(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

ঘুমতৃষ্ণা (হার্ডকভার)
ঘুমতৃষ্ণা (হার্ডকভার)
ফয়জুল ইসলাম
  • আমরা যাকে মুগ্ধতা বলি তার বিপরীতে থাকে প্রত্যাখ্যান। প্রেমের অপর প্রান্তে অপ্রেম। সততার অন্য দিকে প্রতারণা।
    মিলনের বিপরীতে বিচ্ছেদ। নারী-পুরুষের সামাজিক সম্পর্কের এসব জটিল রসায়ন আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে চলেছে।
    এই গল্পগ্রন্থে রয়েছে যোগাযোগের এমন বিচিত্র মনস্তত্ত্ব উন্মোচনের টুকরো টুকরো কাহিনি

200 250-20%
ঘোর অথবা অনন্ত তৃষার গল্প
ঘোর অথবা অনন্ত তৃষার গল্প
মাহবুব আজীজ
  • ‘ঘোর অথবা অনন্ত তৃষার গল্প’ গ্রন্থে অবিরাম বয়ে চলে মানুষ-তার নানাবিধ আচরণ-ঈর্ষা ও প্রেম, বেঁচে থাকার বহুবিধ অনুষঙ্গ, আকস্মিকতা, শ্রেণিচেতনা কিংবা নিশ্চেতনাসমেত উপস্থিত হয়; সামন্তীয় সমাজ কাঠামোর নির্মম অভিঘাতে বিপর্যস্ত মানুষের নির্লিপ্ততা গল্পের বিষয় হয়ে আসে।  জন্ম ও মৃত্যু-এই দুইয়ের মধ্যে আলোর কণার মতো আমাদের ক্ষুদ্র মানুষজীবন-একটিবারের জন্যে পাওয়া এই জীবন-দেশ, সমাজ, পরিপার্শ্ব ও বাস্তবতার কাছে সমর্পিত; এরমধ্যেই ব্যক্তি আবর্তিত হয় নিজের পরিমণ্ডলের সুখ-দুঃখ, পাওয়া, না-পাওয়ার আর্তিতে-সবকিছুর পর, ব্যক্তির জীবন নিজেরই কাছে আর সবকিছুর চেয়ে প্রিয় ও আরাধ্য।  যদিও বাস্তবতার নিক্তি ব্যক্তিকে একের পর এক নতুনতর প্রেক্ষাপটে নিক্ষেপ করে।  ব্যক্তি নিজেকে আবিষ্কার করে এক ঘোর থেকে আরেক ঘোরে।  প্রবল সেই ঘোরগ্রস্ত মানুষেরা বেঁচে থাকতে চায়, ভালোবাসতে চায়; সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে সর্বস্ব পণ করতে চায়, সুখের অন্তহীন স্বপ্ন দেখতে চায়।  মরীচিকাসম সুখ প্রকৃতপক্ষে আপেক্ষিক এক বস্তু বটে। তাই অনন্ত তৃষাই হয় অনিবার্য সত্য-সকল দীনতা, ক্ষুদ্রতা, হিংস্রতার পরও জীবনের অফুরন্ত বিস্ময়ের সামনে মানুষ নতজানু হয়। 
    এসবই মাহবুব আজীজের গল্পের বিষয়-কোথাও সরাসরি, কোথাও অপ্রত্যক্ষ; এই লেখক সামান্য আড়ালে থেকে সত্যের সারাৎসার তুলে আনেন; অধিকাংশ সময় মৃদু অথচ সুতীক্ষ্ণ  ও মর্মভেদী তার উচ্চারণ।  ভাস্কর্যপ্রতিম আশ্চর্য গদ্যে মাহবুব আজীজ সমকালীন জীবন বাস্তবতার অভিনব আখ্যানের ডালা মেলে ধরেন।  তার গল্পে বিচিত্র মানুষ ভিড় করে।  যারা নানা টানাপড়েনের মধ্যেও জীবনকে দু’হাতে আঁকড়ে ধরে তুমুল বেঁচে থাকতে চায়।  এখানে ভিড় করে অনিশ্চয়তা, আসে সামাজিক দুর্বিপাক, ঘন হয়ে আসে প্রতিকূলতা।  আর এসবের মধ্যে অন্তরপ্রবাহের মতো ছড়িয়ে থাকে মাহবুব আজীজের গল্পের চরিত্রদের বেঁচে থাকবার অনন্ত তৃষা। 
    সম্পর্কের আলোছায়া আর মানুষের বানানো সামন্তীয় সমাজ ও আভিজাত্যবোধের নির্মম মানসিকতার স্পর্শ আছে এই গ্রন্থে।  আছে নদীতীরবর্তী জনপদের প্রান্তিক মানুষের আখ্যান। 
    মাহবুব আজীজ অনিবার্য করে তোলেন জীবন ও জগতের তীব্র সত্যের ইঙ্গিত-সরাসরি নয়, শিল্পের আবরণে তিনি উপস্থাপন করেন পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা, একুশ শতকের প্রথমার্ধে জীবনযাপনের দহন ও আনন্দ; প্রেম ও বেদনা।  গল্পে এই লেখক অনিবার্য করে তোলেন জীবন ও জগতের শাশ্বত সত্য-যা চিরকালীন জীবনতৃষ্ণার দলিল।

160 200-20%
ঘোষবাড়ির শ্মশান
ঘোষবাড়ির শ্মশান
ইকবাল খন্দকার
  • ফজলু ভাই ভ্যানচালক। তবে তিনি ভ্যানে মালামাল তোলেন না, জীবিত মানুষও তোলেন না। তোলেন কেবল মৃত মানুষ। অর্থাৎ লাশ। কিন্তু কেন?
    একদিন একটা লাশ গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফজলু ভাই। তখন গভীর রাত। তিনি যখন ঘোষবাড়ির শ্মশানের কাছে পৌঁছেন, তখন কে যেন লাফিয়ে ওঠে ভ্যানে। আবার কে যেন ভ্যান টেনে ধরে পেছন থেকে। কিন্তু কাউকে দেখা যায় না।
    ঘোষবাড়ির শ্মশানের সঙ্গে ফজলু ভাইয়ের ভ্যানের রয়েছে ভুতুড়ে এক সম্পর্ক। যে কারণে রাতদুপুরে ভ্যানটা একা একাই চলে যেতে চায় সেই শ্মশানে।
    এক রাতে ভ্যানটা পুড়িয়ে দিতে ঘর থেকে বের হন চেয়ারম্যান সাহেব। কিন্তু যাদের ডাকে বের হন, তারা কারা? কেন তাদের গায়ে ধবধবে সাদা আলখাল্লা? 
    তারা কোথায় নিয়ে যায় চেয়ারম্যান সাহেবকে?

160 200-20%
চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
  • বিশ্ব চলচ্চিত্রের যাত্রারম্ভ থেকে শুরু করে উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র হয়ে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের  বিকাশপর্ব প্রসঙ্গে মূল্যবান আলোচনা দিয়ে শুরু হয়েছে এ বই।  বিশ্ব চলচ্চিত্র ঐতিহ্যকে ধারণকারী ভারতীয় উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রের বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে মুম্বাই ও কলকাতায়।  সেসব ঘটনারও তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা আছে গ্রন্থটিতে।  এরপর আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি।
    এ দেশের চলচ্চিত্রের বিকাশপর্বের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।  অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী সব নির্মাণ- নিদর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্মাতা ও  কলাকুশলীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে রচিত হয়েছে এ আকরগ্রন্থটি।  বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র সাপ্তাহিক চিত্রালীর পঞ্চাশ ও ষাট দশকের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা গ্রন্থটির উল্লেখযোগ্য দিক।  দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ-সাময়িকীর অসংখ্য উদ্ধৃতি, বহু দুর্লভ আলোকচিত্র এবং দলিল-প্রমাণ, গ্রন্থটিকে ব্যতিক্রমী মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে।  সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের বিপুলসংখ্যক গুণীজনের সাক্ষাৎকার এ গ্রন্থের মূল্যবান সম্পদ।  দুষ্প্রাপ্য তথ্য ও আলোকচিত্রে  সমৃদ্ধ এ গবেষণাগ্রন্থটি এ দেশের  সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অসামান্য দলিল। তথ্যসূত্র ও বিস্তারিত টীকা গ্রন্থে প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করেছে।  গৌরবময় ষাট দশকের চলচ্চিত্রের বিশদ পর্যালোচনা ছাড়াও স্বল্পদৈর্ঘ্য ও বিকল্পধারার চলচ্চিত্রসহ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের হালনাগাদ পরিস্থিতি পর্যালোচনাও গ্রন্থটির উল্লেখযোগ্য দিক।

225 300-25%
চলচ্চিত্র কথা বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকার
চলচ্চিত্র কথা বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকার
বেলায়াত হোসেন মামুন
  • তারেক মাসুদের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার শুরু গ্রামের মাদ্রাসায়।  কিন্তু শেষাবধি তিনি হয়েছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক চলচ্চিত্র আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব।  তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর সাফল্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
    চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি দেশের চলচ্চিত্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নবিষয়ক কর্মকাণ্ডসহ চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখিতে যেমন সক্রিয় ছিলেন তেমনি সক্রিয় ছিলেন চলচ্চিত্রবিষয়ক ভাবনা বিনিময়ে। ইতিপূর্বে তাঁর চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সংকলন- চলচ্চিত্রযাত্রা।  এরপর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা সকল চিত্রনাট্য ও গানের সংকলন- চলচ্চিত্রলেখা : চিত্রনাট্য ও গান। 
    তারেক মাসুদের সাক্ষাৎকার ও বক্তৃতার প্রথম খন্ড চলচ্চিত্রকথা প্রকাশিত হলো।  তারেক মাসুদের কথা তো তারেক মাসুদেরই চিন্তাসমগ্র।  তাঁর কথার ভেতর দিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ব ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।  বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্র বিষয়ে তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকার, কথামালা ও বক্তৃতার এই নির্বাচিত সংকলনটিও আগের মতোই চলচ্চিত্রকর্মীসহ সকল পাঠকের কৌতূহল মেটাবে।

