(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

অজগর আলী
অজগর আলী
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই অজগর আলীর এক নতুন সমস্যা শুরু হয়েছে।  তার মাথার মধ্যে কুকুর ডাকা শুরু করেছে। তাও একটা, দুইটা নয়, রীতিমতো দল বেঁধে! মাঝে-মধ্যে তারা ভয়ংকরভাবে ঝগড়াও করছে...অসহ্য একটা পরিস্থিতি! তিনি ভেবেছিলেন, বাইরে কোথাও হবে।... 
    ...কাজের ছেলেটা তখন কান খাড়া করে কিছু শোনার চেষ্টা করল, তারপর বলল, ‘কই, আমি তো কিছু শুনি না!’...

120 150-20%
অড্রিয়টিক ড্রাগন
অড্রিয়টিক ড্রাগন (হার্ডকভার)
আহসান হাবীব
  • তিনটি ভিন্নধরনের গল্প নিয়ে এই গ্রন্থ। “অড্রিয়টিক ড্রাগন” একটি মেডিনভেল টাইপ রচনা। ইতিহাস আশ্রিত ফ্যান্টাসি বলা যেতে পারে! দ্বিতীয়টি “জিরো পপুলেশন ’ল”  শুধুই ফ্যান্টাসি। আর তৃতীয়টি “ইয়াকুব আলীর উল্টে যাওয়া ” একটি প্রায় সামাজিক সায়েন্স ফ্রিকশন (ফিকশন নয়) । তিনটি ভিন্ন মাত্রার লেখা। পাঠকের ভাল লেগেও যেতে পারে কে জানে... লেখক আহসান হাবীবের এমনটাই  ধারনা।

82 100-18%
অতঃপর মানুষের ধর্ম
অতঃপর মানুষের ধর্ম (হার্ডকভার)
মফিজুর রহমান রুন্নু
  • আধুনিক বিজ্ঞানের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান যেভাবে মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে এবং দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে তাতে অনেকের মনে এ প্রশ্নও দেখা দিয়েছে- এই বিজ্ঞান কী ভবিষ্যতে ধর্মের বিকল্প হয়ে উঠবে? অথবা, এই যুগে ধর্ম কী পারবে মানুষের বৈষয়িক ও নৈতিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে? ধর্ম কী পারবে মানুষের অগ্রসরমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে? ভবিষ্যৎ সমাজে প্রচলিত ধর্মের প্রয়োজন কী ফুরিয়ে যাবে? নাকি ধর্ম তার সনাতন তত্ত্ব ও নৈতিক শিক্ষার খোলনলচে বদলে ফেলে যুগোপযোগী এক নতুন অবয়ব গড়ে তুলতে সক্ষম হবে? নানা প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনার ভিত্তিতে লেখক তাঁর বক্তব্য সাজিয়েছেন অতঃপর মানুষের ধর্ম বইয়ে।

160 200-20%
অদৃশ্য আতংক
অদৃশ্য আতংক ( ডিটেকটিভ ফাইভ সিরিজ ) (হার্ডকভার)
সুমন্ত আসলাম
  • মাথা নিচু করে ফেলল রাফিন। জটিল কিছু ভাবছে সে। যে কোনো কঠিন মুহূর্তে হয় মাথা নিচু করে ফেলে সে, না হয় উপরের পাটির দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ায়।
    জুহামের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা নোট করার পরামর্শ দিল রাফিন। দ্রুত সেটা নোট করল জুহাম। বাম হাত দিয়ে কপালটা চেপে ধরে রাফিন শান্ত গলায় বলল, ‘সবাই ভেবেছে ব্লু হোয়েল গেমসের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা করেছে ফারুক। বেশ প্রচারও হয়েছে ব্যাপারটা। কিন্তু এটা সত্য না।’ রাফিন আগের চেয়ে শান্ত গলায় বলল, ‘ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ 
    তৌশি, সাবাব আর অর্চি চমকে উঠে বলল, ‘কে মেরে ফেলেছে?’
    রাফিন কিছু বলল না সঙ্গে সঙ্গে। একটু পর শব্দ করে নিশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘একটা আতংক পেয়ে বসেছে আমাকে, অদৃশ্য আতংক। আপাতত কোনো কিছুই বুঝতে পারছি না আমি।’
    দুর্ধর্ষ, দুঃসাহসী ডিটেকটিভ ফাইভের পাঁচ গোয়েন্দাকে কোন আতংক পেয়ে বসল?
    কী ভয়ানক কথা!

120 150-20%
অদৃশ্য ময়দানের লড়াই
অদৃশ্য ময়দানের লড়াই (হার্ডকভার)
মফিজুর রহমান রুন্নু
  • সংস্কৃতি শুধু বিনোদনের উপাদান নয়।  বরং তা এক সামগ্রিক জীবনবোধ।  সামাজিক প্রয়োজনে যার জন্ম।  তাই সংস্কৃতির সামাজিক ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।  মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম ও উন্নততর সমাজ জীবনের জন্য সংগ্রামের সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক গভীর।  লেখক এই সামাজিক প্রেক্ষাপটেই সংস্কৃতিকে বিবেচনা করেছেন।  তিনি দেখিয়েছেন সমাজ পরিবর্তনে সংস্কৃতির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।  মানুষের মনোজাগতিক ক্ষেত্রকে নাড়া দিতে সংস্কৃতির বিকল্প নেই।  লেখক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা এই ‘অদৃশ্য ময়দানে’র যোদ্ধা।

200 250-20%
অদ্ভুত আঁধার এক
অদ্ভুত আঁধার এক (হার্ডকভার)
শাখাওয়াৎ নয়ন
  • সালেহা।  নিুবর্গের এক গ্রামীণ নারী।  তার সংগ্রামী জীবনকে ঘিরে সময়, সমাজ ও ইতিহাসকে সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক।  সরল বয়ানে এঁকেছেন স্বাধীনতা-উত্তর গ্রামবাংলার ছবি। তুলে ধরেছেন দারিদ্রপীড়িত গহীনাকূল গ্রামের মানুষের কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা-রাজনীতি আর ধার বয়ান।  উপন্যাসের চরিত্র ও সমাজের কুটিল স্তরবিন্যাসের যে ছবি এঁকেছেন লেখক, তা বাস্তবেরই ছায়াচিত্র এবং নিরলংকার জীবনের সত্যভাষণ।  ফলে উপন্যাসটি ধারণ করেছে পূর্ব বাংলার ইতিহাসের জমিন। 

132 160-18%
অদ্ভুতুড়ে
অদ্ভুতুড়ে
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • মানুষের জীবন হতে পারে অদ্ভুত, রহস্যময় এবং অবিশ্বাস্য; যা কল্পনাকেও হার মানায়...
    দ্য গ্রেট বল্টুদা এ সমস্ত ঘটনার পিছনের যুক্তি খুঁজে বেড়ান। কখনো তিনি সেটা খুঁজে পান, আবার কখনো সেটা হয়ে থাকে অজানা রহস্য! 
    দ্য গ্রেট বল্টুদা সিরিজ-২ অদ্ভুতুড়ে নিয়ে আসছে তেমনই সব বিচিত্র, বিস্ময়কর এবং লোমহর্ষক ঘটনাসম্ভার...

188 250-25%
অনতুর ১০ নম্বর
অনতুর ১০ নম্বর
সুমন্ত আসলাম
  • মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে অনতু। সামনের সোফায় ওর আব্বু, আম্মু, দাদাভাই, দাদু মণি ও ছোট ফুপু বসে আছেন।  সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছেন ওর দিকে।
    সামনের ছোট কাঠের টেবিল থেকে মার্কশিটটা হাতে নিলেন অনতুর বাবা সাজাদ সাহেব। ভালো করে সেটা দেখতে লাগলেন আবার। তার বিশ্বাস হচ্ছে না কোনো কিছুই।  ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান-সব সাবজেক্টে ফুল নাম্বার, আর বাংলাতেই কিনা দশ নম্বর কম! মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে। মার্কশিটটা আবার টেবিলে রেখে শব্দ করে একটা নিশ্বাস ছাড়লেন তিনি। অনতুর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তুমি কি বলবে-কঠিন কঠিন সাবজেক্টে পুরো নাম্বার পেলেও বাংলার মতো সহজ একটা সাবজেক্টে কেন  ১০ নাম্বার কম পেলে তুমি?’
    বেশ কিছুক্ষণ পর মাথা উঁচু করল অনতু। খুব দুঃখী দুঃখী গলায় তারপর বলল, ‘কেন আমি ১০ নাম্বার কম পেয়েছি, তা শুনতে চাও? অদ্ভুত একটা কারণ আছে তার!’

