(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

জীবন ও বিবর্তন
জীবন ও বিবর্তন
মফিজুর রহমান রুন্নু
  • প্রাণের অণু খুঁজতে কোথায় যাবেন? আছে কোনো দর্শননগর? আছে কোনো বিজ্ঞানপুর? এই সত্যের সন্ধানে যেতে হলে আপনাকে তাকাতে হবে জীবনের গভীরে, তাকাতে হবে গ্রন্থভুবনের সীমাহীন জগতে।  ধর্ম কি বলতে পেরেছে জীবন আসলে কী, কিংবা বিজ্ঞান, কিংবা দর্শন? আমরা কোন পথে খুঁজবো জীবনের প্রকৃত স্বরূপ! জীবন কী কোনো বিবর্তনের ফল? এসব প্রশ্ন শুধু মস্তিষ্কে খেলা করে।  কোথাও হয়তো আছে এর উত্তর।  হয়তো কারো ঠিকই জানা আছে মহাবিশ্বের জন্মকথা।  হ্যাঁ, এই বইটিরও জানা আছে এসব কথা।  বিজ্ঞান, দর্শন ও জীবন অনেক প্রশ্নের উত্তর জানাবে এই বই।  আপনাকে নিয়ে যাবে সত্যগ্রামে।  যেখানে আলোয় অঙ্কুরিত হচ্ছে প্রাণের জন্মকথা।

160 200-20%
জীবনবৃত্ত
জীবনবৃত্ত
সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্‌জীদা খাতুনের বর্ণাঢ্য জীবনকে কোনো ছকবাঁধা বৃত্তে আবদ্ধ করা অসম্ভব কারণ আজীবন তিনি গেয়েছেন বৃত্ত ভাঙার গান। স্থাণুতার আঁধার পেরিয়ে আলোর প্রভাত-পানে পথচলার নাম-সন্‌জীদা খাতুন। স্মৃতিকথা এবং আত্মজৈবনিক লেখা তিনি আগেও লিখেছেন তবে এই জীবনবৃত্ত একেবারেই ব্যতিক্রম। সাত অনুচ্ছেদের এই ছোট্ট বইয়ে আছে এক মহাজীবনের বিন্দুভাষ্য। নিজের ফেলে আসা ও বহতা  সময়-‘জীবনারম্ভ’ থেকে ‘সম্মাননা অর্জন’; এমন পরিক্রমায় আমরা এখানে পাব প্রায় নয় দশকের এক বিশ্বস্ত জীবনলিপি যেখানে সুখকর প্রাণের কথার পাশাপাশি আছে বেদনার গাথাও। সন্‌জীদা খাতুন সর্বপ্রিয় হওয়ার মোহ থেকে মুক্ত বলেই অপ্রিয় সত্য উচ্চারণে নির্দ্বিধ। শিক্ষাজীবন, পরিবার, পেশাজীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে স্বচ্ছন্দ বিচরণ-এসবের সূত্রে তিনি ফিরে তাকাতে চেয়েছেন সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের বৃহৎ ভূগোলে। ব্যক্তিগত ছোটখাটো ঘটনার উল্লেখে গুরুভার বিষয়কে করে তুলেছেন প্রসন্নতায় ভরপুর। সেইসঙ্গে ভাষার স্বচ্ছতা স্মৃতিগদ্যের গহনে যোগ করেছে লাবণ্যের আভা। জীবনবৃত্ত  সন্‌জীদা খাতুনের সাম্প্রতিক গদ্যরীতিরও মূল্যবান স্মারক।

160 200-20%
জীবনস্মৃতি : মধুময় পৃথিবীর ধূলি
জীবনস্মৃতি : মধুময় পৃথিবীর ধূলি
দ্বিজেন শর্মা
  • নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা মানুষকে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করতেন।  প্রকৃতিকে জয় করা নয়, তাকে ভালোবেসে তার অংশ হয়ে স্নিগ্ধ সুন্দর জীবন যাপনের দিকে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন।  তাঁর খুব প্রিয় একটা বই ছিল ফরাসি লেখক অতোয়ান দো সাঁৎ একঝুপেরির ছোট রাজকুমার; এ বইয়ের মূল বাণী ভালোবাসা।  মানুষ ও প্রকৃতির জন্য গভীর ভালোবাসা ছিল বলেই দ্বিজেন শর্মা হয়ে উঠেছিলেন সুন্দর মনের অধিকারী একজন অসাধারণ মানুষ। 
    অবিভক্ত ভারতের আসাম রাজ্যের মৌলভীবাজারে তাঁর জন্ম।  ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশবিভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ব্যাপক দেশান্তর, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসন, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের জলোচ্ছ্বাস, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, সোভিয়েত সমাজতন্ত্র, গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকা ও সমাজতন্ত্রের পতন এবং একুশ শতকের বাংলাদেশের প্রথম দেড় দশকের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঘটনাবলির মনোযোগী ও সংবেদনশীল সাক্ষী তিনি। এই সমস্ত কথা নিয়েই লেখা হয়েছে মধুময় পৃথিবীর ধূলি। এ বই শুধু তাঁর আত্মজীবনী নয়, তাঁর দেখা দেশ-কাল-মানুষের এক আন্তরিত আখ্যানও বটে। 
    দ্বিজেন শর্মার দীর্ঘ জীবনের কোনো পর্ব ছিল আশায় উজ্জ্বল, কোনো পর্ব আশাভঙ্গের বেদনায় মলিন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন আশাবাদী মানুষ।  এক অনিঃশেষ শুভবোধে প্রশান্ত ছিল তাঁর মন।  এই পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর কাছে ছিল মধুময়।

225 300-25%
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ
সিরাজ সালেকীন
  • জীবনের সফলতা-নিষ্ফলতা মাপা হবে কীভাবে? কাকে বলে কীর্তি? জীবনে অর্থবিত্ত, রণরক্তের ভূমিকাই বা কী? একজন জীবনানন্দ দাশ [১৮৯৯-১৯৫৪] আমৃত্যু যিনি প্রকাশ্যভাবে কবি; নির্মোহ, নিশ্চুপ, প্রান্তবাসী; সম্পদ আহরণে অসফল, আছে বেকারত্বের গভীর আঘাত; সামাজিক নন, তেমন পুরস্কৃত নন, বরং দীর্ঘকাল নিন্দিত, তাঁর ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলোর উত্তর কী হবে? আমরা তো আশা করি কীর্তিমানের জীবনী! মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই যেন জন্ম হয়েছিল কীর্তিমান জীবনানন্দের! মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর সীমার মধ্যে অভিজ্ঞতার নাম জীবন, এটা কলে তৈরি হয় না, প্রতিটিই অনন্য।  এই অনন্যতার খোঁজ জীবনানন্দেও আছে।
    সৃষ্টির পরমক্ষেত্র অন্ধকার ও রহস্যময়।  এই গ্রন্থের লক্ষ্য নয় জীবনানন্দীয়-রহস্য উন্মোচন।  তবু চিন্তাবীজের গতিপথ থাকে, আর বিকাশের ধারা।  একজন মানুষ, যিনি কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক, তাঁর জীবনধারণ বা জীবনযাপন, নিশ্চয়ই তার অর্থ আছে অথবা তিনি অর্থ তৈরি করতে চেয়েছেন।  জীবনী সেই যাপন বা ধারণের আয়নায় দেখা মানুষ; মানুষটি নয়, আবার মানুষটিই।
    এমন প্রশ্ন করতে পারলে ভালো হত, জীবনানন্দ কি আয়নাটা ভাঙতে চেয়েছিলেন! প্রশ্ন করলেও উত্তর দেবে কে! অবশ্য আমরা জেনেছি জীবনানন্দ সাহিত্য ও জীবনকে আলাদা করতে চাননি।

120 150-20%
জীবনানন্দ দাশ গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র
জীবনানন্দ দাশ গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র
আবু হাসান শাহরিয়ার
  • জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বাংলা কবিতার একটি উল্লেখযোগ্য বাঁকের নাম।  চর্যার দোহাকারদের থেকে শুরু ক’রে আদি ও মধ্যযুগ পাড়ি দিয়ে আধুনিক যুগে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাংলা কবিতায় মুকুন্দরাম, বড়– চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, বিজয় গুপ্ত, ভারতচন্দ্র, মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখের নাম যতখানি গুরুত্বপূর্ণ, জীবনানন্দও ঠিক ততখানিই গুরুত্ব রাখেন।  এমনকি আধুনিকতার একরৈখিক বর্গকে গুঁড়িয়ে দিয়ে যে-উত্তরআধুনিক বহুরৈখিকতার নতুন ঢেউ লেগেছে সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায়, তারও প্রথম ইশারা জীবনানন্দের কবিতাতেই আমরা পাই।  সমকালীন বিশ্বকবিতার সমান্তরালে তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার উজ্জ্বলতম কবি।  রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু ক’রে অনেকেই প্রথমে তাঁর কবিতাকে চিনে উঠতে না পারলেও পরবর্তীকালে মত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।  মৃত্যুর পর অপ্রকাশিত-অগ্রন্থিত রচনাবলির বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হ’লে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলা সাহিত্যের এক বিস্ময়কর নাম। 
    জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত সর্বাধিক কবিতার সমষ্টি এই কবিতাসমগ্র।  বানানে ও পাঠে কবিকৃত সর্বশেষ পরিমার্জন অনুসরণ, বিশ্লেষণী ভূমিকা, ভূমিকা-সমান্তরাল সম্পূরক-মূল্যায়ন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যে বাজারলভ্য জীবনানন্দের যে কোনো কাব্যসমগ্রের চেয়ে এই কবিতাসমগ্র অনেক বেশি স্বচ্ছ ও প্রামাণিক।  জীবনানন্দের জীবদ্দশায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর ক্ষেত্রে কবিকৃত শেষ সংশোধনীকে গ্রহণ করা হয়েছে এই সমগ্রে।  বর্জন করা হয়েছে একই কবিতার প্রকাশ পুনরাবৃত্তি।  সর্বোপরি কবিতাসমগ্রটি সম্পাদনা করেছেন কবি-প্রাবন্ধিক আবু হাসান শাহরিয়ার, যাঁর সম্পাদিত খোলা জানালা বাংলা সাহিত্যের নিকট-ইতিহাসে একটি কিংবদন্তিতুল্য ঘটনা।  জীবনানন্দ দাশের কবিতার সামগ্রিক মূল্যায়নধর্মী একটি অসামান্য ভূমিকা লেখার পরও বহুল মতের ভিত্তিতে একটি সম্পূরক ভূমিকাও তিনি পাঠকদের উপহার দিয়েছেন, যা এ-জাতীয় সম্পাদনা গ্রন্থে সম্পূর্ণ নতুন একটি ঘটনা।  সামগ্রিক কারণেই কবিতার নিবিড় পাঠক ও সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও প্রামাণ্য প্রকাশনা- জীবনানন্দ দাশ গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র। 
    -প্রকাশক 

