(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

Filters

Price Range

Pathok Seba
তাফসীরে হেদায়াতুল কুরআন (১-৯ খণ্ড)
Hasnu behum
  • তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহ -
    ১. এতে আয়াতের সাথে মিল রেখে শাব্দিক তরজমা করা হয়েছে।
    ২. কঠিন শব্দগুলোর শাব্দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
    ৩. এতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিশুদ্ধ তারকিব উল্লেখ করা হয়েছে।
    ৪. প্রত্যেক আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়াতের তারকিবে কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি।
    ৫. এতে সংক্ষেপে কুরআনে কারিমের মর্মকথা উপস্থাপন করা হয়েছে।
    ৬. এতে অতি কঠিন বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে।
    ৭. সংশ্লিষ্ট আলোচনাগুলো সাবলীল, শব্দ ও প্রকাশরীতি সাদাসিধে, যা সকলের বোধগম্য।
    ৮. এতে প্রথমে একটি/দুটি আয়াত উল্লেখ করতঃ শাব্দিক অনুবাদ, পরে আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক, তারপর শিরোনাম যুক্ত করে সহজ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা। অতঃপর রেখা টেনে আয়াতের পারিভাষিক অর্থ ও অস্পষ্টার ওয়াজাহত। কোথাও শেষে মুক্তাবাণীও লিখে দিয়েছেন, যা অতীতের আলোচনার প্রাণ হয়ে থাকে।
    ৯. এতে প্রত্যেক সুরার শুরুতে সুরার নাম, ক্রমিক নম্বর, নুজুল নম্বর, মক্কাবতীর্ণ না মাদানিবতীর্ণ, রুকু ও আয়াতসংখ্যা। তারপর সুরায় আলোচিত প্রধান বিষয়বস্তুসমূহ সারসংক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে।
    ১০. তাফসিরটি সাধারণ ও বিশেষ শ্রেণী; সকলের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
    ১১. লেখক আয়াতের যে তাফসির গ্রহণ করেছেন, সেটা সুস্পষ্ট শব্দে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন। পাঠকবৃন্দকে 'আগর-মগর' 'কিল ও কাল' এর নির্জন প্রান্তরে ফেলে যাননি।
    ১২. তাফসিরটি বর্জনীয় শব্দ, বাক্য ও তারকিব থেকে মুক্ত।
    ১৩. আধুনিক যুগের চাহিদানুযায়ী এটা সেরা একটি তাফসির।
    ১৪. সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটা লিখেছেন এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে অর্ধযুগ বিভিন্ন শাস্ত্রের কিতাবাদি অত্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান করেছেন, পাশাপাশি যিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের ওপর অর্ধ শতাধিক কিতাবও রচনা করেছেন।
    ১৫. তরজমা ও তাফসিরের পাঠদানকারী শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমামগণ, তরজমা পাঠকারী ছাত্রবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ সকলে এ থেকে সহজে উপকৃত হতে পারবেন।
    ১৬. এটা একটি ইলহামি তাফসির। কারণ এটা হজরতুল উসতাজ লিখেননি, বরং আহলে ইলম ও বুজুর্গদের অনুরোধ, পীড়াপীড়ি এবং এক অদৃশ্য ইঙ্গিত ও সুসংবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখেছেন।
    ৭. এতে ফিকহি মাসআলাগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
    ১৮. এতে কঠিন বিষয়ের বোধগম্যে সহজ উদাহরণ টানা হয়েছে।
    ১৯. ইতিহাস থেকে কিংবা নিজের জীবন থেকে শিক্ষনীয় ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
    ২০. সর্বশেষ কথা হল; "ইনশাআল্লাহ এই তাফসির আপনাকে কুরআনে কারিমের অনেক নিকটবর্তী করে দেবে।"
    ২১. এ তাফসিরটির বাংলা সম্পাদনা করছেন একদল বিদগ্ধ তাফসির ও হাদিস বিশারদ ।
    ২২. এ তাফসির আপনাকে সহজে কুরআন শেখা ও বোঝার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে ।
    ২৩. এ মহা মূল্যবান তাফসিরটির ভাষান্তর করছেন হযরত মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রাহিমাহুল্লাহ -এর কয়েকজন বিশ্বস্ত ছাত্র ও ভক্ত। যারা হযরতের ইলমি সোহবতে ধন্য হয়েছেন ।
    মাদানী কুতুবখানা-বাংলাবাজার এর সুদক্ষ অনুবাদক ও সম্পাদনা টিম কাজটি সম্পন্ন করেছে অদম্য আগ্রহ ও স্পৃহা নিয়ে ।
    আসুন কুরআন পড়ি, কুরআন শিখি, শব্দে শব্দে কুরআনের অর্থ পড়ি । সহজে কুরআন বুঝতে তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন আপনাকে রাহনুমায়ী করবে ।
4500 9000-50%
বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
মাওলানা ইসমাইল রেহান
  • বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গাটাকে যদি একবাক্যে প্রকাশ করতে হয় তবে বলতে হবে বুদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক সংকট। বিগত কয়েক প্রজন্মসহ বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের মনস্তত্ত্বকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অচল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মুসলিম জাতিসত্তা ও দীনি ফিতরাত নষ্ট হয়ে গেছে পশ্চিমা ও অন্যান্য জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক আঘাতে। ফলে আজ রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার সর্বত্র দীনহীনতার সয়লাব।
    স্বাধীনতা, প্রগতি ও যুগচাহিদার নামে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ যেই মানসিক দাসত্ব ও ধর্মহীনতার প্লাবনে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে এর সাথে বিগত ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের গভীর সম্পর্ক আছে। উম্মাহর মনস্তত্ত্বকে মানুষের দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামের সোনালি ইতিহাসের পাশাপাশি বিগত ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করাতে হবে। তখন তারা বুঝতে পারবে, আজকের শাসনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবারব্যবস্থা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা নয়। বরং উপনিবেশ, প্রাচ্যবাদ ও বিশ্বায়নের মাধ্যমে তাদের উপর বিদ্যমান মতাদর্শগুলো চাপিয়ে দিয়েছে ইউরোপ।
    আর উম্মাহকে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই নাশাত পাবলিকেশন নিয়ে আসছে "বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত"।