64 80-20%
 অনন্য অমিয়ভূষণ
অনন্য অমিয়ভূষণ (হার্ডকভার)
রমাপ্রসাদ নাগ
  • অমিয়ভূষণ মজুমদার
    জন্ম : ২২ মার্চ ১৯১৮
    মৃত্যু : ৮ জুলাই ২০০১
    অমিয়ভূষণ পড়তে গিয়ে জীবনকে ছুঁয়ে থাকা, জীবন থেকে উঠে আসা ঈর্ষা-প্রেম-বিষাদের কাহিনি পাঠককে স্পর্শ করে।  স্থূলভাবে দেখলে লেখার অন্তরালে পদ্মার তীর বিচ্যুত এক নিঃসঙ্গ যাপন কথা।  রহস্যময় কুহক আচ্ছন্ন জীবন স্পন্দন।  অথচ কাব্যিক কোমলতা তাঁর লেখায় স্পষ্ট।  পরিবেশ-পরিপাশর্ একদম ভিন্ন ধরনের।  আখ্যান নিভৃতিতে মিশে থাকে ক্ল্যাসিক সংগঠনের সংহতি।  সৃজনে থেকে যায় পর্ব থেকে পর্বান্তরে যাবার আগ্রহ।  ভাষার নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।  অমিয়ভূষণ বলতেন, ‘আমি কাউকে অনুসরণ করি না।  নিজেকেও না।’ বলা যেতে পারে তাঁর গল্প-উপন্যাসের বিশিষ্টতা ও মৌলিকতা বোঝাতে এই বাক্য দুটি পাঠক ক্রমেই মনে মনে উচ্চারণ করবেন।  গ্রন্থটি অমিয়ভূষণ সংক্রান্ত নিবিড় অনুসন্ধানের ফসল। 

160 200-20%
অনন্য রবীন্দ্রনাথ
অনন্য রবীন্দ্রনাথ
হোসেনউদ্দীন হোসেন
  • হোসেনউদ্দীন হোসেনের চিন্তাচর্চার অন্যতম ক্ষেত্র রবীন্দ্রনাথ- রবীন্দ্রনাথের জীবন-সৃষ্টি-কর্ম-চিন্তা-দর্শনের নানা দিক।  এগুলো নিয়ে বেশ কিছু বিশ্লেষণী আলোচনা দীর্ঘদিন করে আসছেন তিনি। তবে এসব রচনা বহুকাল ধরে পত্রপত্রিকার পাতায় ঘুমিয়ে ছিল।  অথচ লেখাগুলোর গ্রন্থমূল্য তৈরি হয়ে আছে বহুকাল আগেই।  এই প্রথম গ্রন্থভুক্ত হলো সেই সব লেখা।  এই লেখাগুলোর মাধ্যমে হোসেনউদ্দীন হোসেনের চোখ দিয়ে আমরা দেখি অন্য রবীন্দ্রনাথকে, সঙ্গে অনন্য রবীন্দ্রনাথকেও।

132 160-18%
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা
শিকদার আবদুস সালাম
  • প্রতাপী কথাসাহিত্যিক শিকদার আবদুস সালাম একজন ভিন্নধারার স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত গল্পকার।  পেশাগত কারণেই তাঁকে ঘুরতে হয় দেশব্যাপী, প্রতিনিয়ত মিশতে হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে।  তিনি মানুষকে আবিষ্কার করেন পর্যবেক্ষণের চোখ দিয়ে আর কথাসাহিত্যে নির্যাসকে উন্মোচন করেন বাস্তবতার ইতিবাচক বাকপ্রতিমায়।  তাঁর গল্পে বারংবার প্রতিভাসিত হয় গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, জীবন দর্শন-প্রকৃতি-রাজনীতি-সমাজ-পুরাণ-গাঁ-গঞ্জ, ন্যায়-অন্যায়, আনন্দ-বেদনা ও প্রেম-বিরহের কথা।  তিনি গভীর মমতায় এ সবকিছু দেখেছেন, ছুঁয়েছেন বলেই একজন ভিন্নধারার গল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আসন মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন।  এ প্রতাপী গল্পকারের অনবদ্য লেখনী বাংলা সাহিত্যকে নিঃসন্দেহে ঋদ্ধ করেছে।  অনুষ্ঠান উপস্থাপনা গ্রন্থটি তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন, যা পাঠককে আকৃষ্ট করবে নিঃসন্দেহে।

320 400-20%
অনূদিত কথাসমগ্র
অনূদিত কথাসমগ্র
রাজু আলাউদ্দীন
  • গত শতকের আটের দশকের মধ্যভাগে বাংলাদেশের সাহিত্যে একদল তরুণ-তুর্কি আবির্ভূত হন, যাঁরা সজ্ঞান-সচেতনভাবে নতুন বোধ ও ভাষা সৃজনে মগ্ন হন। অন্যদিকে তাঁদের পঠন-গ্রহণের ক্ষেত্রও ইউরোকেন্দ্রিকতার বাইরে লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দিকে বিস্তৃত হয়। এগুলো তারা কেবল পাঠই করেননি, অনেকেই অনুবাদের মতো শ্রমঘন কাজেও স্বনিয়োজিত হন। রাজু আলাউদ্দিন তাঁদের মধ্যে শীর্ষ একজন। আর লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের অনুবাদ-মূল্যায়ন, বিশেষত বোর্হেস-চর্চায় তাঁর প্যাশন তাঁকে এ দেশে পথিকৃৎতুল্য করে তুলেছে।
    এর বাইরে অনুবাদের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ আগ্রহের জায়গা বিশ্বখ্যাত লেখক-দার্শনিক-চিন্তকদের সাক্ষাৎকার। গত তিন দশকে তিনি সব মহাদেশের বহু বিশ্বমানবের সাক্ষাৎকার অনুবাদ করেছেন। এতকাল এগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। অথচ বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় এগুলোর গুরুত্ব অনেক। কেননা এসবে রয়েছে বিশ্বমনীষার উক্তি ও উপলব্ধির নির্যাস, যার নানামাত্রিক প্রয়োজন কখনো ফুরোবে না। আর এই সব সাক্ষাৎকারের সম্মিলিত রূপ এই অনূদিত কথাসমগ্র। 
    ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এই কথামালার বেশ কটি পাঠ করার সৌভাগ্য ঘটেছিল। তার ওপর ভর করে নিঃসংকোচে বলতে পারি, রাজু আলাউদ্দিনের বিষয় নির্বাচন ও অনুবাদের ভাষা উভয়ই স্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই যে কোনো অনুবাদ পড়ছি। বরং এগুলোর ভেতর দিয়ে বিচিত্র ও বহুমাত্রিক মনীষার চিন্তা জ্ঞান দর্শন ও বোধের ভূগোলে নিজের অজান্তেই আমরা ভ্রমণ করতে থাকি, স্নাত হই এবং স্নাতক হয়ে উঠি...
    সৈকত হাবিব কবি

263 350-25%
অনেক কথা বলার আছে
অনেক কথা বলার আছে (হার্ডকভার)
আবেদ খান
  • আবেদ খান বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে একটি তারকা নাম।  কাগজ ও ইলেকট্রনিক উভয় মাধ্যমে তিনি স্পর্শ করেছেন সাফল্যের চূড়া।  এই বরেণ্য মানুষটি গত বছর তাঁর সাংবাদিকতা-জীবনের ৫০ বছর পেরিয়ে এলেও আজও তারুণের‌্য দীপ্তিতে উজ্জ্বল।  সাহস্য, স্পষ্টবাদী ও মুক্তচিন্তক আবেদ খান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী গণতন্ত্রের সংগ্রামে আজও কলমকে সক্রিয় রেখে তাঁর যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন।  তাই তার প্রতিটি কলাম হয়ে ওঠে বাংলার চেতনশীল মানুষের জাগরণের মন্ত্র।
    অনেক কথা বলার আছে বইটিতেও তিনি তুলে এনেছেন বাঙালির গণতন্ত্রের সংগ্রামের কথা।  আর তুলে ধরেছেন বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়কার কূটরাজনীতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অপব্যবহার, জরুরি অবস্থা, ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাচার থেকে শুরু করে সর্বসাম্প্রতিক যুদ্ধপরাধের রায় আর শাহবাগ আন্দোলনের কথা।  এসবের মধ্যে দিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে গত এক দশকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলিল।

104 130-20%
অনেকেই অন্যরকম
অনেকেই অন্যরকম (হার্ডকভার)
পারভেজ আক্তার
  • তুমি তো এখন একজন আর্কিটেকচার।  এমনিতেই প্রচুর টাকা কামাতে পারবে।  তা না করে শুধু শুধু কেন হারাম পথকে বেছে নিয়েছ?
    হারাম পথ! কোনটা হারাম পথ? বেশ্যাবৃত্তি হারাম পথ? তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর অনেক নারীই হারাম পথে চলে।  স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক মানেই বেশ্যা।  প্রকৌশলী হয়েছি তো কি হয়েছে।  প্রকৌশলী হলেই বেশ্যাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিতে পারব না এমন তো কোথাও উল্লেখ নেই।

120 150-20%
অন্ধকারের মানুষ
অন্ধকারের মানুষ
প্রত্যয় জসীম
  • ভালোবাসার অন্যদিকেই ঘৃণা। মানব হৃদয়ে প্রেম ও ঘৃণা দুটোই বহমান। যেমন আলোর অন্য পাশেই অন্ধকার। এই আলো-আঁধার নিয়েই মানবজীবন। অন্ধকারের মানুষ প্রেম ও দ্রোহে একাকার, আলোছায়া ও ভালোবাসার এমনই এক উপন্যাস। ধর্মান্ধতার অন্ধকার, পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের লাম্পট্য, ভালোবাসার অন্তহীন যাতনা, নিজেকে আড়াল করার জীবন বিনাশী আর্তনাদ- এসবই এ উপন্যাসের উপাখ্যান। 
    উপন্যাসের নায়ক অনেক প্রতিকূল পরিবেশেও অন্ধকার অন্যায় ও ধর্মান্ধতার কাছে নিজেকে সমর্পণ করেনি। কখনো কখনো সাময়িক পথ হারালেও আবারও ফিরে এসেছেন চিরায়ত ভালোবাসার জীবনমুখী অনির্বাণ আলোয়। এই আলোকপথের যাত্রাই অন্ধকারের মানুষ উপন্যাসের মৌলচেতনা।