263 350-25%
চলচ্চিত্র পাঠ
চলচ্চিত্র পাঠ
বেলায়াত হোসেন মামুন
  • চলচ্চিত্র, সিনেমা বা ছবি দেখবার বিষয়, ছাপাখানার বর্ণমালার বিষয় নয়।  যদিও একটি ভালো ছবি দেখার অভিজ্ঞতার মধ্যেই গভীর পাঠ মন্দ্রিত থাকে।  এ-ও সত্য, এই দৃশ্যমান মাধ্যমের মূলে ইতিকথা আছে, আদি থেকে উত্তরোত্তরের একটি ইতিহাস আছে।  চিত্রনাট্য, অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনা, শব্দ, সঙ্গীত-সর্বোপরি চলচ্চিত্র পরিচালনার বিবিধ ব্যাকরণসহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গ পুঞ্জীভূত হয়ে এই গ্রন্থটি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের জন্যে প্রায়-আবশ্যিক পাঠ্য। চলচ্চিত্র সমালোচনা ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ভেতর দিয়ে চলচ্চিত্রের ব্যক্তিক রসাস্বাদনের উপায় এই গ্রন্থে গ্রন্থিত হয়েছে।  চলচ্চিত্রের মহাজনদের রচনা-সমৃদ্ধ চলচ্চিত্রগ্রন্থ চলচ্চিত্রপাঠ পাঠের ভেতর দিয়েই টের পাওয়া যায়-গ্রন্থটি চলচ্চিত্রের আঙিনায় গোলাভরা ধান।

225 300-25%
চলচ্চিত্র বোধিনী
চলচ্চিত্র বোধিনী
বিধান রিবেরু
  • জাতীয় চলচ্চিত্র কি? সাহিত্য ও চলচ্চিত্র কেন নিজ নিজ জায়গায় শক্তিমান? ক্যামেরাকে কলমের মতো ব্যবহারের দিন কি পেরিয়ে গেল? পর্ণোগ্রাফিতে আবার ইশতেহার কেন? 
    উত্তর জানাচ্ছে চলচ্চিত্র বোধিনী।

160 200-20%
চলচ্চিত্রযাত্রা
চলচ্চিত্রযাত্রা
তারেক মাসুদ
  • তারেক মাসুদ বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাশীল চলচ্চিত্রকার। চলচ্চিত্রচর্চা ও চিন্তার আন্দোলনে অগ্রগামী তারেক মাসুদ কেবলমাত্র একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন না। তারেক মাসুদের বহুমুখী চিন্তাশীল তৎপরতার নিদর্শন ও আভাস ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’য় অন্তর্ভুক্ত ৩৮টি প্রবন্ধে আমরা পাই।
    আমরা বিশ্বাস করি ‘চলচ্চিত্রযাত্রা’ বাংলাদেশের ইতিহাস সমাজ, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, চলচ্চিত্র সংস্কৃতিসহ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের আত্মানুসন্ধানে তারেক মাসুদের চিন্তা ও দর্শন উপলব্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
    তারেক মাসুদের চিন্তা ও দর্শন যদি বর্তমান ও আগামীর কোনো তরুণকে উদ্দীপিত করে বা তাদের নতুন উদ্যমে দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য নিবেদিত হতে উৎসাহিত করে তবেই আমাদের সম্মিলিত এই প্রয়াস সার্থক হয়ে উঠবে।

300 400-25%
চলচ্চিত্রের চারিদিক
চলচ্চিত্রের চারিদিক
তারেক আহমেদ
  • চলচ্চিত্রের চারিদিক মূলত চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, স্মৃতিচারণ, সমালোচনা ইত্যাদির সংকলন। মূলত গত দুই দশকে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা, সাময়িকী, অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিংবা কোনো কোনো দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রবিষয়ক লেখালেখিই এখানে সংকলিত হয়েছে।  এই বইয়ে প্রকাশিত লেখাসমূহে লেখক দেশ-বিদেশের নানা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বিশ্লেষণী আলোচনা যেমন করেছেন; তেমনি ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণও রয়েছে এখানে।  পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নীতি-নির্ধারণী নানা বিষয়সংশ্লিষ্ট লেখাও সংযোজিত হয়েছে এই সংকলনে।

225 300-25%
 চলিশের দশকের ঢাকা
চলিশের দশকের ঢাকা
সরদার ফজলুল করিম
  • সরদার ফজলুল করিম সারা জীবন রাজনীতি করেছেন আদর্শের।  নিজের পৃথিবী সাজিয়েছেন দর্শন ও মানবচিন্তায়।  বরিশালের সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই সহজ-সরল মানুষটির ভেতরেই যে রয়েছে রাজনীতি ও দর্শনের বিরল প্রতিভা, তার উন্মেষপর্বটি ছিল চল্লিশের দশকেই।  ঢাকায় এসেছেন ১৯৪০ সালে।  ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে।  কিন্তু প্রকৃত পড়ুয়ার অভ্যাসই তাঁকে টেনে নিয়ে যায় দর্শনে।  ঢাকায় আসা, পড়াশোনা, কমিউনিস্ট হওয়া, জেল খাটা, বাংলা একাডেমির চাকরি, নিজের বৈপ্লবিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চাকরি ত্যাগ, চার দফায় ১১ বছর জেলের কথাসহ নানা প্রসঙ্গ এসেছে বইটিতে।  অন্যদিকে নিজের জীবনকথার আড়ালে ঢাকার সেই উত্তাল সময়টিরও বয়ান তুলে এনেছেন তিনি এই অসামান্য বইটিতে।

160 200-20%
চিত্র-বিচিত্র
চিত্র-বিচিত্র
ফরহাদ খান
  • মেজাজে, আঙ্গিকে ও বিষয়ের দিক থেকে প্রতিটি বই-ই বৈচিত্র্যময়।  ফরহাদ খানের প্রতিটি বইতেই মেধা, শ্রম ও মণীষার দীপ্তির ঝলক দেখতে পাওয়া যায়।  মনন ও রসের সমারোহও কম নয়।  চিত্র ও বিচিত্র গ্রন্থটিতে একাধারে বিচিত্র তথ্য ও বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।  বর্ণনাভঙ্গি সিরিয়াস নয়, লঘু।  এ ধরনের লঘু চালের পরিহাসপ্রিয়তার সঙ্গে সূক্ষ্ম রসবোধের এমন মিলন আজকাল তেমন আর দেখি না।  যাঁরা তথ্যপিপাসু এবং সেই সঙ্গে গদ্যপাঠের বিমল আনন্দলাভে উৎসুক, আমি তাঁদেরকে এই বইটি হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দেব।  ঘুম, হাঁচি-রহস্য, অসুখ বি-সুখ, দেহ-ভাষা, দেহনদীর জোয়ার-ভাটা- এ-সব নিয়েই তো আমাদের নিত্যদিনের ঘর-গেরস্তালি।  আর এ-সবই চিত্র ও বিচিত্র বইটির বিষয়-আশয়।  আরো আছে। বিশ্ব ও বিশ্বসুন্দরী, বিমানের আসন ও বিমানবালা, একচক্ষু মানুষের কথা- এ-সব রচনা জানাশোনার পরিধি আর আয়তন বাড়াতে উস্কানি দেবে- আর সেই সঙ্গে উপরি পাওনা, ফরহাদ খানের রচনাশৈলীর জন্য গদ্যপাঠের আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।  এছাড়া ছাতাকাহিনি, রাসপুটিন, পোষা-মর্যাদা ও কতিপয় স্বাদ-আহ্লাদ-এর স্বাদই আলাদা।
    বেতার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সুদর্শন ফরহাদ খানের হাজারো বিষয় জানার আগ্রহ আর পড়াশোনার এলাকা, সাহিত্যরুচি ও রসবোধ, পরিমিতিবোধ ও কাণ্ডজ্ঞান আমার অত্যন্ত পছন্দ।  তাঁর চিত্র ও বিচিত্র বইটি যিনি পড়বেন- টের পাবেন আমি মোটেও বাড়িয়ে বলিনি।
    -আসাদ চৌধুরী 

