গল্পগুলো সেই ভারসাম্যের ইঙ্গিত দেয়। 
    এই বইয়ের প্রত্যেকটি গল্পে পাঠক পাবেন আমাদের সময়ের চালচিত্র, যে সময়ে মানুষ পরিবারে, প্রতিষ্ঠানে কিংবা সমাজে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক কপটতার শিকার।  প্রতিদিনের সে কপট আচরণের ভোগান্তি কিছু হয় প্রকাশিত আর কিছু না-বলাই রয়ে যায়।  আফসানা বেগম একের পর এক চিত্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষের বলা, না-বলা অনুভূতি আর মানসিক দ্বন্দ্বের কথা বলেছেন, বলেছেন মানুষের নীরবতার কথা।
    বিবিধ গল্পে কখনো রূপকের আশ্রয়ে বর্ণিত হয়েছে সৃষ্টিশীল মানুষের বুকে ছুরি বসানোর কাহিনি, কোথাও সুন্দরবনের প্রকৃতি ধ্বংসের সম্ভাবনা আবার কোথাও ভালোবাসার মোড়কে মানুষের গণতান্ত্রিক চিন্তার টুটি চেপে ধরার বাস্তবতা।  কোথাও ধরা পড়েছে তীব্র একাকিত্বের আক্রমণ কিংবা উদ্যাপন, কোথাও মায়া-মমতার দুয়ার খোলার ছবি, আবার কোথাও প্রকট হয়েছে সুযোগসন্ধানীর লালসা।
    সব মিলিয়ে এ যেন বাস্তব জীবনের চেনা-অচেনা অলিগলিতে লেখকের সঙ্গে এক অনবদ্য ভ্রমণ। 

188 250-25%
দীক্ষাগুরুর তৎপরতা
দীক্ষাগুরুর তৎপরতা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • গুরুদের তৎপরতা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, আর সারা বিশ্বে সবচেয়ে বড় গুরু এখন পুঁজিবাদ; তার তৎপরতা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।  পুঁজিবাদ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, আবার একটি আদর্শও।  ওই আদর্শে এখন বিশ্বের সকল রাষ্ট্রই দীক্ষিত।  সে জন্য বিচ্ছিন্নতা, বৈষম্য, শোষণ-নিপীড়ন সবকিছুই বাড়ছে।  এ বইতে বিশেষভাবে ওই আদর্শিক তৎপরতার কথাটাই বলা হয়েছে। ওই আদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে উঠেছে; প্রতিরোধটা খুবই আবশ্যক।  কিন্তু কেবল প্রতিরোধ তো যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন পুঁজিবাদের বিকল্প যে ব্যবস্থা, যার মূল সত্য সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা, তার প্রতিষ্ঠা।  এই বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে পুঁজিবাদের তৎপরতা এবং তা থেকে ইতিহাসকে মুক্ত করার চেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

225 300-25%
দুই গোয়েন্দা চার অ্যাডভেঞ্চার
দুই গোয়েন্দা চার অ্যাডভেঞ্চার
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
  • চারটি রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি আছে এ বইয়ে।  মহাবিপজ্জনক ও অনিশ্চয়তাপূর্ণ দুর্গম পর্বত-অরণ্যে দুঃসাহসী অভিযাত্রার এই রোমহর্ষক কাহিনিগুলো যেমন কৌতূহলোদ্দীপক তেমনি শ্বাসরুদ্ধকর।  অজানার পথে পা বাড়ানো এই অভিযাত্রীদের মৃত্যুভয় নেই।  শ্বাপদশঙ্কুল অরণ্য আর তুষার ঢাকা পর্বতমালার প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছ করে তারা এগিয়ে যায় সমুখপানে।  এই অজানার পথযাত্রীদের জানা নেই যে, পরমুহূর্তেই কী ঘটতে চলেছে।  পদেপদে মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে রহস্যজয়ের নেশায় ছুটে চলা মরণজয়ী অভিযাত্রীদের এই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনিগুলো কিশোরমন জয় না করেই পারে না।  অ্যাডভেঞ্চার-গোয়েন্দা কাহিনির বিখ্যাত লেখক খন্দকার মাহমুদুল হাসানের সেরা অ্যাডভেঞ্চার কাহিনির বই এটি।  কাহিনিগুলোর নায়কেরা বাংলাদেশের, অভিযানের নেশা যাদের প্রতি রক্তকণায়।  কী দেশে, কী বিদেশে ছুটে চলে এই অভিযাত্রীরা।  অভিযানপথে প্রকৃতির বাধা শুধু নয়, মানুষের ভ্রুকুটিও দুর্লঙ্ঘ দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় তাদের সাম

188 250-25%
দুই দিগন্ত
দুই দিগন্ত
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • মানুষের জীবন মানেই এক চরম নাটকীয়তা! এখানে ঘটে প্রেম-ভালোবাসা, দুঃখ-বেদনা, পাওয়া-না পাওয়ার এক বিচিত্র সম্মিলন। আটপৌরে জীবনে যে মানুষ কখনো পরম আদর্শবাদী, সেই আবার সময়ের স্রোতে হয়ে ওঠে চরম স্বার্থপর...
    সেটা ভুলেও কেউ মনে রাখে না, বরং একই অভিযোগে অভিযুক্ত করে দূরে সরিয়ে দেয় একান্ত কাছের মানুষকে!
    দুই দিগন্তের দূরত্ব সীমাহীন, দৃষ্টি যার নাগাল পায় না! আবার এদের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব, বৈপরিত্য; তবুও এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন তাদেরকে একবৃত্তে ধরে রাখে; যা কখনো বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়... 

96 120-20%
দুই শতাধিক রোগের কথা
দুই শতাধিক রোগের কথা
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
  • পরিবারের কেউ একজন অসুস্থ হওয়া মানে পুরো পরিবারই তার পেছনে ছোটাছুটি করা।  অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করা, তাকে নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে কিংবা হাসপাতালে যাওয়া, সময়মতো তাকে ওষুধ খাওয়ানো-মোটামুটি অনেক টেনশন পোহাতে হয় পরিবারকে।  আর চিকিৎসক যদি হাতের কাছে না থাকেন অথবা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র যদি বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকে তা হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।  এ সব কথা বিবেচনা করেই রচিত হলো এ বইটি।  এ বই শুধু পরিবারেরই কাজে আসবে না, বরং স্বাস্থ্যকর্মী বা গ্রামবাংলার পল্লী চিকিৎসকরাও বইটি পড়ে সঠিক রোগ নির্ণয়পূর্বক রোগের সঠিক চিকিৎসা বা ব্যবস্থা দিতে সক্ষম হবেন।  

375 500-25%
দুরবিনে দূরদেশ
দুরবিনে দূরদেশ
মাহফুজুর রহমান
  • ‘দেশে দেশে মোর দেশ আছে আমি সেই দেশ মরি খুঁজিয়া।’ রবীন্দ্রনাথের এই উচ্চারণের প্রতিটি মানুষের ভেতরকার পথিকচিত্রই যেন কথা বলে উঠেছে।
    কিন্তু সকলের পক্ষে তো আর ঘরের বন্ধন ছিঁড়ে দেশ-দেশান্তরের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া সম্ভব হয় না; তখন ভ্রমণকাহিনী হয় তাদের সম্বল।  একের পর এক যিনি এই সম্বল আমাদের জোগান দিয়ে চলেছেন, তিনি হলেন লেখক ও কথাশিল্পী মাহফুজুর রহমান।  এই তো কিছুদিন আগে তিনি ঘুরে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল বার্বাডোজ, ফিলিপিন্স আর থাইল্যান্ড।  দুরবিনে দূরদেশ-এ ধরা রইল সেই অপূর্ব ভ্রমণকথন- ভ্রমণপিপাসু চিত্তের জন্য এ এক অনন্য আয়োজন।

225 300-25%
দুর্দানা খানের চিঠি
দুর্দানা খানের চিঠি
ফয়জুল লতিফ চৌধুরী
  • ২০২৫ সালের ৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার পেয়েছেন নিউইয়র্ক নিবাসী বাঙালি ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ খান। দীর্ঘদিনের অভিমান ভেঙে হুমায়ূন আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী দুর্দানা খান। আর দ্বিতীয় স্ত্রী? দ্বিতীয় স্ত্রী ‘দ্বিতীয় আলো’পত্রিকাকে জানালেন, আমন্ত্রণ পেয়েছেন, কিন্তু তিনি নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। 
    শুরু হলো প্রেম-ভালোবাসা-দাম্পত্য ও বিচ্ছেদের টানা পড়েন নিয়ে এক আধুনিক কাহিনি। কেন দুর্দানা খান ছেড়ে গিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদকে? আর কেনই-বা শারমিন ইয়াসমিন হুমায়ূন আহমেদকে পরিত্যাগ করে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকা চলে এসেছিলেন মাত্র ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে? এসব প্রশ্নের উত্তর কি পাওয়া গেল শেষ পর্যন্ত?