96 120-20%
অপরাহ্নের পায়ে
অপরাহ্নের পায়ে
সাবিনা ইয়াসমিন
  • নব্বই- এর দশকে লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে কবি সাবিনা  ইয়াসমিনের আবির্ভাব।  এরপর তিনি তাঁর আবেগের সততা, শব্দবুননের স্বকীয়তা ও বক্তব্যের ঋজুতায় সাহিত্যাঙ্গনে হেঁটে এসেছেন অনেকটা পথ।  নব্বই দশকের কবিতায় যাঁরা প্রতিনিধিত্বশীল, তাঁদের অন্যতম কবি সাবিনা ইয়াসমিন।  শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাবিনার কবিতায় দেশপ্রেম অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ, এদেশের প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করে।  মুক্তিযুদ্ধকে তিনি তুলে আনেন কবিতায়, শহীদের আত্মার প্রতি জানান বিনম্র  শ্রদ্ধা ‘সিন্ধুপাখিরা তাদের শরীর থেকে/ দীর্ঘতম অস্থি খুলে নিয়ে বলেছিলো/ এই দণ্ডের উপরে রাখো/ অখণ্ড সবুজ আর প্রগাঢ় লাল/ এবং অতঃপর/ আমরা আমাদের পতাকা ওড়ালাম।’ কিংবা ‘হানাদারদের খিকখিক হাসি মিলিয়ে গেল দূরে/ আর গ্রামের লোকেরা বাবার মৃতদেহ তুলে আনলো/ নদীর জল থেকে/ তখন কপোতাক্ষ আর ইউফ্রেটিস হয়ে গেল সমার্থক/ যমজগর্ভ নদী।’ এইভাবে তাঁর কবিতা স্বদেশপ্রেম ও সমসাময়িক ঘটনাবলির দালিলিক রূপ পায়।  এছাড়া ভালোবাসা, প্রেম বা বিরহ তাঁর কবিতায় উঠে আসে সাবলীল বর্ণনায়।  সুনির্বাচিত শব্দশৈলীতে কবি বলেন ‘যা হবার হবে/ আজই জোনাকির আগুনে পুড়বো/ ঘুড়ি হয়ে উড়বো/ আর পঞ্চমীর চাঁদ দেখতে দেখতে/ খুন হবো পূজোসংখ্যার আনন্দবাজারে।’
    তাঁর কবিতায় পাওয়া যায় সামগ্রিক জীবনবোধের চিত্র।  তিনি বলেন ‘কেবলি নেচে যাচ্ছি/ মুখোশের আড়ালে অন্য মুখ রেখে/ চরিত্রের আড়ালে অন্য নাম নিয়ে/ নেচে চলেছি বিন্দাস।’ সাবিনার কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি গভীর যত্ন ও মমতায় নির্মাণ করেন শব্দাবলি।  সংহত ও পরিশীলিত আবেগ, বর্ণিল উপমা ও উৎপ্রেক্ষার ব্যবহার তাঁর কবিতাকে স্বতন্ত্র  করে তোলে।  শব্দের বহুবর্ণ ব্যবহারে তিনি স্বচ্ছন্দ।  বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতা থেকেও তাঁর কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে, যা তাঁর কবি পরিচিতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।

80 100-20%
 কিশোর গল্প
কিশোর গল্প
আহসান হাবীব
  • অপুর আয়না আহসান হাবীবের নিজের ভালো লাগা একটি কিশোর উপন্যাস। একটি কিশোর ছেলে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে হঠাৎ স্কুল, পড়াশুনা সব ছেড়ে দিতে হয়। শুরু হয় তার আর তার পরিবারের কষ্টের জীবন। সে ভাবে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। সত্যিই কি তারা  ফিনিক্স পাখির  মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসতে পারবে? কে জানে! 

80 100-20%
অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে
অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে (হার্ডকভার)
মনোয়ারা ইসলাম
  • মনোয়ারা ইসলাম তাঁর এই গ্রন্থে নিজের কথাই লিখেছেন।  নিজের কথা লিখতে গিয়ে তিনি তাঁর সহকর্মীদের কথা লিখেছেন।  তাঁর কাছাকাছি মানুষকে নিয়ে লিখেছেন।  সমাজ, দেশ, দেশের মানুষকে নিয়ে লিখেছেন।  তাঁর লেখায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারীর কথা, দেশের কথা, ইতিহাসের কথা এসেছে।  সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই গ্রন্থ আমরা বাংলাদেশের প্রায় ছয় দশক কালব্যাপী বিভিন্ন ঐতিহাসিক, সামাজিক ঘটনাসমূহের একটি দলিল হিসেবে পাই।
    তাঁর কবিতায়, গদ্যে ’৫২-এর ভাষা-আন্দোলন এসেছে।  স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতাপরবর্তী দেশের বিপন্ন সমাজব্যবস্থার কথা এসেছে।  তিনি যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেখানকার সহকর্মীদের কথা এসেছে।  বিশেষত অধস্তন কর্মচারী, যাদের একনিষ্ঠ শ্রম, নিষ্ঠা আর সহযোগিতা ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে পারে না, মনোয়ারা ইসলাম তাদের অবদানকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করেন, তাঁর লেখাতে সেটি স্পষ্ট ধরা পড়ে।
    তাঁর লেখায় বাঙালির জীবন, বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের কথা, স্বাধিকার-স্বাধীনতার কথা, আনন্দ-বেদনা, অভাব-অনটনের কথা এসেছে।  উত্তরণ ও এগিয়ে যাওয়ার কথা এসেছে।  ব্যক্তিগত আনন্দ, বেদনা, দ্রোহ, প্রেম, অভিমানের কথা এসেছে।
    অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে বাঙালির আটপৌরে অবস্থান থেকে আদিগন্ত বিস্তৃত জীবনের কথা বলে।  ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ যেন বাঙালির শাশ্বত জীবনযাত্রার হিরণ্ময় চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    এই গ্রন্থ বর্তমান সময়ের বাংলা সাহিত্যে একটি অনুপম সংযোজনা।  একটি ঐতিহাসিক দলিল।  হৃদয়স্পর্শী আত্মজৈবনিক সৃষ্টি। 
    -ড. আশরাফ সিদ্দিকী
    ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

160 200-20%
অপ্রকাশ্য
অপ্রকাশ্য (হার্ডকভার)
মাহবুব আজীজ
  • এই উপন্যাসের মূল কথা ‘এই সময়’-যার অনেককিছু গোপন, লুকনো, অপ্রকাশ্য। নিয়তির আচমকা উপস্থিতির সামনে হতবিহ্বল মানুষ-বিস্ময়কর নিয়তি কখন যে প্রচণ্ড নির্মম বীভৎস তীব্র থাপ্পড় বসিয়ে দেয়, কোন অন্ধকার কুণ্ডলী থেকে বেরিয়ে-আমরা কেউ তা জানি না।  সাম্প্রদায়িকতার কুৎসিত রূপ এখানে নির্বিকার উপস্থিত, তেমনই এতে সমকালীন নিম্নবিত্ত তারুণ্যের প্রান্তিকতা বারবার ধরা দেয়। ফল্গুধারার মতো এক প্রেম এর প্রসঙ্গ-যে দ্বিধায় থরোথরো, যুক্তির কাছে বারবার পরাজিত।
    এই সময়ে, এই ঢাকায়-করোনাকালে, চোখধাঁধানো চাকচিক্যের ছিদ্রপথে নিয়তিবিদ্ধ বাস্তবতাকে আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই। অপ্রকাশ্য বাস্তবতা আর সব ছাপিয়ে জিতে যায় বা হারে-উপন্যাস অন্তিমে না পৌঁছনো পর্যন্ত অবশ্য আমরা তা জানতে পারি না। 

225 300-25%
অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ পেরিয়ে
অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ পেরিয়ে (হার্ডকভার)
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান যখন কোনো কিছু নিয়ে বলেন কিংবা লেখেন, তখন আমাদের কিছু না কিছু প্রাপ্তি থাকেই।  ভাষা আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের বর্তমান সময় পর্যন্ত যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম অংশীদার ও স্রষ্ঠা, তাঁর কাছ থেকে তো আমাদের প্রাপ্তি থাকবেই।  তবে এর বাইরেও তাঁর বড় পরিচয় তিনি একজন বহুমাত্রিক প্রজ্ঞাময় ব্যক্তিত্ব।  তাঁর চিন্তার কেন্দ্রে আছেন রবীন্দ্রনাথ এবং তিনি সচল, প্রবহমান ও মুক্ত।  এই বইটিও এর  উজ্জ্বল স্বাক্ষর।  কত বিচিত্র বিষয়েই না লিখেছেন তিনি, অথচ প্রতিটি লেখাই আমাদের চিন্তার খোরাক জোগায়।
    বাংলাদেশের বিনষ্ঠ ও অবিশ্বাসের রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে শুরু করে প্রকৃতি-পরিবেশ, দুর্নীতি কিংবা ব্যক্তিগত অনুভূতি সব বিষয়েই তাঁর বলা-লেখা আমাদের সময়ের এক সংহিতা।  আর এমন সহজ ভাষায় এত গভীর ও বিচিত্র কথা সম্ভবত তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব।