188 250-25%
চিরায়ত ছড়া-কবিতা
চিরায়ত ছড়া-কবিতা
নজরুল ইসলাম নঈম
  • আমাদের পৃথিবী গ্রহে মানুষের জন্ম-মৃত্যুর বিরাম নেই।  শত কোটি মানুষ ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর দেশে দেশে।  কিন্তু সময়ের স্রোতে ভেসে যায় মানুষের সংখ্যা।  কেউ তাদের মনে রাখার কথা ভাবে না।  ক’জনই বা তাদের পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামায়।  অথচ মহাকাল সযত্নে বুকে ধরে রাখে কিছু মানুষের স্মৃতি।  তাদের জীবনের উত্থান-পতনের কাহিনি।  কাল থেকে কালান্তরে সময় তাঁদেরই গুণ গাথা শুনিয়ে চলে অনাদিকালের মানুষকে।
    এই স্মরণীয়-বরণীয় মানুষেরা সবকালে সব দেশেই জন্মায়।  তাঁদের সংখ্যা সীমিত, তাঁদেরই কর্মকৃতিত্বের ভিতের উপর গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতার ইমারত। 
    সময়ের সিঁড়ি বেয়ে সভ্যতার অগ্রগতি ঘটেছে কালজয়ী মানুষদেরই অবিস্মরণীয় অবদানের কল্যাণে। 
    আমাদের মতোই সাধারণ কিংবা অতি সাধারণ ঘরে জন্মে এক একটি মানুষ তাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় বলে অর্জন করেছেন দুর্লভ জীবনের মহত্ব।  যে কোনো ব্যক্তির মূল্যায়নের জন্য তাঁর সময়কে উপলব্ধি করা দরকার।  ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তিদের কীর্তি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎকে আলোকিত করে।  কিন্তু তাদের সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যখন তাদের অবদান আমরা বিচার করি তখন চমৎকৃত না হয়ে পারি না।  যে সময়ে বা স্থানে তারা জন্মগ্রহণ করেন, সেই স্থান-কাল সাধারণত তাদের বিকাশের পথকে পুষ্পময় করে না; বরং প্রায় সময় হয়ে ওঠে বৈরী।  এই বৈরী সময়কে অস্বীকার নয়, অতিক্রম করার মানসেই নিবেদিত হয় তাদের কর্মযজ্ঞ। 
    সমাজ মানস গঠন পরিবর্তনের লক্ষে এভাবেই তাঁরা অবদান রাখেন। মৃত্যুর পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নবতর উপলব্ধি নতুন সময় তাদের নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়নে আমাদের সহায়তা করে চিন্তায় ও কীর্তিতে।

225 300-25%
ছড়াসমগ্র
ছড়াসমগ্র
সুজন বড়ুয়া
  • আমাদের শিশুসাহিত্য জগতে শামসুর রাহমানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ, বাংলাদেশের স্বল্পালোকিত শিশুসাহিত্যে যে সামান্য পরিমাণ উজ্জ্বলতা দৃশ্যমান তারও অনেকটা প্রতিভূ তিনিই। ছয়টি ছড়া-কবিতার বই এবং একটি স্মৃতিকথা সমন্বয়ে দীপ্র শামসুর রাহমানের শিশুসাহিত্যের সম্ভার। তাঁর ছড়া-কবিতার বইগুলো হচ্ছে-এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো, গোলাপ ফোটে খুকির হাতে, রংধনুর সাঁকো, লাল ফুলকির ছড়া এবং নয়নার জন্য। ছোটদের জন্য একমাত্র গদ্য গ্রন্থটির নাম স্মৃতির শহর।
    শামসুর রাহমানের ছড়ার বিষয়-বৈচিত্র্য উল্লেখ করার মতো। তাঁর নিজের ভাষায়- “লোকজ ছড়া ভেঙে নিজের মতো করে পাকিস্তানি আমলের হাল-হকিকত এবং তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু ছড়া লিখেছি। কখনো কখনো সাম্প্রতিক ঘটনাও আমার ছড়ায় ঠাঁই করে নেয়। শুধু বাস্তব ঘটনাই নয়, কল্পনার রাজ্যের কথাও অনেক জায়গা জুড়ে আছে।” শামসুর রাহমানের  সমস্ত ছড়া এক জায়গায় করা হলো এবার। আমাদের দেশের এবং দেশের বাইরের বাংলা ভাষাভাষী শিশু-কিশোররা আনন্দিত হবে এই বই পেয়ে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

225 300-25%
ছন্দময় ডায়াবেটিস
ছন্দময় ডায়াবেটিস
ডা. এম. এ হালিম খান
  • মানুষের স্নায়ুকোষে গদ্যের চেয়ে পদ্যের স্থায়িত্বকাল নিঃসন্দেহে বেশি।  সেই ভাবনা থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতো রস-কষবিহীন জটিল অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সহজে মনে রাখার জন্য এক অভিনব আঙ্গিকে বইটি রচিত হয়েছে।  বাংলা সাহিত্যে এ ধরনের বই লেখা সম্ভবত এটিই প্রথম।  ছন্দহীন মানুষ সম্ভবত ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।  আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর একজন মানুষ যদি তাঁর জীবনে ছন্দ ফিরিয়ে না আনতে পারেন তাহলে তাঁর জীবনে নেমে আসে নানাবিধ জটিলতা।  তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের জীবন হতে হবে ‘ছন্দময়’।  লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ছন্দে ছন্দে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত প্রায় সকল বিষয়ের অবতারণা করেছেন অত্যন্ত সহজ, সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায়।  ডায়াবেটিসের মতো ‘সারা জীবনের’ রোগকে জয় করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরকম বই নিঃসন্দেহে ট্যাবলেট বা ইনসুলিনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

160 200-20%
ছন্দে ছন্দে পুষ্টি জ্ঞান
ছন্দে ছন্দে পুষ্টি জ্ঞান
ডা. এম. এ হালিম খান
  • খাদ্য এবং চিকিৎসা মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার।  খাদ্য, পুষ্টি এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য সংবলিত নানাবিধ অত্যাবশ্যকীয় বিষয় নিয়ে লেখক অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ছন্দে ছন্দে চমৎকার শব্দ গাঁথুনিতে সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সাবলীল ভাষায় কবিতাগুলো রচনা করেছেন।  আমার জানামতে খাদ্য, পুষ্টি এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত এরকম তথ্যসমৃদ্ধ এবং অত্যাবশ্যকীয় বই বাংলা সাহিত্যে আর দ্বিতীয়টি নেই।  প্রতিটি কবিতা ও ছড়ায় লেখক যে কী পরিমাণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তা সচেতন পাঠক মাত্রই অনুধাবন করতে পারবেন।  বাংলা সাহিত্যে নতুন সংযোজিত চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত এই বইটি পাঠক হৃদয়ে একটি বিশাল স্থান করে লেখককে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করছি।  এরকম তথ্যসমৃদ্ধ বই নিঃসন্দেহে এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে থাকা উচিত।  আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার পাঠযোগ্য এই বইটির নির্যাস জীবন চলার পথে অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারবে।
    -প্রকাশক

96 120-20%
ছন্দের সহজ পাঠ
ছন্দের সহজ পাঠ
সুজন বড়ুয়া
  • কবিতার সঙ্গে ছন্দের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।  ছন্দই কবিতার বাণীকে সুরের খেয়ায় করে পৌঁছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে।  কিন্তু এই ছন্দ কবিতায় আপনাআপনি জেগে ওঠে না।  কবিকে রীতিমতো সাধনা করে ছন্দ নির্মাণ করতে হয়।  কাব্যরসধর্মী সুষম শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে কবি কবিতায় ছন্দ নির্মাণ করেন।  এই নির্মাণ-কৌশল যেমন গাণিতিক তেমনি আবার বৈজ্ঞানিক।  এই বই সেই ছন্দ-বিজ্ঞানেরই সামগ্রিক পরিচিতি।  অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় বইটি লিখেছেন কবি-প্রাবন্ধিক সুজন বড়ুয়া।  স্বপ্নবান নবীন-তরুণ কবিদের সামনে নিঃসন্দেহে কবিতার সোনালি দুয়ার খুলে দেবে এ বই। 

120 150-20%
ছমছমে পিশাচবাড়ি
ছমছমে পিশাচবাড়ি
ইকবাল খন্দকার
  • গভীররাতে কারো ডাক শুনতে পান কাকা। তিনি বের হয়ে যান ঘর থেকে। কিন্তু কাউকে দেখতে পান না। তাহলে কার ডাক শুনেছেন? কে তাকে নিয়ে এসেছে ঘরের বাইরে? 
    আরেকদিন ফোঁপানোর শব্দ শুনতে পান কাকা। আর শব্দটা আসে খাটের তলা থেকে। তিনি নুয়ে তাকাতেই যা দেখেন, তাতে আর স্থির থাকতে পারেন না। দৌড়ে গিয়ে আছড়ে পড়েন উঠানে। কিন্তু কেন?
    মুয়াজ্জিন সাহেব সন্ধান দেন ভয়ঙ্কর এক পিশাচবাড়ির। যে বাড়ি দখল করে রেখেছে মুখপোড়া পিশাচেরা। কিন্তু পিশাচ কেন মুখপোড়া হবে? কে পুড়েছে? কী এর পেছনের ইতিহাস?
    একরাতে পালবাড়ির শ্মশানে ঢুকে পড়েন মুয়াজ্জিন সাহেব। যে শ্মশান দেড়শ বছরের পুরনো। যে শ্মশান থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে যখন-তখন। হঠাৎ তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে একটি লাশ। তারপর... 