225 300-25%
দুর্ধর্ষ পাঁচ গোয়েন্দা
দুর্ধর্ষ পাঁচ গোয়েন্দা
সুমন্ত আসলাম
  • রাফিনরা কল্পনাই করেনি তারা এতটা সাড়া পাবে, ভাবেইনি গোয়েন্দাগিরি এত কঠিন! অথচ অর্চি, জুহাম, তৌশি আর সাবাব সাহস জুগিয়েছিল, নির্দ্বিধায় বলেছিল- পাঁচজন মিলে একটা গোয়েন্দা দল করবে তারা। নামও ঠিক- ডিটেকটিভ ফাইভ। তারপর গোপনে তারা একটা করে চিঠি পাঠিয়েছিল তাদের এলাকার প্রতিটি বাসায়।
    প্রথম সমস্যাটাই তাদের জন্য ছিল খুব কঠিন সমস্যা- বুড়ো এক দম্পতি পুরনো এক বাসায় থাকেন, হঠাৎ একটা ভূত দেখা যায় তাদের বাসায়, মেয়ে ভূত। ভীষণ যন্ত্রণা করছে সেই ভূতটা। সেই সমস্যার সমাধান করার আগে দুর্ধর্ষ এই পাঁচ গোয়েন্দা নিজেরাই আরেকটা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। কিছু জিনিস কুড়িয়ে পায় তারা রাস্তায়-অবৈধ জিনিস, বিপজ্জনক জিনিস!
    বুক কাঁপতে থাকে তাদের!
    কয়দিন পর আরো কিছু সমস্যা- চারদিক থেকে বিভিন্ন হুমকি, খারাপ কথা, আতঙ্কও! শঙ্কিত হয়ে যায় তারা এক সময়, পড়ে যায় বিপদেও!
    তারপর?

120 150-20%
দুর্যোধন
দুর্যোধন
হরিশংকর জলদাস
  • এই উপন্যাসটি দুঃশীল দুর্যোধনকে নতুন চোখে দেখার বৃত্তান্ত। আজীবন আমরা জেনে এসেছি, মহাভারত-এর দুর্যোধন কূটকৌশলী, স্বার্থান্ধ। ন্যায়ও সত্যের বিপরীতে তার অবস্থান।
    এ জানাটা কি সত্য? না এ জানায় বর্ণবাদিতার মিশেল আছে?
    যুধিষ্ঠিররা কি কুরু বংশের কেউ, না বহিরাগত?
    হস্তিনাপুরের আসল দাবিদার কারা? পাণ্ডবরা, নাকুরুরা? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ কি সত্যিই ধর্মযুদ্ধ? ধর্মের পক্ষে কারা? এই যুদ্ধে যত অনীতি-দুর্নীতি হয়েছে, তার সিংহ ভাগই করেছে পাণ্ডবরা। উসকানি দাতা কে?
    মহাভারত-এর প্রকৃত নায়ক কে? অর্জুন? যুধিষ্ঠির? কৃষ্ণ? না দুর্যোধন?
    হস্তিনা পুরের নৃপতি ছিল দুর্যোধন। যুদ্ধ বাধলে মিথ্যা, জোচ্চোরি আর অধর্মের আশ্রয় নিয়ে কুরু পক্ষকে ধ্বংস করল পাণ্ডবরা। পরাজিত হলো দুর্যোধন। অন্যায় যুদ্ধে দুর্যোধনের ঊরু চুরমার করল ভীম। পাণ্ডবরা জয়ী হলো বটে কিন্তু প্রকৃত জয়ের স্বাদ কি পেল তারা? শেষ পর্যন্ত দুর্যোধন জিতে গেল নাকি?
    দুর্যোধন-এ হরিশংকরের ভাষাতীক্ষ্ণ, যুক্তিপূর্ণ। উপন্যাসটি পাঠককে ভীষণ রকম নাড়া দেবে।

400 500-20%
দুষ্টু তূর্য দুরন্ত ইন্দ্র দস্যি রাব্বি আর মিসিং সাফিন
দুষ্টু তূর্য দুরন্ত ইন্দ্র দস্যি রাব্বি আর মিসিং সাফিন
সুমন্ত আসলাম
  • দ্রুত স্কুলে চলে এলেন হেডস্যার। রাত দুটোর মতাে বাজে। তার রুমের শােকেসের লকটা খােলা। ভেতরে তাকিয়েই কিছুটা শব্দ করে বললেন, ‘সােনার দুটো মেডেল ছিল এখানে। এখন নেই!' নেই!' তৃর্য অবাক হয়ে বলল। বুক খালি করা একটা নিশ্বাস ছাড়লেন হেডস্যার, “মেডেল দুটো নিয়ে গেছে! ও দুটোর সঙ্গে আমাদের দুটো সাফল্য জড়িয়ে আছে। কিন্তু ও দুটো নিয়ে গেল কে? এর পর রুম থেকে বের হয়ে গেলইবা কীভাবে! রুমের দরজা তাে বন্ধ ছিল। মাথা গরম হয়ে উঠছে আমার। আর একটু গরম হয়ে উঠলে পাগল হয়ে যাব আমি, হিতাহিত জ্ঞান হারাব।' স্যারকে সত্যি সত্যি এখন পাগলের মতাে লাগছে। কারণ তিনি যে পাঞ্জাবি পরে এসেছেন, তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে তা উল্টো করে পরে এসেছেন স্কুলে! বুকের ভেতর থেকে হাসি উগরে আসছিল তুর্য-ইন্দ্র-রাবিব-সাফিন — এই চার। বন্ধুর। কিন্তু স্যারের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, হাসা তাে দূরের কথা, সবাই মিলে চিকার করে। এখন কাঁদা উচিত তাদের। ঘটনার দুদিন পর গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে শ্মশান ঘাটে গিয়েছিল তূর্য, ইন্দ্র, রাবিব ও সাফিন। গভীর রাত। ভয়ংকর একটা জিনিস দেখে ভয়ে দৌড়ে আসছিল তারা। পেছন থেকে হঠাৎ সাফিন উধাও। কিছুক্ষণ পর রক্তমাখা তার জামা পাওয়া যায় পাশের এক রাস্তায়। আকাশ ভেঙে পড়ে তিনজনের মাথায়! সাফিন কি তাহলে ? না, তারা আর ভাবতে পারে না।

160 200-20%
দেশে বেড়াই
দেশে বেড়াই
সালেক খোকন
  • ভ্রমণ শুধু প্রকৃতি দেখাই নয়। প্রকৃতি মানে মানুষ, তার জীবন, তার কথা বলা, তার গান গাওয়া। ভ্রমণের লেখা শুধু পর্বতের চূড়া আর সমুদ্রের তরঙ্গ ফেনাই নয়, ভ্রমণ তো সেখানেও, যেখানে নিভৃতে একটি ছোট্ট মটরফুল তার আশ্চর্য নীল রং মেলে ফোটে, দূর জনপদের ছোট্ট বাজারের প্রান্তে ক্লান্ত বৃদ্ধা একডালি শামুক বেচতে বসে, ছোট্ট পুঁটি মাছটি মৃতচোখে তাকিয়ে থাকে খ্যাপলা জালের খোপে।
    এমন উপলব্ধি নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ ও আদিবাসী বিষয়ক স্কলার সালেক খোকন ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের আনাচে-কানাচের পথে-প্রান্তরে। তার দেখা পাহাড়, সমুদ্র, নদী, হাওড়, বন আর ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে রচিত ভ্রমণকাহিনিগুলো আলোকচিত্রসহ একীভূত করা হয়েছে দেশে বেড়াই গ্রন্থটিতে। 
    মুক্তিযুদ্ধের আকর ইতিহাস ও আদিবাসী বিষয়ক একাধিক গবেষণাগ্রন্থ’ প্রকাশিত হলেও এটি লেখক ও গবেষক সালেক খোকনের ভ্রমণবিষয়ক প্রথম গ্রন্থ। সরল গদ্য ঢংয়ে লেখা এর কোনো একটি ভ্রমণকাহিনি পড়ে যদি আন্দোলিত হন, তবে সেখানে বেড়াতে যেতে ভ্রমণ গাইড হিসেবে গ্রন্থটি আপনার সহায়ক হবে। কেননা, বেড়ানোর জায়গাটিতে কখন ও কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন, নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক সকল পরামর্শ ও হালনাগাদ তথ্যাদি সন্নিবেশিত করা হয়েছে এ গ্রন্থে। 
    দেশে বেড়াই ভ্রমণপ্রিয় পাঠকদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনন্য গ্রন্থ।

300 400-25%
দোলা
দোলা
জেসমিন আক্তার
  • খণ্ড খণ্ড কিছু কাল্পনিক রূপায়ণ এ উপন্যাস।  কতিপয় দর্শন আর ভাবনার মিশেলে গ্রন্থ সমৃদ্ধ হয়েছে।  পুরো আখ্যান লেখকের নিজস্ব খেয়ালের প্রতিফলন।  মার্জিত ভাষায় প্রতিটি শব্দ ও বাক্যশৈলীর সমাবেশ ঘটেছে বলা যায়।  লেখক হিসেবে প্রথম উপন্যাস হলেও সময়ের প্রয়োজনে তিনি লিখছেন।  বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তাঁর লেখা পাঠকমহলে সমাদৃত।  তাঁর গল্প ও কবিতা প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন কাব্যাসরে।  সম্মান জুটেছে কম নয়।  ২০১৬ বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ রুদ্ধ দ্বারের বাহিরে দাঁড়ায়ে তাঁর জন্য বয়ে এনেছে অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক প্রাপ্তির বিরল সম্মান।
    সময়ের বিভিন্নমুখিতায় যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, তার দৃষ্টি এড়ায়নি।  সেই সাথে ভাবের মিশেল, হার্দিক সুবাস সবকিছু রয়েছে পুরো আখ্যানে।
    হাঁটি হাঁটি পা পা করে লেখালেখিতে যাঁর আবির্ভাব, তিনি কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক জেসমিন আক্তার, তাঁর প্রথম প্রয়াস-দোলা। 

80 100-20%
দ্বীপান্বিতা
দ্বীপান্বিতা
সেলিনা হোসেন
  • সুনীতি একজন উন্নয়নকর্মী।  সহকর্মী মিহির ও নৌকাচালক তোরাব তার শ্লীলতাহানি করে।  শালিসে উল্টো দোররা মারা হয় সুনীতিকে।  মিহিরের সঙ্গে বিয়ে হলেও অস্বীকার করে সুনীতি।  সে আরেক সহকর্মী চন্দ্রভানুকে নিয়ে প্রতিশোধের কৌশল আঁটে।  নষ্ট করে দেয় মিহিরের চোখ, হত্যা করে তোরাবকে, পুড়িয়ে দেয় ফতোয়াবাজ মোড়লের বাড়ি।  পেটে সন্তান নিয়ে সুনীতি যাত্রা করে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশে।  কেন? কেনইবা তার সঙ্গী হয় একদল মানুষ?