347 475-27%
মধ্যপ্রাচ্য: যুদ্ধ রাজনীতি বাস্তবতা
মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল
  • মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল আরব বিশ্বের একজন প্রসিদ্ধ সাংবাদিকসাহিত্যিকবুদ্ধিজীবি  পর্যবেক্ষক। তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল আহরাম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর বেশকিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। বইটি তার  বিষয়ের ওপর সপ্তম বই, যা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয় সমালোচকদের দৃষ্টিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি  যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর লেখা বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম বই এটি।

    মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল  বইয়ে উপসাগরীয় যুদ্ধে আরবদের দ্বিধাভক্তিইরাকের বিরুদ্ধে মিত্র জোটের সামরিক হামলার পেছনের অন্তর্নিহিত কারণমধ্যপ্রাচ্যের তে নিয়ে পশ্চিমা স্বার্থবাদী রাজনীতির সমীকরণআরব নেতাদের পারস্পারিক দ্বন্দ  বোঝাপড়া ইত্যাদি বিষয়ে তার কলম চালিয়েছেন। এসব আলোচনার মধ্য দিয়ে তিনি উপসাগরীয় যুদ্ধনাটকের রহস্যভে করতে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেছেন। পশ্চিমা বিশ্লেষণ ও মিডিয়ার বক্তব্য থেকে যা সম্পূর্ণই আলাদা।

    এসব যুদ্ধ কেন সংঘটিত হলোকে কীভাবে বিজয় লাভ করলবিজয়ের ধর  প্রকৃতি কী ছিলএসব বিষয়ে প্রতিও যথেষ্ঠ ইঙ্গিত দেয়া য়েছে। সবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের অতীবর্তমান  ভবিষ্যত সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন-উত্তরের ক্লাইমেক্ পাঠককে হতাশ করবে না।