102 130-22%
অভিমানী নদী ও নিসর্গ
অভিমানী নদী ও নিসর্গ (হার্ডকভার)
বিপ্রদাশ বড়ুয়া
  • এই পৃথিবীর মালিক শুধু মানুষ নয়।  জীবজন্তু, গাছপালা ও কীটপতঙ্গ সকলেই মিলে এ এক ছড়ানো জাল।  মানুষ তার একটি মাত্র সুতো।  সেই সুতোর কোনো-একটি ছিঁড়ে গেলে মানুষকেই তা বুনে নিতে হবে।  অন্য কোনো প্রাণী এই ছড়ানো জাল ছিন্ন করে না, তাই তা বোনার দায়িত্বও তাদের নয়।
    তাই সুন্দরবনে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে তার সকল দায় মানুষের।  তেমনি বঙ্গোপসাগর, বঙ্গবন্ধু, শরৎকাল, নববর্ষ, শাহবাগ, পাঁচ কোটি বছর আগে জন্ম নেওয়া বাদুড়ের বিপন্নতা, উঁই ঢিবি, রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন বা সাজেক উপত্যকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নিজস্ব মৌলিক সম্পদ ও সৌন্দর্যের ঝরনাতলার মালিক মানুষ নয়।  প্রকৃতির সব সম্পদ থেকে মানুষ ঋণ নিতে পারে, কিন্তু ধ্বংস করার অধিকার মানুষের নেই।  কালো ঝুঁটি বুলবুল ও বনের মর্মর ধ্বনি মানুষের সৃষ্টি নয়।  ফুল ও পাখির সুবদ্ধ-সংগীতও আধুনিক কালের নয়।  এ সবের সমাহার এই অনুস্মৃতিমূলক প্রকৃতি-কথা।  পদ্ম বা মাধবী, হিজল বা কামিনী, গ্রীষ্ম ও বর্ষাসুন্দরও মানুষ সৃষ্টি করেনি।  প্রকৃতির নির্জনতা ও নৈঃসঙ্গ্য মানুষ উপভোগ করতে পারে মাত্র।  এ সবের সুচারু সমাহার এই রচনাগুলো।  এর সুভগ সম্ভোগও জীবনের আনন্দ-বেদনার অচ্ছেদ্য অংশ হোক, ভালোবাসার অপার ভালোবাসায় এই গ্রন্থ নিবেদিত।   

225 300-25%
অভিশপ্ত স্টেশন
অভিশপ্ত স্টেশন
ইকবাল খন্দকার
  • বহু বছরের পুরনো একটি রেলস্টেশন। এই স্টেশনের দোকানদার কাশেম মিয়া। একদিন গভীর রাতে দোকানে শুয়ে ছিল সে। হঠাৎ কেউ তার নাম ধরে ডাক দেয়।
    কাশেম মিয়া দরজা খুলে বাইরে বের হয়। চারদিক তখন অন্ধকার। নীরব, নিস্তব্ধ। সে কাউকে দেখতে পায় না। এ সময় স্টেশনের অদূরে গোলাকার একটা আলো দেখা যায়। 
    কাশেম মিয়া আলোটার দিকে তাকাতেই দেখে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে চুপ করে। পরনে কাফনের মতো ধবধবে সাদা পোশাক। আর মুখ অন্যদিকে ফেরানো। কাশেম জিজ্ঞেস করে- কে? এগিয়ে যায় লোকটার দিকে। হঠাৎ নিভে যায় আলোটা। তারপর...

128 150-15%
অমর্ত্য সেনের মর্ত্য-ভাবনা : অর্থনীতি, ইতিহাস ও সমাজ-রাজনীতি
অমর্ত্য সেনের মর্ত্য-ভাবনা : অর্থনীতি, ইতিহাস ও সমাজ-রাজনীতি
সনৎকুমার সাহা
  • গোটা দুনিয়ার অর্থনীতি-চর্চার পরিম-লকে পাল্টে দিয়ে অমর্ত্য সেন বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন গত শতকের শেষ তিন দশকজুড়ে। এই অভিধা ও মর্যাদা তাঁকে বহু শতক স্মরণীয় করে রাখার জন্য যথেষ্টও ছিল। কিন্তু এরপরই নিজেকে কেবলমাত্র অর্থনীতিবিদের সীমায় আবদ্ধ না রেখে, অমর্ত্য সেন নৈতিক দর্শন, রাজনীতি ও মানব-ইতিহাসের অলিগলি তালাশেও নামলেন। এবং প্রমাণ করলেন যে, তিনি যেমন আধুনিক অর্থনীতিবিদ্যার শ্রেষ্ঠতম চিন্তকদের অন্যতম-তেমনি দর্শন এবং রাজনীতি-ইতিহাসের একজন বিরল প্রজ্ঞাবান ভাষ্যকার-বিশ্লেষকও বটেন। অমর্ত্য সেন বাস্তব ডামাডোলের ভেতর থেকে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে অতিক্রম করে মানববিশ্বে বৈষম্য ও শোষণহীন সামঞ্জস্যের রূপরেখা খোঁজেন। প্রশ্নগুলোর গতিরেখা সচেতন সদিচ্ছাকে সবখানেই আলোড়িত করে। আমরাও নতুন করে ভাবার প্রেরণা পাই। বাংলাদেশের কৃতবিদ্য চিন্তক-অর্থনীতিবিদ সনৎকুমার সাহা এই বইয়ে তুলে ধরেছেন অমর্ত্য সেনের ন্যায়-ভাবনার খতিয়ান, মানুষে মানুষে হিংসাময় দ্বন্দ্বমুখর পরিস্থিতির নিদান আর তা নিরসনে তাঁর বহুমুখী চিন্তা, উন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ে অমর্ত্য-ভাবনার বিশ্লেষণ এবং তাঁর ভারত-ইতিহাস অবলোকনের বিচার। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ছাপিয়ে এখানে উঠে এসেছে এক দার্শনিক-চিন্তক অমর্ত্য সেনের ভাবনাবিশ্ব। যা কিনা শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই অহিংস, শান্তিময়, সহনশীল ও সমন্বয়বাদী মানবসমাজ প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রাণিত করতে পারে। এখানে মানুষের জীবনবিকাশের যথাযথ ক্ষেত্র প্রস্তুতের কথা ভাবা হয়েছে, যাতে একজন ব্যক্তিমানুষ তার প্রতিভা কিংবা সক্ষমতার দ্বারা নিজের এবং একইসঙ্গে সমাজেরও উন্নয়ন ঘটাতে পারে। সমাজ-অর্থনীতি-রাজনীতি ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে অমর্ত্য সেনের সকল ইতিবাচক ভাবনার অনুগামী বা সমর্থক হয়েও তাঁর কোনো কোনো চিন্তা কি সিদ্ধান্তকে ঘিরে তর্ক তুলতেও কোনোরকম দ্বিধা করেননি লেখক। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে নিজের ভিন্নমতও তুলে ধরেছেন। এই যুক্তিতর্কের আবহ বইটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণও বটে। সনৎকুমার সাহার নিবিড় এবং যৌক্তিক পরম্পরানির্ভর সাবলীল ভাষার বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অমর্ত্য সেন পাঠকে আরও সহজ ও অনুভববেদ্য করে তুলবে। 

160 200-20%
অরম্য-রম্য
অরম্য-রম্য
আহসান হাবীব
  • আহসান হাবীব এর লেখালেখির প্রধান বিষয় রম্য। রম্য লিখতেই সবসময় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অরম্য-রম্য গ্রন্থে’ তার সর্বশেষ লেখা রম্যগুলোই স্থান পেয়েছে। বেশিরভাগই সিচ্যুয়েশনাল কমেডি টাইপ রম্য। কিছু রম্য গল্পও এই ফাঁকে তৈরি হয়ে গেছে... বলাই বাহুল্য।

120 150-20%
অরিগামির গোলকধাঁধায়
অরিগামির গোলকধাঁধায় (হার্ডকভার)
মাহরীন ফেরদৌস
  • অরিগামির গোলকধাঁধায় গ্রন্থটির গল্পজগৎ সাদাকালো চোখে দেখার, নাকি অন্তর্গত দৃষ্টি দিয়ে স্পর্শ করার? এই ভাবনা আসতে পারে বইটি পড়ার সময়। আঁধার, বিভ্রম, রূপান্তর, বাস্তবতা, পরাবাস্তবতা একত্রিত করে গল্পকার বুনেছেন এসব কাহিনি। বিপরীতমুখী ভাবনা নিয়ে বলে যাওয়া গল্পগুলোর কোথাও আছে সমকালীন সংকট, ব্যক্তির মানসিক টানাপড়েন, প্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, কোথাও-বা সমান্তরাল মহাবিশ্বে চেনা চরিত্রকে আবিষ্কারের গোপন নির্যাস। 

    চৌদ্দটি গল্পের আলো-ছায়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চারপাশের চেনা জগৎ। কিন্তু তারই গভীরে যে এত বিষাদ, এত আনন্দ এবং নতুন করে জীবনকে উদ্যাপনের আয়োজন ছিল সেসবই গল্পকারের সহজ কথাবয়নে উঠে এসেছে। সহজভাবে কাহিনিগুলো এগিয়ে গেলেও তারই মধ্যে চেতনার রং ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও দুলে ওঠে রহস্যময়তার সূক্ষ্ম ঝালর। আর এভাবেই মাহরীন ফেরদৌসের গল্প পাঠককে নিয়ে যাবে নতুন এবং অভাবিত এক জগতের ভেতর।