525 700-25%
জীবনানন্দ দাশ জীবন ও সাহিত্য
জীবনানন্দ দাশ জীবন ও সাহিত্য
বিশ্বজিৎ ঘোষ
  • মহাবিশ্বলোকের জীবনচেতনার কবি জীবনানন্দ দাশ শুধু বাংলা সাহিত্যেরই নয়, বিশ্বসাহিত্যেরও অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।  তাঁর পঙক্তিমালা ঘাসের কুয়াশালাবণ্যের ঘ্রাণময়, যেন কোনো অনন্য কুহকের ডাকে এক আরেক জীবনের ডাকে এ জীবন সৃষ্টির কারুকার্যমাখা।  তাঁর কাব্যপ্রেমের অগাধ গভীরে অন্ধকার রূপ; নক্ষত্র আর জোনাকির ওড়াউড়ি।  খুব দূরে কোনো পূর্ণতার প্রান্তরে লক্ষ্মীপেঁচার ডাক আর নক্ষত্র, জোনাকি ও লক্ষ্মীপেঁচা যেন সজীব প্রাণের মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।  সৌন্দর্যবোধ, অপার প্রকৃতিপ্রেম, মিথের সযত্ন ব্যবহার এবং মহাজাগতিক প্রেম তাঁর কবিতাকে পরিণত করেছে এক বিপুল বিস্ময়ে।  দুই বাংলার আলোচকগণ উন্মোচন করেছেন তাঁর এই নতুন নতুন ভাবনার দিগন্ত। 

338 450-25%
জীবনানন্দ দাশের ছোটগল্প জীবনজিজ্ঞাসা ও শৈলীবিচার
জীবনানন্দ দাশের ছোটগল্প জীবনজিজ্ঞাসা ও শৈলীবিচার
সিরাজ সালেকীন
  • জীবনানন্দ দাশ বেশ অহংকারের শক্তি নিয়ে উচ্চারণ করেছিলেন : ‘...আমার মতন আর নাই কেউ!... আমার পায়ের শব্দ শোনো-/নতুন এ, আর সব হারানো-পুরোনো।’ এই স্বভাব লিপ্ত আছে কবিতায় এবং পাঠকেরও জানা আছে সেই খবর।  অথচ তাঁর সকল গদ্য রচনা-গল্প ও উপন্যাস-আমৃত্যু রয়ে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে।  প্রকাশ পায়নি, প্রিয় ধন তবু আগলে রেখেছেন।  এতেও আছে জীবনানন্দীয় স্বভাব! জীবনের উৎস যে রহস্যময় অন্ধকার! তিনিই ভেবেছেন সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় আত্মজৈবনিকতা নিয়ে।  তাই কথা ও কণ্ঠস্বরে কোনো ফাঁকি তৈরি হয় না, কেননা সাহিত্য জীবনেরই অভিজ্ঞতা।  অভিজ্ঞতার নাম অস্তিত্ব, তার একটি বাতায়ন ইতিহাস-ঐতিহ্য; আর আকাশ-মাটিতে মিলে তৈরি হয় মনন; জীবন সজীব হয়, ফুল ফোটায় জীবনেরই রসে-সমাজও থাকে মিলেমিশে।  এখানে পরিবার, দাম্পত্য বা প্রেম পরিচিতই, তবু জীবনভেদে অনন্য।  জীবনের অনন্যতা ও অনন্য জীবন নিয়ে জীবনানন্দের ছোটগল্প।  এ বাজারের স্পর্শে বিশুদ্ধতা হারায়নি।  চিন্তায়ও নেই ব্যভিচারিতা, কেননা গল্প নিয়ে কারো মুখাপেক্ষী হননি।  জীবনের অভিজ্ঞতা পবিত্র হাতে আগলে রাখার শিল্পরূপও জীবনানন্দীয়, জীবনের শৈলী-তার রঙ-রূপ।  এই গ্রন্থ তাই আলোচনা নয়, জীবনানন্দের সাহচর্য লাভের চেষ্টা! জীবনানন্দ দাশ যে বোধের কথা বলেছিলেন, হাহাকারের মতো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন মহাকালের উদ্দেশে : ‘সকল লোকের মাঝে ব’সে/ আমার নিজের মুদ্রাদোষে/ আমি একা হতেছি আলাদা?’ -গ্রন্থটি বলতে চায়, এই একলা পথিকের পদক্ষেপে তৈরি হয়েছে বাংলা ছোটগল্পের ভিন্ন পথ।  বুঝতে চায়, কবিতার মতো ছোটগল্পেও আছেন জীবনানন্দ দাশ! 

450 600-25%
জীবনানন্দ: কথার গর্বে কবিতা
জীবনানন্দ: কথার গর্বে কবিতা
বেগম আকতার কামাল
  • কবি বা কবিতাপ্রেমিকেরা যতই কবিতাকে রহস্যময় বলুন না-কেন, কবিতা মূলত সহৃদয়-হৃদয়সংবাদী পাঠকচিত্ত-সাপেক্ষ।  তবে, জীবনানন্দের কবিতা শুধু সহৃদয়বানকে নয়, বি-হৃদয়বানকেও আপ্লত করে, অধিকার করে তার মনোযোগ, বোধ-মননকে।  বেগম আকতার কামালের জীবনানন্দ : কথার গর্বে কবিতা গ্রন্থে একই সঙ্গে সহৃদয় ও বি-হৃদয়বানকে যেমন স্পর্শ করবে তেমনি বোদ্ধা-মননশীল সাহিত্যপাঠককেও আকৃষ্ট করবে।  তাঁর বিশ্লেষণাত্নক-পাঠ কবিতার অবতল, উত্তল-সকল দিককেই প্রেক্ষণবিন্দুরূপে ব্যবহার করেছে।  সে-সঙ্গে আছে লেখকের নান্দনিক বোধের সূক্ষ্মতা, বিশ্লেষণক্ষম-প্রজ্ঞা, আছে মননশীল সৃজনশক্তির গভীরতার পরিচয়।
    বহুপঠিত, পাঠকপ্রিয় এবং বাংলা কবিতার হৃদয়পুরুষ জীবনানন্দ, বাঙালির মনঃস্বরূপের স্বরলিপি রচনা করে গেছেন তাঁর স্বল্পায়ু জীবনে।  যত বেশি পাঠ ও বিবেচ্য হবে তাঁর কবিতা ততই গুণানি¦ত ও রূপময় হবে বাংলা সাহিত্য-সমালোচনা।  জীবনানন্দ : কথার গর্বে কবিতা সেই প্রয়াসের একটি সৎ ও নিবিড় প্রয়াস।

160 200-20%
জীবনানন্দের রূপসী বাংলার স্বরূপ
জীবনানন্দের রূপসী বাংলার স্বরূপ
তাহমিন আরা বেগম
  • জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ প্রকৃতিপ্রেমের এক অনন্য কাব্য।  পূর্ব বাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশের সবুজ, বর্ণিল, নদীমাতৃক, উচ্ছল ও আবহমান প্রকৃতির প্রতি কবির অন্তরাত্মার টান বড়ো বেশি পরিষ্কার এ-গ্রন্থে।  ‘রূপসী বাংলা’র এ-কবিতাগুলির পঙ্ক্তিমালায় যে বিভিন্ন দিক স্থান পেয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অপরূপ নৈসর্গিক রূপ, দেশপ্রেম ছাড়াও আছে লোক-ঐতিহ্যের নানা দিক এবং দেশজ শব্দভাণ্ডার ও উপমার কবিত্ব।  এ-সমস্ত বিবিধ দিক নিয়ে কবি জীবনানন্দের কবিমানস, জীবনদৃষ্টি ও সাহিত্য-ভাবনার ধারাক্রম বিশ্লেষণ করা হয়েছে সাহিত্য ও ভাষার নানাবিধ অনুসঙ্গে।  দশটি প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত সেই জীবনানন্দীয় ভাবনার প্রকাশ হলো জীবনানন্দের রূপসী বাংলার স্বরূপ গ্রন্থটি।  যা হয়ে উঠেছে এক বিশিষ্ট চিত্রী।  বর্তমান এ-গ্রন্থের উদ্দেশ্য গঠনধর্মী সমালোচনা যা আধুনিক কাব্যের রস-উন্মীলনে সাহায্য করবে।  সেই সঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পাঠকদের সাহিত্যানুরাগ কিছুটা হলেও পরিতৃপ্ত হবে- এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হলো।

225 300-25%
জীবনের জন্য বৃক্ষ
জীবনের জন্য বৃক্ষ
মোকারম হোসেন
  • বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত গাছপালা বিষয়ক বিচিত্র স্বাদের লেখাই জীবনের জন্য বৃক্ষ গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন।  সব লেখা গাছপালা-বিষয়ক হলেও তাতে স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে।  গবেষণা কিংবা নিরীক্ষাধর্মী কোনো লেখা এখানে স্থান পায়নি।  বর্ণনা এবং তথ্যের মিশ্রণ ঘটেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে।  তবে অজানা এবং অচেনা জগৎকে এখানে নিবিড়ভাবে পাওয়া যাবে।  আছে দেশের অভিষিক্ত নতুন উদ্ভিদপ্রজাতির প্রসঙ্গ, কোন কোন গাছ থেকে রং তৈরি হয়, প্রচলিত ভুল থেকে উত্তরণের আহ্বান, নগরের দুষ্প্রাপ্য মালতীর সন্ধান, কনকচাঁপার রূপগন্ধের স্ততি, একদিনের ফুল পাদাউক নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।  প্রতিবেদন পর্বে কয়েকটি তথ্যবহুল প্রবন্ধও স্থান পেয়েছে।  যার সিংহভাগ জুড়েই আছে বনায়নের নানান ত্রুটিবিচ্যুতির কথা।  ঘুরে ফিরে এসেছে বন উজাড় ও তরুশোভার বিভিন্ন অনাকাড়িত প্রসঙ্গ।  সব মিলিয়ে আগ্রহী পাঠকদের কৌতূহল কিছুটা হলেও মেটাবে বলে মনে করি।  পাশাপাশি পাঠকদের মধ্যে সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে।  গাছপালার প্রতি তৈরি হবে অনুরাগ।  ‘জীবনের জন্য বৃক্ষ’ অনুরাগী পাঠকদের এক নিমিষেই নিয়ে যাবে এদেশের সুবজ-শ্যামলিমায়।