160 200-20%
দ্য গ্রেট বল্টুদা
দ্য গ্রেট বল্টুদা
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • মানুষের জীবন হতে পারে রহস্যময়-বিচিত্র আর অবিশ্বাস্য ঘটনায় ভরা! কখনো সেটা লোমহর্ষক অথবা বেদনাদায়ক...
    সব ঘটনার পিছনে যুক্তি খুঁজে ফেরে আমাদের মন। কিন্তু সব ঘটনার পিছনে কি যুক্তি থাকে?
    প্যারাসাইকোলজির এ অবিশ্বাস্য জগতে যুক্তি খুঁজে বেড়ান দ্য গ্রেট বল্টুদা...

120 150-20%
দ্য মাংকি’জ রেইনকোট
দ্য মাংকি’জ রেইনকোট
শওকত হোসেন
  • এলভিস কোল। লস অ্যাঞ্জেলেসের পোড়খাওয়া প্রাইভেট ডিটেক্টিভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত সৈনিক। জো পাইক নামে একজন সঙ্গী আছে ওর। 
    নিখোঁজ স্বামী মর্টন এবং একমাত্র ছেলে পেরি ল্যাঙের হদিস বের করার অনুরোধ নিয়ে এসেছে এলেন ল্যাঙ। মামলাটা সহজ ঠেকলেও কাজে নামতেই দেখা গেল অনেক গভীরে ছড়িয়েছে রহস্যের শেকড়। 
    লাপাত্তা হয়ে গেছে মর্টের বান্ধবী কিম্বার্লি মার্শও। সন্দেহজনক কিছু লোক কড়া নজর রাখছে তার অ্যাপার্টমেন্টের দিকে। এদিকে কারা যেন লণ্ডভণ্ড করে রেখে গেছে এলেনের বাড়ি। কিছু একটা খুঁজছে কেউ। তার মানে, এলভিসের সন্দেহ, মামুলি অপহরণের ঘটনা এটা নয়।  
    জোর করে মাদক ব্যবসায়ী সাবেক ম্যাটাডোর দোমিঙ্গো গার্সিয়া দুরানের র‌্যাঞ্চে নিয়ে যাওয়া হলো এলভিসকে। দুই কেজি হেরোইন চুরি গেছে তার। দোমিঙ্গোর ধারণা, কাজটা ওর। তার সাফ কথা, মাদক ফেরত না দিলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে পেরিকে। 
    ইতিমধ্যে মিলল মর্টের মৃত্যুর খবর। ওর উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবার তুলে নেওয়া হলো এলেন ল্যাঙকেও। দ্রুত অবনতি ঘটছে অবস্থার। 
    খুন-খারাবি, মাদক ব্যবসা, প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে আছে চারদিকে। পুলিস কি দুর্বৃত্ত, সবাই যেন যুদ্ধে নেমেছে এলভিসের বিরুদ্ধে। এলভিস বেপরোয়া, যেভাবে হোক এলেন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করবে। বন্ধু জো পাইককে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ও মরণপণ অভিযানে। 
    এই উপন্যাসটি ১৯৮৮ সালে ‘সেরা পেপারব্যাক মৌলিক রচনা’ হিসাবে অ্যান্টনি পুরস্কার পায়।
    সেরা উপন্যাস হিসাবে এডগার ও শামুস পুরস্কারের জন্যে মনোনীত। 

300 400-25%
দ্রোহী
দ্রোহী
ইকবাল আখতার
  • পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত ‘দ্রোহী’মূলত দ্রোহেরগল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র মতি মাস্টার। তার ব্যক্তিগত জীবন ও কর্ম গল্পের প্রধান উপজীব্য। মাস্টারের ব্যক্তিগত জীবন তার সময়ের জাতীয় রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত এবং সর্বহারা অধ্যুষিত পশ্চিম-দক্ষিণ বাংলার সমাজ ও ক্ষয়িষ্ণুনকশাল আন্দোলন দ্বারা অনূদিত।
    বাংলাদেশের বাংলা কথাসাহিত্যে কল্পকাহিনির দাপট লক্ষণীয়। সময়কে ধারণ করে এমন কথাসাহিত্যের সংখ্যা সেখানে নগণ্য। যেগুলো আছে তা মহান মুক্তিযুদ্ধের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। ‘দ্রোহী’ উপন্যাসে সেইগণ্ডি পেরোনোর সফল চেষ্টা হয়েছে।

280 350-20%
ধানসিঁড়ি পাড়ে
ধানসিঁড়ি পাড়ে
এ, কে, এম আরিফ হোসেন
  • সুগন্ধা, বিষখালি, গাবখান, ধানসিঁড়ির অববাহিকায় ছোট্ট মফস্বল শহর ঝালকাঠি।  বরিশাল বিভাগীয় শহরের নিকটে এ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান।  অতি প্রাচীনকাল থেকে ঝালকাঠি ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। এজন্য দ্বিতীয় কলকাতা বলা হয়ে থাকে। 
    বাঙলার মহান নেতা শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক-এর মাতুলালয় সাতুরিয়া গ্রামটি ঝালকাঠি জেলার অন্তর্ভুক্ত।  নারী জাগরণের নেত্রী ও কবি কামিনী রায় এ মাটির সন্তান।  এখানে জন্মেছেন জারিসম্রাট আব্দুল গণি বয়াতী।
    ঝালকাঠির গামছা, শঙ্খশিল্প, শীতলপাটি, কুড়িয়ানার পেয়ারাসহ স্থানীয় আরও বেশকিছু জিনিস বাংলার ঘরে ঘরে ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে।
    ছোট্ট এই মফস্বল শহর ও শহরতলির মানুষের জীবনযাত্রা, ভাষা এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে এ বইটিতে। 

160 200-20%
নক্ষত্র গলে যায় আমার চুম্বনে
নক্ষত্র গলে যায় আমার চুম্বনে
মোশাররফ হোসেন ভূঞা
  • কবিতায় কবি কী করেন! কবিতায় কবি নিজের রক্ত পান করেন।  অথবা কবি আত্মহননের মিছিলে যাত্রা করেন।  বিপরীত পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কবি দেখেন অগ্নিগোলকের নৃত্য।  নক্ষত্র গলে যায় আমার চুম্বনের কবি মোশাররফ হোসেন ভূঞা মিছিলেও যান না, আত্মহননে তাঁর প্রবল বিতৃষ্ণা।  তিনি আপন সৌরভে সাধনা করেন নির্ভেজাল নির্মেদ বর্ণময় ছন্দিত কবিতা।  সেই কবিতা কখনো মখমলের জাদুতে মোড়ানো, কখনো তৃষ্ণার অনলে পোড়ানো, কখনো উঠানো নিকানো, কখনো প্রেমের ধূপে পোড়ানো, কখনো বিরহের যজ্ঞে রাঙানো, কখনো ঘৃণায় কুঞ্চিত, কখনো আবেগে মথিত, কখনো ...।  না নক্ষত্র গলে যায় আমার চুম্বনে কাব্য নিয়ে আর কাব্য নয়।  কবির চৈতন্যে আঁকা, ছন্দ মাধুর্যে বর্ণিত কবিতা, পাঠকদের হৃদয় হরণ করতে পারলেই....কাব্য সার্থক এবং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। 

120 150-20%
নক্ষত্র সংলাপ
নক্ষত্র সংলাপ
তুষার আবদুল্লাহ্
  • অকপটে কেউ জবানবন্দি দিয়েছেন।  যেন নিজ জীবন, কাজের সময়টার ভুল-ভ্রান্তির দায় স্বীকার করে গেছেন।   কাউকে দেখলাম, আড়ালে রাখা জীবনকে নিয়ে এলেন প্রকাশ্যে।   যেমন করে জানা ছিল তাঁকে, মুখোমুখি হয়ে দেখলাম একেবারে ভিন্ন মানুষ তিনি।   শুধু কি আমি, দর্শকরাও যেন পরিচিত হলেন নতুন একজনের সঙ্গে।   যার সঙ্গে সংলাপে বসেছি যখন, গতকাল আজ এবং আগামীকালকে দেখার বহুমাত্রিক প্রণোদনা পেয়েছি।   নক্ষত্র সংলাপে নিজেকে কতটা আঁধার মুক্ত করতে পেরেছি জানিনা, তবে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া- আলো জ্বালাবার মতো নক্ষত্রে সচ্ছল আমরা।   শুধু তাদের চিনে নেবার দৈন্য কাটাতে পারছি না আমরা।  

