দিনমান গ্রজাপতির পেছনে ছুটে বেড়ামাে এক
বালিকার গল্প 'সুতােয় বাঁধা প্রজাপতি। বালিকার
নাম চম্পা। ছুটে ছুটে প্রজাপতি ধরতাে চম্পা, ধরে
সুতােয় বেঁধে রাখতাে। তখন কে জানতাে নিয়তি
কিংবা প্রজাপতির অভিশাপে চম্পার জীবনটাও
একদিন হয়ে উঠবে সুতােয় বাঁধা প্রজাপ্রতির মতাে।
যুদ্ধ নামে এক ভয়ংকর সুতােয় এমন ভাবে বাঁধা
পড়বে তার জীবন যে সুতাে ছিড়ে স্বাভাবিক সুন্দর
জীবনে তার আর কখনও ফেরা হব না। যুদ্ধ যে
আসলে কখনও শেষ হয় না, যুদ্ধের রেশ যে চলতে
থাকে জন্ম জন্মান্তর ধরে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে
প্রতি অনুভবে চম্পার মতাে করে আর কে তা
উপলদ্ধি করে! তারপরও সুতােয় বাঁধা প্রজাপতি
শুধু চম্পার গল্প হয়ে থাকেনি। চন্পার চারপাশ ঘিরে
থাকা আরাে কিছু মানুষের গল্প হয়ে উঠেছে।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, তার আগের এবং
পরের গল্প হয়ে উঠেছে। মিলি নামে আরেক মেয়ের
গল্প হয়ে উঠেছে। মিলি কি এক যুদ্ধশিশু ? যে
পরিবার পরিবেশে সে বড় হয়ে উঠেছে এই পরিবার
এবং পরিবেশ কি তার নিজস্ব! সম্পর্কের সুতােয়
বাঁধা পড়ে থাকা মানুষগুলাে মিলির কে! এরকম
বিভিন্ন ডালপালার গল্প সুতােয় বাঁধা প্রজাপতি'।
একদিকে সেই আশ্চর্য সময় ১৯৭১ এবং চম্পা
আরেকদিকে এই প্রজন্মের মেয়ে মিলি, তার সময়
এবং জীবনযাপন, দিপু নামে এক নার্টকপাগল
যুবক, মিলির গভীর গভীরতর প্রেম আবেগ এবং
উন্মাদনা, সবমিলে সুতােয় বাঁধা প্রজাপতি এক
আশ্চর্য সুন্দর উপন্যাস। জীবনের নানাদিক যেমন
উদ্ভাসিত এ উপন্যাসে তেমনি উভতাসিত
মানবজীবনের প্রধান সম্পদ প্রেম। কলকাতার
আনন্দবাজার গােষ্ঠীর পত্রিকা আনন্দোলােক
পুজোসংখ্যায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নস্তরের
পাঠকমহলে ব্যাপক আলােড়ন তুলেছিল "সুতােয়
বাঁধা প্রজাপতি'। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময়
উপন্যাসের অনেক অংশ নতুন করে লেখা হয়েছে।