(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

 কামু মার্কেস ইলিয়াস ও অন্যান্য
কামু মার্কেস ইলিয়াস ও অন্যান্য
পিয়াস মজিদ
  • বিশ্বসাহিত্যের দুই মহৎ কথাশিল্পীকে নতুনভাবে নেড়েচেড়ে দেখার সাথে বাংলা ভাষার কথাসাহিত্যের কিছু নবতর বিশ্লেষণ- সংকলিত হয়েছে এই প্রবন্ধগ্রন্থে।  রবীন্দ্রনাথ যেমন আছেন বিষয়-তালিকায়, তেমনি সমাপ্তিতে রয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকজন লেখকও।
    জন্মশতবর্ষে আলবেয়ার কামুকে নতুনভাবে ফিরে দেখার প্রচেষ্টা যেমন লভ্য, তেমনি এর পাশাপাশি আছে ভুবনখ্যাত লাতিন কথাকার গার্সিয়া মার্কেস বাংলা ভাষায় কীভাবে উদ্যাপিত হয়েছেন- 
    অনুবাদে-আলোচনায়-অন্তর্গত প্রভাবে; তার সুলিখিত খতিয়ানও।  আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কথাসাহিত্য কীভাবে শিল্পের অন্যতর মাধ্যম, যেমন চলচ্চিত্র বা সংগীতকে প্রভাবিত করেছে, তা নিয়ে এখানে মিলবে ভিন্নধর্মী রচনা।  রবীন্দ্রনাথের একটি ছোটগল্পের মনোহর ব্যাখ্যান, আবদুল মান্নান সৈয়দের ছোটগল্পের নান্দীপাঠ ও শহীদুল জহিরের কথাশিল্পের নবতর উন্মোচনে প্রয়াসী তিনটি প্রবন্ধও বিষয়ের বিস্তারের কারণে নজর কাড়বে।
    এছাড়া হাসান আজিজুল হক, হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে মামুন হুসাইন পর্যন্ত নানা প্রজন্মের কয়েকজন বাঙালি কথাশিল্পীর কিছু গ্রন্থ নিয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ আলোকসম্পাতী আলোচনাও একত্রিত হয়েছে।  এই প্রবন্ধসমুদয়ের মাধ্যমে পাঠকদের কথাসাহিত্য-সংক্রান্ত ভাবনা এক ব্যতিক্রমী পথ দেখতে পাবে বলে ধারণা করা যায়।

120 150-20%
কার্টুনে মুক্তিযুদ্ধ ১
কার্টুনে মুক্তিযুদ্ধ ১
মুনতাসীর মামুন
  • একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম বিশ্বব্যাপী সিভিল সোসাইটির নানাবিধ কর্মতৎপরতায় সজীব ছিল। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে বিশ্বজনমত তৈরিতে এই কর্মতৎপরতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশ্বের নানা প্রান্তের কার্টুনিস্টরা তাদের কার্টুনে ফুটিয়ে তুলে ছিলেন একাত্তরের অস্থির ও উত্তাল সময়, পাশাপাশি বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে ও গণহত্যার বিপক্ষে তাদের অবস্থানও। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ এবং অনুপ্রাণিত করতে, জনগণের মনে প্রত্যাশা তৈরিতে ও জনমত গঠনে এই কার্টুনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রকাশিত কার্টুনগুলো আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। খুলনায় প্রতিষ্ঠিত ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে এসব কার্টুন সংগৃহীত হয়েছে।

900 1200-25%
কাল অকাল
কাল অকাল
ইমতিয়ার শামীম
  • গল্প বলার এই আঙ্গিক তার নিজের।  তিনি গল্প বলতে বলতে গ্রামের ইতিহাস বলেন, তিনি গ্রামের ইতিহাস বলতে বলতে দেশের ইতিহাস বলেন, দেশের ইতিহাস বলতে বলতে তিনি দেশের রাজনীতির অভিজ্ঞতা বলেন এবং দেশের রাজনীতির অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে তিনি বড় দাগে সত্য ও মিথ্যার উদ্ভবের কথা বলেন, মিথের কথা বলেন, এবং মিথ কীভাবে সময়কে জড়িয়ে আছে সেই প্রক্রিয়ার কথা বলে ফের আমাদের তাঁর নির্দিষ্ট উদ্ভাবিত গ্রামের মধ্যে ফিরিয়ে আনেন। ...শামীম, একপক্ষে বঙ্গীয়, কৃষিজ কিসসাকাহিনীকে আধুনিক করেছেন, অন্যপক্ষে দক্ষিণ আমেরিকা সৃষ্ট জাদু-বাস্তবতার দিকে অগ্রসর হতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।  তিনি তার ধরনে ঝগড়া করছেন বঙ্গীয় বাস্তবতার সঙ্গে এবং বঙ্গীয় বাস্তবতার কলোনিয়াল আধুনিকতার সঙ্গে। বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর শামীম ভীষণভাবে সমকালকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পরখ করেছেন বলেই মনে হয় গল্পগুলোর চরিত্র প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র নিজে; কোনো চরিত্রই যেন প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে না তার নিজস্ব সক্রিয়তা দিয়ে।  বরং সক্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বাস্তব সময়-পরিপ্রেক্ষিত। 
    সমকালের প্রতি এই অতিবিশ্বাসময়তা লেখার জন্য অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিও তৈরি করে... কিন্তু শামীম হয়তো ওই চাপটিই নিতে চেয়েছিলেন; হয়তো চেয়েছিলেন পাঠকও অনুভব করুক সেই চাপ। সমকালে বাস করবেন, অথচ সমকালের চাপ নেবেন না, তা কী করে হয়! পুতুপুতু মধ্যবিত্তের চোখ-সওয়া করে একটি গল্পও তিনি লেখেননি।- সুমন সাজ্জাদ

160 200-20%
কালাদিঘি রহস্য
কালাদিঘি রহস্য
ইকবাল খন্দকার
  • জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে মারা যান বাদল ভাই। হঠাৎ এগিয়ে আসেন রহস্যময় এক বৃদ্ধ। তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলেন বাদল ভাই নাকি মারা যাননি। 
    বৃদ্ধের কথা সত্য প্রমাণিত হয়। সত্যি সত্যি বেঁচে ওঠেন বাদল ভাই। কিন্তু সেটা সাময়িকের জন্য। আশঙ্কা করা হয়, যেকোনো সময় তিনি আবার মৃত্যুবরণ করতে পারেন।
    বৃদ্ধ বলেন তার ওষুধ ব্যবহার করলে বাদল ভাই স্বাভাবিক আয়ু পাবেন। আর এটাও বলেন, ওষুধটা তৈরি করতে হলে কালাদিঘির মাটি লাগবে।
    কিন্তু কালাদিঘির মাটি আনা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, কালাদিঘি ঘিরে রেখেছে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত। আছে বিষাক্ত সব সাপ।
    এখন তাহলে কী করবে হিমেলরা? কালাদিঘির মাটি আনতে পারবে? নাকি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে বাদল ভাইকে?

160 200-20%
কালু ডাকাত,
কালু ডাকাত,
মোশতাক আহমেদ
  • নীলপুর আর আশেপাশের গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কালু ডাকাতের অত্যাচারে।  আজ এই গ্রামে তো কাল ঐ গ্রামে ডাকাতি করছে কালু ডাকাত আর তার দল।  ভয়ে সন্ধ্যার পর কেউ দরজা জানালা খোলা রাখে না এই গ্রামগুলোতে।  এই কালু ডাকাতকে ধরার প্রজেক্ট হাতে নেয় শিশিলিনের ক্ষুদে গোয়েন্দারা।  কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি কালু ডাকাত আর তার দলের সদস্যরা কতটা ভয়ংকর।  গোপন ফাঁদ পেতে তারা বন্দি করে ফেলে লেলিনকে।  হাত-পা মুখ বেঁধে তাকে নিয়ে যায় কাফনঝিলে।  সেখানে লেলিনের চোখের সামনেই কবর খোঁড়া হয়।  ঐ কবরে জ্যান্ত মাটি দেয়া হবে লেলিনকে।  লেলিন মুক্তির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে।  একসময় বুঝতে পারে তার মুক্তির আর কোনো উপায় নেই।  কারণ সে যে এখানে বন্দি তা কেউ জানে না।  এমন কী শিশিরও না।  তাহলে কে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে? আর কে আটক করবে কালু ডাকাত আর তার দলকে?
    শেষ পর্যন্ত কী শিশির উদ্ধার করতে পেরেছিল লেলিনকে? আর ধরতে পেরেছিল দুর্ধর্ষ কালু ডাকাত আর তার দলের ভয়ংকর সদস্যদের?