375 500-25%
নক্ষত্রের বেহালায়
নক্ষত্রের বেহালায়
বিধান চন্দ্র পাল
  • এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত অনেক ব্যক্তিত্বের সাথে কবির নিজস্ব পরিচয় ছিল। ফলে তাঁদের আরও বিশদভাবে কাছে থেকে জানা, কাজের সাথে পরিচিত হওয়া এবং বোঝা থেকে যে উপলব্ধিবোধ তৈরি হয়েছে সেখানে থেকেই উৎসারিত হয়েছে কবিতার। অন্যদিকে অনেক ব্যক্তিত্বের সাথে কবির ব্যক্তিগত কোনো পরিচয় না থাকলেও নানাভাবে তাঁদের দ্বারা কবি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কবি তাঁদের দেখেছেন এবং শ্রদ্ধা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে কবিতা লেখার প্রয়াসে প্রয়াসী হয়েছেন। একজন সামান্য মানুষ ও কবি হিসেবে তাঁদের মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে লেখা কারো কাছে হয়তো স্পর্ধা মনে হতে পারে। ব্যক্তিত্বদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা থেকে এবং বিশেষত, ব্যক্তিগতভাবে যাঁদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য কবি পেয়েছেন, তাঁদের অপরিসীম স্নেহ কবিমনে এমন ধরনের সাহসের জন্ম দিয়েছে-এ কথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। এই কবিতাগুলোর মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তিত্বকে পুরোপুরি আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। কারণ কবিমনে নির্দিষ্ট একটি সময়ে নির্দিষ্ট ওই ব্যক্তিত্বের যে দিকটি সবচাইতে বেশি আকর্ষিত হয়েছে, সেই দিকটিই কবিতার জন্ম দিয়েছে। ফলে প্রতিটি কবিতাই যেন নিখাত ভালোবাসা ও নির্ভেজাল শ্রদ্ধাবোধসিক্ত ফসল। এই গ্রন্থে যাঁদের উপলক্ষ করে কবিতা লেখা হয়েছেÑতাঁদের কারো মৃত্যু নেই, ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়াত শব্দের প্রয়োগ চলে না-তাঁরা বেঁচে আছেন, থাকবেন অনন্তকাল।

188 250-25%
নগরে নিবন্ধনহীন
নগরে নিবন্ধনহীন
আলফ্রেড খোকন
  • গ্রামে গ্রামে আমি, নগরে নিবন্ধনহীন
    জীবন নানাভাবে জড়িত এবং বিতাড়িত।  সে জীবনে ক্লেদ আছে, গলদ আছে, ক্ষোভ আছে, ক্রোধ আছে, কাম আছে, কৌমার্য আছে, ক্লান্তি আছে, আছে উপশমও।  যেমন অনেক দৃশ্য আমি মেনে নিতে পারি না, আবার অনেক দৃশ্য আমাকে মেনে নিতে পারে না।  এইসব দৃশ্য ও অদৃশ্য একটার পর একটার ব্যাখ্যা দিলে তা যেমন বহুবার ব্যাখ্যা চাইবে আবার ব্যাখ্যাতীত হতে চাইবে।  আমি এই জীবনের সঙ্গে আছি, থাকতে চেয়েছি।  কিচ্ছু হওয়ার আকাক্সক্ষা নিয়ে নয়, হয়তোবা এ নগরে পা রেখেছিলাম অপরিচিতার সঙ্গে পরিচিত হতে। 
    এই গ্রন্থের ভূমিকা লেখক নিজেই লিখলেন।  কাউকে খুঁজে না পাওয়ার জন্য নয়।  ভূমিকায় তো এত কথা বলা যায় না।  বিভিন্ন সময়ে আমার এই লেখা লক্ষে ও উপলক্ষে কখনো ভিন্ন কখনো অভিন্ন উপলব্ধি- গদ্যের জবানীতে পদ্যের ভাষা/ তোমাকে দিলাম লিখে অমেয় পিপাসা।  তবুও কাটছে দুর্লভ দিন/গ্রামে গ্রামে আমি, নগরে নিবন্ধনহীন।  ঢেউয়ে ঢেউয়ে সমুদ্রের শ্বাসপ্রশ্বাস/নগর আমাকে বসায়ে লেখে গ্রামের আশ্বাস।  শেষপর্যন্ত, একটি ফড়িঙের আত্মজীবনী লিখতে এসে লিখি চুরমার/যে লিখেছে সেও আছে যে লেখেনি তারও ওই এক উত্তর।

    আলফ্রেড খোকন
    দুর্লভার দিন, ১২ জানুয়ারি ২০১৮, ঢাকা।

120 150-20%
নজরদারি (হার্ডকভার)
নজরদারি (হার্ডকভার)
আলম সিদ্দিকী
  • থ্রিলার বা রোমাঞ্চ উপন্যাসের ঘটনাতে থাকে ভয়, শঙ্কা, উত্তেজনা এবং রহস্য উদ্ঘাটনের কাহিনি। নজরদারি উপন্যাসে রয়েছে তেমনই সড়বায়ু আলোড়িত করা ঘটনা। দু-দিনে দুজন শিল্পপতি খুন হয়েছে শিল্পনগরী কাঁচপুরে। একজন প্রকাশ্যে, আরেকজন গোপনে, লোকচক্ষুর আড়ালে। প্রকাশ্য খুনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শীর্ষ সন্ত্রাসী ডালিম মুন্সি এই খুনটা করেছে, ভিডিওতে তা স্পষ্ট।   কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করছে না কেন পুলিশ? ওদিকে গোপন-খুনের রহস্যও কেউ জানে না। এলাকার শিল্পপতিদের মাঝে ভয়, উৎকণ্ঠা বেড়েই যাচ্ছে দিন দিন। দুটো খুনের তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন নতুন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফাহিম। তিনি কি রহস্যের কূলকিনারা  করতে পেরেছিলেন? এমনই রোমাঞ্চকর টানটান ঘটনা নজরদারি উপন্যাসে। আপাত সরল ও নাটকীয় ভাষায় রচিত রোমহর্ষক ঘটনাবহুল থ্রিলার।

240 300-20%
নজরুল তারিখ অভিধান
নজরুল তারিখ অভিধান
ড. মাহবুবুল হক
  • বিদ্রোহের দামামা বাজিয়ে আর মানবমুক্তির নিশান উড়িয়ে বাঙালির সমাজজীবনে চকিত আবির্ভাব হয়েছিল কাজী নজরুল ইসলামের।  ‘বিদ্রোহী কবি’ অভিধায় ভূষিত এই কবি কবিতা ও সংগীতে, গল্প ও উপন্যাসে, নাটক ও চলচ্চিত্রে, সাংবাদিকতায় ও সম্পাদনায় সৃজনশীল নতুনত্বে মুগ্ধ করেছিলেন সর্বস্তরের বাঙালিকে।  প্রেম ও বিদ্রোহের চেতনায় উদ্ভাসিত ছিল তাঁর সৃজনশীল প্রতিভা।  তারই আলোয় তিনি বাঙালিকে প্রাণিত করেছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও দেশব্রতী চেতনায়, স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শোষণ ও বৈষম্যহীন মুক্ত স্বদেশের।
    বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা ও অসাধারণ জননন্দিত এই কবির জীবন ও কর্ম, সৃষ্টি ও সাধনার কালানুক্রমিক ও ধারাবাহিক ইতিবৃত্ত রচনার প্রয়াস নজরুল তারিখ অভিধান।  এ গ্রন্থে প্রামাণ্য তথ্য ও আকর উপাদানের ভিত্তিতে ড. মাহবুবুল হক নজরুল জীবনী পুনর্গঠনে ব্রতী হয়েছেন।  নজরুলের পূর্ণাঙ্গ জীবন-বৃত্তান্ত রচনার লক্ষ্যে এ গ্রন্থ প্রণয়ন একটি উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা।

600 800-25%
নজরুল-টোটেম
নজরুল-টোটেম
সিরাজ সালেকীন
  • সাহিত্য পাঠ করে সাহিত্যজ্ঞান হয় না, সাহিত্য-সমালোচনা থেকেই অর্জিত হয় নান্দনিক বোধ ও প্রজ্ঞান।  তবে, সকল সমালোচনাই এই তাৎপর্য তৈরি করতে পারে না।  নতুন অবলোকন বিশ্লেষণ-মতার সঙ্গে সৃজন ও মনন-প্রতিভার মিথস্ক্রিয়া ঘটলেই জন্ম হয় নতুন সমালোচনা-সাহিত্যের।  সিরাজ সালেকীন রচিত নজরুল-টোটেম গ্রন্থটি এই নতুনত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত।  তাঁর চিন্তার স্বকীয়তা গ্রন্থের নামকরণেই স্পষ্ট।  নজরুল ইসলামের চেতনালোকের কয়েকটি ভাবকল্প - অগ্নি, ঝড়, রক্ত, সুন্দর, বিষধর, যৌবন, ভগবান, মানুষ, সর্বনাম, রঙ, পুনঃপুন ব্যবহৃত হয়ে যেন টোটেম হয়ে উঠেছে।  তাঁর কবিতা-গল্পে এই টোটেমগুলি পরিক্রমা করে করে নজরুল সৃষ্টিশীল থেকেছেন।  সিরাজ সালেকীন এই সৃষ্টিশীলতা লক্ষ করে এগিয়েছেন, কবিতা-গল্পের অন্তর্দেশ চিরে-চিরে ব্যাখ্যা করেছেন টোটেমগুলির বিচিত্র তাৎপর্য।  লেখকের অন্তর্বয়ন ও বয়ান হয়ে উঠেছে একুশ শতকে নজরুলকে ভিন্নভাবে পঠন-পাঠনের দিকনির্দেশনা।  নজরুল-টোটেম কেবল ভাবনার স্বাতন্ত্র্যেই নয়, নন্দনতত্ত্বের অধুনা ধারাকেও আত্তীকরণ ও প্রাসঙ্গিক করে তোলায় বিশিষ্টতা লাভ করেছে।  এ-যাবৎ নজরুল-সম্পর্কিত যাবতীয় সমালোচনার চর্বিতচর্বণ ও গতানুগতিক আলোচনাকে পাল্টে দিয়ে এই গ্রন্থ হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র ধারার ও বৌদ্ধিক পাঠ-অভিজ্ঞতার প্রবাহক।