120 150-20%
জেনারেলের সঙ্গে
জেনারেলের সঙ্গে
মুনতাসীর মামুন
  • মুনতাসীর মামুনের রচনা বহুমাত্রিক।  এর উদাহরণ জেনারেলের সঙ্গে।  আত্মজীবনী নিয়ে লেখালেখি দিয়ে একটি বই নির্মিত হতে পারে তা হয়তো অনেকের মনে হয়নি।  ড. মামুনের আছে আত্মজীবনীর বিশাল সংগ্রহ।  আজ থেকে বছর ২৫ আগে খেয়ালবশত বিভিন্ন আত্মজীবনী নিয়ে কিছু লেখা লেখেন।
    এর মধ্যে আছেন একনায়ক, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, গায়ক, সাংবাদিক, ধনকুবের এবং সাধারণ মানুষ।  তাদের লেখা ১৩টি বইয়ের বিষয় তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে, যোগ করেছেন নিজের মন্তব্য।  এ বইয়ের ভাষা, বিষয়বস্তু পাঠককে করে তুলবে মন্ত্রমুগ্ধ।  ২৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া এই বইটি পরিবর্ধিতরূপে প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।

160 200-20%
জেলা পরিচিতি টাঙ্গাইল
জেলা পরিচিতি টাঙ্গাইল
খান মাহবুব
  • বর্ণমালা সৃষ্টির আগে মানুষ তার সমসাময়িক সমাজচিত্র পরবর্তী সমাজের জন্য প্রবাহিত শ্লোক, গাথা, ছড়া ইত্যাদির মাধ্যমে ধরে রাখত। বর্ণমালা আবিষ্কারের পর ইতিহাস সংরক্ষিত হতে থাকে বইয়ের পাতায়। আমরা ইতিহাসের পাতায় ভর করে চলে যেতে পারি শত-সহস্র বছর প্রাচীন পৃথিবীতে-যাতে করে খুঁজে পাই আদি মানবের ব্যুৎপত্তি, বিকাশ, তৎকালীন সমাজচিত্র, মিথ, রূপকের নানা বাস্তব ও কল্পকাহিনি। যার অনেক কিছুই আমাদের অনুভবকে কখনো হিমশীতল, আবার কখনো তপ্ত লোহার মতো গরম করে ফেলে। তবে ইতিহাস জানার প্রবৃত্তি মানুষের সহজাত আর মানুষ সবচেয়ে বেশি জানতে চায় নিজের উৎপত্তি, পূর্বপুরুষ, সমাজ ও উত্তর জনপদের বহমান জীবন। এ চাওয়া থেকেই হয়তো আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চার ধারা। ইতিহাসের উপাত্তের মধ্যে সমকালীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি ছড়িয়ে থাকে।
    যারা টাঙ্গাইল অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছেন তাদের জানাই সাধুবাদ। তবে ইতিপূর্বে সংগঠিত কাজে অনেক বিষয় বিশেষ করে সাম্প্রতিক ঘটনা ও কর্মকা-ের, পর্যাপ্ত তথ্য অনেকাংশে অনুপস্থিত। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য অপর্যাপ্ত, নাতিদীর্ঘ বর্ণনা এবং অনেক বিষয়কে এতটা দীর্ঘায়িত করা হয়েছে যে, গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও সাধারণ পাঠকের রস আস্বাদনে ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে। বরং ক্ষুদ্রাকার, তথ্যবহুল বর্ণনা ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা যথার্থ নয় কি? যদি কেউ বিস্তৃত জানতে চায় সে তার অনুসন্ধিৎসু জিজ্ঞাসার কারণেই তথ্যউপাত্তের সন্ধান করে নেবে। এসব ভাবনা থেকেই  জেলা পরিচিতি : টাঙ্গাইল বই-এর অবতারণা। জেলা পরিচিতি : টাঙ্গাইল গ্রন্থ পাঠান্তে পাঠক জেলার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে। সাম্প্রতিক বিষয়াবলি ছাড়াও ইতিহাসের নানা উপকরণ সন্নিবেশ করা হয়েছে এই গ্রন্থে।

450 600-25%
জোড়া উপন্যাস জন্মজাতি : মৈনপাহাড়
জোড়া উপন্যাস জন্মজাতি : মৈনপাহাড়
মুহম্মদ নূরুল হুদা
  • কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা’র উপন্যাস ‘জন্মজাতি’ ও ‘মৈনপাহাড়’। জোড়া উপন্যাস। জোড়া উপন্যাস সাহিত্যের এক অভিনব প্রকরণ। একের ভেতর দুই। দুইয়ের ভেতর এক। কবি-ঔপন্যাসিক মুহম্মদ নূরুল হুদা তাঁর জন্ম আঁতুড়ঘর দরিয়ানগর-দইজ্জার সঙ্গে মৈনপাহাড়-পরস্পর বিপরীত সাযুজ্যের এক নিবিড় ঐক্য গড়ে তুলেছেন উপন্যাস জোড়ায়।
    নব্বই দশকের শুরুতে মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘জন্মজাতি’ ও ‘মৈনপাহাড়’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিদগ্ধ পাঠক ও লেখকেরা বিস্মিত হয়েছিলেন। বাংলা ভাষার উপন্যাসে জাদুবাস্তবতা ও উত্তরাধুনিক প্রান্তমুক্ততার প্রথম জাতক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করলেন কবি ও ঔপন্যাসিক মুহম্মদ নূরুল হুদা। রমণীদাস, ফিরুজাবিবি, নবি বলী, ইয়াজুজ মাজুজ, কিশোর- এইসব মনুষ্য চরিত্রের সঙ্গে কক্সবাজার, মহেশখালি, দইজ্জা, লইট্টামাছ, সাম্পান, আদিনাথ মন্দির, আদিনাথ পাহাড়ের চূড়া, রহস্যঘেরা পাহাড়ের পথ একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে বিচিত্র আখ্যানে অনবদ্য কাব্যিক গতিতে এগিয়ে গেছে জোড়া উপন্যাসের উপাখ্যান ‘জন্মজাতি’ ও ‘মৈনপাহাড়’।
    হাজার বছর ধরে পাহাড় ও দরিয়া মানবজাতির সঙ্গে মিলনে ও বিরহের যে নিখুঁত উত্থানপতনের সংসার রচনা করে চলেছে, সেই সংসারের প্যাঁচালী মুহম্মদ নূরুল হুদা অনুভবের রক্ততিলকে ইতিহাস চেতনার নিরীক্ষায় বর্ণনা করেছেন গভীর ধ্যানমগ্নতায়। জোড়া উপন্যাস পাঠ করতে করতে মনে হয় হাঁটছি একই সঙ্গে দরিয়ার প্রবল ঢেউয়ের মাথায় ও মৈনপাহাড়ের চূড়ায় পা রেখে।
    কবির ভেতরের গদ্যর আরতি অপূর্ব ও তীক্ষ্ণ দক্ষতায় কেমন করে নির্বাণ লাভ করে, উপন্যাস দুটিতে প্রমাণ রাখলেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। কবিতা, গান, লোকগীতি, প্রবচন, গল্প- একই সুতোয় গেঁথে গেঁথে জোড়া উপন্যাসকে দিয়েছেন চিত্তলোকের অনবদ্য মহিমা।
    ঔপন্যাসিকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে জোড়া উপন্যাসের পথ বেয়ে শীঘ্রই তৃতীয় ও চতুর্থ মাত্রায় উপনীত হতে পারে উপন্যাসের পর্ব। আমি বিশ্বাস করি- জাতিস্মর চেতনার প্রতীক কবি-কথাকার মুহম্মদ নূরুল হুদা যথাশীঘ্রই তাঁর কথা রাখবেন।

225 300-25%
জোনাকিবাবুই
জোনাকিবাবুই
আবু হেনা মোস্তফা এনাম
  • মানুষের রক্তের ছায়ায় কি ঘুমিয়ে থাকে পাখির উড়াল স্বভাব! অথবা মানুষের কণ্ঠ ও কথার ভেতর [এবং] পাখিরা গৃহ রচে হয়ত, এখনও বা সেই কণ্ঠ বাতাসে ও বৃক্ষের পাতায় পাতায় ওড়ে। এমন কী যে পাখির কণ্ঠ তো কোনো দীর্ঘ বাক্য ও ব্যাকরণের সংকলন নয়, বা তা একটি ভাষার মতো প্রশংসা পায়।  যেহেতু হৃদয় নয়, বরং মৃদু এবং হ্রস্ব, অথবা হ্র্রস্ব এবং মৃদু একটি বাক্যের একক স্থির করা ছিল... এভাবে; মাছ, পাখি, পতঙ্গ, মেঘ, নক্ষত্র, নদী, বৃক্ষ ইত্যাদি প্রাণী ও বস্তুর হৃদয়ের শব্দ, নৈঃশব্দ্য, বর্ণ, গন্ধের ভেতর কি বেজে ওঠে মানুষের জীবন?
    মিথ ও ম্যাজিকের দ্বৈতকণ্ঠের গল্প, এই তবে...।

120 150-20%
জোরবা দ্য গ্রিক
জোরবা দ্য গ্রিক
খালিকুজ্জামান ইলিয়াস
  • আমাকে একটু বলুন তো যে খানা আপনি খান তা দিয়ে আসলেই কী করেন। তা হলে আমি বলে দেব আপনি কে। কেউ কেউ খাদ্যকে তেল, চর্বি আর জৈব সারে রূপ দেয়; কেউ কেউ রূপ দেয় কাজে-কর্তব্যে আর আমোদ-ফুর্তিতে, আর আমি জানি আরও কেউ আছে যারা খাদ্যকে রূপান্তরিত করে ঈশ্বরে।
    -জোরবা

