(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

একাত্তরের বয়ান চতুর্থ খণ্ড
একাত্তরের বয়ান চতুর্থ খণ্ড
শফিউদ্দিন তালুকদার
  • স্বাধীনতা আমাদের মহোত্তম অর্জন।  এ অর্জন দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের এক অনিবার্য প্রাপ্তি।  একাত্তরের বয়ান-চতুর্থ খণ্ডে গবেষক শফিউদ্দিন তালুকদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার ষোলজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধকালীন ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন।  এদের মধ্যে চারজন আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার উপস্থাপিত ঘটনাও সংযোজিত হয়েছে।  মুক্তিযুদ্ধের যেসব ঘটনাবলি ও তথ্যাদি ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়নি বা হলেও তা ভিন্নমাত্রিকতায় উঠে এসেছে বইটিতে।  আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় ইতিহাস রচনায় এটি অতি প্রয়োজনীয় সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

188 250-25%
একাত্তরের বয়ান তৃতীয় খণ্ড
একাত্তরের বয়ান তৃতীয় খণ্ড
শফিউদ্দিন তালুকদার
  • একাত্তর। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।  এদেশের লাখো সন্তান সেদিন জীবন বাজি রেখে মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ, প্রতিরোধ, যুদ্ধ ও বিজয়ের মাধ্যমে এনে দেন স্বাধীনতার নতুন সূর্য।  যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবিই শফিউদ্দিন তালুকদার তাঁর একাত্তরের বয়ান গ্রন্থে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয় থেকে তিনি প্রতিটি সত্যকে যেন নিংড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।  এত বছর পরও মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের যুদ্ধের ঘটনাসহ অনেক সহযোদ্ধার নাম পর্যন্ত স্মৃতিতে ধারণ করে রেখেছেন।  
    শফিউদ্দিন তালুকদার উল্লিখিত শিরোনামে গ্রন্থটি দশ খণ্ডে সংকলন করছেন।  এটি তৃতীয় খণ্ড।  এ খণ্ডে তিনি ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ করেছেন।  গ্রন্থটি পড়লে মনে হবে পাঠক মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনেই বিচরণ করছেন। গ্রন্থটি পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দেবে। 

188 250-25%
একাত্তরের বয়ান পঞ্চম খণ্ড
একাত্তরের বয়ান পঞ্চম খণ্ড
শফিউদ্দিন তালুকদার
  • মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রায় অর্ধশত বছরে বাংলাদেশ। যুদ্ধকালীন সময় থেকে আজকের দিন পর্যন্ত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সময়ের নিয়মে আমাদের অশ্রুবিশ্রুত করে অনন্তকালের পথে চলে যাচ্ছেন। এ কারণে আমরাও বঞ্চিত হচ্ছি তাঁদের অনেক অজানা অমর কাহিনি থেকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই বীরত্বপূর্ণ কাহিনি যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারে সে জন্য শফিউদ্দিন তালুকদারের অনন্যসাধারণ উদ্যোগ একাত্তরের বয়ান। এটি পঞ্চম খণ্ড। গ্রন্থখানি রচনায় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঘটা মুক্তিযোদ্ধাদের সত্যিকার তথ্য-উপাত্ত খুঁজে বের করার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুরাগীদের জন্য গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

188 250-25%
একাত্তরের যুদ্ধজীবন
একাত্তরের যুদ্ধজীবন
মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক
  • ত্রিশলক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ। চারলক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার জন্য এজাতির দামাল ছেলেরা নির্ভীকচিত্তে লড়েছেন পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর বিরুদ্ধে। পাকসেনারা সমরবিদ্যায় যেমন প্রশিক্ষিত ছিল, তেমনি তাদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক সব মারণাস্ত্র। তদুপরি শুধু দেশপ্রেমের বলে বলীয়ান হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা সাধারণ মানের কিছু হাতিয়ার নিয়ে দাঁড়িয়েছিল শত্রুর মুখোমুখি। অতঃপর চূড়ান্ত পর্যায়ে দখলদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য। 
    সময়ের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা সেদিন এক কষ্টকর প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর হাতে তুলে নিয়েছিল হাতিয়ার। খেয়ে না খেয়ে জীবনকে তুচ্ছ করে ছুটে গিয়েছিলেন যুদ্ধের ময়দানে, নির্ঘুম কাটিয়েছেন রাতের পর রাত। অনেকে লড়তে লড়তে হয়েছেন শহিদ। দেশের জন্য তাঁদের সেই উৎসর্গকৃত লড়াকু জীবনের নানামাত্রিক দিক বর্ণিত হয়েছে এ গ্রন্থে। এ গ্রন্থে মোট ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধদিনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এঁদের একজন শহিদ হয়েছেন পাকবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে। অন্যজন শহিদ হয়েছেন  যুদ্ধের ময়দানে। এ গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সদাশয় পাঠককুল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধদিনের নানাবিধ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন বলে আশা করি। 

338 450-25%
একান্ত ভাবনা
একান্ত ভাবনা
শামসুর রাহমান
  • ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে কবি শামসুর রাহমানের নাতিদীর্ঘ গভীর তলদেশস্পর্শী যে একান্ত ভাবনা তা এই গ্রন্থের উজ্জ্বল বিষয়।  শেক্সপীয়র-সার্ত-নেরুদা বহির্বিশ্বের সাহিত্য ভুবন থেকে বাংলা সাহিত্যের রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দ-বুদ্ধদেব সুধীন দত্ত-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দুই বাংলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রজ, সমকালীন, ষাট দশকের অনুজ লেখক চলে এসেছেন কবি’র বাক্যের বাগানে।  সাহিত্য ছাড়াও দশ দিগন্তে চলচ্চিত্র-নাটক-চারুকলা-সঙ্গীত এবং আয়ুষ্মান শিল্পীদের সম্পর্কে কবির বিশ্লেষণ, তাঁর ব্যক্তিগত ভালোলাগা ঘর-শহর-প্রকৃতি যৌবনের গীতল অংশের স্মৃতির সমন্বয়ে শিল্পসমৃদ্ধ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে রুচিশীল সংস্কৃতিবান মানুষেরই ভাবনা।
    স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ছয় বছরের সাংস্কৃতিক জগৎ এবং শিল্পের সুকৃতির পরিধি কবির অসামান্য হাতে বাড়ময় হয়ে ওঠে।
    এমন কি সংসার নিয়তি সামাল দিতে যুগপৎ রুটি ও গোলাপের দাবির প্রসঙ্গও এই গ্রন্থের পৃষ্ঠায় বোধ ও বোধির বিষয়।

225 300-25%
একান্তবিচারে বিদেশী মনিষা
একান্তবিচারে বিদেশী মনিষা
আহমদ রফিক
  • স্বনামধন্য বিদেশি সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক নেতা, একান্ত প্রিয় যারা, তাদের কাউকে কাউকে নিয়ে ব্যক্তিগত ভালোলাগার প্রকাশ লেখাগুলো নিয়ে এ সংকলন একান্তবিচারে বিদেশি মনীষা। গভীর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নয়, ভালোলাগার মূল্যায়নে চিহ্নিত লেখাগুলো পাঠকের জন্য উপহার। এদের মধ্যে আছেন জ্যাঁ পল সার্ত্রে থেকে হাওয়ার্ড ফাস্ট, প্যাট্রিস লুমুম্বা থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা।

188 250-25%
একুশের ছড়া
একুশের ছড়া
চন্দন চৌধুরী
  • ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ/ দুপুর বেলার অক্ত/ বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়/ বরকতের রক্ত।’ কিংবা ‘বাংলাদেশের পাখি কেন মধুর সুরে ডাকে/ জানো?’ এমন সব অসাধারণ ছড়া লেখা হয়েছে ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে।  সেই সব উৎকৃষ্ট ছড়া নিয়েই এই বই।  এখানে রয়েছে অন্নদাশঙ্কর রায়, আল মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা, আসাদ চৌধুরী, খালেক বিন জয়েনউদ্দীন, নির্মলেন্দু গুণ, লুৎফর রহমান রিটনসহ প্রধান প্রধান লেখকদের ছড়া।