160 200-20%
ছাত্রকাল ট্রিলজি
ছাত্রকাল ট্রিলজি
শাকুর মজিদ
  • বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী শাকুর মজিদ এক অনুকরণীয় চরিত্র। সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েও কেবল নিজ মেধাগুণে দেশসেরা দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে জীবনে আজ সু-প্রতিষ্ঠিত। 
    ১৯৭৮ সালে গ্রাম ছেড়ে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে তাঁর প্রথম বছরটি ছিলো আধাসামরিক এই আবাসিক শিক্ষায়তনে সহপাঠি ও পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হবার সময়। এ নিয়ে লিখেছেন ক্লাস সেভেন ১৯৭৮। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ঘটনাপুঞ্জ এসেছে ক্যাডেটের ডায়েরিতে। 
    ১৯৮৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক শেষে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থাপত্যে পড়াশুনার সময় দেশের বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশেও অর্থ উপার্জনের জন্য টিউশনির পাশাপাশি বেছে নেন সংবাদপত্রে লেখালেখি আর আলোকচিত্রণের পেশা। এই সংগ্রামী জীবনের কথা তিনি লিখেছিলেন তাঁর বুয়েটকাল গ্রন্থে। 
    শাকুর মজিদ আজ দেশের নামকরা স্থপতি, বহু পরস্কারে ভূষিত লেখক, নাট্যকার, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। এটুকু হবার পেছনে তাঁর ছাত্র জীবনের যে ভূমিকা ছিলো তা নিয়ে যে তিনটি গ্রন্থ লিখেছিলেন তারই সংকলন এই ছাত্রকাল ট্রিলজি।
    যেকোন সৎ-সংগ্রামী-স্বপ্নবাজ তরুণ এই ত্রয়ীগ্রন্থ পড়ে জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারেন।

750 1000-25%
ছায়াবৃক্ষ
ছায়াবৃক্ষ
জেসমিন আক্তার
  • সাতটি ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে গল্পগ্রন্থ ছায়াবৃক্ষ।  প্রতিটি গল্পে উঠে এসেছে বাস্তব জীবনের চিত্র।  বৃদ্ধজীবনের ভার বহনে যে কতটা দহন তারই পরিস্ফুটন ঘটেছে তমিজুদ্দীনের চলমান জীবনপ্রবাহে।  বৃদ্ধের ভার কেউ বহন করে না, এমনকি সন্তানও না।
    নারী তার চাচা, মামা, খালু কারো কাছেই নিরাপদ নয়।  সুযোগ পেলেই হায়নার চোখের দৃষ্টি লেহন করে নারীর মুখ, ঠোঁট, বুক।  অজান্তেই দুষ্টের হাত চলে যায় স্পর্শকাতর জায়গায়।  গৌরীসেন তার ডায়েরিতে সতর্ক করেছেন আগামী প্রজন্মের নারীকে।  গল্পগুলোতে উঠে এসেছে নারীর মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর কাহিনি।
    গোপীবাগে ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়ির ছাদের উপরে সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে কার যেন শাড়ির আঁচল ওড়ে, প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় অশরীরী আত্মার করুণ ক্রন্দন কিংবা অট্টহাসি।  প্রেতাত্মার সেই রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
    নয়নে টলমল জল নিয়ে এগিয়ে যায় অনুু, আগামীতে আশা-ভরসার দিনগুজরান করবে বলে।  হেরে যেতে শেখেনি সে।  তাই শত বাধা উপেক্ষা করে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যায়।  পাঠকের হৃদয় ছুঁতে পারবে প্রতিটি গল্প এই প্রত্যাশা। 

160 200-20%
 ছােটন
ছােটন
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • ছােটনের বাবা চান না তার সন্তান প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত হয়ে বেড়ে উঠুক। তার সন্তান হবে একজন স্বাভাবিক মানুষ...তাই শুরু হলাে এক্সপেরিমেন্ট...

160 200-20%
ছেলেবেলাপুর
ছেলেবেলাপুর
ধ্রুব এষ
  • সব কৃষ্ণচূড়া বলছে- আমাকে দেখ! মিষ্টি রোদ বলছে- আমাকে দেখ! ওমা নীল আকাশ, ফিঙে পাখি, প্রজাপতিরাও বলছে- আমাকে দেখ! ইউরেকা, এটাই তাহলে ছেলেবেলাপুর!
    ছেলেবেলাপুর!
    সত্যি এটা একটা রেলস্টেশন। সামনে টিকিটঘর, রেললাইন ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ছোট পা, লাজুক হাঁটাহাঁটি, মনের উদ্দাম উড়াল। এটাই সেই স্টেশন, আমরা যা খোঁজছিলাম। ওমা, সামনে ওরা কারা! আগেই এসে বসে আছে ল্যাংড়া সুধাংশু, হিরন্ময়, ক্যারাম সারোয়ার, পলাশ, শিমুল, রিভা আপা আরো অনেকে। ভালোই হলো, গল্পটা এবার জমবে। আর জমবেই না কেন! রেলস্টেশন হলো গল্পের কারখানা। এখানে শুধু গল্প তৈরি হয় আর গল্প তৈরি হয়।

80 100-20%
ছোটগল্প লেখকের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিবেচনা
ছোটগল্প লেখকের প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিবেচনা
হামীম কামরুল হক
  • যারা ছোটগল্প পড়তে চান, বা পড়েন; ছোটগল্প লিখতে চান, বা লেখেন- তাদের জন্যই এ বই।
    তীব্র-তীক্ষ্ণ বোধের উদ্ভাস নিয়ে বাংলা সাহিত্যে লেখা হয়েছে অবিস্মরণীয় সব ছোটগল্প।  এখনও হচ্ছে।  বর্তমানে বিপুল পরিমাণ ‘অগল্পে’র আড়ালে পড়ে থাকছে প্রকৃত ছোটগল্প ও ছোটগল্পকারেরা।  পাঠকেরা একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছেন প্রকৃত ছোটগল্পের কাছ থেকে।  লেখকেরা বিভ্রান্ত ছোটগল্পের স্বরূপ ও ভূমিকা নিয়ে।  নানান মতবাদের নামে গল্প থেকে এর আসল রস বাদ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ছোটগল্প। সেখানে না আছে গল্প, না আছে গদ্যের স্বাদ। 
    আদতে প্রকৃত ছোটগল্পের বিষয় নিয়ে ছোটগল্প ছাড়া অন্য কোনো কিছু লেখা যায় না।  তাহলে কেন চলছে ছোটগল্পের নামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এক বিশেষ মচ্ছব? বছরে হাজার হাজার ছোটগল্প ছোট-বড় নানান কাগজে প্রকাশিত হলেও সে তুলনায় ছোটগল্পের বইয়ের কদর কমেছে।  বিক্রি হচ্ছে না ছোটগল্পের বই।  কেবল ছোটগল্পে নিবিষ্ট থাকতে পারছেন না এর লেখক। এটি তাকে সেই রকম পরিচয় দিচ্ছে না, যা আগে অনেককে দিয়েছিল।  অনেকেই ছোটগল্প লেখেন উপন্যাস লেখার প্রস্তুতি হিসেবে, যার আসলে তেমন কোনো মানে নেই।  উপন্যাস লেখার জন্য সরাসরি উপন্যাসই লিখতে শুরু করা দরকার।  ছোটগল্প পড়ার জন্য ও লেখার জন্যও চাই বিশেষ মন ও মনোযোগ।  কেন তা তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হলেও ধরে রাখা যাচ্ছে না?- এমন নানান প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে। 

120 150-20%
 ছোটদের কবিতাসংগ্রহ
ছোটদের কবিতাসংগ্রহ
আহমাদ মাযহার
  • সদ্য শৈশব পার হওয়া বয়সে ছোটদের জন্য আহমাদ মাযহারের কবিতা লেখা শুরু।  প্রথম বই ঘুমের বাড়ি।  শিশুমনের ছোট ছোট সুখদুঃখ আর কল্পনা নিয়ে লিখেছেন তিনি।  রঙের ছড়াছড়ি আর কল্পনার পাখা নিয়ে তাঁর প্রজাপতি উড়ে যায়! 
    বড়বেলায় পৌঁছে গিয়েও ছোটদের মনের ভুবনে ডুব দিয়েছেন।  খুঁজতে গিয়েছেন নিজের অতীতকে।  ছোটদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন সেই অতীতের সুন্দরটুকুুকে।  ভবিষ্যতের শিশুর কাছে রূপের ঝিকিমিকি মাখা আনন্দের পৃথিবীকে রেখে যাবার ইচ্ছে দিয়ে তাঁর কবিতাগুলো রাঙানো! 
    সব মিলিয়ে তাঁর লেখা তিনটি বইয়ের সবগুলো কবিতা একত্রে সংগ্রহ করা হলো!