    -বেগম আকতার কামাল

160 200-20%
নজরুলের বিদ্রোহীর চেতনালোক
নজরুলের বিদ্রোহীর চেতনালোক
তাহা ইয়াসিন
  • ‘মানুষের সৌন্দর্যক্ষুধা থেকেই কাব্যের সৃষ্টি, কবির জন্ম। ...এই সৌন্দর্যের, অমৃত পরিবেশনের ভার কবি ও সাহিত্যিকদের হাতে।  এ পথে সাহিত্যিকদের হয়তো দুঃখ-কষ্ট আছে অনেক, কিন্তু তাদের ভীতু হলে চলবে না।’ 
    কবি নজরুল জীবন ও চিন্তায় তাঁর এই বক্তব্য মেনে নিয়েছিলেন।  ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি প্রকাশের অপরাধে এক বছর জেল খেটেছেন।  বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগে তাঁর জন্ম।  অসাম্প্রদায়িক জীবন-যাপনের কারণে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েরই চক্ষুশূল হন।  তবুও তিনি মানবতার পতাকা তুলে ধরেন ঊর্ধ্বে।  সব রকম পরাধীনতা থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য জীবনব্যাপী সংগ্রাম করেন।  ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি।  কবিতাটি সমকালে এবং পরবর্তীকালে মানুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়।  মানুষের শির কাহারেও করেনা কুর্নিশ-এ কথা তিনি জানিয়ে দেন।  ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিকে কেন্দ্র করে সমকালে যেমন নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল পরবর্তীকালেও কবিতাটি নিয়ে অনেকেই লেখেন আলোচনা-সমালোচনা।  এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায়, আলোচনা-সমালোচনা সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হলো গ্রন্থটিতে।

450 600-25%
নতুন চর্যাপদ
নতুন চর্যাপদ
সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ
  • শতবর্ষ আগে (১৯১৬) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদ-প্রকাশ আমূল বদলে দিয়েছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস।  পাশাপাশি এসেছিল মৈথিলি, উড়িয়া ও অসমীয়া সাহিত্যের ইতিহাস পুনর্বিবেচনার প্রসঙ্গ। তিন দশক পরে রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিব্বতে পাওয়া ২০টি চর্যা প্রকাশ করেন (১৯৫৪) এলাহাবাদ থেকে।  পরের দশকে শশিভূষণ দাশগুপ্ত সন্ধান পান (১৯৬৩) আর এক গুচ্ছ চর্যার, যার ৯৮টি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় নব চর্যাপদ (১৯৮৮) গ্রন্থে।  আশির দশকে জগন্নাথ উপাধ্যায় নেপাল থেকে সংগ্রহ করেন চর্যার তিনটি নতুন পুথি; যার থেকে ১৬৫টি গান বারাণসী থেকে দেবনাগরী অক্ষরে প্রকাশিত হয় চর্যাসংগ্রহ (২০১২) নামে।
    নেপাল-তিব্বত অঞ্চলে তন্দ্রচর্চা ও বজ্রযানী-আরাধনায় দীর্ঘকাল ধরে যে মন্ত্রগান ব্যবহার হয় তা চর্যারই অনুবৃত্তি।  বর্তমান সংকলনে উপস্থাপিত ৩৩৫টি নতুন চর্যা সে-ধারারই অন্তর্গত।  এতে সরহ, শবর, ডোম্বী, দারক, গোদারি, কাহ্ন, ভুসুকুর মতো পরিচিত চর্যাকারদের পদ রয়েছে।  আবার শাস্ত্রীর সংকলনে পদ নেই এমন প্রাচীন চর্যাকার- জালন্ধরী নাগার্জ্জন, তিলোপা, নারোপা, লীলাবজ্র, অদ্বয়বজ্রের পদও স্থান পেয়েছে।  এই তিন শতাধিক পদ আনুমানিক ১০০ কবির রচনা, যার ৮০ জন চিহ্নিত।
    বর্তমান সংকলনে নব-সংগৃহীত ৩৩৫টি পদের সঙ্গে রাহুলের ২০টি, শশিভূষণের ২১টি এবং জগন্নাথের ৩৭টি পদ পরিশিষ্টরূপে যুক্ত হয়েছে।  অষ্টম থেকে বিশ শতকের মধ্যে রচিত এই চার শতাধিক চর্যা বাংলা সাহিত্যের নতুন উপকরণ।  সংকলিত হওয়ার পূর্বে দীর্ঘকাল মুখে মুখে প্রচলিত থাকার সময়ে এর পাঠে পরিবর্তন সত্ত্বেও প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভাষার রূপ হিসেবে এ

1125 1500-25%
নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন
নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন
হরিশংকর জলদাস
  • ভারতবর্ষীয় সমাজে মানুষের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক,  দীর্ঘকাল ধরেই তা মোটা দাগে দু’ভাগে বিভক্ত। এক. সেবাগ্রাহী এবং দুই. সেবাদাস। অমানবিক বর্ণবিভাজনের কারণে উৎপাদনশীলতার মূলভিত্তিতে শ্রমের জোগান দেওয়া সত্ত্বেও কৈবর্তরা সেবাদাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ছোটজাতের দোহাই দিয়ে, অস্পৃশ্যতার অজুহাত দেখিয়ে এই সম্প্রদায়টিকে সমাজের একপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, তাই তারা হয়েছে প্রান্তজন। কিন্তু সমাজ চলিষ্ণু। পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্পর্শে, মানবতাবাদী চেতনার অনুপ্রেরণায় বাঙালি কথাসাহিত্যিকরা এগিয়ে এলেন ব্রাত্য প্রান্তজনদের জীবনকাব্য নির্মাণে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১), সতীনাথ ভাদুড়ী (১৯০৬-১৯৬৫), মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) প্রমুখ সাহিত্যিক  এই মানবতাবাদী ধারার অন্যতম পুরোধা। বাংলা সাহিত্যে ১৯৩৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি কৈবর্তসমাজলগ্ন উল্লেখযোগ্য উপন্যাস রচিত হয়েছে এগারোটি। এদের মধ্যে পাঁচটি উপন্যাসে কৈবর্তজীবন তার সকল-প্রকার রূপবৈচিত্র্য নিয়ে হাজির হয়েছে। এই উপন্যাসগুলো হলো মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৯০৮-১৯৫৬) ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬), অদ্বৈত মল্লবর্মণের (১৯১৪-১৯৫১) ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ (১৯৫৬), সমরেশ বসুর (১৯২৪-১৯৮৮) ‘গঙ্গা’ (১৯৫৭), সাধন চট্টোপাধ্যায়ের (১৯৪৪- ) ‘গহিন গাঙ’ (১৯৮০) এবং ঘনশ্যাম চৌধুরীর (১৯৫৭-) ‘অবগাহন’ (২০০০)। উক্ত পাঁচজন লেখক ৬৪ বছরের (১৯৩৬-২০০০) কৈবর্তজীবনের চালচিত্রকে উপস্থাপন করেছেন তাঁদের উপন্যাসসমূহে। হরিশংকর জলদাস অর্জিত জ্ঞান ও সহজাত-অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উল্লিখিত পাঁচটি উপন্যাসকে বিশ্লেষণ করে কৈবর্তজীবনবৃত্তকে উন্মোচিত করবার প্রয়াস পেয়েছেন এই গ্রন্থে। জেলেদের দারিদ্র্য, তাদের অশিক্ষা, জীবন-জীবিকার ধরন, প্রতারণা-শোষণ, কলহ-কলরব, উৎসব-সংস্কার, অর্থনৈতিক বিপন্নতার বিষয়গুলো নানা দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেছেন লেখক। ভারতবর্ষীয় সমাজব্যবস্থায় কৈবর্তজনগোষ্ঠী যে আসলে অপাঙ্ক্তেয় নয়, সমাজকাঠামোর অপরিহার্য খুঁটি-তাও নানা যুক্তি-উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন লেখক এই গ্রন্থে। হরিশংকর জলদাসের দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ, বক্তব্য যুক্তিনির্ভর। তাঁর বিশ্লেষণে চিন্তার গভীরতা। তাঁর নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্তজনজীবন গ্রন্থটি সাহিত্যানুরাগী পাঠক ও গবেষকদের অজানা কৌতূহল পূরণে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। 