160 200-20%
অস্তাচলে রবি
অস্তাচলে রবি (হার্ডকভার)
শেখ সাদী
  • ‘অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে-
    সে পায় তোমার হাতে 
    শান্তির অক্ষয় অধিকার।’
    রবি অস্তাচলে নামলেন ২২ শ্রাবণে। 
    প্রিয়তম সন্তানহারা প্রকৃতি অবিশ্রান্ত ধারায় অশ্রুবর্ষণ করল। 
    কাঁদল জাতি। কাঁদল দেশ। কাঁদল বিশ্বমানব।

320 400-20%
 অস্পৃশ্যতা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ
অস্পৃশ্যতা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ (হার্ডকভার)
স্বরোচিষ সরকার
  • অস্পৃশ্যতা নামের যে কুসংস্কার মানুষের সঙ্গে মানুষের ঘৃণার সম্পর্ক তৈরি করে, মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সে ব্যাপারে কী মনোভাব পোষণ করতেন, তা উদ্ধার করা এ বইয়ের লক্ষ্য। অস্পৃশ্যতা বলতে কী বোঝায়, এর উৎস কী, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সমাজে এই কুসংস্কার কতোটা ও কী মাত্রায় কার্যকর ছিলো, এ বই থেকে সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে।
    রবীন্দ্রনাথ ঠিক কখন থেকে অস্পৃশ্যতার সঙ্গে পরিচিত হন, কখন থেকে এর বিরুদ্ধে লিখতে শুরু করেন, তাঁর রচনাবলির বিভিন্ন শাখায় কিভাবে তা প্রতিফলিত হয়, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তাঁর সক্রিয়তা কী পর্যায়ের- এসব নানা প্রশ্নের জবাব বইটিতে রয়েছে।  ২০০৫ সালে প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর বইটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এওয়ার্ড লাভ করে। 
    গত এক যুগ ধরে বইটি পাঠকমহলে যে সমাদর পেয়ে আসছে, তা এই সংস্করণ প্রকাশের মূল প্রেরণা।  বেশ কিছু তথ্য ও ধারণা এই সংস্করণে প্রথম যুক্ত হলো।

200 250-20%
অস্বপ্নশিকারি
অস্বপ্নশিকারি (হার্ডকভার)
নাসরীন মুস্তাফা
  • স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় মানুষকে।  তারও কত রকম, মানুষ ভেদে রং বদলায় স্বপ্নরা।  তবে অস্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ানো মানুষের হাল চেখে দেখতে যে চোখ চাই, তার কি দেখা মেলে খুব বেশি? মেলে না।
    কিংবা কালো কুচকুচে কষ্টিপাথরের ওপর দাঁড়িয়ে যে মহাপুরুষ ওজু করতেন বলে জনশ্রুতি আছে, সেই পাথর চুরি হলে কোন্ সে কেরামতি বানিয়ে দেয় মানুষকে পাথরমানুষ, তার হদিসও মেলে না খুব বেশি। 
    সত্যিকারের গল্পরা কখনই বলা হয় না, কেননা গল্প সত্যি হলেই যে তা বলা যায়, তেমন নিয়ম নেই মানুষের সমাজে। হাজার বছর ধরে অস্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ানো সত্যিকারের মানুষের গল্প অশ্রুতই থেকে যায়।  তবে কেন এইখানে মেলে এত গল্প? এই প্রশ্নের জবাব মেলে গল্পের শরীরেই।  তাই পড়তে হয় গল্পগুলো।  চেনা জগতের মাঝে অচেনা আলোয় ভেসে বেড়ানো এই গল্পরা অন্য গল্পের খোঁজ দেয়।  যে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে মেলে মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর হিসাব না মেলানো জীবনের গল্প। মানুষ খুব সাধারণ, আবার মোটেও সাধারণ নয়।  আমি নই।  আমরা নই।  কেউ নই আসলেই। 

200 250-20%
অহংকারের উৎস হতে
অহংকারের উৎস হতে
রফিকুর রশীদ
  • বাঙালির সুদীর্ঘকালের লড়াই সংগ্রামের রক্তখচিত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গৌরবদীপ্ত রাজনীতির গায়ে শিল্পসুষমা যুক্ত করে মহাকাব্যিক ব্যাপ্তি এনে দিয়েছেন যে অমর কবি তাঁর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিদেশি সাংবাদিক তাঁকে যথার্থই অভিহিত করেছিলেন ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বলে। মহান সেই ‘রাজনীতির কবি’র সংগ্রামমুখর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে বাংলাদেশে, এমনকি বাংলাদেশের বাইরেও কত যে শিল্পসাহিত্য রচিত হয়েছে তার বুঝি সীমা-পরিসীমা নেই। বিশেষ করে বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতাস্পৃহাকে শৈল্পিক প্রক্রিয়ায় মুুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়ে তিনি যে সুবর্ণ অধ্যায় রচনা করেন এবং পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট তাঁকে বর্বরোচিতভাবে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির শৌর্যমণ্ডিত ইতিহাসে যে শোকাবহ কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়, যুগপৎ এই দুটি ঘটনাই সংবেদনকাতর বাঙালি কবিসাহিত্যিককে প্রবলভাবে আলোড়িত করে।  তারই অনিবার্য প্রভাব পড়ে বাংলা ভাষায় রচিত অসংখ্য কবিতায়-গানে-গল্পে-নাটকে-উপন্যাসে এবং অন্যান্য সৃজনশীল শিল্পমাধ্যমে।
    সত্যি এ এক বিস্ময়কর ঘটনাই বটে। কোনো রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে এত বিপুল এবং বৈচিত্র্যময় শিল্পসাহিত্য রচনার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল।  আর এই বেগবান ধারা আরো সুদীর্ঘকাল বহমান থাকবে এতে কোনো সংশয় নেই।  এরই ধারাবাহিকতায় স্বপ্নজয়ের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের লেখা বঙ্গবন্ধু বিষয়ক একক গল্পগ্রন্থ অহংকারের উৎস হতে। 

160 200-20%
অহনা
অহনা
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • মৃত্যুর রহস্যময় জগৎ থেকে মানুষের কি কখনো ফিরে আসা সম্ভব? বিভ্রান্তির আবর্তে বিধ্বস্ত, বিহ্বল রিকি! অহনা কী তাহলে সত্যিই ফিরে এসেছে?...
    রিকি তার অজান্তে ভয়ংকর এক বিপদের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। দুর্বার এক আবেগ তাকে দাঁড় করিয়েছে জীবন আর মৃত্যুর মুখোমুখি। সে কি পারবে মহাশক্তিশালী প্রতিষ্ঠান জেননের সাথে?
    ঘটনার জটিলতা এবং রহস্যময়তা তাকে এ কোথায় নিয়ে চলেছে! ... 

96 120-20%
অ্যাগামেমননের কন্যা (হার্ডকভার)
অ্যাগামেমননের কন্যা (হার্ডকভার)
রওশন জামিল
  • উত্তেজনায় টান টান এ উপন্যাসে কাদারে জোরের সাথে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের মুখোশ খুলে দেওয়ার প্রচেষ্টায় পাঠককে নিয়ে যান পশ্চিমা সভ্যতা ও স্বেচ্ছাচারের গোড়ায়। হতাশ প্রেমিকের একদিনের বেদনা-জড়ানো জীবনের এক অনবদ্য কারুশিল্প এই কাহিনি। চেতনাস্রোতের মনস্তাত্ত্বিক চড়াই-উতরাই অনুসরণ করতে করতে পাঠক ক্রমশ টের পান স্বৈরশাসনের চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতা কীভাবে ব্যক্তি হৃদয়ের বিষয়-আশয়েও নিজেকে প্রকাশ করতে পারে। নামহীন নায়ক উপলব্ধি করেন অ্যাগামেমননের কন্যা ইফিজেনিয়ার আত্মোৎসর্গ যেমন নয় বছর দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ট্রোজান যুদ্ধের জন্ম দিয়েছিল, তেমনি সুজানার বিসর্জনের মধ্যদিয়ে খুলে যাবে নির্যাতন আর শুদ্ধি অভিযানের এক প্লাবন, যার তোড় থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।   