120 150-20%
ছোটদের গ্যালিলিও
ছোটদের গ্যালিলিও
মোরশেদ শফিউল হাসান
  • গ্যালিলিও বিশ্বের সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী।  বিজ্ঞানের অনেকগুলো বড় বড় আবিষ্কার তাঁর হাত দিয়ে কিংবা তাঁর অনুসন্ধানের সূত্র ধরে ঘটেছে।  তাঁর কয়েকটি আবিষ্কার মানুষের পুরনো চিন্তার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে।  এজন্য সমকালে তাঁকে গির্জা ও পুরোহিতদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হতে হয়।  কিন্তু তাতেও তাঁর জ্ঞানের সাধনা থেমে থাকে নি।  অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সত্যানুসন্ধানের সংগ্রামে গ্যালিলিওর জীবন আজ সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতিধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে আসছে।  ভবিষ্যতেও করবে।
    মূলত কিশোরদের জন্য অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা হলেও, গ্যালিলিওর এই ছোট জীবনী-পুস্তকটি সব বয়সী সাধারণ পাঠকদেরই মহান এই বিজ্ঞানীর আবিষ্কার ও জীবন-সাধনার তাৎপর্য বুঝতে মোটামুটি সাহায্য করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।  বিজ্ঞানের তথ্যকে এ বইয়ে যথাযথভাবে ও প্রয়োজনীয় যুক্তি-ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরা হয়েছে। 

48 60-20%
ছোটদের পাঁচ
ছোটদের পাঁচ
ফরিদুর রেজা সাগর
  • ফরিদুর রেজা সাগর দীর্ঘকাল ধরে ছোটদের জন্য বিচিত্র ধরনের রচনা লিখছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে গল্প-উপন্যাস-নাটক তেমনি রয়েছে আনন্দদায়ক ভ্রমণ-সাহিত্য ও বিচিত্র বিষয়ের নিবন্ধ।
    তাঁর গল্প-উপন্যাসে থাকে মুক্তিযুদ্ধ আর অ্যাডভেঞ্চার, মজা আর উদ্ভাবনী আনন্দ।
    ঘনাদা-টেনিদা-ফেলুদা কিংবা ফেলুমামা-লবুমামা-কামাল ভাইয়ের উত্তরসূরি ফরিদুর রেজা সাগর সৃষ্ট ছোটকাকু ও সাহেব বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের নতুন দুই চরিত্র যারা প্রধান বৈশিষ্ট্যে দেশপ্রেমিক। ছোটদের পাঁচ বইয়ের পাঁচটি পর্বে তাঁর এই বৈচিত্র্যকেই ধরে রাখার চেষ্টা আছে।

300 400-25%
জঙ্গলে জলছাপ
জঙ্গলে জলছাপ
পলাশ মাহবুব
  • রিয়াদ, কাবুল, দোহা।  তিন বন্ধু।  ক্লাস এইটে পড়ে।
    স্কুলে এই তিনজন রাজধানী এক্সপ্রেস নামে পরিচিত। কারণ তাদের তিনজনেরই তিনটি দেশের রাজধানীর নামে নাম। 
    রাজধানী এক্সপ্রেসের এই তিনজনের সাথে ওদের ক্লাস ক্যাপ্টেন মনজুরের বেশ মনকষা সম্পর্ক।  সম্প্রতি তাতে আরও কষ যুক্ত হয়েছে।  রিয়াদ, কাবুল আর দোহা তাই ঠিক করেছে মনজুরকে একটু টাইট দিতে হবে।  ওরা আছে উপায়ের সন্ধানে। 
    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম সুলতান উদ্দিন।  স্কুলে তিনি স্বরবর্ণ স্যার নামে পরিচিত।  কারণ তার সব কথা শুরু হয় আ... দিয়ে। 
    হেডস্যারের ছায়াসঙ্গী কামাল স্যার। সারাক্ষণ হেডস্যারের পেছন পেছন থাকেন আর তার মন বুঝে চলেন।  স্কুলে কথিত আছে তিনি হেডস্যারের মন হেডস্যারের চাইতেও ভালো বোঝেন।  যে কারণে হেডস্যার তাকে পছন্দ করেন।  আর আছেন মোসলেম স্যার।  যিনি স্কুলে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনে তৎপর।  মোসলেম স্যার মনে করেন শিক্ষার সবকিছুই হতে হবে বৈজ্ঞানিক এমনকি শাস্তি প্রক্রিয়াও।
    শীতের শুরুতে স্কুল থেকে পিকনিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।  ঘন অরণ্যে ঘেরা এক সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হয় স্কুলবাস।  কাঙ্খিত সুযোগ পেয়ে যায় রিয়াদরা।  মনজুরকে ভয় দেখানোর জন্য ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাকে নিয়ে ঢুকে পড়ে গহিন জঙ্গলে।
    কিন্তু ফল হয় উল্টো।  মনজুরকে ভয় দেখাতে গিয়ে ভয়ের মধ্যে পড়ে যায় ওরা সবাই।  জঙ্গলে হারিয়ে ফেলে পথ।  ওদিকে জঙ্গল ভরা নানা বিপদ-আপদ।  আছে হিংস্র জীব-জন্তু, ছেলেধরা, এমনকি ভুল করে সীমান্তের বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়ার ভয়।
    কি হবে উপায়? 
    তাদের উদ্ধারে শুরু হয় নানান তৎপরতা।  জঙ্গলের মধ্যে ঘটতে থাকে মজার সব কাণ্ড।

120 150-20%
জনকের প্রতিবাদী জীবন
জনকের প্রতিবাদী জীবন
মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক
  • ইংরেজ বণিক ও স্থানীয় বেইমানদের হীন ষড়যন্ত্রে স্বাধীনতা হারানোর পর এ বাংলা ১৯০ বছর ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ।  এ সময় সীমাহীন  শোষণে  নিষ্পেষিত হয়ে বাংলা হারিয়েছিল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য’র চিরায়ত ঐতিহ্য।  ব্রিটিশ বিতাড়নের পরও বাঙালিরা ফিরে পায়নি হৃত অধিকার।  অধিকন্তু নতুন আঙ্গিকে শাসকরা অবতীর্ণ হয়েছিল পুরোনো শোষকের ভূমিকায়।  ফলত,  সার্বিক জীবনমান হয়েছিল আরও অধঃপতিত।  বাঙালিরা হয়েছিল আশাহত।  অতঃপর যে পাকিস্তানের জন্য একদিন জীবনপাত করেছিল, সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই তাঁরা রুখে দাঁড়ায়।  ভাষা-সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে হয় সোচ্চার।  স্বাধীনতার জন্য হয় উদগ্রীব।  সে স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতিকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়েছে।  এজন্য প্রয়োজন হয়েছে নির্ভীক নেতৃত্ব।  সে নেতৃত্বে আসীন ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর চক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সততা, সাহসিকতা ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে তিনি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন পশ্চিমাদের শোষণের নানামাত্রিক রূপ এবং সে নিরিখে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য করেছেন উজ্জীবিত-অনুপ্রাণিত, পরিশেষে জানিয়েছেন স্বাধীনতার আহ্বান।  এভাবেই তাঁর উপর আস্থা অর্পণ করে বাঙালি জাতি দীর্ঘ সংগ্রামের অভিযাত্রা শেষে স্বাধীনতার নিমিত্তে হাতে তুলেছে হাতিয়ার। 
    এ জন্য জাতির জনককে পদে পদে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।  জীবনের ৪০ শতাংশ (১১৬৮০ দিন) কাটাতে হয়েছে কারাগারে।  তবুও তাঁকে অধিকারহারা গণমানুষের মুক্তির অভীষ্ট থেকে বিচ্যুত করা যায়নি।  তাঁর এই সংগ্রামমুখর জীবনের নানারৈখিক অনুষঙ্গকে উপজীব্য করেই লেখা হয়েছে এ গ্রন্থটি। জাতির জনক কতটা একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সংগ্রামী ব্রত নিয়ে এ জাতিকে দিয়েছেন একটি স্বাধীন দেশ, এ গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে নবপ্রজন্মের সন্তানেরা কিছুটা হলেও সে সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে বলে মনে করি।  সে প্রত্যাশাতেই এ প্রয়াস।  আশা করি গ্রন্থটি সে প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।

600 800-25%
জনকের মুখ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটগল্প
জনকের মুখ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটগল্প
আখতার হুসেন
  • ‘...আজকের দিন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলেও আছে কাল, একশো গান্ধী যদি মিথ্যে হয় তবুও থাকে সত্য’-গান্ধী সম্পর্কে কবি অমিয় চক্রবর্তীর উপরিউক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাসিক্ত মনোভাব লক্ষ্য করে তাঁর জার্নাল শীর্ষক দিনলিপিতে কবি শঙ্খ ঘোষের এই বাক্যবন্ধ।  আমার কখনো কখনো ইচ্ছে হয় ওপরের ওই বাক্যবন্ধকে একটু পরিবর্তন করে এইভাবে লিখি, ‘...আজকের দিন যদি ব্যর্থ হয় তাহলেও আছে কাল, একশো মুজিব যদি মিথ্যে হয় তবুও থাকে সত্য।’ এই সত্য, ব্যক্তিগত মতে, আর কিছু নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাক্সক্ষা এবং স্বপ্ন। এবং তাঁর সেই স্বপ্ন আর আকাক্সক্ষা অম্লান।  এই অম্লানতাই, অতিক্রান্ত প্রতিটি দিন তিলে তিলে স্মরণ করাবে তাঁকে এবং আমাদের সাহিত্যেরও অনিবার্য ও অপরিমেয় অনুষঙ্গ-আধার হবেন তিনি।  এই ছোটগল্পের সংকলন তারই প্রাথমিক পরিণতি ও প্রতিনিধি।