360 450-20%
জ্বীনি ও রবু
জ্বীনি ও রবু
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • বড় দুঃখী ছেলে রবু।  বাবা নেই।  মায়ের ইচ্ছে ছেলে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবে। তর সয় না রবুর। কবে বড় হবে, এরপর বিজ্ঞানী! তাই সে নির্জন পাহাড়ে, একাকী সৈকতে ঘোরাঘুরি শুরু করে আলাদীনের চেরাগের আশায়। অবিশ্বাস্য, একদিন সত্যিই জ্বীনির দেখা পায় রবু। শুরু হয় জ্বীনি ও রবুকে নিয়ে বিস্ময়কর সব ঘটনা। যা বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনীকে নিয়ে যায় দুনির্বার পরিণতির দিকে।

48 60-20%
জ্যোৎস্না বিলাস
জ্যোৎস্না বিলাস
সুমন্ত আসলাম
  • ‘এটা কী ধরনের কথা হলো!’ রাগ বেড়েই যাচ্ছে চৈতীর, ‘নাম জানো না, কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করছ!’
    ‘আমি তো কেবল নাম জানি না। অনেকেই আছেন, যারা অপেক্ষা করেন, কিন্তু আদৌ কীসের জন্য অপেক্ষা করছেন, তা-ই জানেন না।
    আচ্ছা-।’ গলার স্বরটা এবার আরো অন্যরকম করে ফেলি, ‘রাজশ্রীকে চেনো তুমি?’
    ‘না।’ চৈতীর গলায় এবার মেঘের ঘনঘটা।
    ‘আমিও চিনি না।’
    ‘তুমি চেনো না মানে!’ চৈতী এবার সত্যি সত্যি রেগে যায়, ‘না চিনলে তার জন্য অপেক্ষা করছ কেন তুমি?’
    ‘আমি যে রাজশ্রী জন্য অপেক্ষা করছি, এটা তোমাকে কে বলল?’
    ‘তুমিই তো বললে- একটা মানুষের জন্য অপেক্ষা করছ তুমি।’
    শব্দ করে একটু হেসে নিয়ে আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, আমি একজন মানুষের জন্য অপেক্ষা করছি।’

120 150-20%
 টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপনা
টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপনা
শামীম আল আমিন
  • গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক নিয়েই বাংলা ভাষায় প্রচুর বই দরকার।  এ বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি, যাঁরা এসব মাধ্যমে কাজ করছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়েও লেখা প্রয়োজন।  যেহেতু বিষয়টি নিত্য পরিবর্তনশীল, সেহেতু যিনি কাজের মধ্যে আছেন, তাঁর মত ও অভিজ্ঞতার একটি বিশেষ মূল্য আছে।  অনুজপ্রতিম শামীম আল আমিন বিষয়গুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।  গণমাধ্যমের কাজের মধ্যে তিনি ভীষণভাবেই আছেন; ক্যামেরার সামনে ও পেছনে-দুদিকেই। 
    উপস্থাপক একাধারে সংবাদমাধ্যমের; আবার দর্শকেরও প্রতিনিধি।  পর্দার আড়ালে সংবাদ সংগ্রহের একটি বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রকাশ্য অংশ জুড়ে থাকেন উপস্থাপক।  তারকাখ্যাতির সম্ভাবনা আছে ঠিকই, কিন্তু দায়িত্ব সম্পাদনে শারীরিক ও মানসিক চাপও অনেক; যা সবার পক্ষে নেয়া সম্ভব হয় না।  আর উপস্থাপনার ব্যবহারিক দিকগুলো প্রশিক্ষণ ও চর্চার মাধ্যমে আয়ত্ত করা সম্ভব হলেও, ভালো উপস্থাপকের যে ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিমত্তা থাকা প্রয়োজন; বা অন্তত থাকবে বলে আশা করা হয়-তা দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ও মানসিক বিকাশ ছাড়া গঠিত হয় না।  উপস্থাপনার বিষয়টি যে কেবল মেকআপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে বসে যাওয়া নয়, তা জানলেও অনেকে মানেন না।  শামীমের এই বইটি তাই সংবাদ উপস্থাপনার বিষয়ে পাঠকের সাধারণ কৌতূহল মিটিয়েও অতিরিক্ত কিছু দেবে বলে আশা করছি।

    সামিয়া জামান

123 150-18%
টেলিভিশন সংবাদ ও সাংবাদিকতা
টেলিভিশন সংবাদ ও সাংবাদিকতা
শামীম আল আমিন
  • এক সময়ের ‘কথা বলা জাদুর বাক্স’ টেলিভিশনের অবস্থান এখন কোথায়, তা নিশ্চয়ই কমবেশি সবাই বোঝেন।  তথ্য, বিনোদন, জ্ঞান আহরণ কিংবা সাধারণ কিছু সম্পর্কে কেবল ধারণা পেতে মানুষ এখন রীতিমতো টেলিভিশন আশ্রয়ী হয়ে উঠেছে।  জীবনযাপনের সাথে এখন টেলিভিশন এমনভাবে মিশে গেছে, যা থেকে মানুষকে আলাদা করা প্রায় অসম্ভব।
    টেলিভিশন সাংবাদিকতার জগতে একজন নতুনের প্রবেশ দরজা হিসেবে কাজ করবে বইটি।  গণমাধ্যমকর্মী ও গবেষকদের কাজে সহায়ক হবে; কৌতূহল মেটাবে অনেক সাধারণ পাঠকেরও।

160 200-20%
ট্যাগোর
ট্যাগোর
আন্দালিব রাশদী
  • মাই ভেরি ডিয়ার গুরুদেব,
    একটি সুসংবাদ আপনাকে জানানো অনিবার্য হয়ে পড়েছে, কিন্তু সংবাদটি আপনাকে ঈষৎ বিচলিত করতে পারে।  আপনার বয়স ৬৩ বছর আমার এখনো ৩৫ হয়নি।  আমিই আপনাকে বলেছি ৬৩ একটি সংখ্যামাত্র, এর বেশি কিছু নয়।  আপনি চোখ তুলে নিঃশব্দে হেসেছেন, বলেছেন, আমি তোমার বাবা মিগুয়েল ওকাম্পোর সমবয়সি। 
    তখন আমি বলেছি, আরও বড় হলেও আমার কোনো সমস্যা নেই।
    আপনি মনে মনে চাইলেও আপনার গুরুভাব ধরে রাখার জন্য এগোতে চাননি, আমিই আপনার একটি হাত টেনে এনে আমার বুকের ওপর রেখেছি। 
    আমিও জানি, সেই ১৯০২ সালে আপনার স্ত্রী প্রয়াত।  ২২টি বছর আপনিও তো বঞ্চিত।  অবশ্য আপনি ঋষিপুরুষ, আপনার হয়তো নারীসঙ্গের প্রয়োজন নেই।  সব জেনেশুনেই সে রাতে আমি নাশপাতি কেটে খাওয়ানোর ছল করে আপনার ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিই।  আমার কাতর চাহনি আপনাকে স্পর্শ করে থাকতে পারে।  গুরুদেব, আপনি কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে আমার কাছে সমর্পণ করেছেন।  আমি এর বেশি আর কী চাইতে পারি!
    আপনার শ্রীচরণতলায় নিত্যশায়িত
    বিজয়া ভিক্টোরিয়া।
    এই ট্যাগোর  কাহিনি আপনি একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে যে উঠতে পারবেন না, এটা আন্দালিব রাশদী বেশ ভালো করেই জানেন। 

160 200-20%
ট্যারা মাখনার নোবেল প্রাইজ
ট্যারা মাখনার নোবেল প্রাইজ
আন্দালিব রাশদী
  • মাধ্যাকর্ষণের টানে নিউটনের মাথায় নাকি ডাঁসা আপেল পড়েছিল কিন্তু সারাদিন আমগাছের নিচে বসে থাকার পর একটি পাকা আমও ট্যারা মাখনার মাথায় পড়েনি, বরং টসটসে পাকা আম মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধে তাকে গাছে টেনে তুলেছে।  তার মানে নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব ফেল মেরেছে!
    নিউটনের জন্মের ৩৫৭ বছর ৬ দিন পর ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ এই বাংলাদেশে আশফাক আবদুল্লাহ ব্র্যাকেট মাখন নামের একজন ট্যারা বৈজ্ঞানিক ঢাকা শহরের ভূতের গলি এলাকায় জন্মগ্রহণ করে। মেয়েরা ট্যারা হলে সবাই আদর করে লক্ষ্মী ট্যারা বলে। ছেলেদের তো লক্ষ্মী ট্যারা বলা যায় না। লক্ষ্মীপূজার সময় মাখন অন্তত এক ডজন লক্ষ্মীর চোখ গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখেছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আধ ঘণ্টা এদিক দিয়ে ওদিক দিয়ে লক্ষ্মীর দিকে তাকিয়েছে, কী চমৎকার ডাগর ডাগর চোখ। একজন ট্যারা লক্ষ্মীও তার চোখে পড়েনি। 
    সেই ট্যারা মাখন শেষ পর্যন্ত নোবেল প্রাইজটা পেয়েই গেল। কিন্তু কেমন করে? তাকে অনুসরণ করেছেন আন্দালিব রাশদী সেই ‘কেমন করে’র উত্তরটা আবিষ্কার করেছেন। দেখা যাক ট্যারা মাখনার অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড!

120 150-20%
ডলার গ্যাং
ডলার গ্যাং
মোশতাক আহমেদ
  • লেলিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিল।  ধানমন্ডি থানার সামনে আসতে দেখল হারুন নামের এক যুবককে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।  তার অপরাধ, সে তার কাছে নকল ডলার রেখেছিল।  ঘটনাক্রমে লেলিন জানতে পারে হারুন প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং তার ডলার প্রতারকরা নিয়ে তাকে জাল ডলার দিয়ে গেছে।  এই প্রতারকরা সবাই ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুর্ধর্ষ ডলার গ্যাংয়ের সদস্য।  হারুনকে সাহায্য করার জন্য শিশির আর লেলিন উঠে-পড়ে লাগে।  একসময় তারা বুঝতে পারে জন, হ্যারি, ওগোলো নামের বিদেশিরা সম্পৃক্ত ডলার গ্যাংয়ের সাথে।  তারপরও ভীত না হয়ে তারা প্রবেশ করে ডলার গ্যাংদের গোপন আস্তানায়।  কিন্তু ভাগ্য তাদের পক্ষে নয়।  ডলার গ্যাংয়ের হাতে বন্দি হয় শিশির আর লেলিন।  হাত-পা আর মুখ বেঁধে তাদের ভরে ফেলা হয় বস্তার মধ্যে।  ডলার গ্যাংয়ের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের বাঁচিয়ে রাখবে না।  নদীর তীরে নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করবে দুজনকেই।  অসহায় শিশির আর লেলিন ছটফট করতে থাকে মুক্তির জন্য।  কিন্তু মুক্তি যে সহজ নয়।  কারণ তাদের অবস্থান কেউ জানে না।
    শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল শিশির আর লেলিনের ভাগ্যে? সত্যি কী তারা পেরেছিল ডলার গ্যাংদের আটক করতে? নাকি মৃত্যুই হয়েছিল শেষ ঠিকানা?