160 200-20%
অ্যাজ আই লে ডাইয়িং
অ্যাজ আই লে ডাইয়িং (হার্ডকভার)
আফসানা বেগম
  • উইলিয়াম ফকনারের অনন্য বর্ণনাকৌশলের বৈশিষ্ট্য প্রথমত, একই ঘটনাকে বিচিত্র দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা, দ্বিতীয়ত, ব্যক্তির অন্তর্গত মানসিক পরিস্থিতিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চরিত্রের কণ্ঠে তুলে আনা—এই দুইয়ের সফল প্রয়োগের সবচেয়ে যোগ্য উদাহরণ অ্যাজ আই লে ডাইয়িং উপন্যাসটি। বানড্রেন পরিবারে অ্যাডির মৃতদেহ মৃতের শেষ ইচ্ছানুসারে জেফারসনে নিয়ে গিয়ে কবর দেওয়াকে ঘিরে কাহিনির অবতারণা। 
    যাত্রাপথে নানা দুর্যোগময় পরিস্থিতি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সুপ্ত মানসিক টানাপড়েন উসকে দেয়। চরিত্ররা যার যার বয়ানে নিজের এবং অন্যদের কথা বলতে থাকে। এমনকি মৃত অ্যাডিও তার বক্তব্য উপস্থাপনে পিছিয়ে থাকে না। এভাবে নানা বয়সের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন পনেরো জনের বক্তব্য আর না-বলা কথার মধ্য দিয়ে উপন্যাসের কাহিনি এগোয়। তাই এখানে পনেরোটি ভিন্ন কণ্ঠে শুনতে পাওয়া যায়, দেখা মেলে পনেরো জাতের গদ্যের। দুজন মানুষ কখনো ভিন্ন কায়দায় একই দৃশ্যের বর্ণনা করেন, অথচ পুনরাবৃত্তি কোথাও বিরক্তি জাগায় না; বরং পাঠকের মনে দুজনের মনমতো বর্ণনা মিলে এক নতুন অনুভূতির উদ্রেক করে। 
    ফকনারের কল্পকাহিনিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া মিসিসিপির কল্পিত ‘ইয়োকনাপাথাওফা’ স্থানটি এই উপন্যাসেই প্রথম পাঠকের সামনে আসে। পরবর্তীকালে একই পটভূমিতে তাঁর হাতে রচিত হয় আরও সাতটি কালজয়ী উপন্যাস। কল্পিত পটভূমির সফলতম প্রয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাজ আই লে ডাইয়িং উপন্যাসটি উল্লেখযোগ্য। ১৯৩০ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি বরাবর বিশ শতকের প্রধান একশ উপন্যাসের তালিকায় স্থান পেয়ে এসেছে।

280 350-20%
 অ্যালিয়ান
অ্যালিয়ান (হার্ডকভার)
সুমন্ত আসলাম
  • ঝট করে উঠে বসে চিৎকার করতে যাচ্ছিল রায়ান। গলাটা হাঁ-ও করল, কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না সেখান দিয়ে। আ আ একটু শব্দ হয়ে থেমে গেল তা। বুকের ভেতরটা ফেটে যেতে চাচ্ছে তার। হাত-পাও তেমন নাড়াতে পারছে না। চোখ দুটোও কেমন স্থির হয়ে আছে। কেবল বোবার মতো তাকিয়ে রইল সে সামনের দিকে। 
    মানুষের মতো অদ্ভুত মূর্তিটা দু পা এগিয়ে এলো রায়ানের দিকে। একটা হাত বাড়িয়ে দিল তার দিকে। রায়ান খেয়াল করল-তারই মতো উচ্চতা ওই অদ্ভুত মূর্তিটার, কিন্তু হাতটা অসম্ভব লম্বা, মানুষের থাকে পাঁচটা আঙ্গুল, ওটার রয়েছে তিনটা।
    হ্যালুশিনেশনের মতো হাত বাড়িয়ে দিল রায়ানও। অদ্ভুত মানুষটা হ্যান্ডশেক করার ভঙ্গিতে হাত চেপে ধরল তার। সঙ্গে সঙ্গে চোখ দুটো আগের চেয়ে বড় বড় হয়ে গেল রায়ানের। সামনের মূর্তিটা এখন ঠিক মূর্তি নেই, বদলে গেছে, হুবহু তার মতো হয়ে গেছে!
    রায়ানের সামনে আরেকটা রায়ান দাঁড়িয়ে আছে। হাতটা আরো একটু চেপে ধরে নতুন রায়ান পুরান রায়ানকে বলল, ‘তুমি কেমন আছো, রায়ান?’

123 150-18%
আই অ্যাম গুডডু
আই অ্যাম গুডডু (হার্ডকভার)
সুমন্ত আসলাম
  • পরপর চারটা শিঙাড়া খেয়ে ছোট্ট একটা ঢেকুর দিয়ে ছেলেটা বলল, ‘আমার নাম গুড ডু।’
    ‘গুড ডু!’ মাসুক ঠোঁট উল্টিয়ে, ‘কী বিচ্ছিরি নাম!’ 
    ‘আমার নামের কিন্তু একটা মানে আছে।’
    ‘কী মানে?’
    ‘গুড মানে ভালো।’ কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার মতো গুড ডু এবার বলল, ‘এবার বলো তো ডু মানে কী?’
    ‘এটা তো দু বছরের বাচ্চাও জানে।’ মাসুক আগের মতো অবজ্ঞা নিয়ে বলল, ‘ডু মানে করা।’
    ‘থ্যাংকস বন্ধু। তাহলে গুড ডু’র পুরো মানে হলো—ভালো করা।’ বিজ্ঞের মতো একটা হাসি দিল গুড ডু।
    ‘তুমি সবার ভালো করে বেড়াও নাকি?’
    ‘চেষ্টা করি, আপ্রাণ চেষ্টা করি।’ গুড ডু মুচকি একটা হাসি দিল।
    কিন্তু গুড ডু যে এত করবে, তা কি কখনো ভেবেছে কেউ? হাসতে হাসতে কাঁদাতে জানে গুড ডু, কাঁদাতে কাঁদাতে হাসাতেও। 
    আমি নিশ্চিত—এই বইটা শেষ করার পর তুমি গুড ডুর মতো হতে চাইবে, ঠিক গুড ডুর মতো! 

120 150-20%
আইজ্যাক নিউটন
আইজ্যাক নিউটন (হার্ডকভার)
বিধান চন্দ্র দাস
  • ম্যাজিককে ফিজিক্স, জ্যোতিষবিদ্যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও আলকেমিকে কেমিস্ট্রিতে পরিণত করতে স্যার আইজ্যাক নিউটন অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। নিউটনকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিজ্ঞান বিপ্লবে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। শৈশব খুব সুখের ছিল না নিউটনের, কিন্তু তা সত্ত্বেও কিশোরকাল থেকেই নিজের বিরল মেধা ও পা-িত্যের পরিচয় তিনি রাখতে পেরেছিলেন সর্বত্র।
    নিউটন তাঁর বিখ্যাত তিনটি আবিষ্কার : মহাকর্ষ সূত্র, সূর্যালোক বিশ্লেষণ ও ক্যালকুলাসের প্রাথমিক কাজ নিজের গ্রামের বাড়িতে বসে কারো সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ আপন গুণে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে পা দিয়েই। তিনি ইতিহাস রচনাতেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় তিনি নেমেছিলেন রাজনীতির কঠিন মঞ্চে। দুঁদে উকিলের ভূমিকায় হয়েছিলেন অবতীর্ণ। দক্ষ গোয়েন্দার ছদ্মবেশে সংগ্রহ করেছিলেন অপরাধীদের তথ্য।
    বিচিত্র প্রতিভার স্ফুরণ ঘটতে দেখা যায় নিউটনের জীবনে। চুরাশি বছরের দীর্ঘ জীবন তিনি লাভ করেছিলেন। শেষ বছর অব্দিও ছিলেন কর্মক্ষম।তাঁর সম্পর্কে পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য গ্রন্থ, প্রবন্ধ, থিসিস ইত্যাদি লেখা হয়েছে। অনেকে বুঝে কিংবা না বুঝে তাঁকে ছোট করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে অনেক অবাস্তব উপাখ্যানও তৈরি করা হয়েছে- প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে সেগুলো বলা হয় ও লেখা হয়। এইসব বিবেচনায় নিয়ে, বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিউটনকে সহজ ভাষায় এবং সাধারণ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে এই বইয়ে।

80 100-20%
আইআইপি (ইন্টেলেকচুয়ালি ইম্পোর্টেন্ট পার্সন)
আইআইপি (ইন্টেলেকচুয়ালি ইম্পোর্টেন্ট পার্সন)
আন্দালিব রাশদী
  • স্যার, ওনলি ফিউ মিনিটস। বিটিভির ক্যামেরাম্যান এসে পড়বে। পিআইডির ফটোগ্রাফারও, তার সঙ্গে একই গাড়িতে আছেন। অন্য কয়েকটি চ্যানেলও এসে গেছে, সেগুলো তেমন ইম্পোর্টেন্ট নয়। জিন্নাহ স্যার মনে করেন বিটিভি আনবিটেবল। সব সরকারের আমলে সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের আস্থা সবচেয়ে বেশি বিটিভির ওপর। মহাকাশ মন্ত্রী বললেন, ইউ আর কারেক্ট, কিন্তু তুমি জানলে কেমন করে?
    জিন্নাহ স্যার বলেছেন, সরকার যারা চালান, তারা গভীর মনোযোগ দিয়ে বিটিভি দেখে থাকেন। মন্ত্রী বললেন, জিন্নাহ ভাইয়ের অবজারভেশন খুব অ্যাকিউরেট। বিটিভির ডিজি জানেন, সরকারের কাজ নিয়ে মশকরা করলে চাকরি নট। সেজন্য দু-একদিন পরপর তিনি নিজে ৮টার সংবাদের স্ক্রিপ্ট চেয়ে বসেন। কোথাও কাভারেজের ঘাটতি মনে হলে আর্কাইভ থেকে ছবিটবি তুলে এনে পুষিয়ে দেন। 
    কিন্তু আইরিন, এ বয়সে আমার কি আর ক্যামেরার জন্য অপেক্ষা করা উচিত? গেস্টরা অপেক্ষা করছেন। 
    করতে দিন, তাদের অন্য কাজ নেই।
    কাহিনিটা আইরিন শোনাবে,  কিন্তু উপসংহার লিখবেন উপন্যাসের পাঠক, চরিত্রগুলো তাদের খুব চেনা, কেউ কেউ তাদের আত্মীয়-স্বজন । আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন, তাঁর উপন্যাস হাতে নিলে শেষ না করে উঠা যায় না। আইআইপিতেও তাই। আন্দালিব রাশদীকে নিয়ে সমস্যা এটাই।