450 600-25%
নন্দনতত্ত্ব
নন্দনতত্ত্ব
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
  • নন্দনতত্ত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ অবংঃযবঃরপং। কিন্তু মূল শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে উদ্ভূত। অরংঃযবংরং শব্দের অর্থ ঙহব যিড় ঢ়বৎপবরাবং অর্থাৎ যিনি প্রত্যক্ষ করেন। কাজেই অবংঃযবঃরপং মানে প্রত্যক্ষণ শাস্ত্র। প্রাচীন সংস্কৃতে যাকে বলা হয় বীক্ষাশাস্ত্র। বীক্ষণ অর্থও বিশেষভাবে দেখা, অর্থাৎ গ্রিক প্রত্যক্ষণ আর সংস্কৃত বীক্ষণ একই কর্মকাণ্ডের পরিচায়ক। কিন্তু প্রশ্ন আসে, কি জন্য দেখা? এই প্রশ্নের সঙ্গে আরো যোগ করা যায় কিভাবে দেখা, কি জন্য দেখা? উত্তরে বলা যায়, আমাদের বস্তুজগতের যা কিছু দৃশ্যমান তাদের দেখা, তাদের চরিত্র, রূপ অনুধাবন করা, তাদের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও সম্পর্কসমূহ তলিয়ে দেখা। কিন্তু প্রত্যক্ষ বস্তুজগতের বাইরেও যে সৌন্দর্যের অস্তিত্ব তাকেও দেখতে হবে; অবাক্সমানসগোচর পৃথিবীর স্বরূপ সন্ধানও করতে হবে, অর্থাৎ দৃশ্যমান ও অদৃশ্য জগৎ, দেহ ও আত্মার লীলাক্ষেত্র উভয়কে প্রত্যক্ষণ করা।

123 150-18%
নন্দিত-নিন্দিত
নন্দিত-নিন্দিত
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
  • খেলাধুলা মানুষের বিমল আনন্দের এক অনুপম অনুষঙ্গ। কারো খেলা দেখে বিনোদন, কারো খেলা দেখে আনন্দ। খেলে আনন্দ দিতে আর পেতে উন্মুখ বহু মানুষ। তাঁদের অনেকের কাছে এ এক জীবন-সংগ্রাম। মেধা-নিষ্ঠা-পরিশ্রম-দক্ষতা দিয়ে অসামান্য অর্জনে কিছু খেলোয়াড় বিশেষ হয়ে ওঠেন, মোহাবিষ্ট মানুষ তাঁদের দেবতার আসনে বসান। কিন্তু তাঁরা রক্ত-মাংসেরই মানুষ। আছে স্বাভাবিক মানবিকবৃত্তি, লোভ-মোহ-ক্ষোভ-অহংকার। তাই ও সব রিপু দমন করতে না পেরে যুগে যুগে, কালে কালে খেলার অঙ্গন কলুষিত করেছেন বহু স্বার্থান্ধ নায়ক। নির্বিকার প্রতারণা করেছেন ভালোবাসায় অন্ধভক্তদের। অবৈধ কৌশল, অনিয়ম, মিথ্যাচার, নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়া, খেলা পাতানো, চুরি-ডাকাতি, নারী নির্যাতন, এমনকি হত্যাকাণ্ড; কতই না প্রকার! পাপীষ্ঠরা প্রমাণ করে দিয়েছেন খেলাধুলা কেবল পবিত্রতাই ছড়ায় না; পাপেও জড়িয়ে ফেলে। অভূতপূর্ব সব অর্জনের পরেও তাঁরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে, খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। আবার পতনের পর কোনো কোনো খলনায়কের ফের মহানায়ক হয়ে উঠবারও দৃষ্টান্ত মেলে। দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিক-লেখক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় খেলা আর খেলার মানুষদের অনুসরণ করে চলেছেন। নায়কদের ভেতরের মানুষটি বের করে আনার প্রয়াস তাঁর আরেক ধ্যান। 

160 200-20%
নবজাগরণের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বিদ্যাসাগর
নবজাগরণের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বিদ্যাসাগর
আহমদ রফিক
  • স্ববিরোধী, সীমাবদ্ধ ও বিতর্কিত চরিত্রের উনিশ শতকের বঙ্গীয় নবজাগরণের আবহে বিদ্যাসাগরের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব নিয়ে সেকাল থেকে একালে নানা মাত্রায় মূল্যায়ন-পক্ষে-বিপক্ষে, প্রশস্তিতে-সমালোচনায়। এসব আমলে নিয়ে আহমদ রফিকের নবজাগরণের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বিদ্যাসাগর তার নিজস্ব হিসাব-নিকাশে, তথ্য ও যুক্তির নিরিখে-সেখানে বিদ্যাসাগর সময়ের বিচারে এক অগ্রসর চেতনার স্বাতন্ত্র্যবাদী, ব্যতিক্রমী ব্যক্তি যার জীবনাদর্শ ও কর্মাদর্শ বাংলাভাষাভাষী সমাজের জন্য এখনো প্রাসঙ্গিক, যদিও কালের ব্যবধান অতি দীর্ঘ। সংক্ষিপ্ত ভাষ্যে রচিত এ বইটি পড়ে পাঠক অনেক বিতর্কের আবহে নিজের চিন্তাভাবনাও যাচাই করে নিতে পারবেন।

263 350-25%
নষ্টনীড়
নষ্টনীড়
জেসমিন আক্তার
  • স্বপ্নচারী মেয়ে কঙ্কা।  স্বপ্ন গাঁথার কথা বলে আপন মনে নিজের সাথে, আকাশের সাথে।  কেননা আকাশকেই খুব কাছের আর বিশ্বস্ত বন্ধু মনে হয়।  একসময় বাস্তবতার আগ্রাসী ছোবলে তার স্বপ্নের দুয়ার ভেঙে যায়।  কঙ্কার মনের দুয়ারে কড়া নাড়ে  মায়ের না পাওয়া স্বপ্ন।  দুঃখ কষ্ট ভোলাতে শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরে মাকে।  নীলঞ্জনা যেন সমস্ত বিরুদ্ধ শক্তির বিপরীতে বয়ে চলা এক নদী। নদী যেমন সাগরের সাথে মিলন ঘটায়, সেও তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।  একে একে সবাইকে হারিয়ে নীলাঞ্জনা অশত্থ ছায়া হয় সেতুর কাছে, তাও বিলীন।
    হাসানের চাই নিত্যনতুন জবা, বেলি, জুঁই চামেলি।  তারই হাত ধরে  ঘরে আসে  শীলা।  ভেবেছিল সুখের নহরে ভাসাবে ভেলা।  কিন্তু বিধি বাম।  কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না।  তাই নীরার হাত ধরে অসীম আকাশের লয়ে ঠিকানা খোঁজে।
    কিশোর বয়সের ভুলের মাসুল দিতে কালাচান পালিয়ে বেড়ায় সেজুতির কাছ থেকে, কিন্তু পরিত্রাণ পায় না সেজুতির হাত থেকে।  মধ্য গগনে আবার দেখা দুজনের।
    নষ্ট সময়ের প্রভাব পড়ে নাবিলের কিশোর বয়সে।  তার ইগো, তার ইমোশনকে গ্রাস করে ধেয়ে আসা অস্থির সময়।  একসময়ে তার ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসে মায়ের কোলে।
    প্রতিটি গল্পে আছে নারীর স্বপ্ন জয়ের দুঃসহ জীবনের কথা।

120 150-20%
নামচিহ্নহীন
নামচিহ্নহীন
মাহবুব আজীজ
  • এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর। উপন্যাসের সূচনাবিন্দু-মিছিলে আরও অন্তত দুজন নিহত হয় বলে জানা যায়, যাদের  নিহত হওয়ার-ই স্বীকৃতি মেলে না। এদের একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ ঘটনার পরদিন গভীর রাতে গ্রামের বাড়িতে এনে পুলিশ দাফন করে। শত শত মানুষের ভিড়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত অখ্যাত যুবক  অস্বীকৃতির চাদরে হারিয়ে যায়।
    আখ্যানের মূল চলন-নব্বইয়ের গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ও স্বীকৃতিহীন শহীদের অনুজ করোনাকালে আকস্মিক নিখোঁজ হয়। দুশ্চিন্তা আর দহন নিয়ে পুরো পরিবার অপেক্ষা করে তাদের ছেলে ফিরবে! নিখোঁজ হওয়ার কারণ নিয়ে সংশয় থাকলেও বোঝা যায় যে, নামচিহ্নহীন হওয়ার জন্য কারণ বা যুক্তি আদৌ প্রয়োজন হয় না।
    এই পৃথিবীতে নামচিহ্ন মানে কী? কারা ঠিক করে নাম ও চিহ্নের সীমানা। বিশাল মিছিল গড়ে ওঠে, নায়ক/নায়কদের নাম উজ্জ্বল হয়ে ছড়িয়ে থাকে, সাধারণ মানুষ কেবলই সংখ্যা, কেবলই এক একটি সংখ্যা-কোনোক্রমে মানুষকে সংখ্যার ছাঁচে ফেলে দিতে পারলে প্রকৃত দগদগে সত্য আড়ালে পড়ে থাকে।
    দোদুল্যমান সত্য আর ন্যায়ের ‘ইচ্ছেখুশি’ মাপকাঠির সামনে প্রচল বিশ্বাস ভেঙে পড়ে। এই উপন্যাসের চরিত্ররা তাই অনেকে খাপছাড়া-মনের ভেতরে বহুকাল চেপে রাখা হতাশা-রাগ জমে অনিয়ন্ত্রিত, প্রজ্ঞাহীন প্রবাহিত হয়, যা অসঙ্গত মনে হলেও এর গহিনে থাকে গভীর বেদনা।
    গণআন্দোলনে নিহত শহীদের স্বীকৃতিহীনতার প্রেক্ষাপটকে নেপথ্যে রেখে এই উপন্যাসের চরিত্ররা পরস্পর ঘন হয়ে গূঢ় প্রশ্নটিই সামনে নিয়ে আসে-মানুষ কখন শুধু সংখ্যা হয়ে যায়? কেন হয়?