48 60-20%
এখানে প্রাণের স্রোত
এখানে প্রাণের স্রোত
জসিম মল্লিক
  • স্মৃতির নির্জনতা জসিম মল্লিকের স্মৃতিকথামূলক  গ্রন্থ।  এই লেখাগুলোতে উত্তর আমেরিকার মানুষের জীবন, তাদের সুখ দুখ, আনন্দ বেদনার গল্পই শুধু নয় লেখকের শৈশব কৈশোর এবং বেড়ে ওঠা জীবনের গল্প ও সংগ্রামের কথা বিধৃত হয়েছে।  গ্রন্থভুক্ত লেখাগুলোতে নানা স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণার গল্প যেমন আছে তেমনি অনেক প্রাপ্তির কথাও বিধৃত হয়েছে।  গ্রন্থের সব লেখাই ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।  এসব লেখা থেকে  বাছাই করে প্রায় ৮৮টি লেখা সন্নিবেশিত করা হয়েছে এখানে প্রাণের স্রোত গ্রন্থে।  গ্রন্থের লেখক  তার স্বভাবসুলভ সরলতা আর চমৎকার ভাষাশৈলীর মাধ্যমে অকপট বর্ণনা করেছেন জীবনের যাবতীয় সত্য গল্প আর বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার কথা।  যেখানে ফুটে উঠেছে কিভাবে লেখক প্রকৃতির বদান্যতায় নানা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছেন।  তার লেখায় স্পষ্টতা আছে, সরলতা আছে কিন্তু কোনো বাহুল্য নেই।  কোনো কিছু রাখঢাক না করেই অনেক সত্য তিনি বর্ণনা করেছেন অকপটে।  মা নিয়ে অনেকগুলো হৃদয়স্পর্শী লেখা রয়েছে গ্রন্থে।  আছে অনেক মানুষের স্মৃতিকথা এবং ভ্রমণকাহিনি।  অপরূপ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত নায়াগ্রা ফলস ও কানাডায় চাকরি পাওয়া নিয়ে লেখা আছে গ্রন্থে।  এছাড়া চিরচেনা মানুষদের বিচিত্র সব গল্প ফুটিয়ে তুলেছেন আশ্চর্য মুন্সিয়ানার সাথে।  কয়েকটি লেখা আছে যা প্রকাশিত হয়েছিল ওয়ান ইলেভেনের পর।  সময়ের প্রেক্ষাপটে সেই লেখাগুলো যথেষ্ট কার্যকরী ছিল।  বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে তার কয়েকটি লেখা সন্নিবেশিত হলো।

300 400-25%
এগার নারী
এগার নারী
এম এ মোমেন
  • ১১ জন কৃতী নারীর কথা। 
    আফ্রিকার কালো নারী ওয়াঙ্গারি মাথাই হচ্ছেন ধরিত্রীর বৃক্ষজননী। 
    ১৯৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মতো বিশাল ঘটনাটি আরো পিছিয়ে যেত।
    নোবেল বিজয়ী হের্টা ম্যুলার রোমানিয়ার স্বৈরশাসকদের হাত থেকে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে পালিয়ে দেশ ছেড়েছেন। 
    জন্মসূত্রে অমৃতা শেরগিল আধেক ভারতীয় আধেক ইউরোপীয় নারী হলেও শেষ পর্যন্ত অকাল প্রয়াত এই চিত্রশিল্পী উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পীদের একজন। 
    কিশোরী আমোনকার, শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন কিংবদন্তি। 
    ন্যান্সি রেগান এক সময়ের হলিউড কাঁপানো সুন্দরী নায়িকা। পরবর্তী সময়ে আট বছর আমেরিকার ফার্স্ট লেডি । 
    নির্বাসিত হোপ কুক সিকিমের দ্য লাস্ট কুইন। 
    নিজের চোখে দেখে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ব্রেকিং নিউজটি দিতে পেরেছিলেন একজন সদ্য কাজে যোগ দেওয়া নারী সাংবাদিক ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ। 
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেত্রী বাংলাদেশের বন্ধু আসমা জাহাঙ্গির। 
    ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসের রচয়িতা মহাশ্বেতা দেবী ঢাকারই মেয়ে। 
    লেকে পেহলা পেহলা প্যায়ার, ভারাকে আঁখো মে খুমার/যাদু নাগরি সে আয়া হ্যায় কোই জাদুগর গানের শিল্পী শামসাদ বেগম ছিলেন সংগীতের বুলবুল।
    বৈচিত্র্যপূর্ণ নারীজীবন নিয়ে লেখা সুখপাঠ্য একটি বই এগার নারী।

263 350-25%
এলিনব
এলিনব
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • এলিয়ন এবং মানুষ; দুই জগতের দুই পরস্পরবিরোধী সত্তা। তার পরও এক অজানা আকর্ষণ এবং ভুলে সম্মিলন ঘটে, সৃষ্টি হয় এলিনব।
    কিন্তু মানুষ বা এলিয়ন কেউ-ই চায় না এই নতুন প্রজন্ম। ফলে শুরু হয় অনিবার্য দ্বন্দ্ব-সংঘাত! 
    আর এভাবেই এগিয়ে চলে অসম্ভব এবং অনিশ্চিত এক কাহিনি।

160 200-20%
এগার পুরুষ
এগার পুরুষ
এম এ মোমেন
  • ১১ জন কীর্তিমান মানুষের কথা। শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, বিখ্যাত লাহোর রেজুলুশনের প্রস্তাবক, গণমানুষের রাজনীতিবিদ, প্রান্তিক মানুষের স্বজন, ভূমি সংস্কার ও ঋণ সালিশির অগ্রনায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির উদ্যোক্তা। 
    প্রফুল্লচন্দ্র রায় কত বড় বিজ্ঞানী, কত গুরুত্বপূর্ণ  শিল্প উদ্যোক্তা- এ প্রশ্নকে তুচ্ছ জ্ঞান করে রাজশেখর বসু সামনে নিয়ে এলেন : তিনি কত বড় মানুষ সে প্রশ্ন।
    ২০১৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুজন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম নর্ডহাউস ও পল রোমার। 
    উপমহাদেশের ইতিহাসের প্রায় শতবর্ষী  বিশ্বস্ত সাক্ষী কুলদীপ নায়ার, বাংলাদেশেরও তিনি প্রিয় বন্ধু । 
    অন্য দেশের মহারথীরা যখন রকফেলারের সঙ্গে দেখা  করতে আসতেন, তাদের কথার ধরন বলে দিত যেন তারা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলছেন। রকফেলারের শিক্ষা : তালাক ও রাজনীতি দুই-ই ব্যয়বহুল।
    পূর্ব পাকিস্তানে ব্যবহারের জন্য মার্কিন বন্দর থেকে জাহাজে উঠানো হচ্ছে অস্ত্র ও রসদ- একাত্তরে একজন এডওয়ার্ড কেনেডি দাঁড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের পক্ষে। 
    একাত্তরের একজন পাকিস্তানি বন্ধু আসগর খান বলেন, দেশ বিপর্যয়ের  যে প্রান্তে এসে পৌঁছেছে, সেখান থেকে ফিরতে হলে অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
    মহাত্মা গান্ধীর নিহত হবার সংবাদ পেয়ে বৈজ্ঞানিক আলবার্ট আইনস্টাইন লিখেলেন : তিনি তাঁর নিজের নীতির বলি হয়েছেন- অহিংসার নীতি। 
    জননেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনের মূল সময়টাই কেটেছে কারাগারে। ২৮ বছরের বন্দিজীবনের ১৮ বছর কেটেছে  রোবেন আইল্যান্ড প্রিজনের ডাবল লকের ভেতর। 
    ওয়ারেন হেস্টিংসের একটি স্মরণীয় উক্তি : আমি ভারতকে আমার নিজের দেশের চেয়ে একটু বেশি ভালোবাসি। ওয়ারেন হেস্টিংস ভালো বাংলা জানতেন। উর্দু ও ফার্সিতে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাবার মতো দক্ষতা তার ছিল। তিনি সংস্কৃত ভাষার পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 

263 350-25%
এলেবেলে
এলেবেলে
জসিম মল্লিক
  • একটি ভিন্নধর্মী বই এলেবেলে।  এযাবৎকালে এ ধরনের টুকরো টুকরো কথামালা নিয়ে বই প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানা নেই।  গ্রন্থভুক্ত লেখাগুলো একটানা অনেকদিন ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে।  প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে বন্ধুদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে।  শত শত লাইক আর কমেন্টসের বন্যায় ভেসে যায়।  অনেকেই বই আকারে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে।  তারই আলোকে বাছাই করে সেরা ৩১২ এলেবেলে সন্নিবেশিত করা হয়েছে ।  লেখক এলেবেলে নামে তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিকথা স্বল্প পরিসরে পাঠকের সাথে শেয়ার করেছেন।  নাম এলেবেলে হলেও মোটেও এলেবেলে না লেখাগুলো।  প্রতিটি লেখারই রয়েছে ভিন্ন ব্যঞ্জনা ভিন্ন আবেশ।  অনেক লেখাই পাঠককে ভাবিত করেছে, আবেগ-আপ্লুত করেছে, চোখের জলে ভাসিয়েছে বা আনন্দ দিয়েছে।  অত্যন্ত সাবলীল, চমৎকার ভাষাশৈলী ও সাহসিকতার সাথে অনেক কথাই বলেছেন লেখক।  আমরা সাধারণত যা বলতে চাই না, প্রকাশ করতে দ্বিধা করি লেখক তা অবলীলায় বলেছেন।  নিজের শৈশব, কৈশোর, পাওয়া না-পাওয়া, সমাজের নানা অসঙ্গতি, প্রবাসের নানা মজার মজার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।  তার  সাহস ও সারল্য পাঠককে বিমুগ্ধ করে।  লেখক  তার স্বভাবসুলভ সরলতার মাধ্যমে অকপট বর্ণনা করেছেন সত্য গল্প।  যেখানে ফুটে উঠেছে লেখকের মনের কোমল ও সুপ্ত অনুভূতিগুলো।  তার লেখায় স্পষ্টতা আছে কিন্তু কোনো বাহুল্য নেই।  এটাই লেখকের বৈশিষ্ট্য।  

