বুকের ভেতর বিষাদপুর বইয়ের অংশঃ
মেঘাদ্রিতাও কি আজ বাইরে বসে জ্যোৎস্না; দেখছে? রক্তপলাশের
কথা ভাবছে? নাকি সে তার জগৎ নিয়ে আছে? হয়তো সম্পূর্ণই ভিন্ন এক জগৎ। যে
জগতে অন্যের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণই নিষেধ। এ অধিকার থাকা উচিতও নয়। এ
শুধুই আমার মনের অলীক কল্পনা। এলোমেলো চিন্তা যখন মনের মাঝে এসে উঁকি দেয়
তখন নিজেকেই চেনা কষ্ট হয়। বেশির ভাগ মানুষই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে
নিজেকে চেনার আগেই । আমরা জীবনভর অন্যকে চিনতে গিয়ে নিজের কাছেই অচেনা
হয়ে থাকি। যাকে সম্পূর্ণ চিনে ফেলেছি ভাবি অথচ শেষবেলায় দেখি তারই অলখ
রুদ্রমূর্তি। এ এক জটিল সমীকরণ। যে সমীকরণ কোনো নিয়মের ধার ধারে না। সে
চলে নিজস্ব গতিতে। প্রবহমান স্রোতের মতো তার ছুটে চলা দুস্তর কোনো এক
সময়ে।
লেখক পরিচিতিঃ
স্নাতক, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতকোত্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একজন সৃষ্টিশীল ও স্বপ্নবাজ মানুষ ।
জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৯১ সালের ৬ নভেম্বর রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি
উপজেলার রাজধরপুর গ্রামে। বাবা মো. খবির মোল্লা ও মা খাদিজা বেগম। দুই ভাই
তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
পড়াশোনা শেষ করে এখন দেশীয় একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে
কর্মরত আছেন। তবে ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি তার ধ্যান-জ্ঞান। ক্লাস সেভেনে
দেয়াল পত্রিকায় লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু । এরপর অসংখ্য
কবিতা, ছোটগল্প, গান, নাটক, চিত্রনাট্য, ভ্রমণকাহিনী আর উপন্যাসে চলেছে তার
অবাধ বিচরণ। ছায়ানটে কবিতার আসরের গভীর মনোযোগী ছাত্রও ছিলেন একসময় ।
ভালোবাসেন আবৃত্তি করতেও। বিভিন্ন প্রজেক্টে তার নির্মিত শর্টফিল্ম,
মিউজিক্যাল ফিল্ম, ট্রাভেল ফিল্ম, ডকুমেন্টারি ও অনলাইন বিজ্ঞাপনচিত্রের
সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ভালোবাসেন নিজের ভাবনা ও গল্পগুলোকে ক্যামেরার
ফ্রেমে তুলে আনতে চান আলোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবখানে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য লেখা। লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন।
এই ধরনের অন্যান্য বই দেখুন “প্রি-অর্ডারের বই” এবং আমাদের নতুন সব আপডেট পেতে তাম্রলিপি ফেসবুক পেজে ফলো করতে পারেন।