160 200-20%
কালো টিউলিপ
কালো টিউলিপ
রওশন জামিল
  • কর্নেলিয়াস ফন বায়ার্লা একজন মানী টিউলিপ চাষি। তাঁর জীবনের মোক্ষ কালো টিউলিপ আবিষ্কার করে এক লাখ স্বর্ণমুদ্রা জিতে নেওয়া। নিয়তির অদৃশ্য কারসাজিতে কর্নেলিয়াস এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে জীবনের জন্য নির্বাসিত হলেন কারান্তরালে, ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না কুচক্রী তাঁরই প্রতিবেশী যার চোখ তাঁর কালো টিউলিপের দিকে। এই কারাগারেই কারাপালের মেয়ে রোসার প্রেমে পড়লেন কর্নেলিয়াস। কারাগারের নিভৃতে রচিত হলো এক চিরায়ত প্রেমোপাখ্যান, যা রহস্য গল্পকেও হার মানায়। দি ব্ল্যাক টিউলিপ আলেকজান্ডার দ্যুমার শেষ ঐতিহাসিক উপন্যাস। ইতিহাসের রক্তাক্ত ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে রোম্যান্টিক প্রণয়, ঈর্ষা আর আচ্ছন্নতার কাহিনি।

300 400-25%
কালোচিতার প্রেতাত্মা
কালোচিতার প্রেতাত্মা
অরুণ কুমার বিশ্বাস
  • জর্জ চাচার কাছে বেড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়ে কাজল।  চীন দেশের তিয়ানজিন শহর থেকে সহসাই কে বা কারা ওর চাচাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  চাচাকে খুঁজতে গিয়ে কাজলের সঙ্গে আলাপ হয় বাংলাদেশি ছেলে অর্জুনের।  কদিন বাদে জর্জ চাচার চিঠি আসে যে সে ভাল আছে।  তাকে কোনো এক গভীর অরণ্যে লুকিয়ে রেখেছে ওরা।  যেখানে কিনা চেপাং মানে কালোচিতার প্রেত্মাতার ডাক শোনা যায়।  অর্জুনের সহপাঠী ছি মা ওয়্যাং ওরফে মাছি ওদের সাথে হাত মেলায়।  দুর্ধর্ষ অভিযাত্রী মাছির নেতৃত্বে জর্জ চাচাকে খুঁজতে থাকে কাজল, অর্জুন আর ইন্ডিয়ান ক্যাবচালক পাঞ্চু।  গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ওরা লোকাল বনরক্ষকের চেলা কুফুকে হাত করে।  তার মাধ্যমে ওরা চাচাকে খুঁজতে রেড ফরেস্টের গুজু পয়েন্টে পৌঁছে যায়।  সেখানে এক গোঁফঅলা ছুপা রুস্তমের ট্র্যাপে পড়ে অর্জুন ও তার বাহিনী।  জানতে পারে যে জর্জ নয়, বরং কাজলই ছিল ওদের মূল টার্গেট।  মধ্যরাতে কালোচিতার গা হিম করা চিৎকার আর অমূল্য এক পাথরকে ঘিরে গড়ে ওঠে ভয়ঙ্কর এক বিভীষিকা।

100 125-20%
কিডন্যাপের কবলে পাঁচ গোয়েন্দা
কিডন্যাপের কবলে পাঁচ গোয়েন্দা
সুমন্ত আসলাম
  • রাফিন প্রচণ্ড রাগ নিয়ে বলল, ‘আমরা তো এ রাস্তায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠিনি।’
    ‘এই গাড়িটা কার?’ খিকখিক হেসে উঠল মাইক্রোবাসের ড্রাইভার।
    ‘আপনার।’ রাফিন উত্তর দিল।
    ‘আমার গাড়ি তো আমার মতোই যাইব, নাকি?’
    ‘কিন্তু আমরা ওদিকে যাব কেন?’
    ‘কারণ আছে।’
    ‘কীসের কারণ?’
    ‘আপাতত কওয়া নিষেধ আছে।’ খিকখিক করে এখনো হাসছে ড্রাইভার।
    ‘কার নিষেধ আছে?’
    ‘সেইটা কওয়াও নিষেধ আছে।’
    ডিটেকটিভ ফাইভের পাঁচ গোয়েন্দা টের পেল- ফাঁদে পড়েছে তারা। সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে তাদের!

120 150-20%
কিশোর কবিতা সমাহার
কিশোর কবিতা সমাহার
স.ম. শামসুল আলম
  • দীর্ঘ সময় নিয়ে লেখা ৬টি কিশোর কবিতা গ্রন্থের একত্রীকরণ হলো কিশোর কবিতা সমাহার-এ।  সহজ-সরল ভাষায় লেখা কবিতাগুলোতে বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে।  ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, মনীষীদের জীবনী প্রাধান্য পেয়েছে।  এই বইটি কিশোরদের মনে একটি আলাদা জগৎ সৃষ্টি করবে।  দেশ-মানুষ-ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতির সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি হবে।

300 400-25%
ব্ল্যাক ম্যাজিক ( কিশোর মুসা রবিন সিরিজ ) (হার্ডকভার)
ব্ল্যাক ম্যাজিক ( কিশোর মুসা রবিন সিরিজ ) (হার্ডকভার)
রকিব হাসান
  • ইংল্যান্ডের ইস্ট অ্যাংলিয়া শহরটা ডাইনিদের শহর। জরুরি তলব পাঠালেন কিশোরের চাচা রাশেদ পাশা, কিশোর আর রবিনকে সেখানে যেতে হবে, মিউজিয়ামের প্রফেসর ওল্ডম্যানকে সাহায্য করার জন্য- তিনি যে সাহায্য চান সেটাই করতে হবে। রওনা হলো প্রফেসরের সাথে দেখা করতে। পথে এক আশ্চর্য মিছিলের মুখোমুখি হলো। ডাইনিদের শবযাত্রা। বুড়ো ডাইনিকে কবর দিতে নিয়ে চলেছে। কৌতূহল দমন করতে না পেরে কিশোর আর রবিনও গাড়ি থেকে নেমে মিছিলের পেছন পেছন চলল। কফিনটা কবর দেয়া হলো এক পুরানো দুর্গের পাশের গোরস্থানে। তারপর থেকেই ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা। ক্রমেই জটিল হচ্ছে রহস্য।
    রহস্যের জাল ছিন্ন করে যে কোনো বিপদ থেকে বেরিয়ে আসাই তিন গোয়েন্দার কাজ। কিন্তু এবার যে মরতে চলেছে...

200 250-20%
কিশোর মুসা রবিন : উড়ন্ত হাতি
কিশোর মুসা রবিন : উড়ন্ত হাতি
রকিব হাসান
  • আকাশে ইঞ্জিনের গর্জন শুনে দৌড়ে ঘর থেকে বেরোল কিশোর আর রবিন।  দেখল চকচকে রুপালি একটা এয়ারবেলুন উড়ে যাচ্ছে।  হঠাৎ ওটা থেকে বেরিয়ে এলো একটা হাতি।  আকাশেই বিস্ফোরিত হলো হাতিটা।  বিকট শব্দ।  অদ্ভুত ব্যাপার! হাতি কি করে বিস্ফোরিত হয়? তখনই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল দুজনে।  ওদের ধারণা রকি বিচে নতুন গড়ে ওঠা অ্যানিমেল পার্ক-এর হাতি ওটা।  পার্কে গিয়ে মুসার দেখা পেল।  নার্ভাস হয়ে আছে।  কারা নাকি রহস্যময়ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে এই হাতির রহস্যে জড়ালে ওদের মৃত্যু হবে।  ব্যস, আর কি চাই।  আকাশে হাতি বিস্ফোরণ, তার সঙ্গে মৃত্যুর হুমকি, তিন গোয়েন্দার জন্য যথেষ্ট।  সব হুমকি উপেক্ষা করে তদন্তে নেমে পড়ল ওরা।  ক্রমে ক্রমে ওদের উপলব্ধি হলো, লোকগুলোর হুমকি মিথ্যে নয়।

160 200-20%
গুপ্তধনের সংকেত ( কিশোর মুসা রবিন সিরিজ ) (হার্ডকভার)
গুপ্তধনের সংকেত ( কিশোর মুসা রবিন সিরিজ ) (হার্ডকভার)
রকিব হাসান
  • এক ঝাঁক গুলির শব্দ হলো। ভয় পেয়ে লম্বা ঘাসের ভেতর দিয়ে দৌড় দিল বুনো মোষের পাল। সোজা কিশোর আর রবিনের দিকে। এদিক-ওদিক তাকিয়ে পালানোর কোনো পথ দেখল না দুই গোয়েন্দা। মুসাকেও দেখতে পাচ্ছে না যে কোনো সাহায্য করতে পারবে। মৃত্যু নিশ্চিত, অনুমান করল ওরা...
    ভাইকিং জলদস্যুদের গুপ্তধন খুঁজতে উত্তর কানাডার নির্জন-দুর্গম বনে গিয়ে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। হিংস্র জন্তুজানোয়ার আর তারচেয়ে হিংস্র আধুনিক দস্যুদের সঙ্গে বাধল সংঘাত। মানুষখেকো ভালুক, নেকড়ে, কালো মাছির মতো মারাত্মক প্রাণীদের সঙ্গে সঙ্গে বুনো মোষের পালও হয়ে উঠল ওদের চরম শত্রু। কিশোরের চাচা দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা জায়গাটার ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে : ‘গ্রেট স্লেভ লেকের ঠিক উত্তরে বিখ্যাত উড বাফেলো ন্যাশনাল পার্ক, যেখানে পৃথিবীর বৃহত্তম বুনো মোষের পাল বাস করে, কানাডিয়ান সরকারের নিরাপত্তায়। বনে বাস করা ওই বুনো মোষরা মারাত্মক হিংস্র, খুনে জানোয়ার, কোনো কারণ ছাড়াই সব সময় আক্রমণের জন্য মুখিয়ে থাকে। বিশাল জানোয়ার, সারা গায়ে ঝাঁকড়া বড় বড় লোম। পার্কটাতে আরও আছে মেরুশেয়াল, মেরুনেকড়ে, ভয়ংকরতম দানবীয় গ্রিজলি ভালুক। জায়গাটা সুন্দর, তবে বুনো। মানুষের অপঘাতে মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত।’