225 300-25%
এলোমেলো হাওয়া
এলোমেলো হাওয়া
সনৎকুমার সাহা
  • সনৎকুমার সাহা গদ্য অঙ্কন করেন; অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে ছবি লিখতেন।  এই সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসংশয় অন্তত এলোমেলো হাওয়া শীর্ষক প্রবন্ধগ্রন্থের পাঠান্তে।  ষোলটি ভাবনা ও ভাষাদীপ্ত প্রবন্ধপুষ্পে গেঁথে তোলা ফুল যেন এই বইটি।  প্রারম্ভ যদি ‘স্বপ্ন ও বনলতা সেন’ দিয়ে পরিশেষ তবে ‘ভাষা-সাহিত্যের রাজ্যপাট : ভাঙনের শব্দ শুনি’তে।  তাৎপর্য আছে বৈকি! স্বপ্ন থেকে ভাঙন অবধি এক দুস্তর পরিক্রমাই তো তিনি বয়ন করে তুলেছেন মেধাবী তন্তুতে।  কত সিন্ধু কত দিগন্ত মন্থন তাঁর! জীবনানন্দ থেকে হাসান আজিজুল হক, কুন্ডেরা থেকে মাহমুদুল হক, মেঘদূত-মহাভারত থেকে কমনওয়েলথ সাহিত্য, বিষ্ণু দে থেকে মোহাম্মদ রফিক, জুলিয়াস ফুচিক থেকে নাজিম মাহমুদ ইত্যাকার কতবিধ ধ্রুবপদ যে বেঁধেছেন সনৎকুমার সাহা তাঁর অপ্রতিম অনুভবে-অনুধ্যানে; ভাবলে অবাক মানতে হয়।  এই তারল্যপ্রধান গদ্যের রাজত্বকালে এ নেহায়েত ব্যতিক্রমী গদ্য নয়; সাহিত্যভোক্তার পাতে এমন মহার্ঘ্য ব্যঞ্জনপ্রাপ্তি এখন সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। 
    ভূমিকা-কথনে লেখক জানান : ‘লেখাগুলো বিভিন্ন সময়ের... বিষয় যখন যেমন মাথায় এসেছে তেমন’।  কিন্তু আমরা বলি আপাত বিক্ষিপ্ততার আড়ালে এই বইয়ের মূল বৈচিত্র্য নিহিত।  ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে রচিত সারগর্ভ ব্যাখ্যান মিলেমিশে তৈরি করে এক অখণ্ড বোধিভাষ্য যার কাছে বিধিবদ্ধ ধারাবাহিকতা ম্লান, অনুজ্জ্বল।  স্বতন্ত্র চিন্তাকণা সমবায়ে যে সৌধের নির্মাণ ঘটে পাঠকের মননে তা যুগপৎ বহুতলস্পর্শী ও ঊর্ধ্বাকাশী।  ধ্রুপদী থেকে সমকালীন সাহিত্য পর্যন্ত এলোমেলো হাওয়া-র বিস্তার।  আবার এর পুরো প্রাঙ্গণ জুড়েই রয়েছে সাহিত্যের সূত্রে সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি-অর্থনীতির সুবিপুল সম্ভোগ।  ইতিহাসের অজস্র প্রান্ত এসে গঠন করে লেখকের ভাবনাকেন্দ্র।  তাই দেখি মহাভারতের সৌতি থেকে শুরু করে ধর্মপুরুষ ইসমাইলের কাহিনিরও সমান উপস্থিতি।
    নানা বর্ণের ভাবনামালা যে অভূত রূপবন্ধনে গ্রথিত করেছেন সনৎকুমার সাহা, তার পরিমিতি ও প্রসারণ, টুকরো কথার সংহতি, শব্দ ও চিন্তার সমবিচ্ছুরণ আমাদের গদ্যচর্চাকে নতুন দিশা নির্দেশ করবে নিঃসন্দেহে। 
    পিয়াস মজিদ
    কবি ও প্রাবন্ধিক

263 350-25%
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
আসলাম সানী
  • ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বাঙালির ইতিহাসে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন।  কেননা এ দিনই আমাদের জাতির জনক জানান দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আর মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছিল, ‘জয় বাংলা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ এমন সব ঐতিহাসিক স্লোগান।  দেশ ও জাতি উন্মুখ হয়েছিল নিজের মাতৃভূমির স্বাধিকারের দাবিতে।  বইটি সেই দিনের ঘটনা থেকে শুরু করে কীভাবে বঙ্গবন্ধুর সেই অসামান্য ভাষণ বাঙালির কানে কানে রুদ্রের তরঙ্গ তুলেছিল্লতার ঘটনাবলী বহন করে।  মূলত বইটি বাঙালির চেতনা ও গৌরবদীপ্ত ইতিহাসের দলিল।

80 100-20%
 ঐতিহাসিকের নোটবুক
ঐতিহাসিকের নোটবুক
সিরাজুল ইসলাম
  • ঐতিহাসিকের নোটবুক বিশিষ্ট ইতিহাস-গবেষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের বাঙালি সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, জাতিসত্তা ইত্যাদির একটি ইতিহাসভিত্তিক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধগ্রন্থ।  নানা জটিল ঐতিহাসিক বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে সহজ-সরল ও আকর্ষণীয় ভাষায়।  প্রতিটি প্রবন্ধ আকারে ছোট কিন্তু চিন্তায় গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ।  লেখক একজন ঐতিহাসিক হলেও এ গ্রন্থে তিনি একজন ইতিহাস-বিশ্লেষণী গল্পকার।  ইতিহাসের জটিল বিষয়কে তিনি গল্পের মতো করে সাজিয়েছেন, তবে কাল্পনিকভাবে নয়, সম্পূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে।  প্রবন্ধগুলো একাধারে শিক্ষণীয় এবং উপভোগ্য।  লেখক আমাদের ঐতিহাসিক চিন্তাকে সমূলে নাড়িয়ে দিয়েছেন, ভিত্তিহীন প্রথাগত চিন্তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ইঙ্গিত দিচ্ছেন ইতিহাস বিষয়ে নতুন চিন্তা ও বিশ্লেষণের।

240 300-20%
ওরহান পামুক
ওরহান পামুক
আন্দালিব রাশদী
  • আয়াতুল্লাহ খোমেনি সালমান রুশদির বিরুদ্ধে যে ফতোয়া দিয়েছেন ওরহান পামুক তার নিন্দা করায় তাকেও ধর্মদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  তুরস্কের বামপন্থিরা মনে করছেন ওরহান পামুক নিজেকে পশ্চিমের কাছে বিকিয়ে দিয়েছেন।  আর আর্মেনীয় গণহত্যায় তুরস্কের দায় এবং কুর্দি নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলায় তুরস্কের সরকার ও সামরিক শক্তি তার ওপর ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্ত। অসহিষ্ণুতা ও অবিচারের রাজত্ব রাজনৈতিক ইসলামের উত্থানের পথ সহজ করে দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তার পরিবারসহ তুরস্কের এলিট গোষ্ঠী কামাল আতাতুর্কের বিপ্লব এবং পাশ্চাত্যানুসারী আধুনিকায়ন সমর্থন করেন। 
    ২০০৬ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ওরহান পামুক লেখালেখিতে আছেন,  রাজনীতিতে নেই।  কিন্তু এটা বলা যথেষ্ট নয় যে রাজনীতি তার বিষয়ও নয়।  বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি উদ্ধৃত হচ্ছেন, গাল খাচ্ছেন, হুমকি পাচ্ছেন, মামলায় আসামি হচ্ছেন আবার প্রশংসিতও হচ্ছেন।
    যেসব বিষয় তার সামনে আসছে এর মধ্যে রয়েছে অটোম্যান সাম্রাজ্যর পতন, আর্মেনিয়ান গণহত্যা, কামাল আতাতুর্কের সংস্কার ও পশ্চিমায়ন, সামরিক শাসন, কুর্দি নির্যাতন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি এবং হালের শাসক এরদোয়ান।
    আন্দালিব রাশদীর ওরহান পামুক-এ ফিকশন ও নন-ফিকশনের ওরগান পামুককে পাওয়া যাবে।  কালের একজন সেরা লেখক কেমন করে নিজেকে গড়ে তুলেছেন জানা যাবে।  প্রবন্ধই হোক কি অনুবাদ, গদ্যটা কিন্তু আন্দালিব রাশদীর, তাঁর ফিকশনের মতোই টেনে রাখে।