300
উমাইয়া খিলাফতের ইতিহাস (৬ খণ্ড একত্রে) (হার্ডকভার)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • —আপনি কি উমাইয়া খিলাফতের সঠিক ও পূর্ণ ইতিহাস জানতে চান?
    —আপনি কি শিয়া, রাফিজি, খারিজিদের উত্থান-পতনের বিশদ ইতিহাস জানতে চান?
    —আমিরে মুআবিয়া, হাসান-হুসাইন, ইয়াজিদ, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর,
    আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান, উমর ইবনু আবদুল আজিজসহ উমাইয়া শাসকদের
    সঠিক ইতিহাস যদি আপনি জানতে চান; তাহলে এই বইটি আপনার জন্যই।
    .
    ইতিহাসের সোনালি শাসন খিলাফতে রাশিদার পর শুরু হয় ইসলামি ইতিহাসের দুর্যোগকাল–বংশীয় খিলাফতের সূচনা, জামালযুদ্ধ, সিফফিনযুদ্ধ, কারবালা, ইমাম হুসাইনের শাহাদত! একের পর এক ঘটতে থাকা ইতিহাসের আলোচিত-সমালোচিত অধ্যায়!
    .
    পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলামের বিজয় অভিযান; শিয়া-খারিজিদের উত্থান, খিলাফতকেন্দ্রিক অস্থিরতা, ইসলাম রক্ষায় সাহাবি-তাবিয়িগণের আত্মত্যাগ, লোমহর্ষক ঘটনায় ভরপুর বিস্ময়কর আলো-আঁধারি; ইসলামের মহান সাহাবিদের নিয়ে মিথ্যা রটনাকারীদের কল্পকথার বিশ্লেষণ–এর সবই উমাইয়া খিলাফতের ইতিহাস পরিক্রমা।

    বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবির কলমে উঠে এসেছে সত্যসন্ধ ইতিহাসের সাহসী উচ্চারণ। ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন উমাইয়া খিলাফতের আদ্যোপান্ত। প্রামাণিক বিশ্লেষণে ইতিহাস কত সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে–এই গ্রন্থ খুলে দেবে সেই জানালা।
2291 3055-26%
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ - দুই খণ্ড একত্রে
শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী
  • বই: কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ
    মূল: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী
    অনুবাদ পরিষদ: – শাইখ আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী। – শাইখ মুহাম্মদ আব্দুর রব আফফান মাদানী। – শাইখ মুহাম্মদ উমার ফারুক আব্দুল্লাহ মাদানী। – শাইখ আজমাল হুসাইন আব্দুন নূর মাদানী। – শাইখ শহীদুলাহ খান মাদানী।

    অনুবাদ, সংশোধনী ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে: শাইখ আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী।

    কভার: হার্ড কভার।

    পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১ম খণ্ড (৯৬৮) পৃষ্ঠা ┊
    ২য় খণ্ড (৯০৪) পৃষ্ঠা ।

    পেপার: ৮০ গ্রাম ক্রিম অফ-হোয়াইট।

    প্রকাশনী: আলোকিত প্রকাশনী।

1995 2000-1%
জিজ্ঞাসা ও জবাব ১ম-৫ম খণ্ড
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
  • ⚉ জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ।
    ⚉ কুরআন সুন্নাহর আলকে ইসলামি সওয়াল-জওয়াব।
    ⚉ গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রশ্নের উত্তর।
    ⚉ অজানাকে জেনে নিন।
    ⚉ এমন সব প্রশ্নের উত্তর যা সকল মুসলিমের জেনে রাখা প্রয়োজন।

597 1030-43%
খোলাসাতুল কোরআন (পবিত্র কোরআনের মর্মকথা)
মাওলানা মুহাম্মদ আসলাম শেখোপুরী রহ.