160 200-20%
ডাইনোসরের ডিম
ডাইনোসরের ডিম
মোশতাক আহমেদ
  • শিশির আর লেলিন দুই ভাই।  দুজনেই স্কুলছাত্র এবং দারুণ রহস্যপ্রিয়।  তারা দুজনে মিলে ‘শিশিলিন’ নামের বিশেষ এক রহস্য সংস্থা খুলেছে।  এই সংস্থার কাজ হলো নানারকম রহস্যময় ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা।  পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে রহস্যের সন্ধানে তারা ছুটে যায় দূর-দূরান্তে, পথে-প্রান্তরে, গ্রামে-গঞ্জে।  তাই তো কখনো তারা গোয়েন্দা, কখনো অভিযাত্রী আবার নিজেরাই কখনো রহস্যময় মানুষ।
    রাঙামাটি ভ্রমণে এসে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় শিশির আর লেলিন।  তাদের পাশের কুটীরেই রাতের অন্ধকারে খুন হয়ে যায় প্রফেসর হামিদ।  তারা বুঝতে পারে হাজার বছর ধরে রক্ষিত দুটো ডাইনোসরের ডিমের জন্যই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে প্রফেসর হামিদকে।  কিন্তু কোথায় সেই অমূল্য আর দুর্লভ ডাইনোসরের ডিম? তাহলে কি তা পাচারকারীদের হাতে পড়েছে? না কি কেউ বিক্রি করে দিচ্ছে বিদেশিদের কাছে? সেই রহস্যের বেড়াজাল ভেদ করতে যেয়ে নির্জন পাহাড়ের উপর বন্দি হয়ে পড়ে দুই ভাই।  কেউ নেই তাদেরকে উদ্ধার করতে, মৃত্যু আসন্ন।  এদিকে ডাইনোসরের ডিমও হাতছাড়া হয়ে গেছে। 
    শেষ পর্যন্ত কি শিশিলিনের ক্ষুদে দুই সদস্য উদ্ধার করতে পেরেছিল ডাইনোসরের ডিম দুটোকে? রক্ষা করতে পেরেছিল দেশের অমূল্য আর দুর্লভ সম্পদ?

160 200-20%
ডিওন
ডিওন
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • ডিওন একই চরিত্রে দ্বৈতরূপ! তিনি একাধারে মহাশূন্যে মানুষের বসতি স্থাপনের স্থপতি; স্বপ্নদ্রষ্টা! সে-ই আবার মানুষের পরম শত্রু! একটা দুর্বোধ্য সমীকরণ!
    অন্যদিকে নাহিন; খেয়ালী এক যুবক; বায়োড্রোমের বাঁধাধরা জীবন তার ভাল লাগে না। সে মহাশূন্যের সীমাহীনতায় বেরিয়ে পড়তে চায় মুক্ত জীবনের স্বাদ পেতে। কিন্তু সে তার অজান্তে জড়িয়ে পড়ে মহাজাগতিক প্রাণী ন্যানোদের দ্বন্দ্বে, আটকা পড়ে ত্রিণা ও ইরার দ্বৈতসত্তার জটিল আবর্তে!
    নাহিন স্বপ্ন দেখে একদিন পৃথিবীতে ফিরে যাবে। সে কী পেরেছিল, ননিয়াকের অদৃশ্য প্রাচীর ভেদ করে তার স্বপ্নের পৃথিবীতে ফিরে যেতে? 
    না-কি মহাশূন্য জগতের ত্রিণা, ইরা এবং ডিওন রহস্যের মাঝে আজীবন আটকা পড়ে রইল।
    এ জটিল দ্বান্দ্বিক রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করবে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ডিওন।

96 120-20%
ডিজিটাল ভূত
ডিজিটাল ভূত
সাঈফ আবেদীন
  • আমেরিকার ভূতেরা নাকি অটোগ্রাফও দিতে জানে! বাপরে, লেখাপড়া শিখলো কবে! হয়তো হবে, ডিজিটাল বলে কথা। ডিজিটাল ভূতেরা আর কী কী করে? একটা ডিসিটাল ভূত বসেছিল প্রিয়ন্তীর কোলে। ভূতটার নাকি তুলতুলে শরীর। বরফের মতো ঠাণ্ডা। সেই ভূতটাকে ফেলতেই কিনা আটলান্টিক মহাসাগরে নিয়ে গেল প্রিয়ন্তী! এ রকম পাঁচ-পাঁচটি ভূতের গল্প নিয়ে এই বই। পড়তে পড়তে শিহরিত হবে শরীর, আবার কখনো হবে রোমাঞ্চিত।

64 80-20%
 ডিম ডিম ভূতের ডিম
ডিম ডিম ভূতের ডিম
আলম তালুকদার
  • সুরময় ধ্বনিই ছড়ার প্রাণ-কৃত্রিমতা ছড়ার শত্রু। কৃত্রিমতা বর্জিত ধ্বনি-সমৃদ্ধ ছন্দোবদ্ধ সুরেলা রচনাকেই বলা যায় সার্থক ছড়া।
    ডিম ডিম ভূতের ডিম বইয়ের প্রতিটি ছড়াতেই ছড়ার এই বৈশিষ্ট্য প্রাধান্য পেয়েছে। সহজ সরল বিষয়ের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশই ছড়াগুলোর স্বাতন্ত্র্য। স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে ধ্বনিময়তা যুক্ত হয়ে ছড়াগুলো লাভ করেছে বাড়তি ব্যঞ্জনা। রসবান প্রাণোচ্ছল ছড়াকার আলম তালুকদারের ছন্দোবদ্ধ প্রাণবন্ত উচ্চারণ ডিম ডিম ভূতের ডিম। চিত্রশিল্পী সৈয়দ এনায়েত হোসেন কুশলী রেখাচিত্রে মূর্ত করে তুলেছেন প্রতিটি ছড়ার অন্তরাত্মা।
     

80 100-20%
ডুগডুগির আসর
ডুগডুগির আসর
প্রশান্ত মৃধা
  • ই কাহিনি এক জজ কোর্ট চত্বরের।  বিচিত্র পেশার ও অদ্ভুত গড়নের জনতার ভিড় সেখানে।  কারও আগমন মামলার কারণে, কারও পেশার প্রয়োজনে, কেউ-বা অবশ্যই পেটের দায়ে।  মামলা মোকদ্দমা অফিস কাছারির কাজ ফুরোলে চত্বর হয় জনশূন্য, থেকে যায় কেবল পেট আর পেশার দায়ে ভোগা মানুষ; যাদের সাধারণ পরিচয় ক্যানভাসার।  ছোট্ট ডুগডুগি বাজিয়ে এখানে আসা মানুষকে যারা আহ্বান জানায়।
    এই ক্যানভাসারদের ভিতরে বয়সি মোসলেম উদ্দিন, আদালতের আঙিনায় কাপড় ধোয়ার পাউডার বিক্রি যার ভাত জোগায়।  আছে গাছতলায় প্রবীণ বইবিক্রেতা বারিক।  কিন্তু কাহিনির মূলস্রোত বয়ে চলে বানরের খেলা দেখানো আজগর আর খেলাওয়ালা সুকুমারকে নিয়ে।  সঙ্গে আছে আরও কয়েকজন।  এখানে একই সঙ্গে তারা বন্ধু ও প্রতিদ্বন্দ্বী।  তাদের কেউ দেখায় সাপের কারসাজি, কেউ বেচে কবিরাজি গাছগাছড়া, কেউ কান পরিষ্কার করে, কেউ দাঁত তোলে। 
    এদিকে আজগর আর সুকুমারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্রোতের শ্যাওলার মতো ভেসে আসা দুই নারী, জরিনা ও ঝিলিক।  রহস্যময়ী জরিনা শত অনটনেও আজগরের সঙ্গেই থাকে।  ওদিকে গন্তব্যহীন ঝিলিক যেমন এসেছিল, সেভাবেই হঠাৎ নিরুদ্দিষ্ট হয়।
    এইসমস্ত সর্বহারার জীবন পরম মমতায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে এই উপন্যাসে।  এমন ছিন্নমূল বেঁচে-থাকার কথা ইতিপূর্বে এভাবে বলা হয়নি।

160 200-20%
তদন্ত রিপোর্ট
তদন্ত রিপোর্ট
রেজাউদ্দিন স্টালিন
  • রেজাউদ্দিন স্টালিনের জগৎটা আমাদের পরিচিত, তার সীমানাটা আমরা জানি।  কিন্তু ওই সীমানাটা এই কবি মানে না।  নিজের শক্তিতে তাকে সে প্রসারিত করে নেয়।  এবং একইসঙ্গে গভীরতাও সৃষ্টি করে।  দেখার দৃষ্টি, অনুভবের শক্তি, কল্পনার ক্ষমতা, ভাবনার বৈশিষ্ট্য এবং উপস্থাপনার অনুশীলিত দক্ষতায় পরিচিত বিষয়গুলো নতুন হয়ে ওঠে।  ওর কবিতায় স্থান আছে, রয়েছে বৃষ্টিভরা আকাশ, আছে আকাশ ও পৃথিবীর জানাজানি, রয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।  সব মিলিয়ে একটা নিজস্ব ও ভিন্ন রকমের জগৎ।  স্টালিনের কবিতা ও গদ্য একইসঙ্গে আত্মজৈবনিক ও সর্বজনীন।