225 300-25%
কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর
কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর
আন্দালিব রাশদী
  • মা যখন বলল এক থাপ্পড়ে বত্রিশটা দাঁত ফেলে দেবে, ক্যাথরিনা কোমরে হাত রেখে জবাব দিল, দেখি তোমার কত বড় সাহস, একটা দাঁত ফেলোতো। তুমি একটা বেহায়া মহিলা। দিনের বেলা তালাকের কথা বল আর রাতের বেলা বেডরুমে বাবার সাথে খিলখিল করে হাসো আর খিল এঁটে ঘুমাও। তোমরা যে কী কর তা কি আমি জানি না? অসভ্য মেয়েলোক কোথাকার। দুটোর বেশি বাচ্চা হবার নিয়ম নেই। আর বেহায়ার মতো একটার পর একটা পয়দা করে চলেছ। কেউ যখন জিজ্ঞেস করে-কয় ভাইবোন, আমার মাথাটা হেট হয়ে যায়। 
    কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোরের প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে নিত্যদিনের এসব মেট্রোপলিটন কথোপকথন আসলে আপনার নিজের এবং আপনার চারপাশের প্রতিটি সংসারের। কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর আসলে আপনারই লেখার কথা ছিল। আপনার চোখের সামনে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে যে উপন্যাস রচিত হচ্ছে আন্দালিব রাশদী তা কেবল মলাটবদ্ধ করেছেন।
    কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর পড়তে শুরু করলে শেষ না করে যে উঠতে পারবেন না! আন্দালিব রাশদীর উপন্যাসের এটাই বড় সমস্যা, তিনি পাঠককে একটি ঘোরের মধ্যে  আটকে রাখেন।

120 150-20%
কঙ্কাবতীর নাইন্থ ফ্লোর
কঙ্কাবতীর নাইন্থ ফ্লোর
আন্দালিব রাশদী
  • ‘আমার দ্বিতীয় সন্তান মিশুর জন্মের পর একই সঙ্গে দুটো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। আমার পাইলট হাজব্যান্ড আলতাফ দুবাইর ট্র্যানজিট হোটেলে জুনিয়র ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস টয়ার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। খুব বড় ধরনের একটা স্ক্যান্ডাল। আলতাফকে গ্রাউন্ডেড করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।’ কঙ্কাবতীর নাইন্থ ফ্লোরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করা সিনিয়র ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস নিশির দ্বিতীয় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির কথা আপাতত থাক।
    অন্য অ্যাপার্টমেন্টে টিয়াদের কাহিনিটা একটু অন্যরকম। যে স্ত্রীসঙ্গ একসময় আপনার একমাত্র কাম্য ছিল, যে স্ত্রীসঙ্গ লাভের জন্য আপনি পৃথিবীর তাবৎ সুন্দরী নারীর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, পৃথিবীর যাবতীয় সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য এবং বিত্ত ও বৈভব বিসর্জন দিয়েছিলেন, সেই স্ত্রীসঙ্গ যদি অসহ্য মনে হয়, তখন কী করবেন?
         ছেড়ে দেবেন? 
         পারবেন না। 
    তাহলে? কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর যাদের পড়া, নাইন্থ ফ্লোর তারা এমনিতেই পড়বেন। যারা পড়েননি তারা কঙ্কাবতীর নাইন্থ ফ্লোর দিয়েই শুরু করতে পারেন, কারণ এটি এমনিতেই মেট্রোপলিটান জীবনের দ্বন্দ্বের পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। 
    আন্দালিব রাশদী জানেন নগরজীবনের এই উপন্যাসটি ্আপনি একবার হাতে নিলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। 

120 150-20%
 কঙ্কাল ঘর
কঙ্কাল ঘর
মোশতাক আহমেদ
  • বন্ধু রাশেদের মামাবাড়িতে বেড়াতে এসে দারুণ এক রহস্যের সন্ধান পায় লেলিন।  মৃত এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে দেখে লাশের কোনো হাড় নেই।  খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এরকম ঘটনা আরও ঘটেছে।  রহস্যের গভীরে প্রবেশ করতে গিয়ে নিজেই বুঝতে পারে না কী ভয়ংকর বেড়াজালে জড়িয়ে যাচ্ছে সে।  একসময় কঙ্কাল ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে যায় বিভীষিকাময় জীবননাশী ড্রামে।  মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তখন। কিন্তু কে সাহায্য করবে তাকে? শিশির যে জানে না তার অবস্থান। অবশেষে সে অনুমান করতে পারে মৃত্যু আসন্ন।  কারণ ড্রামের পানি গরম হতে শুরু করেছে।  কিছুক্ষণের মধ্যে পানির বাষ্প তার শরীরে প্রবেশ করবে।  প্রথমে গলে যাবে চোখ, তারপর ঠোঁট, শেষে চামড়া আর মাংস।  ভয়ংকর যন্ত্রণাময় হবে তার মৃত্যু।  অবশেষে তার শরীরেও কোনো হাড় থাকবে না।  কারণ মৃত্যুর পর হাড় থেকে মাংসগুলো আলাদা করবে ভয়ংকর এক চক্র।  তারপর শুধু তার মাংসকে মাটি দেয়া হবে।  কেউ জানতে পারবে না কী নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।  শুধু যে তার তা নয়, আরও অনেককে এভাবে মাটি দিয়েছে ভয়ংকর এই চক্র।  শেষ পর্যন্ত কী মুক্তি পেয়েছিল লেলিন? আর কী পরিণতি হয়েছিল ভয়ংকর চক্রটির?

160 200-20%
কথা ’৭১
কথা ’৭১
মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক
  • মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালে একদিকে চলছিল হানাদারবাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংস ও ধর্ষণযজ্ঞ। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দেশকে শত্রুমুক্তকরণের প্রত্যয়ে নির্ভীকচিত্তে লড়ছিলেন দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেসময় বাংলার প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের কোপানলে পড়ে হারিয়েছেন স্বজন, সম্ভ্রম, বাস্তুভিটা বা সহায়সম্পদ। বিপুলসংখ্যক বাঙালিকে হতে হয়েছে উদ্বাস্তু। উদ্বাস্তুদের ৯৮ লক্ষকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। দেশে অবস্থানরতদের অনেককে নিঃস্ব অবস্থায় নিপতিত হয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।
    সার্বিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে দেশটি হয়ে পড়েছিল একটি ভীতিপ্রদ জনপদ। প্রতিনিয়ত প্রাণরক্ষার জন্য দেশবাসীকে হতে হতো উৎকণ্ঠিত। এ ধরনের ভয়াল পরিবেশে নিপতিত হতে হয় মানবেতর জীবনে। আশ্রয় খুঁজতে হয় আত্মরক্ষার্থে। শরণার্থী হিসেবে চলে যেতে হয় ভারতে। জীবিকার জন্য যুক্ত হতে হয় অপ্রত্যাশিত পেশায়। এ ধরনের নানারৈখিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা হয়েছে কথা ’৭১। গ্রন্থটিতে আরও বিধৃত হয়েছে গণহত্যা ও স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সাধারণ জনগণের জীবনাচারের নানাবিধ আখ্যান।  আশা-নিরাশার নানাদিক। আশা করি এ গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সম্মানিত পাঠককুল স্বাধীনতাযুদ্ধকালের আমজনতার যাপিত জীবন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে সক্ষম হবেন এবং গ্রন্থটি সমাদৃত হবে।

525 700-25%
কথা-কবিতা-গল্প
কথা-কবিতা-গল্প
শামীম আহমেদ
  • আয়নার দিকে তাকিয়ে কোনো লাভ নেই, যে জীবন ফেলে আসা হয়, তা চেষ্টা করে আর ফিরে পাওয়া যায় না কখনো। শুধু আত্মার ডায়েরি উন্মোচন করে হয়তো দেখে নেওয়া যায় জীবনের নানা বুদ্বুদ-এই কাজটিই  করেছেন শামীম আহমেদ। আত্মকথায় সেকালকে তিনি যেমন মেলে ধরতে চেয়েছেন, তেমনি একালের সমাজ-দেশ ও বিশ্বব্যবস্থাপনার নানান অসঙ্গতি ও মূঢ়তার বিষয়ে ব্যক্ত করতে চেয়েছেন নিজস্ব ধারণা। আত্মাকে উন্মোচন করে বলেছেন নিজের জীবনের গল্প। একে একে মেলে ধরেছেন নিজ জীবনের ডায়েরির পাতা। একেকটি পৃষ্ঠা খুলে স্মৃতির মন্থনে দেখিয়েছেন নিজস্ব কথা কবিতা গল্পে। সামাজিক, রাষ্ট্রিক এবং ব্যক্তিক পরিস্থিতির যে দ্বিমুখী, দুর্দৈব নানা আচরণজনিত সুস্থতা ও কল্যাণরিক্ততা এখন বহমান, শামীম আহমেদের তিন পর্বে সাজানো কথা কবিতা গল্প সে-সবের কিছু অনুষঙ্গের প্রতি আমাদের মনকে নিশ্চিত খানিকটা জাগ্রত ও সচেতন করে তোলার চেষ্টা করবে।