160 200-20%
আকাশ, নদী ও বঙ্গবন্ধুর গল্প
আকাশ, নদী ও বঙ্গবন্ধুর গল্প (হার্ডকভার)
আমীরুল ইসলাম
  • আমীরুলের ছোটগল্প মানেই অন্যরকম অনুভূতি। অন্যরকম উপলব্ধি।  তার অন্যান্য লেখার মতোই ছোটগল্পেও নিরন্তর নিরীক্ষাপ্রবণতা লক্ষ করা যায়।
    ছোটদের গল্পে তিনি ম্যাজিক রিয়ালিজম-এর ছবি আঁকেন।  রূপকথাধর্মী অনুপম ভাষায় লেখা তার ছোটগল্পগুলো আমাদের সাহিত্যের চিরসম্পদ হয়ে থাকবে।

80 100-20%
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কৌতুকী ক্রোধের উত্তাপ
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কৌতুকী ক্রোধের উত্তাপ (হার্ডকভার)
প্রশান্ত মৃধা
  • এই আলো-পৃথিবীতে তাঁর বেঁচে থাকার মেয়াদ ছিল মাত্র চুয়ান্ন বছর।  সামান্য এই সময়সীমায় ঘর-সংসার-বন্ধু-পরিবার পাঁচজন শিক্ষকতায় কতই-না সময় বাহিত হয়।  এমনকি তাঁর সময় সমাজও প্রতিকূল।  এত এত বিপরীতের পরও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) শেষাবধি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক।  প্রধান লেখক বাংলা সাহিত্যের পূর্বাপর নিরিখেই। বহুপ্রজ লেখক ছিলেন না, মোট লেখার হিসাব নেহাত সামান্য।  কিন্তু তিনি সংশয়াতীত প্রধান লেখক।  কীভাবে কোন সাহসকে সম্বল করে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে কেন্দ্রীয় ভাবনায় আশ্রয় রূপে একটি আলোচনাগ্রন্থ লেখা হতে পারে- এই প্রশ্ন স্বাভাবিক।  প্রশান্ত মৃধার তন্নিষ্ঠ জিজ্ঞাসা আগ্রহ ও অপরাপর প্রশ্ন এই বইটিকে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করে।  আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে নিয়ে প্রশান্ত মৃধার এই সন্ধানীজিজ্ঞাসা বইটিকে এক নতুন মাত্রা দেবে।  প্রকাশক হিসেবে আমরা সেই বিশ্বাস করি।

160 200-20%
আটপৌরে রবীন্দ্রনাথ
আটপৌরে রবীন্দ্রনাথ
মোনালিসা দাস
  • বিশ্বসাহিত্যের চিরকালীন এক বিস্ময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  বাংলাসাহিত্যকে প্রাদেশিকতার সীমানা ছাড়িয়ে তিনি করে তুলেছেন বৈশ্বিক।
    তাই স্বভাবতই তাঁর জীবন সকলের কাছে পরম আকর্ষণীয়।
    এ-কারণে তাঁর সমকালে যেমন, তেমনি উত্তরকালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী রচনায় অনেক গবেষক এগিয়ে এসেছেন।  রবীন্দ্রনাথ নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবন কাব্যের বিকাশেই বিধৃত, জীবনচরিতে তা খোঁজা বৃথা।  একসময় নিজের জীবনচরিত রচনায় ব্যাপৃত হন তিনি।
    কিন্তু অচিরেই কবির জীবনবৃত্তান্ত হয়ে ওঠে অতীতের স্মৃতিমাত্র; বাস্তবতা এই,  সে-জীবনবৃত্তান্ত কবির স্বীকারোক্তিতে ‘সাহিত্য’ রচনারই ক্রমিক ইতিহাস।
    ব্যমাণ গ্রন্থে মোনালিসা দাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের নানা কথা তুলে ধরেছেন।  একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে অসাধারণ কবি হয়ে উঠেছেন-এ বই তারই সাক্ষ্য বহন করে। 
    মোনালিসার ভাষা সহজ, সরল ও আটপৌরে। ধারণা করি, এ বই পাঠ করে কৌতূহলী পাঠক রবীন্দ্রনাথের জীবন সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতায় স্নাত হবেন।

    (বিশ্বজিৎ ঘোষ)
    প্রফেসর, বাংলা বিভাগ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

120 150-20%
আড়িয়াল খাঁ
আড়িয়াল খাঁ
মাসরুর আরেফিন
  • ১৯৮১ সালের ৩০ মে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরের সন্ধ্যা। বরিশালের হিন্দু-অধ্যুষিত ভাটি খানার তেরো বছরের ছেলে জাহেদ তার বাবার সঙ্গে যাচ্ছে আড়িয়াল খাঁ। তার মালেক হুজুর তাকে বলেছেন, ‘তুমি নদীর জ্বলেন্ত পানি ধরবা আর কিছুই পাইবা না, পিরথিবি তো এত্তো ফালতু হয় নাই।’পৃথিবী এত ফালতু না হতে পারে, কিন্তু পৃথিবী নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক এক ঘর, যে-ঘরের মেঝে ছাদে, আর ছাদ মেঝেয়। 
    তাই নৌকায় ওঠার ঠিক আগে ফোরকান উদ্দিন নামের এক লোক জাহেদকে বলে বসলেন, ‘ওই ঘটনাডা নৌকায় কাউরে বলছ তো, জানবা যে—তোমার বাবার লগে নদীতে আইজ রাতে তুমিও ফিমিশ।’ কোন ঘটনা? 
    বিদ্দুত বিশ্বাস নামের একজনও একটু আগে তাকে বলেছেন, ‘ছুডো মিয়া, তাইলে বাপের লগে তুমিও মরতে যাও? ভরা বরোষায়?’
    আর জাহেদের বোন পারভিনের এত বড় সাহস, সে মেয়ে হয়েও একই আড়িয়ালখাঁর পাড়ে এসে ‘রাজা কনডম’ খোঁজে?
    নদীর জল থেকে আওয়াজ উঠছে এক গা-কাঁপানো‘মডি-মডি-মডি’। জানা গেল, প্রেসিডেন্ট জিয়া চট্টগ্রামে মারা যাননি। তিনি বৃষ্টির মধ্যে পালিয়ে এসেছেন তারই কাটা লাখুটিয়ার খালে। 
    দু-দুটো পুরুষাঙ্গ কর্তিত হলো, আর এখন এই রাতের নৌকায় কয়লা ওমরের লোকেদের হাতে দা, বস্তা ও ইট। নৌ-পুলিশ নৌকা থামিয়ে জাহেদকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘তুমি কি জানো দেশের পেরসিডেন্ট কোথায়? আর তিনি যদি নিহত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তার কবর কোথায়?’
    পৃথিবীর সবটাই ভেঙে পড়ছে ঠাঠাঠা, টাসটাস, দ্রিম, বুউম শব্দে। ট্যারর-ট্যারর।

280 350-20%
আতংকিত রাত্রিদিন
আতংকিত রাত্রিদিন (হার্ডকভার)
রফিকুর রশীদ
  • গল্পের জীবন নাকি জীবনের গল্প-সমাজমনস্ক গল্পকারের বিবেচনায় কোনটি মুখ্য প্রণিধানযোগ্য, সেই কূটতর্কের জালে নিজেকে না জড়িয়ে কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ গল্প রচনা করেন মানবজমিনের সবুজ শ্যামল চত্বরে পরিব্রাজকের মতো পা ফেলে ফেলে জীবনের অম্লমধুর নির্যাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
    মানুষ মাত্রই থিতু হয়ে দাঁড়াতে চায়। মাথার উপরে উদার আকাশ, চারপাশে আদিগন্ত সবুজ মাঠ কিংবা এক ফালি উধাও নদী এবং পায়ের তলে জমাট মাটি-এই সব মিলিয়ে মানুষের দাঁড়াবার আয়োজন। এই শ্যামল কোমল মাটির বুকে কত না বিচিত্র শেকড় ছড়িয়ে জীবনরস আহরণ, এই রোদবৃষ্টিতে ভিজে পুড়ে ঊর্ধ্বমুখী ডালপালা মেলে ফুলে-ফলে ভরিয়ে তোলার স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকে জীবনবৃক্ষ। অথচ এই দেশে এই সময়ে সেই মানববৃক্ষ কতভাবেই  যে শেকড়বাকড় উপড়ে হয়ে চলেছে উন্মূল, উদ্বাস্তু, ঠিকানাবিহীন-কে বলবে সেই কথা!
    সাম্প্রতিক অতীতে দৃশ্যাতীত এক অচেনা ঘাতক গোটা মানব সভ্যতার শেকড় ধরে যে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, তাতে আমাদের প্রতিটি রাত্রিদিন হয়ে উঠেছে আতংকিত, উৎকণ্ঠিত। মৃত্যুদূতের প্রকট চোখ রাঙানি প্রতি মুহূর্তে জীবনের স্পন্দনকে থমকে দিতে চাইছে। তবু মানব কি মেনেছে পরাভব? অস্তিত্বের লড়াই কি থেমে গেছে?
    দুর্জ্ঞেয় নিয়তির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের ছবি নয়, এ গ্রন্থের প্রতিটি গল্পে রফিকুর রশীদ অসামান্য শৈল্পিক নৈপুণ্যে এঁকেছেন আমাদের আতংকিত রাত্রিদিনের চালচিত্র। 