  • রমাদান তো কুরআনের মাস ; এ মাসেই তো রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর পুরো কুরআন নাযিল হয়েছে, কিন্তু কখনো কি কোন রমাদানে মর্ম ও উদ্দেশ্য বুঝে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করেছেন? আচ্ছা, সেটা না-হয় বাদ দিলাম, রমাদান উপলক্ষেও কি কখনো ভেবে দেখেছেন কুরআন আপনার থেকে কী চায়? বরং তা আপনার জন্য কী নিয়ে এসেছে? আপনাকে কী দিতে চায়? রাব্বুল আলামিন এতে আপনাকে কী বলেছেন? যিনি আপনাকে সৃষ্টি করলেন, আপনার আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করলেন তিনি আপনাকে কী বলতে চান? কখনো কি তার এ চিঠিটা পড়ে দেখেছেন?


    বৃথা এ জীবন!


    বিভিন্ন বিষয়ে হাজারটা বই পড়তে পারলেন কিন্তু রবের পাঠানো চিঠিটা পড়তে পারলেন না! এর মর্ম অনুধাবন করতে পারলেন না! আপনার চেয়ে হতভাগা আর কে আছে?


    মর্মপীড়ায় ভুগছেন? গভীর যাতনা অনুভব করছেন?


    আলহামদুলিল্লাহ, আপনার জন্যই নাশাতের তরফ থেকে উপহার "খোলাসাতুল কুরআন"।


    যা আপনাকে কুরআনের মর্ম ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করবে। প্রতিটি সূরার প্রতিবাদ্য ও মূল বক্তব্য তুলে ধরবে। সূরা থেকে আহরিত বিধিবিধান সম্পর্কে জানান দিবে। সূরায় নিহিত শিক্ষা ও উপদেশের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বাদ যাবে না কোন ঘটনাও। সংক্ষেপে হলেও তুলে ধরবে তা।


    মোটকথা পুরো কুরআনের বক্তব্য ও বয়ান তুলে ধরার প্রয়াস চালাবে এ গ্রন্থটি।


263 360-27%
সন্তানের ভবিষ্যৎ
ড. ইয়াদ কুনাইবী
  • সন্তান, সে তো আসমান থেকে পাওয়া। সন্তান, সে তো স্বর্গ থেকে আসা। সন্তান, সে তো স্বপ্ন দিয়ে বোনা সোনা-রঙা সোনালি ফসল।
    সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের সম্পদ। সন্তান চোখের শীতলতা, অন্তরের কোমল উষ্ণতা, হৃদয়ের গহীনে সযত্নে চাষ-করা এক টুকরো মুক্তো। সন্তান মানে বেঁচে থাকার শক্ত অবলম্বন। সন্তান মানে সারাদিন ঘামঝরা ভীষণ খাঁটুনির পর এক অনাবিল প্রশান্তি। সন্তান মানে শত ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি।
    সন্তান মানে অর্থবহ সার্থক বেঁচে থাকা। সন্তান মানে সহস্র হতাশার ভিড়েও আশার ফোয়ারা। সন্তানই তো উত্তপ্ত মরুভূমিতে ছায়া দেয়। হাড়-কাঁপানো-শীতে উষ্ণতা জোগায়। হাসি, খুশি আর আনন্দে জীবন রাঙায়। জীবনের শেষ বেলায় চশমা হয়ে পথ দেখায়, লাঠি হয়ে ভার নেয়, বাহন হয়ে সবখানে নিয়ে বেড়ায়, মুখে তুলে খাইয়ে দেয় আবার যত্ন করে ঘুম পাড়ায়।
    কিন্তু এতসব প্রাপ্তির তৃপ্তি পেতে সন্তানকে আগে ‘মানুষ’ বানাতে হয়, তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর ফেলতে হয়। ওহির আলোয় আলোকিত করে আপনি আপনার সন্তানকে কীভাবে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল করে গড়ে তুলবেন, সন্তানকে কীভাবে পৌঁছে দেবেন আলোর ঠিকানায় সেজন্যই আমাদের এই সবুজ আয়োজন——সন্তানের ভবিষ্যৎ।
250
আল-আদাবুল ‍মুফরাদ (দুই খণ্ড)
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বোখারী (র)
  • ♦ ১২০০ বছর পূর্বে রচিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের বই।
    ♦ প্রতিটি হাদিস তাহকিক ও তাখরিজ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
    ♦ দুআর উচ্চারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
    ♦ যয়িফ হাদিসগুলোর দুর্বল হওয়ার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে।
    ♦ অনুবাদে পূর্ণ সনদকে পরিহার করা হয়েছে।
    ♦ প্রতিদিন ঘরে তালিম করার মতো বই।
    ♦ সর্বসাধারণের উপযোগী সহজ অনুবাদ।