300 400-25%
কথামালা
কথামালা
বিশ্বজিৎ ঘোষ
  • বাংলাদেশের সমকালীন সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ে একগুচ্ছ রচনার সংকলন কথামালা।  বিশ্বজিৎ ঘোষ রচিত কথামালা-র এটি প্রথম খণ্ড।  সংকলিত রচনাগুচ্ছে সমকালীন বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।  ধারণা করি, রচনাগুচ্ছ পাঠ করে কৌতূহলী পাঠক নতুন অভিজ্ঞতায় আলোড়িত হবেন।  ভাষিক সারল্য, গতিশীলতা এবং বক্তব্যে ঋজুতা বিশ্বজিৎ ঘোষের গদ্যরচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
    বিষয় ভাবনায় পাওয়া যাবে লেখকের স্বকীয় জীবনদৃষ্টি ও বিশ্ববীক্ষার পরিচয়।  কথামালা ভালো লাগলে আমরা আনন্দিত হব। 

128 160-20%
 কথামালা ২
কথামালা ২
বিশ্বজিৎ ঘোষ
  • বাংলাদেশের সমকালীন সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ে একগুচ্ছ রচনার সংকলন কথামালা-২। বিশ্বজিৎ ঘােষ রচিত কথামালা-র এটি দ্বিতীয় খণ্ড সংকলিত রচনাগুচ্ছে সমকালীন বাংলাদেশের। প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ধারণা করি, রচনাগুচ্ছ পাঠ করে কৌতূহলী পাঠক নতুন অভিজ্ঞতায় আলােড়িত হবেন। ভাষিক সারল্য, গতিশীলতা এবং বক্তব্যে ঋজুতা বিশ্বজিৎ ঘােষের গদ্যরচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিষয় ভাবনায় পাওয়া যাবে লেখকের স্বকীয় জীবনদৃষ্টি ও বিশ্ববীক্ষার পরিচয়। কথামালা-২ ভাল লাগলে আমরা আনন্দিত হব।

225 300-25%
কথাশিল্পী মানিক (হার্ডকভার)
কথাশিল্পী মানিক (হার্ডকভার)
সৈয়দ আজিজুল হক
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস-বিশ্লেষণে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এ বইয়ে সংকলিত সতেরোটি প্রবন্ধের মধ্যে পনেরোটিতেই রয়েছে মানিকের সব কটি উপন্যাসের বিচার-বিশ্লেষণ। উপন্যাসের মূল্যায়ন করা হয়েছে কখনো স্বতন্ত্রভাবে, কখনো প্রবণতা অনুযায়ী। মানিক-সাহিত্যের পর্ববিভাগের ক্ষেত্রে লেখক স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় দিয়েছেন। শেষ দুটি প্রবন্ধের একটিতে বিচার্য হয়েছে ছোটগল্পের শিল্পসৌন্দর্য, আরেকটিতে কিশোরতোষ সাহিত্য।
    উপন্যাস মানে জীবনের সমগ্রতা সন্ধান। মানবজীবনের যে দুই পরত-ব্যক্তিসত্তা আর সমাজসত্তা-তার একটির উন্মোচনে দরকার মনোবিশ্লেষণ, আরেকটির জন্য প্রয়োজন সমাজতাত্ত্বিক বিচার। সমগ্রতা সন্ধানের আগ্রহে মানিক এই দুই প্রক্রিয়ারই দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে তাঁর কথাশিল্পে ঘটেছে অন্তর্বাস্তবতা আর বহির্বাস্তবতারও এক অসামান্য সমন্বয়।
    উপন্যাসে তাঁর অভিযাত্রার ক্রমোন্নতি, বাঁকবদল বা পূর্ণতাভিসারের চিহ্নও বর্তমান। মানবের কল্যাণসাধনই ছিল তাঁর লক্ষ্য। এই লক্ষ্যসাধনে মানুষের মনোজগতের ব্যবচ্ছেদে ব্যাপৃত হয়ে ক্রমশ অনুভব করেছেন এর সীমাবদ্ধতা। ফলে শেষ পর্যন্ত মানবের সমাজসম্পর্কের ওপরই আরোপিত হয়েছে গুরুত্ব। ব্যক্তি বিচ্ছিন্নতাবোধে আক্রান্ত হয়ে শক্তিহীন আর নিরুপায়ত্বের শিকার হতে পারে। কিন্তু যখন সে সামাজিক ঐক্যে গ্রথিত তখন তার শক্তি আর আশাবাদ অপরিসীম। এরূপ বোধের প্রতিফলনেই মানিকের উপন্যাস সৌন্দর্য লাভ করে।
    বইয়ের প্রবন্ধসমূহ পাঠককে মানিকের লেখকসত্তার বিচিত্রপ্রান্তের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোসহ ওই সৌন্দর্য আস্বাদনেও সহায়তা করবে।

440 550-20%
কপালকুণ্ডলা
কপালকুণ্ডলা
ড. খন্দকার শামীম আহমেদ
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য অবশ্যস্মরণীয় লেখক। সাহিত্য-সম্রাটের মুকুটটি তাঁরই। কপালকুণ্ডলা তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস। উপন্যাস নির্মাণ, ভাষা নির্মাণের সার্থক শিল্পী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম সৃষ্টি কপালকুণ্ডলা। ‘তুমি অধরা-তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?’ বা ‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?’ প্রভৃতি প্রবাদতুল্য উক্তি এই উপন্যাসকে অনন্য করেছে।
    ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা’র সঙ্গে পাঠকের সহজ কিন্তু মিষ্টি একটি সংযোগ সাধিত হবে এই বইয়ে-প্রত্যাশা করা যায়।

160 200-20%
কফিন রহস্য
কফিন রহস্য
ইকবাল খন্দকার
  • কামরুলের লাশ আসে কফিনে করে।  এরপর লাশ সমাহিত করা হলেও কফিনটা রেখে দেওয়া হয় বারান্দায়, জানালার কাছে।  কিন্তু কেন?
    একরাতে হাওয়া হয়ে যায় কফিনটা।  সবাই সন্দেহ করে এলাকার কুখ্যাত চোর তমিজকে।  জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় কফিন চুরির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।  তাহলে সে দৌড়ে পালায় কেন? কেন খুঁজে পাওয়া যায় না চায়ের দোকানদার হযরত আলীকে?
    হযরত আলীকে খুঁজে সবাই যখন ক্লান্ত, তখন তার আংটি পাওয়া যায় কফিনের ভেতর।  আর এই আংটির সূত্র ধরেই সামনে চলে আসে রহস্যময় সব ঘটনা।  চলে আসে জাদুকর মজুমদারের নাম।
    কে এই মজুমদার? কফিনের প্রতি কেন তার এত লোভ? কেন তাকে ধরে এনে শোয়ানো হয় কফিনের ভেতর? এরপর সে কি জীবন্ত বের হতে পারে কফিন থেকে? নাকি...

160 200-20%
কবি সব করে রব
কবি সব করে রব
রাজীব সরকার
  • আমাদের রম্যরচনার জগতে রাজীব সরকারের আবির্ভাব মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে বইয়ের মধ্য দিয়ে।  বিপুলভাবে পাঠকনন্দিত এই বইয়ের পর লেখকের রম্যরচনার দ্বিতীয় সংকলন কবি সব করে রব।  সমকালীন বিষয় সম্পর্কে তার সূক্ষ্ম, সংবেদী ও শ্লেষাত্মক বক্তব্য সহজেই মনোযোগ আকর্ষণ করে পাঠকের।  তার ভাষা গতিময়, প্রাণবন্ত।  তিনি কেবল ওপরভাসা কথা বলেন না, বিষয়ের গভীরে আলো ফেলবার চেষ্টা করেন।  আমাদের স্বদেশ ও সমাজ নিয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবেন, তার সেই ভাবনার  প্রতিফলন ঘটে তার লেখাগুলোয়।  এই বইয়ের  লেখাগুলো যেমন সুখপাঠ্য, তেমনি চিন্তা উদ্রেককারী।  তার প্রধান গুণ রম্যতা।  হাস্যরস, সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ, পরিহাসপ্রিয়তা প্রতিভাবান লেখকমাত্রেরই গুরুত্বপূর্ণ রসদ, রাজীব সরকারের কবি সব করে রব বইটি তারই প্রমাণ।

100 125-20%
কবিকথন
কবিকথন
আহমাদ মাযহার, পিয়াস মজিদ
  • আজও সেই দুঃসময়। একজীবনে ফুরোয় না কিছু।
    আমরা তো সেই স্বপ্নই দেখি-অথবা ভেঙেও পড়ি শোকে চোখের সামনেই কৌম টুকরো টুকরো হয়ে যায়, আর বেঘোরে রাস্তায় সব জড়ো হই, পলকে পলকে দেখা দিতে থাকে শুধু-মুখ নয়-মুখের বিকার।
    সেদিনও ঘুমের মধ্যে দেখি যে মানুষ কোনোখানে নেই আর-শুধু তার আর্তনাদটুকু জেগে আছে প্রান্তরে প্রান্তরে জলে অন্তরীক্ষে আগুনের স্বরে- শিশিরের বিন্দুগুলি রক্তমাত্রা নিয়ে ঝরে পড়ে!
    কে কখনও বেঁচে থাকে, স্বরে কার তখনও রণন? কে তখনও নিতে পারে বিপরীতে সহজের ঝুঁকি? তুমিই ওঠাও মুখ সে-সময়ে, কেননা তখন তোমাকেই চায় দেশ-দুঃসময়ে চায় মুখোমুখি। 
    শঙ্খ ঘোষ 