225 300-25%
নারগিস
নারগিস
পারমিতা হিম
  • নারগিসের বাসায় যাওয়া, ওর আমার বাসায় আসা কিংবা ওর সাথে মেলামেশায় আমার আম্মার খুব আপত্তি। কারণটা বেশ গুরুতরই বটে। নারগিসের আব্বা বিদেশে থাকে। কাতারে। আট-দশ বছরে একবার দেশে আসেন বলে শােনা যায়। নারগিসের আম্মার একজন প্রেমিক আছেন। উনি নারগিসদের বাসাতেই থাকতেন। আমার সাথেও অনেকবার দেখা হইছে। আমি উনাকে ডাকি ‘বাদশা আংকেল’ বলে।
    রুপা আপার দুই বয়ফ্রেন্ডকে খুব একটা অগতানুগতিক ছেলে মনে হয় না। কিন্তু দুইজনের কেউই রুপা আপাকে ছাড়তে পারে না, তাই একজন আরেকজনকে মেনে নিতে বাধ্য হইছে। ওরা দুইজন একই সময়ে রুপা আপাকে ফোন করলে ও দুইটা ফোন দুই কানে নিয়ে একসঙ্গে কথা বলে। ঘুমানাের সময় প্রায়ই এ কাজটা করে রুপা আপা দুই কানে দুই ফোন নিয়ে বলে—হুমম, হুমম, হুমম।

375 500-25%
নারী
নারী
তাহা ইয়াসিন
  • এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে গত চারশ বছরে নারী বিষয়ে লিখিত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ রচনাসমূহ। নারীর জীবন ও বাস্তবতা, সংকট ও সংগ্রাম, শোষণ-বঞ্চনা-বৈষম্য, মনোশারীরিক গঠন, পুরুষতন্ত্র, দেশে দেশে নারী অধিকার আন্দোলন, নারীর অগ্রগতি ইত্যাদি বিচিত্র বিষয়ে আলোচনা রয়েছে বইটিতে।  ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে নারী অগ্রগতির নানা অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ রয়েছে অনূদিত রচনাগুলোতে।  দুই বাংলার বিশিষ্ট চিন্তাবিদদের লেখাগুলোতে নারীর পশ্চাৎপদতা থেকে মুক্তিঅনেশ্ষণার তাগিদ রয়েছে।  সভ্যতার ক্রমবিকাশের নানা স্তরে নারীর অবস্থান এবং সমাজ বদলের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার অনুসন্ধান রয়েছে অনেক রচনায়।  নারী অধ্যয়নের একটি প্রয়োজনীয় বই।

300 400-25%
নারী ও গণিত
নারী ও গণিত
সফিক ইসলাম
  • আদ্যিকালের গ্রিস থেকে একালের বাংলাদেশ, বিশ^জুড়ে গণিতবিদ্যায় নারীর ভূমিকা ছিল বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সামাজিক পরিসরে এখনও নারী গণিতবিদদের অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়। একুশ শতকে এসেও আড়ালে-আবডালে প্রায় প্রতিটি দেশেই কটুবাক্য হিসেবে বলা হয়, ‘মেয়েরা গণিতে ভালো করে না’। 
    নারী ও গণিত বইতে নতুনভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে বিশ্বের নারীদের গণিত চর্চার সংগ্রামমুখর ইতিহাস। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে গণিতপ্রেমী নারীর লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার করুণ বিবরণ। পাশাপাশি সবিস্তারে উঠে এসেছে গণিতে নারীর বহুমাত্রিক অবদান এবং সাফল্যপ্রাপ্তির আখ্যানও। প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার নিহত নারী গণিতজ্ঞ হাইপেশিয়া থেকে শুরু করে বিশ শতকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের বিদুষী শিক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেছা-কেউই বাদ পড়েননি।   
    সভ্যতার সঙ্গে নারীর গণিত শিক্ষার সম্পর্ক কেন গুরুত্বপূর্ণ? কীভাবে যুগে যুগে, দেশে দেশে, নারীদের গণিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে? গণিতে নারীর সাফল্য কীভাবে পাল্টে দিয়েছে পুরো দুনিয়াকে? ব্যতিক্রমী এই বইতে এমন অনেক জরুরি প্রশ্নের উত্তর মিলবে। 

188 250-25%
নারীর সৃষ্টি : নারীর দ্বন্দ্ব
নারীর সৃষ্টি : নারীর দ্বন্দ্ব
ফারজানা সিদ্দিকা
  • এ বইয়ে সৃষ্টিশীল নারীর দ্বন্দ্বময় জগতের পাশে প্রায় একই সুতোয় গাঁথা তার সমস্ত সংকটে আলো ফেলা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে।  সাধারণত সে জগতের বহির্বাস্তবেই আমাদের চোখ পড়ে, অন্তর্বাস্তব থেকে যায় প্রায় আলোহীন।  অন্তর্বাস্তবে নজর পড়ে না বলেই বহির্বাস্তবকেও ঠিক বুঝে ওঠা হয় না।
    সন্তান জন্মদান থেকে জগতের সকল নির্মাণ আর সৃষ্টিতে পুরুষের সমান অংশী নারী।  অথচ সে শোষিতেরও শোষিত।  প্রাপ্তির খাতা তার প্রায় শূন্য।  নারীর প্রতি বৈষম্য ও অধিকার নিয়ে প্রকাশিত বইও বিরল নয়।  তবু তার শ্রম ও সংগ্রামে প্রাপ্তির প্রশ্ন অমীমাংসিত এবং চলমান।  এ প্রশ্ন বহুবার বহুভাবে তোলা হয়েছে; হচ্ছে আর হবেও।
    ফারজানা সিদ্দিকাও সে প্রশ্নই তুলেছেন।  নৈর্ব্যক্তিক চোখে খুঁজে দেখেছেন নারীর অন্তর্জগতের বেদনা ও বঞ্চনা, সাহস ও সংগ্রাম, প্রেম ও প্রেমহীনতা।  আশাপূর্ণা দেবী, সুফিয়া কামাল, নুরজাহান বোস আর শাহীন আখতারের রচনার আলোচনা করতে গিয়ে নারীর নিজস্ব সংকটকে চিহ্নিত করে দেখিয়েছেন, তা আসলে নারী-পুরুষ উভয়েরই সংকট।  তিনি সে আলোচনায় লেখকের সঙ্গে শামিল।  প্রয়োজনে একই কাতারে দাঁড়িয়ে রচনার সাহিত্যিক ধরনের বাইরে গিয়ে চিহ্নিত করেছেন সামগ্রিক সত্যকে।  তাঁর ঝরঝরে গদ্যের যুক্তিতে গ্রন্থালোচনাও হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত রচনা, সেখানে লেখকের অন্তর্জগৎকে একজন নারীর সংগ্রামী যাত্রাপথ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
     

160 200-20%
নিউরনে ফিউশন
নিউরনে ফিউশন
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • প্রজেক্ট অসম্পূর্ণ রেখেই পালিয়ে গেছেন ডাইরেক্টর। কিছু সুপার সাইবর্গ তৈরির পরিকল্পনা ছিল তার। যাদের অপরিসীম মেধা আর অস্বাভাবিক মতাবলে যে কোনো অসাধ্য সাধন সম্ভব হতো এবং প্রতিষ্ঠিত হতো পৃথিবীর ওপর তার কর্তৃত্ব। কিন্তু প্রজেক্ট গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত কয়েকটি শিশু তাদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তায় গোটা পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। কিভাবে? সেই প্রশ্নের জবাব নিয়েই নিউরণে ফিউশন সায়েন্স ফিকশন। 

56 70-20%
নিকি
নিকি
মোশতাক আহমেদ
  • আধো অন্ধকারে রনি দেখতে পেল তার থেকে তিন-চার হাত দূরে মোটা একটা জামগাছের গোড়ায় অদ্ভুত একটা প্রাণী বসে আছে। প্রাণীটা দেখতে অনেকটা মানুষের মতোই। তবে আকারে অনেকটা ছোট, ফুট তিনেক লম্বা হবে। মানুষের মতোই হাত-পা আছে প্রাণীটার। হাত-পাগুলোও ছোট ছোট। চেহারায় কেমন যেন বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব। গলা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ একটা পোশাক পরা থাকায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে চোখ দেখে মনে হচ্ছে প্রাণীটা তাকে দেখেও ভয় পাচ্ছে। কেমন বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। প্রাণীটার ডান হাতে মোবাইল ফোনের মতো ছোট্ট একটা ইলেকট্রনিক যন্ত্র। প্রাণীটা খুব সতর্কতার সাথে যন্ত্রটিকে তার দিকে তাক করে রেখেছে। আর বাঁ হাতটা শূন্যে ঝুলছে। হাতের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে প্রাণীটা। মুখেও রক্তের ছোপ। কিছুক্ষণ আগে যে মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে মুখের জমাট বাঁধা রক্ত যেন তারই প্রমাণ।
    রনি কিছু বলার আগেই প্রাণীটা বলল, আমার নাম নিকি। দুর্ঘটনাবশত আমি হিমিচুন গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে পড়েছি। গিগোরা আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। একমাত্র তুমিই পারবে আমাকে বাঁচাতে। তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? রনি কিছু বলতে পারল না। শুধু উপরে-নিচে সম্মতিসূচক মাথা দোলাল। শেষ পর্যন্ত কি রনি আর তার বন্ধুরা পেরেছিল ভয়ঙ্কর প্রাণী গিগোদের হাত থেকে নিকিকে রক্ষা করতে?