200 250-20%
কিশোরগল্প সমাহার
কিশোরগল্প সমাহার
স.ম. শামসুল আলম
  • শিশু-কিশোর উপযোগী ২৫টি নির্বাচিত গল্প নিয়ে কিশোর গল্প সমাহার।  গল্পগুলো বিভিন্ন বিষয়ে লেখা। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশ ও মাটি, মমত্ত্ববোধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ, হাস্যরস ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।  শুধু শিশু-কিশোর নয়, বড়রাও গল্পগুলো পড়ে আনন্দ পাবেন, সেই সাথে অনেক ভাবনার জায়গাও তৈরি করে নিতে পারবেন।  প্রতিটি গল্প স্বতন্ত্র।  চারপাশের চেনা চরিত্র ভিড় জমিয়েছে।  গল্পগুলো সবার মনে নতুন নতুন কল্পনার জগৎ সৃষ্টিতে সক্ষম।

225 300-25%
কুতুপালংয়ের ভূতপাহাড়ে
কুতুপালংয়ের ভূতপাহাড়ে
ডা. সজল আশফাক
  • ঘটনাটা ১৯৯২ সালের। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলাধীন কুতুপালং এলাকায়। ছোট ছোট টিলা আর গাছপালায় ঘেরা কুতুপালং। সদ্য পাস করা ডাক্তার আরিফ রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সেখানকার একটি মেডিক্যাল সেন্টারে যোগ দেয়। প্রথমদিকে একাকিত্ব তাকে বিষন্ন করলেও পরে পাহাড়, নৈসর্গিক পরিবেশ তাকে আকর্ষণ করে এবং একরাশ মুগ্ধতা নিয়েই কুতুপালংয়ে কাজ করতে থাকে ডাক্তার আরিফ। কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চল বলে কথা। নানা পেশার মানুষ, অন্য ধরনের ভাষা এবং ভিন্ন জীবনপ্রণালি তাকে মুখোমুখি করে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার। পাহাড়ের পাদদেশেই ছিল আরিফের মেডিক্যাল সেন্টার এবং থাকার ব্যবস্থা। মেডিক্যাল সেন্টারের গা ঘেঁষে বিশাল এলাকাজুড়ে পাহাড়ের গায়ে ছিল অসংখ্য কবর। কবর নিয়ে প্রচলিত আছে বিচিত্র গল্প। সেই গল্পের সাথে যোগ হয় আরও একটি ভূতের গল্প, যার অন্যতম সাক্ষী আরিফ। এই গল্পটি এখনো কুতুপালং এলাকার মানুষের মুখে মুখে ভূতের গল্প হিসেবে প্রচলিত আছে। কিন্তু কুতুপালংয়ের ভূতরহস্য জানতে হলে পড়তে হবে এই বই।

120 150-20%
কুন্তীর বস্ত্রহরণ (হার্ডকভার)
কুন্তীর বস্ত্রহরণ (হার্ডকভার)
হরিশংকর জলদাস
  • কুন্তীর বস্ত্রহরণ কিছু বাস্তুহারা মানুষের মর্মন্তুদ কাহিনি। '৪৭-এর দেশভাগ, '৭১-এর। স্বাধীনতা—এই উপন্যাসের ভিন্ন দুটো চরিত্র। যে উদ্দেশ্যে দেশভাগ বা একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, কিছু লােভী মানুষের কারণে সেই উদ্দেশ্যটাই নস্যাৎ হয়েছে বারবার। ভূমিদখল—এই উপন্যাসের প্রধান ঘটনা। কিন্তু কিছু মানুষ ভূমিলােভীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমলেন্দু রায়চৌধুরী, বিপিন গুহ, অজয় পাল, কুন্তী-ওই রুখে দেওয়াদের কেউ কেউ। তাদের বাধার কারণে ইয়াছিন মােল্লা কি রামচন্দ্রপুরের জমিদারবাড়িটি দখলে নিতে পারে? এককালের ছাত্র জব্বার শিক্ষক বিপিন গুহের বসতভিটেটা কি আত্মসাৎ করতে পারে? চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সামনে। মূর্তিমান বাধা হয়ে দাঁড়ায় কুমােরপাড়ার কুন্তী। কুন্তীকে ডিঙিয়ে একাত্তরের রাজাকার আবুল কাশেম কি কুমােরদের শ্মশানটি জবরদখল করতে পারে? শেষ পর্যন্ত কুন্তীর কী পরিণতি হয়? এই উপন্যাসের নাম। কুন্তীর বস্ত্রহরণ কেন? এই সকল প্রশ্নের উত্তর আছে এই উপন্যাসে। সকল কিছুকে ছাপিয়ে উপন্যাসটি শেষ অবধি। কুমােরদের সমাজালেখ্য হয়ে উঠেছে। হরিশংকর জলদাসের উপন্যাসের প্রধান মূলধন বিষয়বৈচিত্র্য। কুন্তীর বস্ত্রহরণ তার উদাহরণ। বরাবরের মতাে এই উপন্যাসেও হরিশংকরের ভাষা সরল, মনােগ্রাহী এবং ইঙ্গিতময়।

160 200-20%
কেউ বলে বৃক্ষ কেউ বলে নদী
কেউ বলে বৃক্ষ কেউ বলে নদী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সমাজ ও প্রকৃতিতে যেমন সংস্কৃতিতেও তেমনি, বৃক্ষ ও নদী দুটোই চাই। এ বইতে সেই প্রয়োজনীয়তার কথাটাই বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখানো হয়েছে বৃক্ষের বিকাশ এবং নদীর প্রবাহ কিভাবে ব্যাহত হয়। ব্যাহত হওয়ার মূল কারণটা হচ্ছে রাজনৈতিক। রাজনীতির পেছনে, কেন্দ্রে ও সামনে কাজ করে রাষ্ট্র। 
    বাংলাদেশে রাষ্ট্রের শাসন স্বৈরাচারী। সে শাসন সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রিত ও বিব্রত করে চলেছে। মানুষ চায় এ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি। তার জন্য আবশ্যক একটি সমাজ বিপ্লব। যেটি ঘটেনি। ঘটা যে কত জরুরি তাও উঠে এসেছে এ বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে। 
    সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যা-ই লেখেন তাতে ইতিহাসের প্রবহমানতার কথা থাকে। ‘কেউ বলে বৃক্ষ কেউ বলে নদী’তেও তা আছে। জটিল বিষয় সরল করে লেখার গুণ প্রবন্ধগুলোর অতিরিক্ত আকর্ষণ।

188 250-25%
 ক্ষমতা ও সাম্রাজ্য
ক্ষমতা ও সাম্রাজ্য
ফকরুল চৌধুরী
  • আমরা সীমান্তবিহীন এক সাম্রাজ্যে বাস করছি।  এই সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা নিয়ে আছে বহুরকমতা।  সাম্রাজ্য বলতে এতোদিন আমরা ঔপনিবেশিক অধিগত এলাকাকে বুঝতাম।  সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য বিস্তারের রীতিতে যা দুনিয়াব্যাপী কায়েম করেছিল ইউরোপীয় আগ্রাসী শক্তি।  এখন আর উপনিবেশ নেই, তাই সাম্রাজ্যও না থাকার কথা। কিন্তু সাম্রাজ্য ঠিকই আছে।  সাম্রাজ্যবাদও আছে বহাল তবিয়তে।  তবে বর্তমানের সাম্রাজ্যবাদের ধরন বদলিয়েছে।  সে এখন সরাসরি উপনিবেশ স্থাপন করে না, ক্ষমতার কুশলী ব্যবহারে সে পারদর্শী।  তন্তুজালিকার মতো সে ক্ষমতার বিস্তার করেছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রক সুতোটা ধরে রেখেছে নিজের মুঠোয়।  এর মধ্যে তৈরি হয়েছে নয়া-সাম্রাজ্যবাদী তৎপরতা।  এই সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শক্তি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  এই সাম্রাজ্য ও সাম্রাজ্যবাদের নতুন তৎপরতার বাখ্যায় এ বই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