120 150-20%
আত্ম-জীবন : ভাই গিরিশচন্দ্র সেন
আত্ম-জীবন : ভাই গিরিশচন্দ্র সেন (হার্ডকভার)
মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম
  • গিরিশচন্দ্র ছিলেন ধর্ম-অন্তপ্রাণ মানুষ।  নিজের ধর্মে নিষ্ঠ থেকেও যে অন্যের ধর্ম ভালোবাসা যায়, প্রীতিময় এই অনুভূতির প্রতীক ছিলেন গিরিশচন্দ্র সেন।  নিজের ধর্ম রক্ষা করেও তিনি ছিলেন ইসলামী শাস্ত্র জানা-বোঝা ও মুসলিম সংস্কৃতি-প্রেমিক একজন গুণী মানুষ।  পুরো জীবন তিনি এই ধর্মীয় শাস্ত্রের চর্চায় ও ধর্মীয় নীতিনিষ্ঠায় আস্থাবান ছিলেন।  নিজের ধর্মে নিষ্ঠ ছিলেন বলে অন্যের ধর্মচর্চায় তাঁর রুচি প্রসন্নতায় ভরে উঠেছিল।  যে নিজের ধর্ম বোঝে না, পালন করে না, সেই কেবল অন্যের ধর্মের ওপর চড়াও হয়ে সকল ধর্ম মানুষের মনুষ্যত্বকে খাটো করে ফেলেছে-এই নঞর্থক চিন্তা নয়, সকল ধর্ম মানুষের কল্যাণচিন্তা করেছে-এই সদর্থক ভাবনা গিরিশচন্দ্রের মৌল প্রত্যয় ছিল।  তাঁর আত্মজীবনী তাঁর এই প্রত্যয়দীপ্ত ধর্ম-জীবনের কথায় সপ্রাণ।

160 200-20%
আত্মোন্নয়নে আধ্যাত্মিকতা (হার্ডকভার)
আত্মোন্নয়নে আধ্যাত্মিকতা (হার্ডকভার)
ইয়াসমিন রশিদ
  • জগতের মানুষ আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি দুঃখ-কষ্ট বেদনা-বঞ্চনা ও নানাবিধ জটিলতার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করি। এই অবস্থায় নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত, স্থির ও মানসিকভাবে শক্ত রাখার উপায় হিসেবে আমরা আত্মোন্নয়নের সাধনা করতে পারি। আত্মোন্নয়নের শিক্ষা আমাদের পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জীবনের নানা সমস্যা-সংকট মোকাবেলার সামর্থ্য তৈরি করে। মানুষের জাগতিক উন্নতির পাশাপাশি যদি আত্মিক উন্নয়ন না ঘটে, তবে বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় জীবনকে সুন্দরভাবে বয়ে বেড়ানো তার পক্ষে সত্যিই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। মানুষের চিন্তার জগৎ ও পরিচিত পরিম-লের মধ্যে সংগতি এবং সমন্বয় সাধনের জন্যও আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়া জরুরি। আমাদের জীবন ছোট হলেও এই ছোট্ট জীবনটাকে সার্থক বা তাৎপর্যময় করে তোলার উপায় হলো স্রষ্টা ও সৃষ্টির সঙ্গে আপন সম্পর্কের সূত্রটি আবিষ্কার এবং সেই উপলব্ধির আলোকে নিজের জীবনকে পরিচালিত করা। আশা করা যায় এই বইটি পাঠককে সেই আত্মআবিষ্কার ও আত্মোপলব্ধিতে সাহায্য করবে।

160 200-20%
আদমসুরাত
আদমসুরাত (হার্ডকভার)
মাইনুল এইচ সিরাজী
  • এই উপন্যাসের নায়ক সুপন তার স্ত্রীকে ভালোবাসে। আপনিও নিশ্চয়ই আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসেন। সুপনের মনে কী আছে-আমরা জানতাম না। বা জানলেও প্রকাশ করতাম না। কিন্তু সব গড়বড় করে দিলেন জ্যোতিষী। জ্যোতিষী আমাদের জানাচ্ছেন-স্ত্রীকে ভালোবাসলেও সুপন মনে মনে অন্য নারীকে কামনা করে। এবং এটাই নাকি পুরুষের স্বাভাবিক কিন্তু গোপন প্রবণতা। 
    জ্যোতিষী রাখঢাক না করে বলেই দিলেন-আপনার স্ত্রী মারা যাবে আর আপনি প্রথম প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন।
    স্ত্রী মারা যাওয়ার সম্ভাবনাটা কষ্টের। কিন্তু প্রথম প্রেমিকাকে বিয়ে করার ব্যাপারটা দারুণ শিহরন-জাগানো নয় কি? এই কষ্ট আর শিহরনের টানাপোড়েনে সুপনের কী অবস্থা দাঁড়ায় সেটার উত্তর আছে এই উপন্যাসে। 
    তবে আপনাকেও একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে-এরকম টানাপোড়েনে পড়লে আপনি শেষ পর্যন্ত কী করবেন?

160 200-20%
আদৃতার পতাকা
আদৃতার পতাকা (হার্ডকভার)
ঝর্না রহমান
  • আদৃতা। এইটের ছাত্রী। তার প্রচণ্ড ডাস্ট এলার্জি। তাকেই সাহস দিলেন ক্রীড়াশিক ননীবাবু। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে অংশ নিতে। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আদৃতা অনুভব করে এক অদ্ভূত আবেগ। এদিকে প্রদর্শনীর কারণে চাকরি হারাতে বসেন ননীবাবু। তখন আদৃতাই হয়ে ওঠে তার একমাত্র ভরসা। কী হয়েছিল সেই পদর্শনীতে আর কেনইবা ননীবাবুর চাকুরি হারানোর ভয়? আদৃতা কি পেরেছিল তার শিক্ষককে উদ্ধার করতে?

64 80-20%
আধখাওয়া দিন
আধখাওয়া দিন
মাইনুল এইচ সিরাজী
  • ১৯৮০-৯০-এর দশকের গল্প। ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর সামাজিক নিষ্পেষণে জর্জরিত এই পরিবারটির করুণ কাহিনি পড়লে আপনার চোখ ভিজে উঠবে। আনমনে আপনি বলতে থাকবেন-এই গল্প আপনার আশেপাশেরই, কিংবা আপনার নিজেরই! কারণ, গল্পগুলো জীবনের। অথবা হতে পারে জীবনটাই গল্পের। লেখক যখন বলেন-চোখ লুকানোর জন্য আকাশের দিকে তাকালাম একবার। আবার নিচের দিকে। আকাশের দিকে তাকালে শূন্যতা দেখি। নিচের দিকে তাকালে মাটি। পায়ের তলায় মাটি তার অস্তিত্ব জানান দেয়। ছেঁড়া জুতা ভেদ করে পা আর মাটি মিলেমিশে এক হয়ে যায়। কিংবা যখন বলেন-অভাবের মাঝেও কোনো কোনো বেলা আমাদের ভাত জুটত। আম্মা সেদিন সবাইকে একসঙ্গে বসাতেন। টিনের থালা নিয়ে আমরা বসে যেতাম আম্মাকে ঘিরে। নারকেল মালার চামচ দিয়ে মেপে মেপে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের থালায় ভাত বেড়ে দিতেন আম্মা। এ ক্ষেত্রে রীতিমতো গণিতবিদ ছিলেন তিনি। কিন্তু থালার একপাশে পড়ে থাকা ভাতগুলো আমাদের দিকে যেন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। আমরা সেই সামান্য ভাত তৃপ্তি নিয়ে খেতাম। আম্মা শূন্য হাঁড়িতে মালার চামচের শব্দ করে বলতেন, ভাত আর নিবি? আমরা বলতাম, নাহ্, পেট ভরে গেছে। ক্ষুধা নিয়ে আমাদের এই লুকোচুরি আমরা সবাই বুঝতাম, কিন্তু কেউ কাউকে বোঝাতে চাইতাম না। -তখন জীবন আর গল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

160 200-20%
আধুনিকতার পথে বাংলাদেশ
আধুনিকতার পথে বাংলাদেশ (হার্ডকভার)
মোহীত উল আলম
  • আধুনিকতার পথে বাংলাদেশ গ্রন্থে চৌকস লেখক মোহীত উল আলম আমাদের সমাজের নানা দিক নিয়ে আকর্ষণীয় আলোচনা করেছেন।  নাতিদীর্ঘ এক একটি রচনায় লেখকের যে কোনো সমস্যাকে মৌলিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে।  বিষয়বৈচিত্র্যে গ্রন্থটি অনন্য: স্মৃতিমূলক লেখা থেকে শুরু করে, ক্রীড়া, রাজনীতি, ধর্ম, অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্ধুত্ব, ভ্রমণ, প্রেম এবং নারীর অবনমন বিষয়ে যেমন প্রবন্ধ আছে, তেমনি আছে ভাষা, শিক্ষা, জাতীয়তা, যুদ্ধাপরাধ, গণতন্ত্র ও সাহিত্যবিষয়ক লেখা।  মোহীত উল আলমের দৃষ্টিভঙ্গির সবলতা এবং ভাষাশৈলীর অন্তরঙ্গতার কারণে এ লেখাগুলো যখন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, তখন পাঠকমহলে বেশ আদৃত হয়েছিল।  এখন লেখাগুলো একত্রে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

360 450-20%
Home
Categories
Cart
Account