500 1000-50%
সিক্রেটস অব জায়োনিজম : বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির (হার্ডকভার)
হেনরি ফোর্ড , অনুবাদ -ফুয়াদ আল আজাদ
  • আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে!
    .
    ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা ‘দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট’। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- ‘The International Jew’। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রিতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই।
    .
    কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ ‘সিক্রেটস অব জায়োনিজম’। অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মেধাবী মুখ ফুয়াদ আল আজাদ। শিহরণ জাগানিয়া বইটি সংগ্রহ করার সময় এখনই।

300
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস (১-১৪খন্ড)
মাওলানা ইসমাইল রেহান
  • মাওলানা ইসমাইল রেহান রচিত ‘তারিখে উম্মতে মুসলিমা’ গ্রন্থটির পটভূমি সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্তকার সমস্ত ইতিহাস। এই দীর্ঘ সময়ে সংঘটিত মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক তাবৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত হয়েছে এই দালিলিক গ্রন্থ।
    ইতিহাসের অজস্র পট-পরিবর্তনের দৃশ্যচিত্র অত্যন্ত কুশলী ও সুনিপুণ বুননে উপস্থাপন করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ মাওলানা ইসমাইল রেহান।মনোরম-স্নিগ্ধ ভাষায় গ্রন্থটির পাতায়-পাতায় প্রাণবন্ত হয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর কল্লোলিত বিচিত্র সময়। অল্পদিনের ভেতর পুরো উপমহাদেশে গ্রন্থটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাষায় শুরু হয়েছে এর অনুবাদের কাজ।
    অনুবাদকমন্ডলী :
    মাওলানা আবদুর রশীদ তারাপাশী, মাওলানা নাজীবুল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা নূরুয-যামান, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন, মাওলানা যুবাঈর আহমাদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মঈনুদ্দীন তাওহীদ, মাওলানা আম্মার আবদুল্লাহ।
8750
সরোবর
মোঃ আবু জাহেদ (জাহিদ)
315
ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে?
এশরার লতিফ
  • এশরার লতিফ এর ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে?  প্রিন্টেড ২০২২ এর বইমেলার নতুন বইটি সংগ্রহ করুন সরাসরি তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে! প্রি-অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশে ফ্রী ডেলিভারি!

    ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে? বইয়ের অংশঃ

    মেডিকেল অফিসার হিসেবে ভুবন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাত্রই যোগ দিয়েছে লায়লা। কিছু দিনের ভেতরেই লায়লা বুঝতে পারলো যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি আর অনিয়ম। এসব নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে অফিসের বড় কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলো সে। জানতে পারলো ঝুমঝুমি নামের একজন মেডিকেল অফিসার এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এর মাঝে একদিন ভুবন নগরে আর ঝিনাইদহের কাছে একই সময় ভূপাতিত হলো দুটো যুদ্ধ বিমান। ঘটনার তদন্তে ভুবন নগর এলো গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর লাবণি। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। শর্ষে থেকে বেরিয়ে এলো ভুত, কেঁচো খঁড়তে বেরিয়ে এলো ভয়ংকর সাপ।

    এই ধরনের অন্যান্য বই দেখুন “প্রি-অর্ডারের বই” এবং আমাদের নতুন সব আপডেট পেতে তাম্রলিপি ফেসবুক পেজে ফলো করতে পারেন।


400
দ্য প্রফেট মুহাম্মদ
শওকত হোসেন
  • "দ্য প্রফেট মুহাম্মদ" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ


    একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে নিয়ে রচিত মনোধুদ্ধকর গ্রন্থ। চমৎকার শৈলী আর সহানুভূতির সাথে লেখা।