140 175-20%
খণ্ডিত সময়
খণ্ডিত সময়
ইসহাক হাফিজ
  • কখনো সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ, কখনো অস্ট্রেলিয়ার হাইড পার্ক-ইসহাক হাফিজের গল্পগুলো ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।  ছোট ছোট মানবিক দুঃখ-ব্যথা আর অনুভূতির অনন্য মিশেল অদ্ভুত রসায়নে একাত্ম হয় এখানে।  নানা সুর আর স্বরের বিচিত্রতায় এ বইয়ের গল্পেরা স্বতন্ত্র।  মানব-মানবীর সম্পর্ক, যৌনতা, তাদের নস্টালজিয়া, ঘুরে দাঁড়ানোর চিরন্তন প্রবণতা টুকরো টুকরো ছবির মতো এঁকেছেন লেখক।  প্রথাগত ছোটগল্পের চেয়ে বেশি কিছু যেন খণ্ডিত সময়।  প্রকৃতপক্ষে মানুষের সমগ্র জীবনটাই এ রকম খণ্ড খণ্ড সময়ের, অনুভূতির সমষ্টি। ফলে এটি শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত জীবনেরই ইশারা।  লেখকের বর্ণনায় এখানকার চরিত্রেরা যেমন জীবন্ত হয়ে উঠেছে, তেমনি তাদের অনুভবের প্রগাঢ়তা ছুঁয়ে যাবে পাঠকের মন।  বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা আর কৌতূহলোদ্দীপক বর্ণনায় খণ্ডিত সময় পাঠকালে এক আনন্দময় পরিভ্রমণের অভিজ্ঞতাই যেন লাভ করি আমরা।

120 150-20%
খাওয়ার জন্য বাঁচি, না-বাঁচার জন্য খাই
খাওয়ার জন্য বাঁচি, না-বাঁচার জন্য খাই
ডা. সজল আশফাক
  • বাঁচার জন্য খেতে হবে সেটাই স্বাভাবিক।  যে কোনো খাবার গ্রহণের সময় খাবারের রূপ-গন্ধ-রস আমাদেরকে আকর্ষণ করে, দেয় বাড়তি স্বাদ।  স্বাদ আস্বাদন করতে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই পরিমিতিবোধ।  এভাবেই বিশেষ কিছু খাবার হয়ে ওঠে প্রিয় খাবার।  বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ মানেই বাড়তি খাবার গ্রহণ।  ফলশ্রুতি যা হবার তাই হয়, ঝুঁকির মধ্যে পতিত হয় আমাদের দেহঘড়ি।  কিন্তু ঝুঁকির কথা ভেবেও অকারণ বাড়তি প্রিয় খাবার গ্রহণ থেমে থাকে না।  এভাবেই একসময় বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ায় যেন, খাওয়ার জন্যই বুঝি এই বেঁচে থাকা।  কিন্তু আসলে কী বিষয়টি তাই হওয়া উচিত? নিশ্চয়ই না।  মানুষ খাওয়ার জন্য বাঁচে না, বাঁচার জন্যই খায়।  আর সুস্থভাবে বাঁচার জন্য খেতে হবে জেনেশুনে।  প্রিয় খাবারটি হতে হবে সার্বিক বিচারে স্বাস্থ্যকর।  আর যদি খাওয়ার জন্যই হয় এই বেঁচে থাকা, তাহলে পরিণামে একসময় অস্বাস্থ্যকর প্রিয় খাবারই বয়ে আনবে অপ্রিয় খবর, দেহঘড়িতে হবে ছন্দপতন।

300 400-25%
খাদ্য, কিন্তু আহার্য নয়
খাদ্য, কিন্তু আহার্য নয়
সিরাজ সালেকীন
  • খাদ্য বঙ্গজনের অস্তিত্বের সমরূপ-এতে আছে নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, রাজনৈতিক অর্থনীতি, ক্ষমতার হিসাবনিকাশ, ধর্মকর্ম ও কাব্যকীর্তি। ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডাল, দুধ, তেল, লবণ ও পান কেবল খাদ্য বা খাদ্যশব্দ নয়, জীবনচর্চা অর্থাৎ সংস্কৃতি। বর্তমান গ্রন্থে নয়টি প্রবন্ধে খাদ্যশব্দ নিয়ে বঙ্গজনের সমাজমনের গতিপ্রকৃতি সুলুকসন্ধানের চেষ্টা আছে। আদিবৈদিক থেকে পৌরাণিক পর্ব-সংস্কৃত পরিমণ্ডল ও অভিধান ঘুরে বঙ্গীয়দের জলাভূমির স্পর্শধন্য বচন-প্রবাদ খাদ্য, কিন্তু আহার্য নয় গ্রন্থের বক্তব্যভিতের প্রধান সহায়।

188 250-25%
 খাবার যখন খেতে বারণ
খাবার যখন খেতে বারণ
কামরুল আহসান
  • এটা খাবেন না, ওটা খাবেন না- এমন বারণ প্রায়শই শুনতে হয় আমাদের।  জীবনধারণের জন্য খাবার তো খেতেই হবে।  তাতে আবার বারণ-নিষেধ কেন! বাছ-বিচারই বা কেন করতে হবে? ঠিক তাই- জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন নানা রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধে দেহে।  ঔষধপত্রের পাশাপাশি বারণ আসে খাবারে।  প্রিয় খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কেন এই নিষেধাজ্ঞা, কোন রোগেই বা কোন খাবার খেতে বারণ? তারই উত্তর পাওয়া যাবে এ লেখায়।

120 150-20%
খাস কামরা
খাস কামরা
স.ম. শামসুল আলম
  • আকমল সাহেব মাটিতে দাঁড়িয়ে আছেন নাকি শূন্যে দাঁড়িয়ে আছেন তা বুঝতে পারছেন না।  এমন একটি অভিযোগ তাঁর মতো মানুষের বিরুদ্ধে হতে পারে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। এবার এডিসি সাহেব মুখ খুললেন, কী ব্যাপার আকমল সাহেব, চুপসে গেলেন যে! ধর্ষণ করা আর ধর্ষণের জন্য বল প্রয়োগ করা সমান শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  নাকি বলেন মিস্টার আকমল?
    আকমল সাহেবের মুখ দিয়ে একটি কথাও বের হচ্ছে না।  মনে হচ্ছে তিনি আর এই জগতে নেই।  পরজগতের কোনো হিসাব-নিকাশ নিয়ে ফেরেস্তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি।  তিনি দুচোখ বন্ধ করে রাখলেন।  যা হবার হয়ে যাক, এসব কথা শোনাও যেন পাপ।  ওসি সাহেব রিংকিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার নাম যেন কী?

160 200-20%
খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার
খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার
মাহবুব আলম
  • প্রচলিত বয়ানের বাইরে ইতিহাসের যে সমস্ত ঘটনা ও কাহিনি রয়ে যায় অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে, সেরকম কিছু ঘটনা-কাহিনিই এই বইতে সরসভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে বাংলার এক হাতি সমৃদ্ধ করল সুদূর মার্কিন-মুল্লুকের সার্কাসকে, টিপু সুলতানের তিন দূত কেমন করে পৌঁছুলেন ফরাসি সম্রাটের দরবারে, সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক সম্রাট অশোকের স্তম্ভলিপি সেই প্রযুক্তিহীন দিনে মিরাট থেকে কীভাবে নদীপথে তাঁর নবনির্মিত রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে এসেছিলেন এবং বহুদিন পর এক ইংরেজ সিভিলিয়ান জেমন প্রিনসেপ কেমন করে সেই স্তম্ভলিপির পাঠোদ্ধারে সক্ষম হলেন সেই অসাধ্যসাধনের কাহিনি, ইংরেজ যুবরাজের আগমনে কেমন ব্যতিব্যস্ত হয়েছিল উনিশ শতকের কলকাতা নগরী কিংবা অতীতে বাঙালির সাহেব-ভজনার ও রসালো-প্রীতির হাল-হকিকত   এ রকম কয়েকটি জানা, কম-জানা অথবা না-জানা ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ সম্পর্কে পাঠক জানতে পারবেন এখান থেকে।  ইতিহাসের জমকালো সিংহদুয়ারের কাহিনি যেমন এখানে আছে, তেমনি রয়েছে লুকিয়ে থাকা মলিন খিড়কি-দরজার আখ্যানও।  খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার অব্দি বিস্তৃত এই সব ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ ইতিহাসের যথাযোগ্য মান্যসূত্র ও নির্ভরযোগ্য তথ্যাদির সাহায্য নিয়েই বিবৃত হয়েছে।

160 200-20%
খুকি
খুকি
আন্দালিব রাশদী
  • স্বপ্ন এবং বাস্তবের মধ্যে খুকির জীবনযাপন। গর্ভের সন্তানের চেহারা একজন গুণ্ডারমতো কেন? কী সম্পর্ক খুকির সঙ্গে তার? এসব মানবিক প্রশ্ন, ভয় ও শঙ্কার মধ্যে এই নারীর উপলব্ধি ঘটে—সে যেন হাজার বছর ধরে একটা গুণ্ডারবাচ্চা তার পেটের ভেতর বহন করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হয় না। নাকি এটাও কোনো রূপক। রূপকের আড়ালে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা স্বপ্ন ও বাস্তবের আড়াল ঘুচিয়ে দেয় এই কাহিনি।
    পুরো গল্পই একাত্তরের। কিন্তু বাস্তবের সেই মহান আত্মত্যাগের সঙ্গে এসে মিলেছে লেখকের কল্পনা। ফলে বাস্তবের সঙ্গে মিশেছে ব্যক্তি মানুষের স্বপ্ন ও পরাবাস্তবের নানা পরিপ্রেক্ষিত। আন্দালিব রাশদীর সরল ভাষার বুননে উঠে এসেছে এমনই চমকপ্রদ কাহিনি। প্রেম, বিশ্বাস, অবিশ্বাসে ভরা ঠাস বুনট এই কাহিনি কোথাও রহস্যে মোড়া, কোথাও বেদনা-বিষাদে আচ্ছন্ন। আন্দালিব রাশদী রউপন্যাস মানেই চমক। এখানেও তার কমতি নেই।