96 120-20%
তবুও তোর মন খারাপ
তবুও তোর মন খারাপ
জাফরুল আহসান
  • জাফরুল আহসান সত্তর দশকের প্রথম সারির কবি; তার কবিতায় প্রেম ও প্রকৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো, আঁচল পেতে ধরলে শিউলি ফুলের মতো টুপটাপ প্রেম ঝরে পড়ে।  কবিতার সুর ও লালিত্য থেকে প্রেমের চাদর গায়ে জড়িয়ে নেয়া যায়।
    কবি কল্পনায় ও বাস্তবে প্রেম করেছেন লুকিয়ে নয় সদম্ভে।  লিখেছেনও মনের কপাট খুলে- যেখানে নেই কোনো রাখঢাক, নেই লজ্জা-ভয়ের বালাই, নেই সামলে নেয়ার দায়ও।  দাম্ভিক প্রেমিক তাই কত কথাই লিখেছেন কবিতায়।
    কবি জাফরুল আহসানের কবি হৃদয় প্রেমময়।  তাই দৃষ্টিপাতেই বৃষ্টিপাত।  শরীরী আবেগ, উষ্ণতার আস্বাদ, ছুঁয়ে দেখার আবেগ কবিকে সম্মোহিত করেছে; নদীর মতোই নারীকে কবিতার শরীরে বইয়ে দিয়ে জীবনের বিশাল ক্যানভাস জুড়ে প্রেমকে রাঙিয়ে তুলেছেন সপ্তরঙে।
    জাফরুল আহসানের কলমের জাদু প্রেমকে বিরহে, দুঃখে, বিষাদে মেখে উপস্থাপন করেছেন যেন প্রেমের নৌকার পাল ঊর্ধ্বমুখী হয় অথচ বিষাদগাঙ ছলকে ছলকে ওঠে, কেঁপে কেঁপে, দুলে-দুলে এগিয়ে যায়।  কোথায় কতদূরে কবি বোধহয় নিজেও জানতে চাননি কখনো কোনোদিন।
    কবি জাফরুল আহসানের মনে যে লালিত আবেগ, প্রেমের আনন্দ, বেদনা, দুঃখ, ক্রোধ, অভিমানের অপার অভিব্যক্তি, বিচিত্র সুরের মূর্ছনা পাঠককে উতলা করে, চোখে জল এনে দেয়, মনে সাহস জোগায়, সুখের গল্প বলতে শেখায়।  পাঠক কিংবা শ্রোতা নিজে যে কথা প্রকাশ করতে পারে না।  কবি যেন পাঠককে হাত ধরে ডেকে ডেকে বলেন...দেখো তুমিও আমার মতো মাতাল হয়েছিলে জানতে পারোনি, তুমিও আমার মতো অভিমান করেছিলে বলতে পারোনি, তুমিও আমার মতো প্রকৃতি দেখেছো স্পর্শ করোনি; এসো আমার চোখে আকাশ দেখো।
    - শামীম জাহান আহসান

80 100-20%
তমোঘ্না
তমোঘ্না
সাবিনা ইয়াসমিন
  • মুক্তিযুদ্ধ কতভাবেই না আমাদের ছুঁয়ে গেছে- সমষ্টি ও ব্যক্তির জীবনে এর কতই না ছবি। এক প্রান্তে বিজয়ের উল্লাস, অন্য প্রান্তে শহীদের জন্যে বেদনা। মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের এক মহাকাব্যিক নাটক, ব্যক্তিগত জীবনেও সে এক মহাসঙ্গীত। কবি সাবিনা ইয়াসমিন তাঁর কবিতার কলমে যখন লেখেন এই উপন্যাস, আমরা একইসঙ্গে একাত্তর থেকে উৎসারিত জীবন নাট্য ও সঙ্গীতের অনুরণনে জীবনকে গভীরতর স্তরে অনুভব করে উঠি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাবিনার সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ সাগরদাঁড়িতে, মাইকেল মধুসূদনের জন্মোৎসবে। মাইকেল বাংলায় ফিরেছিলেন দেশের মাটিকে ভালোবেসে; সাবিনার এই উপন্যাস আমাদের ইতিহাসে ফেরাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের ভেতরে প্রবাহিত করবে নতুন মাত্রায়। সাবিনার এটি প্রথম উপন্যাস। আমি তাঁকে আমাদের কথাসাহিত্যে স্বাগত করছি। সৈয়দ শামসুল হক ২৫/১/২০১৫

96 120-20%
তামাবিলে ডামাডোল
তামাবিলে ডামাডোল
অরুণ কুমার বিশ্বাস
  • বলতে গেলে পথ হারিয়ে অপু আর শিপলু তখন তামাবিলে। সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে যে ডাকবাংলো, সেখানেই আপাতত ওরা আস্তানা গাড়ে। এপারে তামাবিল, পর্যটন প্লেস জাফলং। আর ওপারে ভারত, পিয়াইন নদীর কূলে ডাউকি এলাকা। জমজমাট ব্যবসা এখানে, কিন্তু বিজনেসের আড়ালে অন্যকিছুও চলে শোনা যায়। মানে চোরাকারবার। হঠাৎ খুন হয় ভারতীয় ব্যবসায়ী রণেশ মোদক। খুনের তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই প্রণব। সেই সাথে জুড়ে যায় আরো তিনটি নাম-কাজল, অপু আর শিপলু। ওদের কেয়ারটেকার ফজর আলী সহসাই একটা নাম মুখে আনে, লেবু মিঞা। ভাতিজা নহর খাঁ ওদের জন্য ঠোঙায় ভরে মিষ্টি পাঠায়। কিন্তু কেন, ওদের জন্য তার দরদ হঠাৎ উথলে ওঠে কেন! খুনের তদন্ত চলমান। ডাউকির এপারে গগন সিরিষের জঙ্গলে রক্তের দাগ দেখে আঁতকে ওঠে ওরা। তিন খুদে গোয়েন্দা একের পর এক বিপদের মুখোমুখি হয়। ভিকটিমের পোশাকে নাকি কাঁচা সুপারির দাগ ছিল! অথচ তিনি কোনোকালেই সুপারির কারবার করতেন না। কেসটা তাহলে কী দাঁড়ালো? জানতে পড়ুন গা শিউরানো অ্যাডভেঞ্চার ‘তামাবিলে ডামাডোল’।

160 200-20%
তারায় তারায় যুদ্ধ (হার্ডকভার)
তারায় তারায় যুদ্ধ (হার্ডকভার)
সাজ্জাদ কবির
  • দি স্টার লাইক ডাস্ট উপন্যাসটা আইজ্যাক আজিমভের গ্যালাক্টিক এম্পায়ার সিরিজের একটা বই।  তাঁর অসংখ্য সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থের মধ্যে এটা অন্যতম।  আজিমভের গল্প অনুবাদ করতে গিয়েই টের পেয়েছি যে তিনি কখনোই বিজ্ঞানকে গল্পের উপরে নিয়ে যাননি।  অথচ নির্দ্বিধায় সেটি উৎকৃষ্ট সায়েন্স ফিকশন।  আর সেটাই একজন সাহিত্যিকের মুনশিয়ানা।
    আজিমভের সায়েন্স ফিকশন গল্পে যেমন থাকে একটা সরল অথচ নতুন আঙ্গিকের বৈশিষ্ট্যে মোড়ানো কাহিনি, তেমনি গতিশীল ভাষার সহজ বুনন।  আবার উপন্যাসে সেই কাহিনির নতুনত্ব থাকলেও, ভাষার কারুকাজ এতে নতুন এক মাত্রা যুক্ত করে।  উপন্যাসে তার বাক্য গঠনের মুনশিয়ানা, বা কোথাও কোথাও বলা যায় নতুনত্ব, এক ভিন্ন স্বাদ এনে উপস্থিত করে পাঠকের কাছে। বিজ্ঞান প্রিয় পাঠকদেরই পছন্দ সায়েন্স ফিকশন, অথচ আজিমভের পাঠক নির্বিচারে সবাই।  তাঁর বাংলায় অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যাই এর প্রমাণ।  এ গেল বইয়ের কথা, এবার কিছু নিজের কথা বলি।  উপন্যাস অনুবাদ বেশ জটিল একটা কাজ।  এর পাত্র-পাত্রী, প্রেক্ষাপট সমস্ত কিছুর সাথে ভালো করে পরিচয় না থাকলে অনেক কিছুই বোঝা দুষ্কর হয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ হয়তো বলতে পারে সায়েন্স ফিকশনের আবার প্রেক্ষাপট বোঝার কী আছে? সে-তো অনেক বছর পরের ঘটনা।  কিন্তু লেখা সব সময় লেখকের আশপাশের সমাজের প্রতিচ্ছবি।  আর এই উপন্যাসের বেলাতেও সেটা খাটে।  তবে আমার জন্য কঠিন অন্য কারণে, সেটা হলো অলসতা।  তারপরও অনুবাদ কর্মটি শেষ হয়েছে একজনের প্রবল উৎসাহে।  তিনি হলেন হাসান খুরশীদ রুমী।  তাঁর অনবরত তাগাদায় (যা শুধু সায়েন্স ফিকশনের প্রতি ভালোবাসার কারণে) একদিন এটা শেষ হয়েছে।  আর তাই এর জন্য যদি কোনো প্রশংসা থাকে তা রুমীর প্রাপ্য, আর দোষ-ত্রুটি যা কিছু তার ধিক্কার আমার জন্য।
    -সাজ্জাদ কবীর
    পান্থপথ, ঢাকা।

