গ্রামে গ্রামে আমি, নগরে নিবন্ধনহীন
জীবন নানাভাবে জড়িত এবং বিতাড়িত। সে জীবনে ক্লেদ আছে, গলদ আছে, ক্ষোভ আছে, ক্রোধ আছে, কাম আছে, কৌমার্য আছে, ক্লান্তি আছে, আছে উপশমও। যেমন অনেক দৃশ্য আমি মেনে নিতে পারি না, আবার অনেক দৃশ্য আমাকে মেনে নিতে পারে না। এইসব দৃশ্য ও অদৃশ্য একটার পর একটার ব্যাখ্যা দিলে তা যেমন বহুবার ব্যাখ্যা চাইবে আবার ব্যাখ্যাতীত হতে চাইবে। আমি এই জীবনের সঙ্গে আছি, থাকতে চেয়েছি। কিচ্ছু হওয়ার আকাক্সক্ষা নিয়ে নয়, হয়তোবা এ নগরে পা রেখেছিলাম অপরিচিতার সঙ্গে পরিচিত হতে।
এই গ্রন্থের ভূমিকা লেখক নিজেই লিখলেন। কাউকে খুঁজে না পাওয়ার জন্য নয়। ভূমিকায় তো এত কথা বলা যায় না। বিভিন্ন সময়ে আমার এই লেখা লক্ষে ও উপলক্ষে কখনো ভিন্ন কখনো অভিন্ন উপলব্ধি- গদ্যের জবানীতে পদ্যের ভাষা/ তোমাকে দিলাম লিখে অমেয় পিপাসা। তবুও কাটছে দুর্লভ দিন/গ্রামে গ্রামে আমি, নগরে নিবন্ধনহীন। ঢেউয়ে ঢেউয়ে সমুদ্রের শ্বাসপ্রশ্বাস/নগর আমাকে বসায়ে লেখে গ্রামের আশ্বাস। শেষপর্যন্ত, একটি ফড়িঙের আত্মজীবনী লিখতে এসে লিখি চুরমার/যে লিখেছে সেও আছে যে লেখেনি তারও ওই এক উত্তর।
আলফ্রেড খোকন
দুর্লভার দিন, ১২ জানুয়ারি ২০১৮, ঢাকা।