160 200-20%
খুন ও ভালোবাসা
খুন ও ভালোবাসা
সেলিনা হোসেন
  • শাহরিয়ার একজন খুনী।  অনেক বছর আগে খুন করেছে নিজের ভালোবাসার মানুষ শামান্তাকে।  বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।  পালায় সে।  তবে পলাতক খুনীর নীল জীবনে বয়ে যায় অনুতাপ পরিতাপ ও লুকোনো স্বভাবের বিষাক্ত প্রবাহ।  একদিন শাস্তি নিতে থানার পথ ধরে শাহরিয়ার।  তখনই রহস্য ভেদ করে রক্তপদ্মের মতো ফুটে ওঠে আরেক গল্প।  জীবন যেখানে দারুণ নির্জন, দারুণ সহজ...আর বেয়ে ওঠে আবেগের ডালপালায়।  

160 200-20%
 খুলি বাবা
খুলি বাবা
মোশতাক আহমেদ
  • লালপুর গ্রামে শিক্ষাসফরে এসেছে শিশির।  এসেই জানতে পারল জব্বার মামা নিখোঁজ।  তার খোঁজে তার পালিত ভাগ্নে বাবুল পাগলপ্রায়।  জব্বার মামাকে খুঁজতে গিয়ে শিশির জানতে পারল খুলি বাবার কথা।  খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে।  থাকে টিলার উপর, সারিয়ে ফেলতে পারে যে কোনো অসুখ।  খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতার উৎস জানার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে শিশির। তার সাথে এসে যোগ দেয় লেলিন।  দুজন নামে গোপন অভিযানে। একসময় বুঝতে পারে রহস্যময় কিছু মানুষ আসে খুলি বাবার টিলায়।  তারা রাতের অন্ধকারে আসে আবার রাতেই চলে যায়।  এই মানুষগুলো খুব ভয়ংকর।  কারণ তাদের কাছে অস্ত্র থাকে।  কারা এরা? রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে শিশির-লেলিন আটক হয় রহস্যময় মানুষগুলোর কাছে।  তারা সিদ্ধান্ত নেয় হত্যা করবে শিশির আর লেলিনকে।  বস্তায় ভরে নিক্ষেপ করে খালের পানিতে।  কেউ নেই তাদের বাঁচানোর। 
    শেষ পর্যন্ত কী বাঁচতে পেরেছিল শিশিলিনের ক্ষুদে দুই সদস্য? আর কী ছিল খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতার উৎস? আর কেনই বা নিখোঁজ হয়েছিল জব্বার মামা?

160 200-20%
খুশবন্ত সিং ১
খুশবন্ত সিং ১
আন্দালিব রাশদী
  • খুশবন্ত সিং-এর লেখালেখিতে যৌনতার একটুখানি বাড়াবাড়ি তাঁকে বানিয়েছে দিল্লির ডার্টি ওল্ডম্যান।  খুব কাছে থেকে যাঁরা তাঁকে চেনেন, কেউ কেউ লিখেছেন, নারীর উষ্ণতা তাঁর রচনায় আছে বটে, কিন্তু তাঁর বিছানায় ছিল না; বিছানায় ছিল বড়জোর হট ওয়াটার ব্যাগের উষ্ণতা।
    আবার তাঁকেই বলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ওল্ডম্যান অব ইন্ডিয়ান জার্নালিজম’। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিউইয়র্ক টাইমসে তিনি লিখেছেন, স্কুল ফাইনাল পাসের সার্টিফিকেট না থাকায় ইন্দিরা কেরানির চাকরিও পেতেন না।  সেই প্রধানমন্ত্রীর  ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে বলেছেন, গুন্ডা।  অন্যদিকে ইন্দিরার জারি করা জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানানোর কারণে তাঁকে বলা হয়েছে, চামচা।  তিনি লিখেছেন, গর্দভও প্রধানমন্ত্রী হয়।  যেমন দেবগৌড়া।  বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে, খামে কেবল লিখা : বাস্টার্ড খুশবন্ত সিং, ইন্ডিয়া।  চিঠি পৌঁছে গেছে তাঁর কাছে।  তিনি এমনই সুপরিচিত!
    ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা ইংরেজিকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অন্যতম প্রধান খুশবন্ত সিং।  কথাসাহিত্য ও সাংবাদিকতা-দুটো একসঙ্গে মেলালে পাঠকভাগ্যে কেউ তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।  বিশ্বস্ত ও সুখপাঠ্য অনুবাদে খুশবন্ত সিং-কে পেতে আন্দালিব রাশদীই প্রধান ভরসা, তিনিই দিতে পারেন খুশবন্ত  সিং-এর হরেক রকম স্বাদ। এই দুখণ্ড বই ছাড়া যে আপনার সংগ্রহটি অসম্পূর্ণ।

188 250-25%
খুশবন্ত সিং ২
খুশবন্ত সিং ২
আন্দালিব রাশদী
  • খুশবন্ত সিং-এর লেখালেখিতে যৌনতার একটুখানি বাড়াবাড়ি তাঁকে বানিয়েছে দিল্লির ডার্টি ওল্ডম্যান।  খুব কাছে থেকে যাঁরা তাঁকে চেনেন, কেউ কেউ লিখেছেন, নারীর উষ্ণতা তাঁর রচনায় আছে বটে, কিন্তু তাঁর বিছানায় ছিল না; বিছানায় ছিল বড়জোর হট ওয়াটার ব্যাগের উষ্ণতা।
    আবার তাঁকেই বলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ওল্ডম্যান অব ইন্ডিয়ান জার্নালিজম’।  ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিউইয়র্ক টাইমসে তিনি লিখেছেন, স্কুল ফাইনাল পাসের সার্টিফিকেট না থাকায় ইন্দিরা  কেরানির চাকরিও পেতেন না।  সেই প্রধানমন্ত্রীর  ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে বলেছেন, গুন্ডা।  অন্যদিকে ইন্দিরার জারি করা জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানানোর কারণে তাঁকে বলা হয়েছে, চামচা।  তিনি লিখেছেন, গর্দভও প্রধানমন্ত্রী হয়।  যেমন দেবগৌড়া।  বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে, খামে কেবল লিখা : বাস্টার্ড খুশবন্ত সিং, ইন্ডিয়া। চিঠি পৌঁছে গেছে তাঁর কাছে।  তিনি এমনই সুপরিচিত!
    ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা ইংরেজিকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অন্যতম প্রধান খুশবন্ত সিং।  কথাসাহিত্য ও সাংবাদিকতা-দুটো একসঙ্গে মেলালে পাঠকভাগ্যে কেউ তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।  বিশ্বস্ত ও সুখপাঠ্য অনুবাদে খুশবন্ত সিং-কে পেতে আন্দালিব রাশদীই প্রধান ভরসা, তিনিই দিতে পারেন খুশবন্ত  সিং-এর হরেক রকম স্বাদ। এই দুখণ্ড বই ছাড়া যে আপনার সংগ্রহটি অসম্পূর্ণ।
         

188 250-25%
গণতন্ত্র ও নয়াগণতন্ত্র
গণতন্ত্র ও নয়াগণতন্ত্র
আবুল কাশেম ফজলুল হক
  • গণতন্ত্র কি আগের মতোই আছে নাকি নতুন পোশাক পরে হাঁটতে শুরু করেছে, আমরা কি তার স্বরূপ জানি? কিংবা যে গণতন্ত্রের কথা আমরা শুনে আসছি তার কি আজকের পুঁজিবাদী বিশ্বের সঙ্গে মিল আছে? গণতন্ত্রের বর্তমান কাল কি প্রকৃত গণতন্ত্রের?
    এসব প্রশ্ন যখন আমাদের দরোজায় কড়া নাড়ছে, তখনই আমরা ছুটে যাচ্ছি প্রকৃত গণতন্ত্রের সন্ধানে।  কেননা, আমরা দেখছি গণতন্ত্রের রক্তিম মুখ, তীব্র রাতে যেন জ্যোৎস্না হারানো অন্ধকার। অথবা যে পথটি তৈরি হয়েছিল- কালের বিবর্তনে সেই পথে আজ খানাখন্দ।
    এই পথে হাঁটে না জীবন, হেঁটে যায় হয়তো অন্ধরা।  এটাকে আমরা গণতন্ত্রের করাল গ্রাস বলবো নাকি কোনো মৃতপ্রায় তন্ত্রের কথা বলবো? এই বই জানান দিয়েছে আরও নতুন কিছু।  যেখানে হবে প্রকৃত গণতন্ত্রের চাষ।  মানবিকতা সমন্বয়ে যে পৃথিবী রচিত হবে, সেই গণতন্ত্রে পড়বে হৃদয়বাদীর রোদ।