600 800-25%
জনান্তিকের মুক্তিযুদ্ধ
জনান্তিকের মুক্তিযুদ্ধ
ভীষ্মদেব চৌধুরী
  • যুদ্ধ একাকীজনকে জনসমুদ্রে একত্রীভূত করে আবার জনস্রোতে ভেসে চলা জীবনও যুদ্ধের বাস্তবতায় হয়ে উঠতে পারে নিরবলম্ব। লড়াই যেন আধুনিক ব্যক্তি-আত্মার এক অমোঘ নিয়তি। প্রাবন্ধিক-সমালোচক ভীষ্মদেব চৌধুরী এই সংগ্রামী ব্যক্তিমনকেই ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষণবিন্দু থেকে দেখতে চেয়েছেন জনান্তিকের মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থে। 
    একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা দেশভাগ, রবীন্দ্রনাথ থেকে  শুরু করে রবীন্দ্র-উত্তর সাহিত্যচর্চা, বাঙালি নারীর মুক্তিসাধনা ও নারীর ব্যক্তিচৈতন্যের মনোময় দর্শন, রাজনীতি—সেই সূত্রে নজরুল; এ রকম বিচিত্র স্বাদের প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে। এতে জীবনের নানা-প্রান্তিক নিরীক্ষণের শৈল্পিক কোলাজ তৈরিতে আগ্রহী হয়েছেন ভীষ্মদেব। আবার এই হরেক স্বাদের কোলাজকে লেখক নিজের গভীরতা-সঞ্চারী মননে বেঁধে রাখেন যুদ্ধ-প্রতিমার নান্দনিক বাঁধনে। পাঠকদের বুঝিয়ে দেন, প্রত্যক্ষ লড়াইয়ের বাইরেও অবিরত যুদ্ধ চলে; রবীন্দ্র-গল্পের চরিত্রদল, নটবর, অপু, নিতাই-বসন্ত কিংবা একান্ত বাস্তবের বাঙালি নারী হরিপ্রভাÑসকলেই যেন ওই লড়াইয়ের সৈনিক। প্রশ্ন জাগে; তবে কি এই যুদ্ধের  উত্তাপ গ্রন্থকারকেও ছুঁয়ে থাকে? তাঁকেও শামিল করে জনতার কিংবা জনান্তিকের যুদ্ধে? গ্রন্থে ছড়িয়ে থাকা এ রকম নানাবিধ নান্দনিক জিজ্ঞাসা, গ্রন্থকারের  বিশ্লেষণধর্মী ভাষাভঙ্গি আর গহিন চিন্তাশৃঙ্খল সাহিত্যপ্রেমী পাঠক ও সাহিত্য-গবেষকের মনে নতুনতর ভাবনা  জাগিয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে।     

225 300-25%
জন্মভিটে
জন্মভিটে
ম্যারিনা নাসরীন
  • খিলক্ষেত ওভারব্রিজের নিচে সমরের সাথে লোকটির প্রথম দেখা হয়েছিল।  অবিকল সমরের মতো দেখতে।  লোকটি সমরের বাবা ধীরাজ।  তারা অন্ধকার রাতে পাশাপাশি হাঁটে।  এই শহরে আঁধারে হাঁটা লোকের সংখ্যা বাড়ছে।  তারা কেউ কাউকে চেনে না।  কেউ কারো সাথে কথাও বলে না।  ট্রেন লাইনের পাশে নিঃশব্দে বসে থাকে আর অপেক্ষা করে, আরো কাছের কেউ আসছে- ‘একটি আপাত সমাপ্ত গল্প’ শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার।
    প্রতিটি মানুষের মায়ের গর্ভই তার জন্মভিটে।  জন্মের পর মা সন্তানের নাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সত্য কিন্তু এই ভিটের গভীরে গ্রথিত থেকে যায় এক অদৃশ্য শেকড়।  যে শেকড় কখনো বিচ্ছিন্ন হবার নয়।  অথচ নিয়তি কত কত সন্তানকে এই জন্মভিটে থেকে উন্মূল করে, উচ্ছেদ ঘটায়- ‘জন্মভিটে’ গল্পটি সেই শেকড়ের।   
    সাপে কাটার কিছুক্ষণ পর সফেদ আলী নিজেকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখল।  নিজের লাশকে এভাবে ফেলে যাবার ইচ্ছা হলো না তার।  সে অদূরে তেঁতুলগাছের নিচে অপেক্ষা করতে থাকে।  ঘুটঘুটে অন্ধকারেও সফেদ আলী স্পষ্ট দেখতে পায় হাজার হাজার পোকামাকড় সারি ধরে তার নাক কানের গহ্বরের দিকে ছুটে যাচ্ছে।  তার খুব মায়া হয়, আহা! কি মায়ার শরীর ছিল তার! ‘সফেদ আলীর মৃত্যু সংক্রান্ত জটিলতা’ গল্পটি সফেদের মৃত্যুবিষয়ক। 
    ‘এরও দীর্ঘক্ষণ পর মা যখন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে আমার ভেতরে জমে থাকা বরফের পাহাড়টি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল।  সেটি নদী হয়ে তীব্র স্রোত নিয়ে দুচোখ বয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।  ইচ্ছে হচ্ছে মাকে জড়িয়ে ধরে বলি ‘প্লিজ যেও না মা।  কিন্তু আমি স্রোতের মুখে বাঁধ তুলে দিলাম।  মাকে আটকাবো সে সাহস কোথায় আমার?’- ‘বরফের পাহাড়’ একজন সুন্দর মা আর অসুন্দর মেয়ের গল্প।
    জন্মভিটে গল্পগ্রন্থে দশটি গল্প এমনই।  বাস্তব বা পরাবাস্তবের।  সাধারণ অথবা অসাধারণের।  তবে সব গল্প চেনা নয়।

160 200-20%
জমিদারের গুপ্তধন
জমিদারের গুপ্তধন
মোশতাক আহমেদ
  • জমিদার শংকর রায়ের গুপ্তধন উদ্ধার করতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ল শিশির আর লেলিন।  প্রথমে হুমকি ধমকি দেয়া হলেও পড়ে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দেয়া হলো তাদের জন্য।  স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হলো তারা যদি চলে না যায় তাহলে তাদের হত্যা করা হবে।  কিন্তু পিছু হটার পাত্র নয় শিশিলিনের ক্ষুদে দুই সদস্য শিশির আর লেলিন।  দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে জমিদার শংকর রায়ের গুপ্তধন উদ্ধারে মনোনিবেশ করে তারা।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠে না।  মাটির নিচে গুপ্তঘরেই ভয়ংকর খুনি ইমরুল মেম্বার আর তার দলের লোকজনের হাতে বন্দি হয়ে পড়ে তারা।  হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাদের ফেলে রাখা হয় গুপ্তঘরে।  তাদের সঙ্গী বকুলেরও একই অবস্থা।  সাহায্য করার মতো কেউ নেই।  কারণ পৃথিবীর কেউ জানে না যে তারা জমিদারবাড়িতে গুপ্তঘরে বন্দি।  এদিকে গুপ্তঘরের অক্সিজেনও শেষ হয়ে আসছে।  নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।  আর কিছুক্ষণ থাকলে নিশ্চিত মারা যাবে সবাই। 
    শেষ পর্যন্ত কী শিশির লেলিন আর তাদের সঙ্গী বকুল বাঁচতে পেরেছিল? আর কি হয়েছিল জমিদার শংকর রায়ের গুপ্তধনের?

160 200-20%
জয় বাংলা বলোরে ভাই
জয় বাংলা বলোরে ভাই
হাবীবুল্লাহ সিরাজী
  • সবকিছুরই একটা-না-একটা নাম থাকে :
    নক্ষত্রের নাম থাকে জ্যোতির্মণ্ডলে
    মেঘেদের সঙ্গে মিলিয়ে বৃষ্টির নাম
    জ্যোৎস্নায় শিশির পতনের নাম;
    হাওয়ার দাপটে থাকে পল্লব ও পুষ্পের নাম
    দূরে যাবার নাম, বিষয়-বিজ্ঞানের নাম
    পরিস্থিতি ও পরাজয়ের নাম
    নাম, ধাতু ও ধৈর্যের।

    কার নাম নেই?
    সুন্দরবনের বাঘ? পদ্মার ইলিশ?
    রবীন্দ্রনাথের গল্প? ছাতকের পাথর?
    না, নামহীন কিছু নেই।
    নাম এক প্রকার ভালোবাসাবাসি
    কার সঙ্গে কার ভাব বোঝা দায়!
    নাম দীর্ঘ হয়, নাম বাড়ে, নাম ভাঙে
    নতুন পুরনো নিয়ে নামে-নামে কাড়াকাড়ি হয় :

    এভাবেই একদিন দেশের নাম বাংলাদেশ হ’য়ে গেলে
    মানুষের নাম হয়
    শেখ মুজিবুর রহমান

120 150-20%
জলকন্যা
জলকন্যা
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • নিজেও জানে না, সে কে?...নির্জন দ্বীপে একাকী নিঃসঙ্গ বেড়ে ওঠা সে শুধু জানে, জলে থাকতে তার ভালোলাগে, আর সমুদ্র তাকে প্রবলভাবে টানে ।
    একদিন তার সাথে দেখা হয়ে যায় নিহানের। সমুদ্রের সাথে তারও সখ্য।... 
    সে বুঝতে পারে, তার জানার বাইরেও আছে আর এক রহস্যময় জগৎ। যেখানে রয়েছে ভালোবাসা, লোভ-লালসা আর স্বার্থপরতা...। সমুদ্রের বিশালতার মধ্যে বেড়ে ওঠা তারা দুজন কি পারবে সে সব অতিক্রম করে নিজেদের স্বপ্নের পৃথিবী গড়তে?