300 400-25%
তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমাজ ও রাজনীতি (হার্ডকভার)
তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমাজ ও রাজনীতি (হার্ডকভার)
ভীষ্মদেব চৌধুরী
  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের ঐ যুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল মানব-অস্তিত্বকে; নৈরাজ্য-নৈরাশ্য ক্লেদ-শঙ্কা আর মনস্তাপে পৃথিবীর বৃহদংশ মানুষ সন্ধান করেছিল বেঁচে থাকার আত্মপ্রতারণামূলক নির্বিঘ্ন বিবর। তবে অপরাংশ মানুষ নবোদিত সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের ইতিবাচক প্রভাবে সন্দীপিত হয়ে স্বপ্ন রচনা করেছিল আলোকময় ভবিষ্যতের। সমকালীন প্রতীচ্য-সাহিত্য মহাসমরোত্তর বিপন্নতার আর লিবিডো-চেতনার ছায়ান্ধকার ভুবনে সন্ধান করেছিল বন্ধ্যাযুগের জীবন-উৎস। ঐ না-অর্থক চেতনাস্রোতের বিপরীতে সমকালীন বাংলা সাহিত্যে বিকীর্ণ হয়েছিল যে স্বল্পালোক রশ্মি-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার অগ্রগণ্য প্রতিনিধি। তারাশঙ্কর যুগন্ধর; কালের দ্বৈরথকে ধারণ করেই তিনি শিল্পী। বাংলার সামন্ত ও ধনতান্ত্রিক সমাজের সন্ধিকালের রূপ-রূপান্তর এবং ব্যক্তি ও সমাজচৈতন্যের আন্তঃসম্পর্কের রহস্য উন্মোচনে তাঁর উপন্যাস মহাকাব্যিক মহিমায় সমৃদ্ধ। সমাজগতি ও সমকালের রাজনীতির রূপায়ণ দক্ষতায়, সর্বোপরি আস্তিক্যধর্ম-নির্ভর আশাবাদী জীবনার্থের পরিচর্যায় তারাশঙ্কর-সাহিত্য বাঙালির সমকালীন সমাজ-ইতিহাসের চিরায়ত শিল্পসাক্ষ্য।
    তারাশঙ্কর যেমন কালান্তরের সমাজের শিল্প-ভাষ্যকার, তেমনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিপ্রবাহেরও তুলনারহিত শিল্প-রূপকার। তাঁর সাহিত্যে সমাজ ও রাজনীতির পরস্পরিত রূপ শিল্পবিচারে কতটুকু অর্জন-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস : সমাজ ও রাজনীতি গ্রন্থে নান্দনিক-সমাজতাত্ত্বিক গভীর মূল্যায়নদৃষ্টির আলোয় তারই বিশ্লে­ষণ সম্পন্ন হয়েছে। মননচর্চায় ও মূল্যায়নধর্মী গবেষণায় গ্রন্থটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। 

480 600-20%
তিন গল্পের নাট্যায়ন
তিন গল্পের নাট্যায়ন
মোহাম্মদ বারী
  • প্রখ্যাত তিন বাংলা সাহিত্যিকের বিখ্যাত তিনটি গল্পের নাট্যায়ন। প্রথমটি জহির রায়হান-এর ‘সময়ের প্রয়োজনে’; দ্বিতীয়টি শওকত ওসমান-এর ‘ওই বাঁধে’ অবলম্বনে ‘বাঁধ’; তৃতীয়টি বুদ্ধদেব বসু-এর ‘অনুদ্ধারণীয়’। সবিশেষ উল্লেখ্য যে, বস্তুগত সাধারণ ভাবনা সামাজিক-বাগধারায় ব্যবহৃত হয় সামাজিক-সত্তা ও সামাজিক-চেতনার সমন্বয়ে। এটি ব্যক্তির দার্শনিকভিত্তি তৈরি করে। যে দার্শনিক-বিশ্বাস ওই ব্যক্তির সৃজন ও উচ্চারণে প্রতিফলিত হয়। এ সত্য প্রত্যক্ষ করা যায় মোহাম্মদ বারীর নাট্যায়নে। 
    তিনি বিগত চার দশক ধরে ওই বস্তুগত সামাজিক-বাগধারার দার্শনিক-বিশ্বাসকে সত্তায় ও চেতনায় লালন করেছেন আস্থার সঙ্গে। পাশাপাশি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মীমাংসিত সত্যকেও তিনি নাট্যায়নে বিশ্বস্ততার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। সময়ের প্রয়োজনে নাটকে নাট্যকার দার্শনিক সত্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বাঁধ এবং অনুদ্ধারণীয়তে তাঁর সামাজিক-সত্তা ও সামাজিক-চেতনা যূথবদ্ধ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই তিনটি নাট্যায়নে মোহাম্মদ বারী জীবনসত্য (Fact) ও শিল্পসত্য (Truth)-কে অনন্য দক্ষতায় রসায়িত করেছেন এবং নিজেকে বাংলা নাট্যায়ন-সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর মহৎ এই সাহিত্য-উদ্যোগ নন্দিত হবে নিশ্চয়। 

160 200-20%
তিনজন আধুনিক কবি
তিনজন আধুনিক কবি
ড. মাহবুবুল হক
  • বিশ শতকের সমাজপ্রগতির ধারায় বাংলা কবিতার অঙ্গনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মার্কসীয় ভাবাদর্শ-লালিত সমাজ-রাজনীতি-সচেতন নতুন নান্দনিক চেতনা।  চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতায় এই চেতনার প্রধান রূপকার হলেন তিনজন প্রগতিবাদী কবি- সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও সুকান্ত ভট্টাচার্য।
    বাংলা প্রগতি কবিতার বৈপ্লবিক আধুনিকতার সেই উন্মোচন পর্ব এই গ্রন্থে উঠে এসেছে সনিষ্ঠ গবেষণায়। তাতে আলোকপাত করা হয়েছে দায়বদ্ধ এই তিন কবির ভূমিকা, নিরূপণ করা হয়েছে কবিত্রয়ের মানসচেতনা ও কবিকর্মের বৈশিষ্ট্য।
    বাংলা প্রগতি কবিতা ও তার রূপকার এই তিন কবি সম্পর্কে এমন সুলিখিত, তথ্যসমৃদ্ধ ও বিশ্লেষণমূলক গবেষণা এই প্রথম।  এতে রয়েছে ব্যাপক অধ্যয়ন, নিবিড় বিশ্লেষণ ও মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গির উজ্জ্বল ছাপ।

525 700-25%
তুতুলের ছুটির সকাল
তুতুলের ছুটির সকাল
সাঈফ আবেদীন
  • পঞ্চগড়ের মেয়ে তুতুল ফুল, পাখি, গান ও নদী ভালোবাসে। ওর আব্বুর কাছ থেকে এসব শিক্ষা পেয়েছে ও। একদিন স্কুল থেকে ফিরে উঠানে আব্বুর মরদেহ দেখতে পেল। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। ওর আম্মু সামিরার চারপাশ শূন্য হয়ে গেল। ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল আপনজনেরা। মেয়েকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন-এটাই সামিরার শেষ স্বপ্ন। মেয়েকে নিয়ে তিনি একদিন পাড়ি জমালেন রাজধানী ঢাকায়। গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে মেয়ে তুতুলকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। তারপর শুরু হয় মা-মেয়ের জীবনযুদ্ধ। বস্তিতে থাকে তুতুল। টিউশনি করে। স্কুল ছুটির দিনগুলোতে সহপাঠী স্নিগ্ধর সঙ্গে পুতুল তৈরির কারখানায় কাজ করে।  এ কারণে স্কুলে ওকে সহপাঠীরা অন্যচোখে দেখে। কেউ বন্ধুত্ব করতে চায় না। তুতুল এত অবহেলাতেও দমে না। মনের মধ্যে কঠিন শপথ। সে বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দেয় শিক্ষক ও শিক্ষার্র্থীদের। কী করে সম্ভব হলো এটা? হঠাৎ তুতুলের মার যক্ষ্মা হলো। তুতুল দুচোখে আঁধার দেখছে। তার কি আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে? মা-মেয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। হঠাৎ ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের কৌতূহলী চোখ টিভি পর্দায়। সবাই তুতুলকে দেখছে। কী এমন ঘটনা ঘটল তুতুলের জীবনে?
    প্রিয় পাঠক সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন সাঈফ আবেদীনের অসাধারণ এক সৃষ্টি তুতুলের ছুটির সকাল উপন্যাসে। উপন্যাসটি সব বয়সী পাঠকের ভালো লাগবে।

120 150-20%
তুমি আমি
তুমি আমি
জামাল রেজা
  • রাশেদ এবং লামিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একে অপরকে অনুভব করে গভীরভাবে। রাশেদ বাবার দ্বিতীয় সন্তান। বড় বোন নীতি প্রেম করে বিয়ে করেছে। বাবা সেজন্য কিছুটা অসন্তুষ্ট।
    লামিয়ার বাবা নেই। শৈশবে বাবা মারা যাবার পর রাজন পরদেশীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় লামিয়ার মায়ের। লামিয়া চারুকলার ছাত্রী। তার ছবি এশিয়ান আর্ট এক্সিবিশনে পুরস্কৃত হয়েছে। ছবি আঁকা ছাড়াও গান গায় লামিয়া। প্রফেশনাল সংগীত শিল্পী হবার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু গানটা লামিয়া ওভাবে করতে চায় না।
    রাশেদ বাংলার ছাত্র। কবিতা লেখে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সুনাম আছে। চাকরির জন্য ইন্টারভ্যু দিয়েছিল। এনজিওতে চাকরি হয়েছে, হয়তো জয়েনও করবে। বাবার গাড়ির ব্যবসা আছে। সুখ-সমৃদ্ধি যখন সংসারে টইটম্বুর ঠিক তখনই মৃত্যু ঘটে রাশেদের মায়ের। মামা আলী মনসুর মায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বোবা বনে যায়। 
    কী এমন ঘটনা আছে মায়ের মৃত্যুর পেছনে! যার জন্য মামা নির্বাক হয়ে যেতে পারেন? 
    মায়ের মৃত্যুর দেড় মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে লামিয়ার সঙ্গে রাশেদের বিয়ে হয়। হানিমুনে যায় তারা কক্সবাজারে। হোটেল রুমে লামিয়াকে অভ্যর্থনা জানায় এক অচেনা ছেলে। কে সেই ছেলে, যাকে দেখে লামিয়াও থমকে যায়? 
    প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ক হাজারও প্রশ্ন রাশেদের কবিমনকে ব্যথিত করে। সে সিদ্ধান্ত স্থির করতে পারে না। 