128 160-20%
গণতন্ত্র স্বরূপ সংকট সম্ভাবনা
গণতন্ত্র স্বরূপ সংকট সম্ভাবনা
রতনতনু ঘোষ
  • ‘গণতন্ত্র’ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মতবাদ হিসেবে স্বীকৃত।  দেশে দেশে চলছে গণতন্ত্রের কঠিন সংগ্রাম এবং এর অমসৃণ বিকাশ।  গণতন্ত্রের আছে সৃজনশীল ও বহুমাত্রিক রূপ।  রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্র প্রাচীনকালের হলেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা শুরু হয়েছে বিশ শতকে।  আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিসের প্রজ্ঞাবান লেখকগণ ‘গণতন্ত্রের’ কথা উল্লেখ করেছিলেন তাঁদের রচনায়।  পেরিক্লিস নাগরিকদের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রকে ‘জনমতের শাসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন।  এরিষ্টটল মনে করতেন প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেই তাকে গণতন্ত্র বলা যায়।
    ‘গণতন্ত্র : স্বরূপ সঙ্কট সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন প্রাবন্ধিক রতনতনু ঘোষ।  এ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে : গণতন্ত্রের স্বরূপ, গণতন্ত্রের সংকট, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র।  আশাকরি গ্রন্থটি গণতন্ত্রপ্রত্যাশী, কৌতূহলী পাঠকদের উপযোগ্য মেটাবে।

188 250-25%
 গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু
গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু
মুনতাসীর মামুন
  • চারটি প্রবন্ধের সংকলন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু । প্রথম দুটি প্রবন্ধ বঙ্গবন্ধু রচিত কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন বই নিয়ে আলোচনা হলেও শুধু বই-ই প্রবন্ধের বিষয় থাকেনি। বঙ্গবন্ধু কী ভেবেছিলেন রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্রের চরিত্র নিয়ে তাই বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। এ দুটি প্রবন্ধের মূল বিষয় গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা। সঙ্গে এসেছে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদের প্রশ্নও। সংবিধানে বঙ্গবন্ধু এ চারটি বিষয়ই সংযোজন করেছিলেন। তৃতীয় প্রবন্ধটি অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে। শেষ প্রবন্ধটিতে তাঁর সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। তাই বইয়ের নামকরণ করা হলো সমাজতন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু।

188 250-25%
গণতন্ত্রের অভিমুখে
গণতন্ত্রের অভিমুখে
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • গণতন্ত্রের কথা সবাই বলেন, গণতন্ত্রের দাবিও প্রায় সর্বজনীন।  তবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা সবসময়ে যে পরিষ্কার থাকে তা নয়।  আসলে গণতন্ত্র হচ্ছে তেমন এক ব্যবস্থা যেখানে সদস্যদের ভেতর থাকবে অধিকার ও সুযোগের সাম্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে এবং ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণটা চলে যাবে যথার্থ জনপ্রতিনিধিদের হাতে।  গণতন্ত্রের অভিমুখে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ নয়, কিন্তু এগিয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরি।  বিশেষ করে এই জন্য যে সর্বত্রই এখন অগণতান্ত্রিকতার রাজত্ব।  গণতন্ত্রের দিকে যেতে হলে আন্দোলন চাই, এবং আন্দোলনের জন্য সংগঠন দরকার।  এসব কথাই এই বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে বিভিন্নভাবে এসেছে।  গণতন্ত্র যে কেবল ভোট নয়, যদিও গণতন্ত্রের জন্য ভোট দরকার, এই সত্যটাও ভুললে চলবে না। 

160 200-20%
গণমাধ্যম ভাবনা
গণমাধ্যম ভাবনা
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
  • বাংলাদেশের গণমাধ্যমে গত প্রায় দুই দশকে অনেক পরিবর্তন এসেছে।  সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে সম্প্রচার সাংবাদিকতায়।  রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ২০০০ সালে একুশে টেলিভিশন চালুর মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয় সত্যিকারের সম্প্রচার সাংবাদিকতা।  গত প্রায় দুই যুগের অধিককাল ধরে কাগজ ও ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতায় সংশ্লিষ্ট থেকে গণমাধ্যমকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।  সেই দেখা ও অভিজ্ঞতাই তিনি তুলে এনেছেন এই বইয়ে।  তাঁর ভাষা আশ্চর্য রকম সহজ, বিষয় বিচিত্র কিন্তু বিশ্লেষণ অত্যন্ত গভীর।  পাঠক তাঁর সাথে সব বিষয়ে একমত না হলেও পাবেন চিন্তা করার খোরাক আর পাবেন সময়োচিত অনেক তথ্য ও বিশ্লেষণ।  কেবল মিডিয়াসংশ্লিষ্টরাই নন, যাঁরা গণমাধ্যম নিয়ে ভাবেন এবং এর গতিপ্রকৃতি বুঝতে চান, তাঁদের জন্যও অত্যন্ত সুখপাঠ্য একটি বই।

80 100-20%
গদ্যের ধারাপাত
গদ্যের ধারাপাত
আনজীর লিটন
  • শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প, ছড়া, উপন্যাস এবং নাটক রচনার মধ্য দিয়ে আনজীর লিটনের প্রতিটি লেখা আঙ্গিকের নতুনত্বে এবং বিষয়ের অভিনবত্বে ছোটদের কাছে তো বটেই, বড়দের কাছেও সমান প্রিয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে লালন করেন তিনি। বক্তব্য, ছন্দ, উপমা, শৈল্পিকতা এবং উপস্থাপন রীতির নান্দনিকতায় আনজীর লিটনের লেখায় শোভা পায় শিশুদের মনোজগৎ। শিল্প-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের চিন্তা-চেতনা শিশুদের মনোজগতে ছড়িয়ে দিতে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন গদ্য রচনাতে। এসব গদ্যে শুধু বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়নি, একই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে তথ্যসমৃদ্ধ বহুমাত্রিক বিষয়-আশয়। যা বড়দের এবং শিশু-কিশোরদের জন্য হয়ে উঠবে সহজপাঠ্য। এ প্রত্যাশায় সব বয়সি পাঠকের জন্য আনজীর লিটনের উপহার-গদ্যের ধারাপাত।

160 200-20%
গর্ভবতী প্রসূতি ও নবজাতকের যত্ন
গর্ভবতী প্রসূতি ও নবজাতকের যত্ন
কামরুল আহসান
  • মাতৃত্ব একজন নারীর পরম আরাধ্য।  গর্ভাবস্থা নারীর জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়।  নিরাপদ গর্ভকাল নিরাপদ মাতৃত্বের পূর্বশর্ত।  গর্ভাবস্থা ও প্রসবোত্তর সময় নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।  বিশাল এ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সমস্যার বিশেষ দিক নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও দিকনির্দেশনা বইটির উপজীব্য।  শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক ও করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।  সহজবোধ্য উপস্থাপনা, বিষয় বৈচিত্র্য, বিস্তার ও গভীরতা আগ্রহী পাঠকের জ্ঞানপিপাসা মিটাবে। 

160 200-20%
 গল্প পঞ্চাশ
গল্প পঞ্চাশ
রেজাউর রহমান
  • গল্প পঞ্চাশ’-এ ছড়িয়ে আছে নানা আঙ্গিকের নানা আস্বাদনের ছোটগল্প, যাতে রয়েছে দেশের মানুষের গত ৪০-৬০ বছরের কালক্রমিক দুঃখ-কথা, জীবনবোধের আলেখ্য, প্রেম-ভালোবাসার কথা, আশা-আকাঙ্খার নানা পরিমাপের বিস্তার।  লেখক সততার সঙ্গে গহিন মনের সৃজনশীলতা মিশিয়ে তাঁর লেখায় যে উচ্চতায় ওঠার চেষ্টা করেছেন, আমাদের বিশ্বাস তা পাঠক মন ছুঁয়ে যাবে নিঃসন্দেহে প্রতিমুহূর্তে।

525 700-25%
গল্প পঞ্চাশ
গল্প পঞ্চাশ
মনি হায়দার
  • গল্প মানুষের অস্তিত্বের মুখরিত গান।  গল্পে গল্পে মানব চরাচরের ঘৃণা, বিবমিষা, বিতৃষ্ণা, হাহাকার, লুণ্ঠিত শরীরের রক্তবন্যা, প্রেমের নামে বিষাদ তিক্ত ফ্যান্টাসি, অপ্রেমের কামে যৌথ অযাচার, মুক্তিযোদ্ধা যখন রাজাকারের তালিকায়, কুকুর তখন পেখম তুলে নাচে, সময় বান্ধা পড়ে গণতন্ত্রের ফাঁদে, বাংলার ও পৃথিবীর এইসব কুহক আর সুখের মানচিত্রই আঁকতে চেয়েছেন গল্পকার মনি হায়দার, গল্প পঞ্চাশ-এ।  বিচিত্র প্রেক্ষিতকে শূন্য জমিনে টেনে এনে গল্পের বাখরখানি ভেজেছেন তেলছাড়া উনুনে, চৈতন্যবিহারী জীবনযাত্রায়। শাণিত শব্দের বুননে, বাংলার নগর আর গ্রাম জীবন তুলে ধরেছেন গল্পের আদমসুরতে।  চরিত্রের সঙ্গে চরিত্রের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় প্রতিটি গল্প কালাপানির সাধে পরিপূর্ণ। গল্পের বাটখারায় মনি হায়দার উপস্থাপন করেছেন গল্প পঞ্চাশে মেহনতি মানুষের আর্তি ও আর্তনাদ, বিপরীতে নগর জীবন সন্ন্যাসের মায়াকান্না। গল্পে গল্পে সচিত্র মুখের ভেতরে দাঁতাল দাঁতের সঙ্গম কুটির পাবেন তৃষ্ণার্ত পাঠকেরা।  আমরা বিশ্বাস করি, মনি হায়দারের গল্প পঞ্চাশ পাঠে পাঠকেরা পরম তৃপ্তি পাবেন। মনে হবে, এই গল্পটা আমার। গভীরে গোপনে একদিন ঘটেছিল আমার জীবনে। গল্পকার কেমন করে জানলেন? গল্পকার জানেন না এমন কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা বা শোক নেই সংসারে।  মনি হায়দারের গল্প পঞ্চাশ পাঠ করার পর প্রমাণ হবে, গল্পকার সকল মোক্ষের সূত্র জানেন কিন্তু মানেন না নিজে। যেমন মানেননি গল্প পঞ্চাশ-এর কোনো গল্পের আখ্যানে। গল্পের গলায় পরাতে চেয়েছেন ফাঁস...। অথচ গল্প অনেক প্রিয় গল্পকারের।  আসুন, বিপরীত স্রোতের ধারায় স্নাত হতে হতে গল্প পঞ্চাশ-এর কারখানায় প্রবেশ করা যাক।