300 400-25%
কবিতা দেশে দেশে
কবিতা দেশে দেশে
রতনতনু ঘোষ
  • মানবমন যখন নতুন কিছু বলেছে, তা হয়ে হয়ে উঠেছে কবিতা।  কবিতা তাই অন্তরের অনন্ত প্রকাশ।  গোটা দুনিয়ার মানুষের ভাবনা ও বিস্ময় চিত্রায়িত হয়েছে এই মাধ্যমে।  পৃথিবীর ছয় মহাদেশের ষাটেরও বেশি দেশের কবিদের অন্যতম কবিতাগুলো নিয়ে এই বই।  অনুবাদ করেছেন বাংলার শ্রেষ্ঠ অনুবাদকগণ।  আর তাই কবিতার বিপুল সমাবেশে এটি হয়ে উঠেছে একটি আঁকরগ্রস্থ।  সর্বোপরি হয়ে উঠেছে কবিদের অবশ্যপাঠ্য কাব্যপৃথিবীর ইতিহাস। 

188 250-25%
কবিতা সংগ্রহ
কবিতা সংগ্রহ
রফিক উল ইসলাম
  • ‘...রফিক উল ইসলাম নিভৃতচারী এবং
    নিচু গলায় কথা বলে কবিতায়, কিন্তু তার 
    ব্যক্তিত্বের জোর অনুভব করা যায়।...’

188 250-25%
কবিতাজীবনী
কবিতাজীবনী
পিয়াস মজিদ
  • কবির একান্ত কাব্যভাবনা ও কবিতা বিষয়ক বিচিত্র গদ্যের সংকলন কবিতাজীবনী।  গ্রন্থের প্রথম পর্ব ‘কবিতাজীবনী’তে মিলবে সমকালের এক কবির কবিতাচর্চার অন্তরমহলের কথকতা যা পাঠকের সামনে উন্মোচন করবে কবিতা নির্মাণশৈলীর গহিনের কলকব্জাসমূহ।  জানা যাবে কবিতা-রচনার অন্তরালে যে নিগূঢ়-রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা থাকে; তার সম্পর্কেও।  ‘সংগোপন দর্পণে’ অংশে নিজের পছন্দের কয়েকটি কবিতার বহুল উল্লেখিত কিছু নির্দিষ্ট পঙ্ক্তি নিয়ে সংক্ষিপ্ত  অথচ সংবেদী বিশ্লেষণ।  টি এস এলিয়ট থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার বিশিষ্ট পঙ্ক্তিগুলো নিয়ে এই আলোচনা একইসঙ্গে ব্যতিক্রমী এবং মনোগ্রাহী। 
    ‘কবিতাশিল্প-অবলোকন’ পর্বে বিদেশি লোরকা এবং স্বভাষী জীবনানন্দ, বিনয় মজুমদার, শামসুর রাহমান, শঙ্খ ঘোষ, উৎপলকুমার বসু, মুস্তফা আনোয়ার, নাসিমা সুলতানা, শামীম কবীর প্রমুখের কবিতা নিয়ে আছে অনুপুঙ্খ আলোচনা।  বইয়ের শেষাংশে সংযুক্ত হয়েছে দুই বিশিষ্ট কবি সৈয়দ শামসুল হক ও আবদুল মান্নান সৈয়দের সাথে লেখকের আলাপচারিতা যা পাঠকের জন্য এক বাড়তি প্রাপ্তি।

160 200-20%
কবিতায় নৃগোষ্ঠী : মূলত কেন্দ্র থেকে দেখা
কবিতায় নৃগোষ্ঠী : মূলত কেন্দ্র থেকে দেখা
সিরাজ সালেকীন
  • বাউল কবির আরশিনগরের পড়শির সঙ্গে কখনো দেখা হয় না। এটা যদিও সাধনতত্ত্বের রূপক, কিন্তু এতে অন্তর্নিহিত হয়ে আছে প্রান্তজনের সঙ্গে কেন্দ্রজনের অপরিচয় ও দূরত্বের ডিসকোর্স। সমাজে শ্রেণিবিভাজন, ক্ষমতাদ্বন্দ্ব, সাংস্কৃতিক হেজিমনি এবং ভূ-নৃতাত্ত্বিক চারিত্র্যভিত্তিতে দূরাতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত এদেশে বসবাসকারী/বহিরাগত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বদাই রয়ে গেছে নিম্নবর্গ, শূদ্র-দলিত, প্রান্তিকজন, অন্ত্যজ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, কালে-কালে এদের সঙ্গে সংঘাতদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে উচ্চবর্গীয় শাসকবর্গ, ধর্মকারবারিরা। সিরাজ সালেকীন রচিত কবিতায় নৃগোষ্ঠী : মূলত কেন্দ্র থেকে দেখা-এই শিরোনামের মধ্যেই সংকেতিত হচ্ছে সেই দ্বন্দ্বের পরিকল্প। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে মানুষ আর না-মানুষের ঐতিহাসিক-নৃতাত্ত্বিক-সাংস্কৃতিক যে ধারা গড়ে উঠেছিল তা বাংলা কাব্যসাহিত্যে রূপান্বিত হয়েছে দুইভাবে। এক. প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীকেন্দ্রিক জীবনের পরিসর। দুই. কেন্দ্রে বসবাসরত উচ্চবর্গীয় শ্রেণির অন্তর্গত শিক্ষিতজনের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা প্রান্তের নৃগোষ্ঠীদের জীবনরূপ। সিরাজ সালেকীনের গ্রন্থটির পরিসর সুদূর ঐতিহাসিক-সামাজিক-ধর্মীয় কাল থেকে কালান্তর পেরিয়ে সুদীর্ঘ সময়ের নৃতাত্ত্বিক ধারা বেয়ে একুশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত প্রসারিত। এ এক ব্যাপক পরিশ্রমসাধ্য মেধাবী প্রকল্প। লেখক পরিভ্রমণ করেছেন বাংলা কাব্যের বিপুল এলাকা-চর্যাপদ থেকে বিশ শতকের আধুনিক কবিতা পেরিয়ে একুশ শতকের সূচনাপর্বের কবিতা পর্যন্ত। সিরাজ সালেকীনের ইতিহাসজ্ঞান, নান্দনিক বোধ এবং ব্যাপ্ত পঠনপাঠন নিবেদিত থেকেছে বিশ্লেষণের অন্তর্দৃষ্টিতে, চিরে-চিরে ভেতরের রূপটিকে বের করে আনার কুশলতায়। তিনি উন্মোচন করেছেন কাব্যের দৃশ্যমান ভাববস্তুর অন্তরালবর্তী অন্তর্বস্তুকে। যুক্তিশীল নিবিড় প্রেক্ষণীতে অবলোকন করেছেন বাংলা কবিতার রচয়িতাদের চারিত্র্য, প্রচ্ছন্ন সুবিধাবাদী অবস্থান ও দূরত্ববোধকে। বিপরীতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে প্রান্তিকবর্গের জীবনায়ন, দৃষ্টিকোণ ও তাদের elemental force of life-দুর্মর প্রাণশক্তির মৌল সত্য।
    আমার পাঠের পরিসরে এ রকম গ্রন্থের দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত আর পাইনি। পরিমিত বাচনে, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে ও তথ্য-উপাত্তের মিথস্ক্রিয়ায় এই গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যগবেষণায় একটি মাইলফলক। একই সঙ্গে সৃষ্টিক্ষমপ্রজ্ঞার প্রকাশে এখানে সিরাজ সালেকীন হয়ে উঠেছেন অনন্য। গ্রন্থটির পাঠে বিদগ্ধ প্রগতিশীল পাঠক শুধু নান্দনিক রসাস্বাদেই আপ্লুত হবেন না, তাঁদের ইতিহাসিত জীবনবীক্ষা ও নিজস্ব জ্ঞানভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হবে। এমন একটি রচনাকৃতির জন্য গ্রন্থকারের প্রতি রইল আমার আশীর্বাদ ও অভিনন্দন।
    -অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল

338 450-25%
কবিতার খেরোখাতা
কবিতার খেরোখাতা
উপল মাহবুব
  • "সহজ গতি আর অন্তরঙ্গ সারল্য উপল মাহবুবের কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ কবিতাই দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা, বা প্রচলিত উৎসবকে কেন্দ্র করে মুঠোফোনে লেখা। 'কবিতার খেরোখাতা'-তে আরও যুক্ত হয়েছে জেনট্যাঙ্গল (Zentangle) রীতিতে আঁকা লেখকের নিজস্ব চিত্রকর্ম। ছবি ও কবিতার যুগলবন্দী এই বইটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।"

