অরউইন ব্রেচার এর সারপ্রাইজিং সায়েন্স পাজলস অরিজিনাল প্রিন্টেড বইটি সংগ্রহ করুন সরাসরি তাম্রলিপি থেকে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধাসহ অফারনুযায়ী উপভোগ করুন ফ্রি ডেলিভারি এবং সর্বোচ্চ ছাড়!
সারপ্রাইজিং সায়েন্স পাজলস বইয়ের কিছু অংশঃ
বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনে একটি করে গল্প থাকে, একটি করে
সমস্যা থাকে। সেই সমস্যা সমাধান করার জন্যই আবিষ্কার। সমস্যাগুলো সমাধানের
আগে বেশিরভাগ সমস্যাকে পাজলের মতো মনে হয়। এসব সমস্যার কোনোটা এতই জটিল যে
এগুলো সমাধান করতে বছরের পর বছর লেগে যায়। নিয়মিত পাজল সমাধান করার
অভ্যাস মানুষের যুক্তিকে আরও বেশি তীষ্ম করে। যুক্তি প্রয়োগে নির্ভুলতা
বৃদ্ধি করে।
আমরা যে মহাবিশ্বে বাস করছি তার গঠন বেশ জটিল। আধুনিক বিজ্ঞানের এই
ক্ষিপ অগ্রগতি সত্ত্বেও আমরা এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। আমাদের
চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা কিন্তু পাজলের সবথেকে
বড় উৎস। বেশিরভাগ সময়ই এগুলো আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। তার অবশ্য কারণও
আছে। প্রকৃতি কী নিয়ম মেনে চলে তা জানার জন্য আমরা খুব কম সময়ই ব্যয়
করি।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই পাজল বা ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করার বিষয়টি বেশ
জনপ্রিয়। তবে সময়ের সাথে পাজলের ধরন বদলে যায়। পাজল তৈরি করা একটি কঠিন
কাজ। কিন্তু তবুও পাজল বইয়ের লেখকরা প্রচুর বই লিখতে পারেন। কারণ তারা
অন্যদের তৈরি করা দেশি বিদেশি পাজল সংগ্রহ করেন। তবে সংগ্রহ করা পাজলগুলো
যে সবসময় হুবহু একই রকম থাকে এমন বলা যাবে না। প্রসঙ্গ ও সময়ের
পরিবর্তনের সাথে লেখক তাতে নতুন কিছু যোগ বিয়োগও করে থাকেন।
এ বইয়ের বেশিরভাগ পাজলই ভৌত বা পদার্থবিজ্ঞান সংক্রান্ত। তুমি যদি একজন
পদার্থবিদ হতে চাও তবে এ পাজলগুলো ভৌতবিজ্ঞান সম্পর্কে তোমার ধারণাগুলোকে
আরও শক্তিশালী করবে। পাজলগুলোর শেষে কিছু কুইজ দেওয়া হয়েছে। এ কুইজগুলো
তোমার সামনে প্রকৃতি সম্পর্কে মজার মজার প্রশ্ন নিয়ে উপস্থিত হবে। তুমি
যদি কুইজের উত্তর না জানো তাহলে বইয়ের পৃষ্ঠাকে আয়নায় ধরে উত্তর জেনে
নিতে পার।
এ বইতে বিভিন্ন পাজলের যেসব সমাধান দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু
হয়তো তোমার যুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে নাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুমি সমাধানের সাথে একমত হবে। পাজলের সমাধান দেখার আগে
নিজেই সমস্যাটি নিয়ে অন্তত কয়েকবার চিন্তা করবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে
গুগলে সার্চ করে আনুষঙ্গিক তথ্য দেখে নিতে পার।
তুমি যদি পাজলগুলো এভাবে সমাধান কর তাহলে পাজলের বিষয়বস্তু তোমার
স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান, গবেষণা
ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই এ তথ্যগুলো তোমার কাজে লাগতে পারে। তাই প্রথমেই
বইয়ের সমাধান না দেখাটাই উত্তম। আশা করছি বইটি তোমার চিন্তা ও যুক্তিকে
আরও শক্তিশালী করবে।
এই ধরনের অন্যান্য বই দেখুন “জ্ঞান ও বিজ্ঞান” এবং আমাদের নতুন সব আপডেট পেতে তাম্রলিপি ফেসবুক পেজে ফলো করতে পারেন।