525 700-25%
গল্পে গল্পে স্বাস্থ্যকথা
গল্পে গল্পে স্বাস্থ্যকথা
কামরুল আহসান
  • সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যবিধি জানা ও মানা জরুরি। স্বাস্থ্যই সম্পদ, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল-এসব আপ্ত বাক্য ছোটবেলা থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের মনে গেঁথে যায়। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধির কিছুটা পরিবার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা শিখে ফেলি। এসব বিধির নিয়মিত চর্চা ও এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নিয়ামক। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্য ছোটবেলা থেকে জানা গেলে চর্চা করাও সহজ হয়ে যায়। শিশু-কিশোররা গল্প শুনতে ভালোবাসে। গল্পোচ্ছলে শরীর, স্বাস্থ্যতথ্য ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে বইটি লেখা।

160 200-20%
 গল্পের খোঁজে
গল্পের খোঁজে
প্রশান্ত মৃধা
  • সাহিত্যের কম আলোচিত মাধ্যমগুলোর একটি ছোটোগল্প।  ঔপন্যাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কথাসাহিত্যিকদের ব্যতিক্রমবাদে প্রত্যেকেই শুরুতে হাতও মক্শো করেন ছোটোগল্পে, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দুনিয়ার সবখানেই ছোটোগল্প নিয়ে আলোচনাগ্রন্থ লিখিত হয় খুবই কম।  কবিতা ও উপন্যাসের তুলনায় কম তো বটেই, নাটকের তুলনায়ও ঢের কম।  এই অনালোচিত থাকা, কম আলোচিত হওয়া আর পাঠ্য হিসেবে ছোটোগল্পগ্রন্থের পাঠকের প্রশ্রয় না পাওয়ার কারণ সত্যি অজ্ঞাত।  অথচ, সাময়িকপত্রের পৃষ্ঠায় ছোটোগল্প আবির্ভূত হয় সংখ্যায় কবিতার পরেই।
    গল্পের খোঁজেতে ছোটোগল্পের ভিন্ন ভিন্ন দিকে আলো ফেলা হয়েছে।  ছোটোগল্পের সাংস্কৃতিক সামাজিক রাজনৈতিক পর্বান্তর, এর ভাষার চলনের ধীরে ধীরে বদলে যাওয়া, বাংলাদেশের ছোটোগল্পের ষাটের দশকীয় সূচনায় যে দ্বিমুখী সাহিত্যিক চোরাস্রোত বহমান ছিল, যা পরবর্তীকালে প্রভাববিস্তারী ভূমিকা পালন করেছে এদেশের ছোটোগল্পে ও কথাসাহিত্যে, খুঁজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে আত্মজিজ্ঞাসাকারীর সন্ধানী ভঙ্গিতে।  আর সমকালীন চার গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিকের গল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইয়ের দ্বিতীয় অংশে।  প্রথম অংশের নন্দনতাত্ত্বিক বোধের প্রকাশ আছে সেখানে।
    কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা এখানে প্রচলিত গল্প-আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, নতুনত্ব এনেছেন উপস্থাপনায়।  তার লক্ষ্যাভিমুখী গদ্যে তা ধরা পড়বে তীব্রভাবে।

160 200-20%
গা ছমছম
গা ছমছম
ইমদাদুল হক মিলন
  • এক রাতে কার ডাকে ঘুম ভেঙে গেল জামির! ঘরে সবুজ রংয়ের ডিমলাইট জ্বলছে।  আবছা আলোয় ভরে আছে রুম।  জামি দেখতে পেল বিছানার অদূরে দাঁড়িয়ে আছে তার যমজ ভাই অমি। কিন্তু এ কী  করে সম্ভব? অমি তো ছ’ বছর আগে মারা গেছে! তারপর থেকে জামির বাবা মা, বাড়ির পুরনো বুয়া, প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময় অমিকে দেখতে পাচ্ছে।  কোনও কোনও রাতে অমিকে ফলো করে বারান্দার রেলিং পর্যন্ত যায় জামি।  তারপর...

120 150-20%
গুড বাই টু আর্থ
গুড বাই টু আর্থ
সাজ্জাদ কবির
  • সায়েন্স ফিকশন পড়ে মানুষ আনন্দ পায়।  আনন্দের সাথে সাথে তার মনে বিজ্ঞানমনস্কতাও উঁকি দেয়।  আজকের যুগে সবার জন্যই বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া খুবই  প্রয়োজন।  আমাদের নিত্যদিনের জীবন-যাপনেই বিজ্ঞান জোরে-শোরে ঢুকে পড়ছে।  আর সেজন্যই আধুনিক একজন মানুষের জন্য এটা অপরিহার্য হয়ে গেছে।
    বিজ্ঞানের সুবিধার সাথে কিছু সমস্যাও আছে।  আর মানুষকে তারও মুখোমুখি হতে হয়।  এই বইয়ের গল্পগুলোতে সুবিধা অসুবিধা সব ধরনের বিষয়ই রয়েছে।  তাই নানা স্বাদের গল্প পাঠককে ভিন্ন মাত্রার আনন্দ দেবে বলেই মনে হয়।  সেই সাথে বিজ্ঞানকে আরও আপন করেও নিতে পারবে সবাই।

120 150-20%
গুড মর্নিং ফিলিপিন্স
গুড মর্নিং ফিলিপিন্স
মাহফুজুর রহমান
  • দ্বীপদেশ ফিলিপিন্স।  রাজধানী ম্যানিলা।  সাত হাজার একশ সাতটি দ্বীপের সমাহার এই দেশ।  প্রতিটি দ্বীপকেই প্রকৃতি যেন তার নিজস্ব আয়োজনে সৌন্দর্যের লীলাভূমি করে গড়ে তুলেছে। জনবহুল ম্যানিলা বা সিবু সিটিই হোক, আর নিঃসঙ্গ সাগরকূলের বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপই হোক, সেখানকার মাটিতে গিয়ে পা রাখলেই মন নেচে ওঠে অনির্বচনীয় আনন্দে।  প্রকৃতির এই অফুরন্ত সৌন্দর্যভাণ্ডারের সঙ্গে যোগ হয়েছে ফিলিপিনোদের আন্তরিক আতিথেয়তা।
    ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিন্সে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে অফিসের কাজে ফিলিপিন্স ভ্রমণ করেছেন মাহফুজুর রহমান।  এতেও তাঁর মন ভরেনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন তাঁর প্রিয়দেশ ফিলিপিন্সে।  দেখে নিয়েছেন আধুনিক বিশ্বের স্বীকৃত সপ্তাশ্চর্যের একটি- আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার।  এসব বর্ণনার ফাঁকে ফাঁকে ফিলিপিন্সের ইতিহাস-ঐতিহ্য উঠে এসেছে তাঁর লেখায়।  সব মিলিয়ে আমাদের ভ্রমণসাহিত্যে এ এক অনন্য সংযোজন।

120 150-20%
গুড্ডু বুড়া-২
গুড্ডু বুড়া-২
আনিসুল হক
  • গুড্ডুবুড়া সারাক্ষণ আমাদের হাসায়। 
    কাজেই সে নিজেই একটা কমিক। 
    আর তার গল্প কমিকসের মাধ্যমেই তো বলতে হবে।

120 150-20%
গুড্ডুবুড়া ৩
গুড্ডুবুড়া ৩
আনিসুল হক
  • গুড্ডুবুড়া সারাক্ষণ আমাদের হাসায়। 
    কাজেই সে নিজেই একটা কমিক।
    আর তার গল্প কমিকসের মাধ্যমেই তো বলতে হবে।