120 150-20%
কবিতার নান্দনিকতা : প্রাচীন ও মধ্যযুগ
কবিতার নান্দনিকতা : প্রাচীন ও মধ্যযুগ
বেগম আকতার কামাল
  • হাজার বছর পেরিয়েছে বাংলা কবিতা। এর মন্ময় অনুভূতির রঙ ও ব্যঞ্জনা সৃষ্টির শুরু হয়েছিল চর্যাপদে। তার পরে চলেছে বিস্তার-মধ্যযুগ ছাড়িয়ে বর্তমান পর্যন্ত। এর অভিমুখ এখন অনাগত ভবিষ্যতের দিকে। কীভাবে এইসব কবিতারাশি রূপরসের ব্যঞ্জনায় সময়স্বভাব ও কবিতা পার্সোনাকে ধারণ করে আছে নানা চিহ্নে-সংকেতে-রূপকল্পে তারই ধারাবাহিক চিত্রায়ণ কবিতার নান্দনিকতা : প্রাচীন ও মধ্যযুগ গ্রন্থটি। 
    কবিতা যূথবদ্ধ সমাজগ্রন্থির বন্ধন ছিন্ন করে কীভাবে ব্যক্তিময় অনুভূতির আলোতে প্রাণ পেয়েছিল তারই বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন কবিতাবোদ্ধা বেগম আকতার কামাল। তাঁর দৃষ্টি দূরাতীত থেকে বর্তমান অবধি ছড়ানো। তাই কবিতার নন্দন ব্যাখ্যায় তিনি বর্তমানের কাব্যকৃতিতেও অনুসন্ধান করেছেন বিচিত্র কাব্যিক সৌন্দর্য। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগ–লোয় বাংলা কবিতা পাঠের বিপুল ইঙ্গিতময় অভিজ্ঞতা এবং শৈল্পিক রূপরসের পরিজ্ঞান চিহ্নিত হয়েছে। বাংলা কবিতা মূলত বহু বর্ণময় গীতিকাব্যিক—চিত্রে ও ধ্বনিতে। প্রাবন্ধিক, গবেষক বেগম আকতার কামাল বিবিধ নন্দনতত্ত্বের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে উপস্থাপন করেছেন হাজার বছরের বাংলা কবিতার ওই ধ্বনিময় চিত্রাত্মকতার অনুপুঙ্খ।

263 350-25%
কমবয়সি সন্ধ্যা
কমবয়সি সন্ধ্যা
পলাশ মাহবুব
  • মলাটের ছোট্ট ভাঁজে এই উপন্যাসের সারাংশ লেখা কঠিন।  কারণ বইয়ের পাতায় পাতায় কাহিনি যেভাবে এগিয়েছে তাতে অল্প কথায় গল্পের পুরোটা বোঝানো ভীষণ মুশকিলেরই ব্যাপার।
    বইয়ের নাম পড়েই যেসব পাঠকেরা ভেতরের গল্প বোঝার চেষ্টা করেন এই বইয়ের নাম তাদের ধাঁধায় ফেলবে নিশ্চিত।  ‘কম বয়সি সন্ধ্যা’ নামটি পড়ে আপনি মনে মনে যে গল্পটা প্রত্যাশা করছেন কিংবা ধরে নিচ্ছেন ভেতরে এমন কিছু একটাই থাকবে- তাদের নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায় ভেতরের গল্পটি আসলে তা না।  এই উপন্যাসের কাহিনি তার নামের মাপের বাইরে।
    পাঠক যখন বইটির কাহিনি ভ্রমণ শুরু করবেন তখন কখনো কখনো তার কাছে একে নিছক একটি প্রেমের গল্প মনে হতে পারে।  কখনোবা মনে হতে পারে প্রেম নয় এটি মূলত প্রতারণার গল্প। আবার পাঠক এমনও ভাবতে পারেন-এটি আসলে জীবনকে নতুনভাবে দেখার গল্প।
    প্রেম অথবা প্রতারণা কিংবা অন্যকিছু ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত গল্পটি যে আসলে কিসের তা বুঝতে পাঠককে যেতে হবে গল্পের শেষ অবধি। 
    আগ্রহী পাঠকেরা যাবেন নিশ্চয়ই? 

160 200-20%
কমলাকান্ত
কমলাকান্ত
ড. খন্দকার শামীম আহমেদ
  • উনিশ শতকের সমাজ-সংস্কৃতি চর্চা বর্তমান সময়কে আরও উপাদেয় করার জন্যই প্রয়োজন। সমাজের অসঙ্গতি ব্যঙ্গের মাধ্যমে, পরোক্ষভাবে তুলে ধরার জন্য বিশ্বসাহিত্যে মহৎ সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অনেক ‘প্রথমে’র মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক্ষেত্রেও প্রথম। আফিমখোর কমলাকান্তের মতো ‘অস্বাভাবিক’ মানুষই বলতে পারেন জোর গলায়; যার হারানোর কিছু নেই। কমলাকান্ত আফিম খেয়েছেন নিজে, মাতাল করেছেন আমাদের। তার মতো ‘দিব্যদৃষ্টি’ আমাদেরও প্রয়োজন; তাই বলে সবাইকে তো আর আফিম খাওয়া চলে না! তারচে’ মাতালের বয়ান [বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কমলাকান্ত] পড়া ঢের বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমান গ্রন্থে ‘কমলাকান্তের দপ্তর’, ‘কমলাকান্তের পত্র’, ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী’-একত্রে পাওয়া যাবে। দীর্ঘ ভূমিকাটি কমলাকান্তকে বোঝার ক্ষুদ্র প্রয়াস। পরিশিষ্টে ‘কাকাতুয়া’ থাকল। ‘মশক’ প্রবন্ধটি প্রথমবারের মতো সংযোজিত হলো। গ্রন্থটি সাধারণ পাঠক-শিক্ষার্থী-গবেষকের কাজে আসবে- প্রত্যাশা করা যায়।

160 200-20%
করোনাকালীন ভাবনায় সেকাল-একাল
করোনাকালীন ভাবনায় সেকাল-একাল
আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন
  • আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবন এক অর্থে গল্পময় জীবন। সব গল্প হয়তো ঠিক ‘সিরিয়াস’ গল্পও নয়। কিন্তু সেইসব গল্প বলার বা শোনার ফুরসত কোথায়? বিশেষ করে যাঁরা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন, দায়িত্বের গাম্ভীর্যের আড়ালে ব্যক্তিগত জীবনের গল্পগুলো তাঁদের আর বলা হয়ে ওঠে না। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক, বর্তমানে একই বিভাগের চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের ডিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে একনিষ্ঠ গবেষক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন এই বইয়ে তাঁর সেই গল্পগুলো বলতে চেয়েছেন। স্মৃতিচারণ, আত্মকথন, কিংবা নিছক মনোভাবনা- যাই বলা হোক না কেন, এ-বইয়ের সবগুলো রচনা মূলত জীবনের গল্প। বৈঠকি ঢঙে অনেকটা আড্ডার ছলে লেখক টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের কথা বলেছেন। বলেছেন প্রিয়-অপ্রিয়, সুখ-দুঃখের অনেক কথাই। তাঁর বলার মধ্যে খানিকটা কৌতুক আছে, তারচেয়েও বেশি আছে জীবনের প্রতি গভীর কৌতূহল। তাঁর গদ্য সুখপাঠ্য। সিরিয়াস অ্যাকাডেমিশিয়ান ও নিবিষ্ট গবেষক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের অন্দরমহলের খবর জানতে করোনাকালীন ভাবনায় সেকাল-একাল বইটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

225 300-25%
করোনাকালের কবিতা আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
করোনাকালের কবিতা আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
খসরু পারভেজ
    1. মানুষের মৃত্যু হলে পর, 
      মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকে, মৃত্যু পালিয়ে যায়।
      মৃত্যু কোথায় যায়? আমরা জানি না। 
      যে-কান্না আগে কখনও আসেনি চোখে, 
      বুকের ভিতর থেকে সেই রকমের
      এক অনাস্বাদিত কান্নার 
      ঢেউ উঠে আসে। 
      প্রশ্ন জাগে মনে-আমি কি বেঁচে আছি?
      একে যদি বাঁচা বলি, মৃত্যু বলবো কাকে?