120 150-20%
জলপরী ও নূহের নৌকা
জলপরী ও নূহের নৌকা
ঝর্না রহমান
  • ঝর্না রহমানের প্রথম গল্পগ্রন্থ কালঠুঁটি চিল প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। তার পর থেকে ৩৫ বছর ধরে গদ্য রচনায় ক্রমাগত নিজেই নিজেকে অতিক্রম করে চলেছেন। তিনি তাঁর গল্পের বিষয় নির্বাচনে আমাদের চারপাশের পৃথিবী থেকে এমন সব বিচিত্র বিষয় ও প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন যা গল্পের ভুবনে অনেকাংশেই ছিল অনালোচিত এবং অনাবিষ্কৃত। একই সাথে রচনাশৈলী নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে তিনি তাঁর নিজস্ব একটি প্রকাশভঙ্গি নির্মাণ করেছেন, যা কথাসাহিত্যিক হিসেবে তাঁকে একটি বিশেষ অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
    জলপরী ও নূহের নৌকা গ্রন্থের দশটি গল্পে আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করি তিনি কখনো তাঁর অন্তর্গত চেতনাপ্রবাহকে গল্পে রূপান্তরিত করেছেন আবার কখনো প্রবহমান জীবনের সাধারণ দৃশ্যাবলি পরিবেশন করেছেন মনোজগতের জটিল কারুকাজের সংমিশ্রণে সুনির্বাচিত ভাষায়। জলপরী ও নূহের নৌকা গল্পে সর্বগ্রাসী সংকটের কাব্যিক উপস্থাপন, ‘একটি বিহ্বল বাগান পেরিয়ে আমরা ঘরে ফিরে আসি’র মানবিক সম্পর্কের আটপৌরে কাহিনি কিংবা ‘ঝুল বারান্দায় দোলচেয়ার’-এর মতো অতিপ্রাকৃত কাহিনি শুধু মাত্র পাঠকের আনন্দ হয়ে বিস্মৃতিতে হারিয়ে যায় না, বরং পাঠককে গল্পের গভীরে গিয়ে বোধের অতল স্পর্শ করতে অনুপ্রাণিত করে। ঝর্না রহমানের অনেক গল্পের নির্মাণ বাস্তবতাকে ভিন্নমাত্রায় তীব্রভাবে উপস্থাপন করে। এ গ্রন্থের ‘দণ্ডমুণ্ডের কর্তা’, ‘কচুপাতায় করমচা’ বা ‘বনবীথি আবাসিক এলাকায় তিনটি ট্রাক’ এসব গল্প হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবনের অস্বস্তি সন্দেহ অবিশ্বাস নির্মমতা ও বীভৎস বাস্তবতার বিশ্বস্ত রূপায়ণ। এই শৈলী পাঠককে ভাবিত করে। 

160 200-20%
জলরঙে আঁকা জীবন
জলরঙে আঁকা জীবন
জেসমিন আক্তার
  • ৭১-র স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে আমূল। জীবনকে পাল্টে দেওয়ার এই সংগ্রামে নাম লিখিয়েছেন সমাজের নানা স্তরের অগুনতি মানুষ।
    মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত জলরঙে আঁকা জীবন উপন্যাসের মূল চরিত্রের নাম ইলোরা। দৃঢ় মনোবল আর আত্মপ্রত্যয়ে বলীয়ান এক কিশোরী। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে ইলোরার জীবন। চরম দুঃসময়েও সে কারো কাছে মাথা নত করেনি। 
    এ উপাখ্যানে যুদ্ধের ভিতরে ইলোরা মুখোমুখি হয়েছে আরেক যুদ্ধে। যেখানে তাকে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছে জীবনসংগ্রামে। তার এই লড়াই কোনোভাবেই যুদ্ধদিনের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
    জেসমিন আক্তার ঋজু ভাষায় তার উপন্যাসের ভিতর দিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলার খণ্ডিত যুদ্ধের একটি প্রেক্ষিত, পটভূমি তুলে এনেছেন। উপন্যাসটিকে কখনো কখনো একটি অঞ্চলের ইতিহাস বলে মনে হয়। জীবনঘনিষ্ঠ লেখক হিসেবে তিনি সেই দায়িত্বের পরিচয় দিয়েছেন। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠকের চোখে ভেসে উঠবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

160 200-20%
জলে জ্যোৎস্নার কারুকাজ
জলে জ্যোৎস্নার কারুকাজ
রেজাউর রহমান
  • বর্তমান থেকে অতীত, নয়তো অতীত থেকে বর্তমানের রশি ধরে আমরা অহর্নিশ হাতড়ে বেড়াই, খুঁজে ফিরি আশার জ্বলন্ত অঙ্গার।  যেখানে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে প্রেম-ভালোবাসা, জিয়নের অধরা সংগীত।  নিজগৃহে পরবাসী জহির, রওশনের স্বেচ্ছায় নির্বাসন-এখনো জেগে আছে সামান্য উত্তাপ আহরণের অভিলাষ নিয়ে।  বীরাঙ্গনা ফালানির মা বাসন্তী রানীদের দীর্ঘশ্বাস ৪৪ বছর পরও সরব হয়ে আছে সামান্য পাওয়ার কালো অন্ধকারে।  চাপা পড়ে আছে জীবনের অবহেলিত প্রচ্ছায়ায়।  ডুবুরি রাজীব সাগর জলের গভীরে কি খোঁজে, তা তাঁর জানা নেই? জাফর খোঁজে সোমাকে। 
    মানুষ খোঁজে সামান্য মায়া-মমতার আশ্রয়। চায় সামান্য সুখ।  শান্তির একটুকুন বিস্তার।  তা কি পায় সে? এই সংকলনের গল্প সাধারণের জীবনযাপনের আখ্যান-মর্মকথাও।  ভালোবাসার এক অক্ষয় আদি-চিত্রও।
    কথাসাহিত্যিক রেজাউর রহমান অর্ধ শতাব্দী ধরে লিখে চলেছেন গল্প-উপন্যাস।  তাঁর কথা-কাহিনিতে ফুটে ওঠে মানুষের, সমাজের আচার-অনাচারের নানা দৃশ্য।  বেদনার ব্যাপ্তি।  লেখক সেই ব্যাপ্তিরই সুনিপুণ মায়াজাল গড়ে তুলেছেন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে, যা পাঠকের মনোজগৎ ছুঁয়ে যাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

120 150-20%
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের কবিতা
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের কবিতা
রতনতনু ঘোষ
  • রতনতনু ঘোষ রচিত ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের কবিতা’ শীর্ষক গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে দিবসের তাৎপর্য।  দিবসের তাৎপর্য নিয়ে রচিত কবিতার বই এই প্রথম প্রকাশিত হলো।  কবিসত্তার বহুবর্ণিলতা প্রতিফলিত হয়েছে দেড় শতাধিক দিবসভিত্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের কবিতায়।  বিশ্বব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয় সুনির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী।  কবিতায় ধারণকৃত দিবসের তাৎপর্য অনুযায়ী পাঠকদের সচেতন করার প্রয়াসে এ গ্রন্থ প্রকাশিত।  প্রতিদিনের জীবনযাপনে জনচেতনা তাৎপর্যসিক্ত হয়ে ওঠে।  কবিতার মাধ্যমে পাঠকদের চেতনা তীব্রতর করতে এবং দিবসের তাৎপর্যকে তুলে ধরতে রতনতনুর কাব্যপ্রয়াস সার্থক ভূমিকা রাখবে আশা করি।
    নির্মলেন্দু গুণ

200 250-20%
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয় (হার্ডকভার)
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয় (হার্ডকভার)
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • বাঙালী জাতীয়তাবাদ সম্পর্কিত গবেষণা ও ব্যাখ্যায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে আত্মনিবেদিত। সে আগ্রহও এই বইটিতে উপস্থিত। 
    তিনি জানিয়েছেন, বাঙালীর জাতীয়তাবাদ আত্মরক্ষামূলক। এর মধ্যে রয়েছে আত্মপরিচয়, আত্মসম্মান ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা। কিন্তু তার অগ্রগমনের পদে পদে বৈরিতা ছিল। আক্রমণগুলো বিশেষভাবে এসেছে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই। পাকিস্তান-আন্দোলনে বাঙালী মুসলমান অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়েছে, মুক্তির স্বপ্নে। তবে তা ভাঙতে বিলম্ব ঘটেনি। প্রথম আঘাতটা এসেছে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে। বোঝা গিয়েছিল, উর্দু ভাষাকে কেন্দ্রে রেখে পাকিস্তানী নামে নতুন জাতি সৃষ্টির স্বৈরাচারী ও অবাস্তব আকাক্সক্ষা রয়েছে অবাঙালী শাসকদের। বাঙালী জাতীয়তাবাদের পক্ষে তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় ছিল না। 
    এ বইয়ের আটটি অধ্যায়জুড়ে বাঙালীর জাতীয়তাবাদী উদ্বেগ ও অগ্রগমন-প্রচেষ্টার কাহিনী রয়েছে। সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে সক্রিয় ব্যক্তিদের প্রতিনিধি ও দৃষ্টান্ত হিসেবে আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এখানে উপস্থিত রয়েছেন। লেখকের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায় এঁদের কাজের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী শঙ্কা ও প্রতিরোধের কয়েকটি জরুরী দিক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনে  গবেষণালব্ধ তথ্য রয়েছে। যেগুলো তত্ত্বের একটি রেখাবয়বও তৈরী করে দিয়েছে।
    বইটি বাঙালীর জাতীয়তাবাদের অতীত ও বর্তমান তো বটেই, ভবিষ্যৎ অনুধাবন এবং পাঠককে নিজের মতো করে বিষয়টি সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধকরণে সহায়ক হবে।