120 150-20%
তুমি বৃক্ষ আদিপ্রাণ
তুমি বৃক্ষ আদিপ্রাণ
মোকারম হোসেন
  • বৃক্ষ, ছোট একটি শব্দ।  কিন্তু এর গভীরতা ও ব্যাপ্তি কতটা ব্যাপক ও বিশাল হতে পারে তা এই বই থেকে কিছুটা হলেও অনুভব করা যাবে।  ছুঁয়ে দেখা যাবে একটি গাছ আমাদের জীবনে কতটা দরকারি হতে পারে।  জীবনের গভীর ভাবনাবোধ থেকে বৃক্ষ ও প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা সম্ভব হলে জীবন আরো অর্থবহ হতে পারে।  একজন মানুষ যদি প্রকৃতির ভাষা বুঝতে পারেন তাহলে তার জীবনটা দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে।  প্রকৃতির বিচিত্র ও মজার মজার সব অনুষঙ্গের মধ্যে বৃক্ষ অন্যতম।  কিন্তু বৃক্ষ নিয়ে আমাদের চারপাশে এতই নৈরাজ্য যে লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না।  শুধুমাত্র এর নান্দনিক বিন্যাস নিয়েও অনেক কথা বলা যায়।  তুমি বৃক্ষ আদিপ্রাণ মূলত বৃক্ষ ও প্রকৃতিবিষয়ক সরল গদ্যের বই।  বিষয় সিংশ্লিষ্ট নিবন্ধ, ফিচার ও প্রতিবেদন এ বইয়ের প্রাণ।  কয়েক পর্বে বিভক্ত বইটিতে আছে কয়েকটি ভুল সংশোধনমূলক লেখা, পাওয়া যাবে দেশ-বিদেশ ভ্রমণের কিছু সাবলীল কথকতা।  আছে কয়েকজন বৃক্ষঅন্তপ্রাণ মানুষকে নিয়ে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতাও। নগরজীবনে যারা এক চিলতে বারান্দা বা ছাদে বাগান করতে আগ্রহী তাদের জন্যও রয়েছে বাগানবিষয়ক কয়েকটি লেখা।  মূল বিষয় বৃক্ষ হলেও বৃক্ষ আবর্তিত এসব বিচিত্র লেখা কিছুটা হলেও আমাদের পাঠ-রসনায় তৃপ্তি যোগবে।

300 400-25%
তেপৃ
তেপৃ
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • ত্রিনার সংসার তোতন আর অরিয়নকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই চলতে থাকে...তবে, মাঝে মাঝে, হঠাৎ হঠাৎ কিছু অনাবশ্যক স্মৃতি ত্রিনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে... 
    সেগুলো যেন অস্পষ্ট...ভাসাভাসা... বিস্মৃতিতে ভরা...
    অথচ খুব চেনা ...

120 150-20%
ত্রি
ত্রি
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • বিচিত্র এক রহস্যময়তায় 
    ত্রিজগৎ একটা অস্তিত্বে এসে মেশে। তৈরি করে 
    অবিশ্বাস্য এক জটিল 
    জীবনের সমীকরণ! 
     যেখানে তিতু কখনো মিম
    আবার কখনো বা নিহান! 
    ত্রিজগতের মাঝে 
    আটকে পড়া তিতুর 
    জীবনের এ রহস্যময়তাকে 
    তুলে ধরেছে 
    বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ত্রি।

120 150-20%
ত্রিপুরার কথা
ত্রিপুরার কথা
মযহারুল ইসলাম
  • অবিভক্ত ভারতবর্ষে ক্ষুদ্র অথচ প্রাচীন রাজ্য ত্রিপুরা। আমাদের অতি নিকটবর্তী রাজ্যটি ১৯৪৭-এর দেশভাগে ভারত রাষ্ট্রাধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ত্রিপুরার মাণিক্য রাজ-পরিবারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রানি কাঞ্চন প্রভা দেবী ভারত সরকারের সঙ্গে দিল্লিতে ভারতভুক্তির আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেন ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর।
    পাঁচশত বছরের অধিক কালব্যাপী স্বাধীন রাজ্যটি মোগল, ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ  শাসনাধীনে ছিল না। তবে পরবর্তীতে মোগল ও ব্রিটিশদের সীমাহীন আধিপত্য-আগ্রাসনে রাজ্যটি নতজানু নীতি গ্রহণে বাধ্য হয়ে যায়। তাদের আনুগত্য, বশ্যতা স্বীকার করেই মাণিক্য-বংশীয় রাজারা রাজ্য-শাসন নিরাপদ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এতে রাজাদের স্বাধীনতা ছিল সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কেবল পার্বত্য ত্রিপুরাতেই তাঁরা স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করতে পেরেছিল। অপরদিকে ত্রিপুরার সমতল চাকলা রোশনাবাদ ছিল রাজাদের জমিদারি অঞ্চল। সেখানে তাদের মর্যাদা ছিল রাজারূপে নয়, জমিদার হিসেবে। ভারতভুক্তির পরই ত্রিপুরার মাণিক্য-রাজাদের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসর ঘটে। 
    গণতান্ত্রিক শাসনাধীনে ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ভারত ভূখ-ের থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন রাজ্যটির সমষ্টিগত মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শিল্প বিনিয়োগ না ঘটায় সামন্তযুগের ন্যায় আজও রাজ্যটি কৃষি অর্থনীতি নির্ভর। উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য হলেও রাজ্যটি আয়তনে এবং জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র ও স্বল্প। ভারতের বুর্জোয়ারা মুনাফার ক্ষেত্র সংকীর্ণ বিবেচনায় এরাজ্যে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হয়নি। এতে রাজ্যে হিন্দি ভাষার আধিপত্যও গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান অত্যন্ত সংকুচিত পরিসরে থাকায় বেকারত্বও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
    উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে পশ্চিম বাংলা, আসামের পর সর্বাধিক বাঙালির বাস। বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের বাংলা ভাষা পুরোপুরি পূর্ববঙ্গীয়। পশ্চিম বাংলার ন্যায় নয়। মাণিক্য-রাজাদের আমল থেকে অদ্যাবধি রাজ্যের ভাষা বাংলা। আমাদের অতি নিকটবর্তী এই রাজ্য সম্পর্কে আমাদের জানার পরিসর অত্যন্ত সীমিত। গ্রন্থটি পাঠে ত্রিপুরা সম্পর্কে পাঠকেরা অজানা অনেক তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন বলেই মনে করি।

225 300-25%
ত্রিশোত্তর বাংলা কাব্যে বিচ্ছিন্নতার রূপায়ণ
ত্রিশোত্তর বাংলা কাব্যে বিচ্ছিন্নতার রূপায়ণ
ড. এম আবদুল আলীম
  • “আবদুল আলীম সহজ ও সাবলীল ভাষায় রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা কাব্যে এই বিচ্ছিন্নতার এক চমৎকার কহন রচনা করেছেন। মনোনিবেশ কতটা একাগ্র ও মনোমুগ্ধকারী হলে এমন একটি গ্রন্থ রচনা করা যায়, আমি তা কল্পনা করতে পারি না। অনেকেরই তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে এই বইটি। আমি লেখক-কে অভিনন্দন জানাই।”
    -হাসান আজিজুল হক ‘উজান’ বিহাস, রাজশাহী ১.৩.২০১৮

263 350-25%
দড়ির উপর পাতলাদা
দড়ির উপর পাতলাদা
মনি হায়দার
  • পাতলাদা! 
    মোটেই পাতলা নয়। ইয়া মোটা তাগড়া স্বাস্থ্য। খাওয়া-দাওয়া করে প্রচুর। আর? আর করে অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা। যেমন কাক পোষে, যাদু দেখায়, রিকশা উড়িয়ে নিয়ে ঢাকা শহর যানজট মুক্ত করতে চায়, বিড়ালের সঙ্গে আড়ি দেয়। পাতলাদা’র অদ্ভুত উদ্ভট কাণ্ডকারখানার সঙ্গে আধা ডজন শাগরেদ আছে-ভোমলা, সাগর, ঈগল, আকুল, ব্যাকুল, তিন্নি। সবাইকে নিয়ে জুরাইন এলাকাটাকে ভাজে আর পোড়ে। বাংলা সাহিত্যে পাতলাদা একটি অবাক চরিত্র। ছেলেবুড়ো সবার  সঙ্গে হাত ধরে হাঁটে, ঘুমায়, খায় আর মা মিষ্টান্ন ভান্ডারে আড্ডা মারে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা।
    ‘পাতলাদা’ ছোট-বড়, দাদা-দাদি, নানা-নানি, বন্ধু-বান্ধব সবার সঙ্গে হাঁটে, খায়, গল্প করে এবং আড্ডা মারে। সবার প্রিয় চরিত্র ‘পাতলাদা’। পড়ুন এবং হাসুন।

120 150-20%
দা গাইড আর কে নারায়ণের
দা গাইড আর কে নারায়ণের
শামিম মণ্ডল
  • অদ্ভুত বিচিত্র মানবজীবনের অসাধারণ এক সৃজনশীল মানবজমিন আর কে নারায়ণের পথপ্রদর্শক। উপন্যাসটির মূল চরিত্র রাজু, তাকে ঘিরেই আবর্তিত এর কাহিনি।  তার শৈশব থেকে সন্ত হয়ে ওঠা পর্যন্ত বিভিন্ন বাঁক বদলের অনন্য গল্প এই উপন্যাস।  রাজুর শৈশব, বেড়ে ওঠা, রেলওয়ে রাজু হিসেবে পরিচিতি এবং ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত উত্থান পর্বের উপস্থাপন করেছেন লেখক।  তারপরেই রোজি বা নলিনীর সঙ্গে রাজুর ঘনিষ্ঠতা এবং ক্রমশ পতনের মর্মস্পর্শী কথন।  শেষে সাধারণমানুষ রাজুর সন্ত রাজু হয়ে ওঠার গল্প বলেছেন লেখক।  অলংকার বিবর্জিত সরল ভাষায় লেখা চেনা মানুষের গল্প এটি।  নারায়ণের স্বভাবসুলভ রসবোধ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ এবং গভীর পর্যবেক্ষণের বুননে গড়ে উঠেছে পথপ্রদর্শক ভুবন।  উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠকের মনে অনেক সত্য উঁকি দেবে, পাঠক একই সঙ্গে নিজেকে বাস্তবতা এবং বিস্ময়ের মুখোমুখি দেখতে পাবেন।  
    পথপ্রদর্শক আর কে নারায়ণের সবচেয়ে সফল উপন্যাসের একটি।  ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’ প্রাপ্ত তাঁর একমাত্র উপন্যাস।  জনপ্রিয়তায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা উপন্যাস এটি।  এই উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে একই নামে হিন্দিতে সিনেমাও হয়েছে।  সেই সিনেমা ভারতের সিনেমা ইতিহাসের অনন্য এক অর্জন।

188 250-25%
Home
Categories
Cart
Account