188 250-25%
নিঝুম নিশিরাতে
নিঝুম নিশিরাতে
ইমদাদুল হক মিলন
  • আড়াইশো বছর ধরে বেঁচে আছেন নীলকুঠির মরগান সাহেব।  আসলেই কী বেঁচে আছেন? মানুষ কী এতকাল বেঁচে থাকে? আর বেঁচে না থাকলে কোনও কোনও রাতে নীলকুঠিতে লণ্ঠন হাতে মরগান সাহেবকে চলাফেরা করতে দেখা যায় কেমন করে? এলাকার কোনও কোনও বাড়িতে ঝড়বৃষ্টির রাতে কেমন করে হাজির হন তিনি? মরগান সাহেবের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে যে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয় তাই নিয়ে এই উপন্যাস।

120 150-20%
নিতুর টিয়া
নিতুর টিয়া
মোশতাক আহমেদ
  • লতিফ শিশির আর লেলিনদের স্কুলে চাকরি করে। হঠাৎই তার বাসায় চুরি হয়ে যায়। চোর। একটি আংটি এবং তিন হাজার টাকার প্রাইজবন্ড চুরি করে। আর চুরি করে টিয়া। টিয়াটা পালত লতিফের মেয়ে নিতু। টিয়া হারিয়ে নিতু পাগলপ্রায় হয়ে যায়, বন্ধ করে দেয় খাওয়াদাওয়া, ভেঙে পড়তে থাকে মানসিকভাবে। টিয়াটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল কথা বলতে পারত। নিতুকে সুস্থ করতে হলে খুঁজে পেতে হবে টিয়াটিকে। এই দায়িত্ব দেওয়া হয় শিশিলিনের ওপর। টিয়া উদ্ধার অভিযানে নেমে শিশির-লেলিন বুঝতে পারে কত কষ্ট চুরি হওয়া পাখি উদ্ধার করা। চোরাই পাখি বিক্রির আন্ডারওয়ার্ল্ডের ব্যক্তিরা যেমন চালাক তেমনি ভয়ঙ্কর। খুব সতর্কভাবে এগােতে থাকে শিশির-লেলিন। কিন্তু পদে পদে হতাশ হতে থাকে তারা। চোর খুব চালাক, ধরা দিতে চায় না। অবশেষে চোরের সন্ধান পায় শিশির আর লেলিন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তারা বন্দি হয়ে পড়েছে গােপন এক অজানা। ঘরে। কেউ জানে না তাদের অবস্থান। কালাে। পােশাক পরা চোরের হাতে একটা হাতুড়ি। এগিয়ে আসছে তাদের দিকে। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাদের মাথা আলুভর্তা বানিয়ে ফেলবে। সেক্ষেত্রে বাঁচার আর কোনাে সম্ভাবনা নেই। শেষ পর্যন্ত কি শিশির আর লেলিন মুক্তি পেয়েছিল গােপন ঘর থেকে? উদ্ধার করতে পেরেছিল নিতুর টিয়াকে? আর চোরাই পাখি বিক্রেতাদেরই বা কী পরিণতি হয়েছিল?

160 200-20%
নিয়তিপাড়ে গলে যাওয়া ডিমগুলি
নিয়তিপাড়ে গলে যাওয়া ডিমগুলি
শাখাওয়াৎ নয়ন
  • শাখাওয়াৎ নয়ন নিয়তিপাড়ে গলে যাওয়া ডিমগুলি গ্রন্থে সযতনে বপন করেছেন সমাজ, সংস্কৃতি, দেশ, বিদেশ, রাজনীতি, সাহিত্য থেকে শুরু করে মানুষের হৃদয়।  যাঁরা তাঁর সাথে হাঁটবেন, তাঁরা সেই ইতিহাসের সাক্ষী হবেন, যে ইতিহাস সবকিছু ছাপিয়ে কেবলই মানুষের, চিরন্তন মানবিক বোধের।  নিজেকে, নিজের সময়কে এবং নিজের আশপাশকে দেখার এক আশ্চর্য আয়নামহলে আপনাকে স্বাগতম

128 160-20%
নির্গুণের মুখপঞ্জি ও কাশবনের গল্প
নির্গুণের মুখপঞ্জি ও কাশবনের গল্প
নির্মলেন্দু গুণ
  • নির্মলেন্দু গুণ কবি হিসেবে যেমন সাহসী, প্রযুক্তি-ব্যবহারেও তাই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমরা আর স্রষ্ঠা বা দ্রষ্টা নই বহুকাল।  বরং জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয় প্রযুক্তিশ্রমিক ও আমদানিকারকের।  যদিও প্রযুক্তির সৃষ্টিশীল ব্যবহারের অনেক কৃতিত্ব আমরা দাবি করতেই পারি।  আর তথ্যপ্রযুক্তিতে এই কৃতিত্ব আমাদের লেখক-কবিদের মধ্যে সর্বাগ্রেই দিতে হবে কবি নির্মলেন্দু গুণকে।  কম্পিউটার-ইন্টারনেট-মোবাইল ফোনও যে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হতে পারে তার নিত্য নিত্য প্রমাণ রেখে চলেছেন তিনি।  আজকের এই সচেতনতার যুগে যখন কাগজ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব পরিবেশবাদীরা, তখনও বড় প্রেরণা হতে পারেন নির্মলেন্দু গুণ।  তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর নানামাত্রিক রচনা সাহিত্যের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন মাধ্যমকে উৎসাহিত করে চলেছে উত্তরপ্রজন্মের মধ্যে।  মোবাইল ফোনে লেখা মুঠোফোনের কাব্য (আমরা জানি জনপ্রিয় ‘মুঠোফোন’ শব্দবন্ধটিরও স্রষ্টা তিনি), ইন্টারনেটের ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারের সুযোগে রেখা অন্তর্জাল আর ফেসবুকের কল্যাণে লেখা মুখপঞ্জি (উভয় শব্দই তাঁর সৃষ্টি) আমাদের সাহিত্যে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।  এসবের ভেতর দিয়ে নির্মলেন্দু গুণ হয়ে উঠেছেন একুশ শতকের তথ্যপ্রযুক্তিরও কবি।

152 190-20%
নির্বাচিত প্রবন্ধ
নির্বাচিত প্রবন্ধ
রতনতনু ঘোষ
  • রতনতনু ঘোষের চিন্তা আধুনিকতার ভারবাহী।  তাই তাঁর ভাবনা বর্তমান মোবাইল কালচার থেকে রাজনীতি ও দেশমাতৃকা অবধি।  প্রয়োজনীয় তথ্যনির্ভর হয়েই তিনি নিজ চিন্তায় বাস্তবতার সঙ্গে ভাব-সম্পদের সংযুক্তি ঘটিয়েছেন।  ফলে বিশ্বব্যাপী যে সামাজিক পরিসর গড়ে উঠেছে তা ধরা পড়েছে তাঁর লেখনীর পুরোভাগে।
    ফেসবুক সংস্কৃতি কিংবা ডিজিটাল লাইব্রেরি সাহিত্যের উত্তরাধুনিকতার মনোপ্রবণতাও একই রঙপরিসরে অঙ্কিত হয়।  কোনো বিষয়কেই খাটো করে দেখেননি প্রাবন্ধিক।  কোনো বিষয়কেই জড়প্রক্রিয়ায় করেননি খণ্ডিত।
    দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবনাগুলো আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়ে।  তিনি আপামর জনগণের স্বপ্নের সঙ্গে মিশিয়ে দেন দেশমাতৃকার রঙ। ফলে লেখাগুলো হয়ে ওঠে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র কুঠার।  যে কুঠার অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা ভেঙে গড়তে চায় উৎকর্ষময় নতুন সমাজ।

225 300-25%
নির্বাচিত প্রবন্ধ
নির্বাচিত প্রবন্ধ
মজিদ মাহমুদ
  • মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বিষয়ের গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা, প্রশ্ন উত্থাপন এবং যুৎসই ব্যাখ্যা হাজির করার দক্ষতা মজিদ মাহমুদের প্রবন্ধের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। চিন্তাশীল প্রবন্ধ সাহিত্যের সংকটকালে তাঁর গভীর অনুধ্যান ও অব্যাহত অনুসন্ধান ইতোমধ্যেই তাঁকে করে তুলেছে প্রাতিম্বিক। তাঁর প্রবন্ধ কেবল তথ্য উপাত্তের সংগ্রহ হয়ে না থেকে সাহিত্যের ভেতর দিয়ে জীবনের যে কৌতূহলী প্রকাশ- তাকেই ধরতে চেষ্টা করেছে। গত দুই দশকে প্রকাশিত তাঁর সাতটি প্রবন্ধ গ্রন্থ থেকে বাছাই করে বর্তমানে তার নির্বাচিত প্রবন্ধ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো। আমাদের বিশ্বাস তাঁর রচনা পাঠকের আগ্রহ কিছুটা উসকে দিতে পারবে।

300 400-25%
Home
Categories
Cart
Account