320 400-20%
জানার মধ্যে কত মজা
জানার মধ্যে কত মজা
মোরশেদ শফিউল হাসান
  • আমাদের চারপাশের চেনা জগৎ ও প্রকৃতিতে ছড়িয়ে আছে অনেকরকম বিস্ময়।  জানার অভাবে সেগুলোই আমাদের কাছে রহস্য বলে মনে হয়।  একবার জানলে, যুক্তি দিয়ে বুঝতে পারলে, তখন তাই হয়ে ওঠে জ্ঞান বা তথ্য।  ছোটদের জন্য গল্পের আঙ্গিকে লেখা এই বইয়ের রচনাগুলোতে তেমন কিছু জ্ঞানের কথাই অত্যন্ত চমৎকারভাবে ও যুক্তি-ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরা হয়েছে। পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর মতো জানার মধ্যে কতো মজা-এর এই নতুন সুমুদ্রিত সংস্করণটিও কচি-কিশোর পাঠকদের আনন্দদানের পাশাপাশি তাদের জানার জগৎকে প্রসারিত করবে।  তাদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা ও যুক্তিশীলতার বিকাশে সাহায্য করবে।  বড়রাও হয়তো বইটি পড়ে কিছু অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

64 80-20%
জালালউদ্দিন রুমি ও শাম্স তাবরিজ
জালালউদ্দিন রুমি ও শাম্স তাবরিজ
ইয়াসমিন রশিদ
  • সুফিবাদের উদ্ভব ঘটে ইসলামের শুরুর দিকে। পরবর্তীকালে এই দর্শনের রূপান্তরও লক্ষ করা যায়। ফলে আধুনিক সুফিবাদের সঙ্গে মূল সুফিবাদের পার্থক্য স্পষ্ট। তবে সহজভাবে বলতে গেলে এই দর্শনের প্রধান ভাব হলো নিজের নফসের সঙ্গে, সত্তার সঙ্গে, জীবাত্মার সঙ্গে, নেতিবাচক প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হওয়া। অর্থাৎ পার্থিব জগতের মোহ থেকে আত্মমুক্তিই এর উদ্দেশ্য।

    সুফিবাদের আলোচনায় যে নামটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তিনি মাওলানা । বিশ্বের দেশে দেশে তিনি রুমি নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর জন্মস্থান, শৈশব, বেড়ে ওঠা ইত্যাদি নিয়ে নানা মতবিরোধ আছে। তবে তাঁর জীবনের গতিপথ পরিবর্তিত হয় শাম্স তাবরিজের সংস্পর্শে এসে। তিনিও ছিলেন তৎকালীন সুফিবাদী চিন্তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাধক। 

    কনইয়া শহরে এই দুই সাধকের সাক্ষাতের ঘটনা, তাঁদের বন্ধুত্ব, কথোপকথন, তাঁদের প্রতি শহরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি নানা ঘটনা অনেকটা গল্পের ছলে ইয়াসমিন রশিদ এই গ্রন্থে তুলে এনেছেন। সুফিবাদের জটিল বিষয় অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। ফলে বইটি সুখপাঠ্যও বটে।

263 350-25%
 জিজীবিষা
জিজীবিষা
কামরুল আহসান
  • কামরুল আহসানের জিজীবিষা উপন্যাসে সমাজের জটিল এক সংকট উঠে এসেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় ঢাকার মেয়ে মিতুর সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে পরিচয় হয় নেদারল্যান্ডস প্রবাসী পাঞ্জাবি তরুণ শিখ কুলজিতের। সে স্বাধীনতাকামী আন্ডারগ্রাউন্ড দলের সদস্য। গুপ্তহত্যা থেকে জীবন বাঁচাতে পিতৃপুরুষের ভূমি ছেড়ে এসেছিল দিল্লি। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার লালসার শিকার একমাত্র ছোট বোনের অপমৃত্যুর বিচার চাইতে গিয়ে চক্রান্তের জালে জড়িয়ে দেশ ছাড়তে হয় তাকে। বেঁচে থাকার প্রবল আকাক্সক্ষা নিয়ে তাড়া খেয়ে বেড়ানো কুলজিত মিতুর মাঝে খুঁজে বেড়ায় ছোট বোন নিশাকে। এভাবে আঞ্চলিক রাজনীতির ঘটনা হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক।
    কাহিনি বর্ণনার সরলতা এই উপন্যাসের প্রাণ। কিন্তু ঘটনা ও চরিত্রের মনোজগতের স্বাভাবিক রূপান্তরের মধ্যে ব্যক্তির সংকট, বিষাদ ছুঁয়ে যাবে পাঠকের হৃদয়। একদিকে রহস্যের আভাস, অন্যদিকে অচেনা এক  ভাইয়ের জন্য বোনের হৃদয়ের বেদনা উপন্যাসটিকে  বিশেষত্ব দিয়েছে।
    প্রভাবশালীদের চক্রান্তে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো স্বাধীনতাকামী এক যুবক কুলজিতের প্রাণে বাঁচার আকুলতা আর হাজার মাইল দূরে ভিনদেশি এক তরুণী মিতুর মাঝে হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজে পাওয়ার অভিলাষ প্রতিবিম্বিত হয়েছে জিজীবিষায়। 
    মিতু কি দেখা পেয়েছিল কুলজিতের?

160 200-20%
জিনিয়াস জিসান (হার্ডকভার)
জিনিয়াস জিসান (হার্ডকভার)
নাজমুল হুদা
  • মন থেকে বিজ্ঞানভীতি তাড়াতে ও বিজ্ঞানপ্রীতি বাড়াতে জিসান নামে এক বুদ্ধিদীপ্ত বালকের সন্ধান পাওয়া গেছে! সে ডানপিটে না হলেও চটপটে, সবজান্তা না হলেও সব কিছুতে প্রবল আগ্রহী। তার মাথায় আশ্চর্যবোধক ও প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঘুরপাক খায়। চিন্তাভাবনায় কিঞ্চিৎ বড়মি ভাব; অনুসন্ধিৎসু মনোভাব। নতুন কিছু পেলে অতি উৎসাহী হয়ে সানন্দে কাজে লেগে পড়ে। তার সদাসঙ্গী বন্ধু সিয়াম, রাহেল ও ছোট বোন জিনিয়া। তাদের প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ, নানা প্রশ্ন আর যুক্তি-জিজ্ঞাসার জট খুলতে প্রায়ই ছুটে আসেন ছোট মামা ওরফে ‘হক মামা’। এভাবে বিজ্ঞানময়তার মধ্য দিয়ে বৈজ্ঞানিক রসদ নিয়ে গল্পে গল্পে এগিয়ে যায় ‘জিনিয়াস জিসান’....

160 200-20%
জিন্দালাশ অথবা রমেশ ডোম
জিন্দালাশ অথবা রমেশ ডোম
মুস্তাফিজ শফি
  • নোবেল বিজয়ী লেখক, সাংবাদিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস অ্যাসাইনমেন্ট কভার করতে গিয়ে পাওয়া একটি চুলের দীর্ঘ হওয়ার রহস্য থেকে লিখেছিলেন মহৎ উপন্যাস অফ লাভ অ্যান্ড আদার ডেমন্ডস (প্রেম ও অন্যান্য দানব)।  সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি ১৯৯৯ সালে প্রথম আলোর জন্য তার আলোচিত সিরিজ প্রতিবেদন ‘পোস্টমর্টেম-ডাক্তারি পরীক্ষা’ তৈরি করতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গের একই নামের দুই ডোম রমেশের কাছে শুনেছিলেন- ‘লাছের বুকে ছুরি চালাইতে চালাইতে আমরা হালায়তো ছার জিন্দা লাছ হইয়া গেচি।  আমগো কোনো ছাভাবিক জীবন নাই, এই মর্গই আমগো ঘর, আমগো ছংছার।’ এই জিন্দা লাশ আর রমেশ নামটাই এই উপন্যাসের সত্যি বিষয়, মূল চালিকাশক্তি। বাকি বেশিরভাগই কল্পনামিশ্রিত।  তবে অবশ্যই বাস্তবানুগ।  যা পাঠকের সামনে উন্মোচন করবে ভিন্ন এক অচেনা জগৎ।

120 150-20%
জিবরানের খোঁজে (হার্ডকভার)
জিবরানের খোঁজে (হার্ডকভার)
অসিতবরণ ঘোষ
  • নাতিদীর্ঘ জীবৎকালের পরিসরে সৃষ্ট জিবরানের সাহিত্যকৃতি ও চিত্রকর্মের আড়ালে রক্ত-মাংসের আসল মানুষটিকে খুঁজতে হলে, তার লালিত স্বপ্নের উদয়-বিলয়, আশা-নৈরাশ্য, অর্জন-বিসর্জনের অন্তরালে থাকা মানুষটির আন্তরসত্তার নাগাল পেতে হলে যে মাটির গভীরে তার শিকড় প্রোথিত, সেই মৃত্তিকার অন্ধকার গর্ভে সহস্রবর্ষ সঞ্চিত যে প্রাণরসে তার অন্তর্গত সত্তার লালন, যে উন্মুক্ত আকাশের নিচে তার অবাধ বিস্তার, সেসবের সন্ধান নেওয়া একান্ত অপরিহার্য। কারণ তার স্বদেশের কয়েক সহস্রাব্দের ইতিহাস, পুরাণ কথা, সেখানকার ভূমিপুত্রদের ধ্যান-ধারণা, তাদের আনন্দ-বিষাদ কখনো প্রত্যক্ষে, কখনো পরোক্ষে তার সমগ্র সাহিত্যকৃতিতে ও চিত্রসৃজনে বারংবার ছায়া ফেলে গেছে। সেসব অনুষঙ্গ ব্যতীত জিবরানের স্বরূপসত্তার খোঁজ পাওয়া কঠিন। 
    বক্ষ্যমাণগ্রন্থে লেখক আন্তরিকভাবে সেই খোঁজে বেরিয়েছেন এবং অভীপ্সু পাঠককে সেই যাত্রাপথের সঙ্গী করতে চেয়েছেন।

160 200-20%
Home
Categories
Cart
Account