      ঘরে ফেরার পর, ঘুমুতে যাবার আগে
      হঠাৎ মনে পড়ে, ঐ যে পলিথিনে মোড়া 
      মরদেহটিকে দূর থেকে চকিতে দেখেছি,
      সে ছিলো আমার পিতা, আমার জননী,
      সে ছিলো আমার ভাই, আমার বোন-
      সে ছিলো আমার স্বামী, পত্মী, প্রিয়তমা।

      আর পলিথিনে মোড়া ঐ ছোট্ট শিশুটি,
      সে ছিলো আমার সন্তান, আমার ভগবান।

      নির্মলেন্দু গুণ

450 600-25%
কলাপাতা ও লাল জবাফুল
কলাপাতা ও লাল জবাফুল
ইমদাদুল হক মিলন
  • একটি কলাপাতা চার কোনা করে কেটে তার মাঝখানে গোল করে যদি রাখা হয় গোটা দশেক টকটকে লাল জবাফুল তাহলে সেটা বাংলাদেশের পতাকার মতো মনে হবে।  এই ভাবনা থেকেই লেখা হয়েছে কলাপাতা ও লাল জবাফুল গল্পটি।  এই গল্প মুক্তিযুদ্ধের গল্প।  এছাড়াও বইটিতে আছে আরও দুুটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প, একটি বোকা রাজাকারের গল্প, ছেলেবেলার গল্প, ভূতের গল্প।  সব মিলিয়ে এক জমজমাট গল্পের বই কলাপাতা ও লাল জবাফুল। 

120 150-20%
কাকজোছনা
কাকজোছনা
ঝর্না রহমান
  • তুয়া, টিন-এজ এক কিশোরী, মাত্রই যার শরীরটি বিকশিত হতে শুরু করেছে, ‘পাপড়ির আবডাল’ থেকে ঘুম ভেঙে বেরিয়ে আসছে মন, উদ্ভট রোমান্টিক ভাবনাগুলো ভুতুড়ে শিহরনে কাঁপুনি তুলছে-সেই আলুঝালু সময়ে জিশান নামের এক খাপছাড়া তরুণ তুয়ার হোমওয়ার্কের খাতার ভেতর ঢুকে পড়ে। জিশানই হয়ে ওঠে তুয়ার ‘লেখাপড়া’। অদ্ভুত এক স্বপ্নের ঘোরে তার মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। অভিভাবকের শাসনের কঠিন শেকলে বাঁধা পড়ে সে। প্রচণ্ড রগচটা পিতা তুয়ার কাছে হয়ে ওঠে এক ত্রাস। আবার জিশানও এক দুর্নিবার আকর্ষণের নাম। একটি মোবাইল ফোনের জন্য পাগল হয়ে ওঠে তুয়া। বান্ধবীর সহায়তায় সে ভার্চুয়াল জগতের পাঠ নিতে থাকে। ছোট এ উপন্যাসে লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বর্তমান সময়ের সমাজ-মানস চিত্রিত করার পাশাপাশি একজন মনস্তত্ত্ববিদের মতোই বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীর মনোবীক্ষণ করেছেন। কাহিনির পাশাপাশি বয়ে চলে শ্রেয়োচেতনার অন্তঃস্রোতা নদী। আর নদীর মতোই প্রবহমান নিরাভরণ টানা গদ্যে লেখক এঁকে গেছেন কাকজোছনায় ভেজা এক চরাচরের ছবি। 

80 100-20%
কাজী আবদুল ওদুদ জীবনদর্শন ও সাহিত্যসাধন
কাজী আবদুল ওদুদ জীবনদর্শন ও সাহিত্যসাধন
সাইফুল আলম
  • কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০) বিশ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি সমাজচিন্তাবিদ।  তাঁর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যসাধনার পথপরিক্রমা ইউরোপীয় রেনেসাঁসের আলোয় আলোকিত। তিনি ছিলেন বাঙালি মুসলমান সমাজের  বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে তাত্ত্বিক ও কর্মীপুরুষ কথাশিল্পী, সংগঠক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, চিন্তানায়ক, সাময়িকপত্র-সম্পাদক, অনুবাদক, অভিধানপ্রণেতা প্রভৃতি পরিচয়ে তাঁর অবদান স্বতন্ত্র ও তাৎপর্যময়।  প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তবুদ্ধির অনুসারী, যুক্তিবাদী, সমাজকল্যাণকামী, মানবতাবাদী লেখক হিসেবে সামাজিক ও সাহিত্যিক কর্তব্য সচেতনভাবে, নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন।  ওদুদ-মানস জানার ক্ষেত্রে গ্রন্থটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

450 600-25%
কাঁটাবৃক্ষের ছায়া
কাঁটাবৃক্ষের ছায়া
আবুল কাসেম
  • কাঁটাবৃক্ষের ছায়া ৬টি গল্পের সমাহার।  প্রত্যেকটি গল্পই মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত।  প্রতিটি গল্প রচনাতেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বাস্তব ঘটনা ও বিশ্বস্ততার প্রতি।  ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজের সহায়তা রয়েছে এসব গল্প তৈরিতে।
    স্থান ভিন্ন ভিন্ন হলেও ৬টি গল্পতেই আছে মুক্তিযুদ্ধের ছোঁয়া।  আবেগ চেতনা, বাস্তব ঘটনা ও গৌরবময় ইতিহাসের বিস্ময়কর সব উপাদান ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে গল্পগুলো।  অনুসন্ধান ও গবেষণা করে ঘটে যাওয়া ঘটনার ধারণা ব্যক্ত হয়েছে গল্পগুলোতে।  মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পাঠককুল ইতিহাসনির্ভর ও ভিন্ন স্বাদের এ গল্পগুলো পড়ে তৃপ্তিবোধ করবেন প্রত্যাশা রাখি।

120 150-20%
কাঠমান্ডুর মূর্তিরহস্য
কাঠমান্ডুর মূর্তিরহস্য
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
  • আচম্বিতেই দুই দুঃসাহসী বাঙালি কিশোর নেপাল সীমান্তে গিয়ে জড়িয়ে পড়ল রহস্যজালে।  একটি রহস্যময় মূর্তি নিয়ে ঘটে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড।  এক রহস্যের জট খুলতে না খুলতেই পেছনে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করল নতুন রহস্যের ঘন ছায়া।  আর রহস্যভেদের দুর্দমনীয় নেশায় বাংলাদেশের ঢাকা থেকে যাত্রা করা দুই কিশোর ভারত-নেপালের আনাচে-কানাচে চালাতে লাগল দুঃসাহসী অভিযান।  শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালাতে গিয়ে কলকাতা-শিলিগুড়ি-গালগালিয়া-কাঁকড়ভিটা-কাঠমান্ডু-নেপালগঞ্জ  কোথায় গেল না তারা! আন্তর্জাতিক অপরাধীচক্র থেকে কাঠমান্ডুর বোম্বেটেরা পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ল ঘটনার সাথে।  নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ঘটতে লাগল শ্বাসরুদ্ধকর সব ঘটনা।  পার্বত্যরাজ্য নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত দুর্লঙ্ঘ পর্বতমালা,  এমনকি তরাইয়ের সমতলেও চলতে লাগল মরণপণ অভিযান।  এরই মধ্যে খুন হয়ে গেল একজন লোক।  ঘনীভূত হয়ে উঠল রহস্য।  ঘটে চলল অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনা।  সেই রহস্যের আবর্তে খেই হারিয়ে ফেলতে ফেলতেও শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠল আশার আলো।  পদে পদে বিপদের বাধা অতিক্রম করে হার না মানা বাঙালি কিশোরদেরই অবশেষে হলো জিত।
    তবে এটি গোয়েন্দা-অ্যাডভেঞ্চার কাহিনিই শুধু নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু।  মানুষে মানুষে বৈষম্য ও হতদরিদ্র মানুষের কঠিন জীবনসংগ্রামের অসাধারণ চিত্র নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে এতে।  বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে নেপাল-হিমালয়ের প্রকৃতির একেবারে জীবন্ত বর্ণনা।

120 150-20%
কানা দস্যু
কানা দস্যু
মোশতাক আহমেদ
  • বনখালি গ্রামে আতঙ্কের নাম কানা দস্যু।  এই কানা দস্যু আজ চাঁদা চায় তো কাল কাউকে অপহরণ করে। কানা দস্যু নাম শুনতেই রক্ত ঠান্ডা হয়ে আসে গ্রামবাসীর।  ভয়ে কেউ কানা দস্যুর নাম মুখে আনে না।  অবাক ব্যাপার হলো কানা দস্যুকে কেউ চিনেও না।  অথচ তার দাবি মতো চলতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।  কেউ অমান্য করলে তার জীবন অশান্তিময় হয়ে ওঠে।  এই কানা দস্যুকে ধরতে বনখালি গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিশির আর লেলিন।  গ্রামে পা রাখতে বুঝতে পারে গ্রামের জীবন স্বাভাবিক নেই।  সম্পূর্ণ গ্রাম যেন এক মৃত্যুপুরী।  তার উপর নেই ইলেকট্রিসিটি, মোবাইল নেটওয়ার্ক।  পৃথিবীর কারো সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।  এমন কী, থাকার জায়গাও নেই।  সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে, কানা দস্যু সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিতে চায় না।  আর কীভাবে যেন কানা দস্যু সব আগে থেকেই জেনে যায়।  যেমন জেনে গেছে তাদের আগমন এবং উদ্দেশ্যের কথা।  তাই তো চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়, শিশিলিনের সদস্যরা যদি ফিরে না যায় তাহলে করুণ মৃত্যুবরণ করতে হবে তাদের।  কিন্তু শিশির আর লেলিন নাছোড়বান্দা।  তারা ধরবেই কানা দস্যুকে।  কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন! কানা দস্যুর ছায়াও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  বরং তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের নাকের ডগায় একটার পর একটা অপরাধ করে যাচ্ছে কানা দস্যু।  এখন তারাই বিপদগ্রস্ত, যে কোনো সময় খুন হতে পারে তারা।
    শেষ পর্যন্ত কী শিশিলিনের দুই ক্ষুদে গোয়েন্দা ধরতে পেরেছিল কানা দস্যুকে? নাকি তাদের করুণ মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল ভয়ংকর কানা দস্যুর হাতে?

160 200-20%
Home
Categories
Cart
Account