120 150-20%
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ মারিও বার্গাস ইয়োসা
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ মারিও বার্গাস ইয়োসা
আন্দালিব রাশদী
  • বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে লাতিন আমেরিকার সাহিত্য যাঁদের হাত ধরে জেগে উঠেছে তাঁদের অন্যতম প্রধান পাবলো নেরুদা, আলেয়ো কার্পেন্তিয়ার, হোর্হে লুই বোর্হেস, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, মারিও বার্গাস ইয়োসা এবং কার্লোস ফুয়েন্তেস। কবিতায় এক অনতিক্রম্য উচ্চতায় পাবলো নেরুদার অবস্থান; নিজস্ব সাহিত্য ভাবনা ও শৈলীতে গোটা সাহিত্যবিশ্বকে প্লাবিত করে রেখেছেন কথাসাহিত্যিক মার্কেজ; অনতিক্রম্য তিনিও, তাঁর প্রভাব ও অনুগত পাঠকসংখ্যা আর সকলকে ছাড়িয়ে। 
    মার্কেজ সাহিত্যকর্মের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন-এই বক্তব্যটি অন্তত মার্কেজের জন্য তেমন গুরুত্ব বহন করে না, পুরস্কার তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেনি, মার্কেজকে পুরস্কৃত করতে পেরে সুইডিশ অ্যাকাডেমি সম্মানিত হয়েছে।
    ১৯৯০ সালে মারিও বার্গাস ইয়োসা পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর বিজয় অনেকটা নিশ্চিত ধরে নেওয়া হলেও সন্ত্রাসী আক্রমণ ও ব্যাপক কারচুপির কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুজিমুরোর কাছে পরাজিত হন। সক্রিয় এই রাজনৈতিক জীবন তাঁকে সৃজনশীলতা থেকে সরিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু অনেকটা সময় নষ্ট করেছে। একালের বিশ্বসাহিত্যে যাদের প্রভাব স্পষ্ট, তিনি তাঁদের অন্যতম। তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা তিরিশের বেশি। মারিও বার্গাস ইয়োসা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লিখেন, সংগ্রামী মানুষের কথা বলেন, পরাজিত মানুষের নতুন উদ্যমে বেঁচে থাকার কাহিনি বয়ন করেন। তিনিও স্মরণীয় নোবেল বিজয়ীদের একজন।
    মার্কেজ ও ইয়োসাকে জানতে এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
    আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন, তাঁর হাতের প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও অনুবাদ তাঁর উপন্যাসের মতোই পাঠককে ধরে রাখে।

188 250-25%
গ্রন্থচিন্তন : মুদ্রণ ও প্রকাশনা
গ্রন্থচিন্তন : মুদ্রণ ও প্রকাশনা
খান মাহবুব
  • গ্রন্থের আদৃত প্রসাদগুণ সমাজে বিবেচিত হলেও গ্রন্থ প্রকাশনা বিষয়ক কর্ম ও তৎপরতা আমাদের দেশে তেমন আলোচিত বিষয় নয়। যে কোনো প্রাগ্রসর সমাজের চিন্তক মানুষের মানদণ্ড গ্রন্থ ও প্রকাশনা দ্বারা অনেকাংশে নির্ণীত।  তাই গ্রন্থ প্রকাশনায় প্রাতিষ্ঠানিক মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর না থাকলে এই সেক্টরের উন্নয়ন সম্ভব নয়।  গ্রন্থ বিষয়ে নানা চিন্তার মিশেলে এই গ্রন্থের অবতারণা।  সংগত কারণেই বইয়ের নাম গ্রন্থচিন্তন।
    এই বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে গ্রন্থ চিন্তকদের চিন্তার প্রতিফলন।  বাংলা ভাষায় রচিত প্রকাশনা, সম্পাদনা, টাইপ্রোগ্রাফি, বইয়ের ইতিহাস, বইমেলা, মেধাস্বত্ব, মুদ্রণ প্রযুক্তি, সৌকর্য, ই-বুক, শিশুতোষ প্রকাশনা, প্রচ্ছদ, অলংকরণসহ তাবৎ বিষয়কে ধারণ করার প্রচেষ্টা রয়েছে।  প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত গ্রন্থটি গবেষক ও ছাত্রদের জন্য বিশেষ উপযোগী হবে।  নানা বিষয়ের সমাহার ঘটিয়ে গ্রন্থ চিন্তকদের পাঠ-উপযোগিতা সৃষ্টি করা এই গ্রন্থ প্রকাশের প্রধান লক্ষ্য।
    বাংলাদেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনা জগৎকে প্রাতিষ্ঠানিকতার ছাঁচে সাজাতে এই গ্রন্থের লব্ধজ্ঞান সহায়ক হবে।  মোটা দাগে একটি মুদ্রণ কিংবা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কিভাবে ভালোমানের প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ের একটি দিকনির্দেশক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।  সর্বোপরি দেশে উন্নত ও মানসম্পন্ন প্রকাশনা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গ্রন্থটি সহায়ক হবে।

563 750-25%
গ্রহণের দিন
গ্রহণের দিন
সুব্রত বড়ুয়া
  • মানুষের জীবনে এক অসাধারণ আবেগঘন অনুভূতির নাম প্রেম।  প্রেমের রূপ বহুবিচিত্র।  তার স্বরূপ কোনো নির্দিষ্ট এক আকৃতির মধ্যে আবদ্ধ থাকে না।  প্রথম যৌবনের প্রেম তীব্র আবেগ ও বন্ধনহীন অনুভূতির জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষকে।  কখনো তা উচ্চকিত, কখনো তা নীরব নিভৃত অন্তর্গত ক্ষয়ের মতো।  সেই ক্ষয় ও দহনের চিত্র আঁকা হয়েছে গ্রহণের দিন উপন্যাসে, অনুচ্চ অথচ মর্মঘাতী বেদনার সাদামাটা উচ্চারণে।  এমন উপন্যাস শুধু পড়ার জন্য নয়, অনুভবের জগতে অনুরণন সৃষ্টির জন্যও।

80 100-20%
ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি
ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি
মাহবুব আজীজ
  • ‘‘...সেই লাল দালান-সুদৃঢ়, যেন শত বছরের অবিচল কাঠামো এক; সুগম্ভীর-স্টেশনটি শতাব্দীপ্রাচীন জংশনও বটে; ট্রেন আসে-যায়, মানুষ ওঠে-নামে, ব্যস্ত মানুষের দৌড়, হকারদের হাঁক, কুলি-চা’অলাদের জোর কদম-সব মিলিয়ে দেখার মতো মহাশোরগোলময় এক কাণ্ড! স্টেশন ছাড়িয়ে সামান্য দূরে, বিছানো সবুজ ঘাসে আমরা বসি; আর দেখি-থৈ থৈ মানুষের জীবনের প্রতি অফুরান আহ্বান...’’ 
    ... ভাস্কর্যপ্রতিম এক আশ্চর্য গদ্যে মাহবুব আজীজ জীবন, মানুষ, প্রকৃতি, সঙ্গ ও নিঃসঙ্গতার জর্নাল ‘ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি’ লিখে চলেন।  এই জর্নালের স্তরে স্তরে বিচিত্র মানুষ ভিড় করে; যারা নানা টানাপড়েনের মধ্যেও জীবনকে দু’হাতে আঁকড়ে ধরে তুমুল বেঁচে থাকতে চায়।  এখানে ভিড় করে অনিশ্চয়তা, আসে আকস্মিক দুর্বিপাক, ঘন হয়ে আসে প্রতিকূলতা; আর এসবের মধ্যেও অন্তরপ্রবাহের মতো ছড়িয়ে থাকে সুবিস্তৃত সবুজ মাঠ, স্কুলের নোনাধরা দেয়াল, নিবিড় স্পর্শের ফল্গুধারা, বেঁচে থাকার অনাবিল সুস্বাদ।  আসে মানুষের মুখের পর মুখ-তাদের আনন্দ-বেদনা-সুখ ও দুঃখের গল্পের পর গল্প মাহবুব আজীজ তার অন্তর্ভেদী ভাষায় নিখুঁত শিল্পীর মতো আঁকতে থাকেন।  লেখকের কলম খুঁজে পায় প্রিয় অগ্রজ লেখকদের বিছানো পথ-পূর্ব প্রজন্মের সমৃদ্ধ শস্যক্ষেতের চিত্রও তার জর্নালের বিষয় হয়ে ওঠে। 
    ‘ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি’-তে রয়েছেন এমন এক লেখক-যিনি ব্যক্তিগত-গীতিময়-স্মিতহাস্য ও একই সঙ্গে গাঢ় নৈর্ব্যক্তিক; ঘটনা ঘটে যায়, তিনি দেখতে থাকেন; মানুষের পাশে তিনি যেন ছায়া-অনুচ্চ তবে একান্ত—; অনন্তর মানুষ ও মানুষের বহুবিধ গল্প উঠে আসে তার লেখায়; এই সব লেখার শিরা-উপশিরায় মাহবুব আজীজ ছড়িয়ে দেন তার পরিপার্শ্ব, আনন্দ, হাহাকার, আবিষ্কার ও বেদনা।  আর, সবকিছুর মধ্যে এই লেখক অনিবার্য করে তোলেন জীবন ও জগতের তীব্র সত্যের ইঙ্গিত-সরাসরি নয়; মৃদু-তবে সুতীক্ষ্ণ ও অতলস্পর্শী।  তাই এই গ্রন্থ চিরকালীনতার এক শিল্পঘোর নিয়ে উপস্থিত হয়।  দৈনিক সমকালের সাময়িকী ‘কালের খেয়া’য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত এই জর্নাল বিপুল পাঠকনন্দিত। 

225 300-25%
Home
Categories
Cart
Account