    ফারগাস ফ্রেমিং দ্য সোর্ড ত্যান্ড দ্য ক্রসে'র -এর রচয়িতা।


    পয়গন্কর মুহাম্মদ (স:) সর্বকালের মানবজাতির নায়ক। জীবদ্দশায় এক নতুন ধর্ম : ইসলাম; একটি নতুন রাষ্ট্র: প্রথম একবদ্ধ আরব; এবং এক নতুন টি কুরানের ধ্রুপদী ভাষা-মুহাম্মদের কাছে আর্চতযানজেল গ্যা্িয়েল কর্তৃক পরত্যাদি্ট 'আলাহর বানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তাঁর পরলোকগমনের ক প্রজন্ম পরে তিনি এক নতুন সাম্রাজ্য আর এক নতুন সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবেন। ধর্মের উপলব্ধি যেখানে ক্রমেই অত্যাবশ্যক নেতা, স্বগ্রষ্টা এবং পয়গন্বরের এতিহাসিক অনুরণন আর  আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। ষষ্ঠ শতাব্দীর আরব, যেখানে মুহাম্মদ সৈ:) জন্ম গ্রহণ করেছেন, আপন মানুষ, ক্যারাভান কাফেলা, নিজ শহর মক্কার  বাজার এলাকায় তার বেড়ে ওঠা, আল্লাহর পয়গন্বরে পরিণত হওয়ার 'সেই রাত, মকায় শিক্ষা দানের বিপজ্জনক বছরগুলো আর মদিনা অধিকার করার মক্কার  প্রয়াস, যা শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদের (স:) মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাস্ত মক্কার বৈরী প্রয়াস-এসব কিছুই জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি।

    পরজারসনের গ্রন্থ যেন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের মতো। পয়গম্বরের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবনে আনন্দ-অবগাহন করেছেন তিনি ধর্মীয় সযতন বুননের ভেতর


    দিয়ে। গতিশীল দারুণভাবে পাঠযোগ্য একটি বই।'

170 230-27%
কুরআনের ভূগোল
ড: শাওকি আবু খলিল
  • সন্দেহের অবকাশ নেই যে, আল্লাহর শেষ আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন তার মূলপাঠ্যসহ সকল দিক থেকে সুরক্ষিত আছে। এই মর্যাদা অন্য কোনো ঐশ্বরিক ধর্মের অধিকারে নেই। কুরআনের পূর্ববর্তী অগণিত ধর্মগ্রন্থ এবং বিশেষ গ্রন্থত্রয়ের মূলপাঠ্য (টেক্সট) হারিয়ে গেছে। এসব ধর্মের নিজস্ব পরম্পরা অনুযায়ী এখন ধর্মগ্রন্থের যা কিছু অবশিষ্ট আছে, তা বিবর্তনের ধারার চলমান রূপায়ন। যা একধরনের আর্কাইভের সংগ্রহ বটে। কিন্তু পবিত্র কুরআন বিবর্তনের কোনো পথ পাড়ি দেয়নি। একেবারে প্রথমে যেমন, আজও তেমনি এ মহাগ্রন্থ অগুনতি হাফিজের বক্ষে সুরক্ষিত। প্রায় চৌদ্দ শত বছর আগের আল কুরআনের লিখিত পাণ্ডুলিপি এখনো বিদ্যমান। বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘর, সরকারি লাইব্রেরি, ধর্মীয় বিদ্যালয় এবং ব্যক্তিগত আর্কাইভগুলোতে বিভিন্ন শতাব্দী এবং সময়কালে লেখা, কমপক্ষে দুই লক্ষেরও বেশি কপি মওজুদ রয়েছে। এতে একটি শব্দ বা বর্ণেরও ভিন্নতা নেই। কুরআন যেমন নাযিল হয়েছিল, তেমনি আছে আজও। সময়ের পরিক্রমায় পবিত্র কুরআন সম্পর্কিত বহু সংখ্যক উলূম তথা জ্ঞানশাস্ত্রের জন্ম হয়েছে। কুরআনিক জ্ঞানকলায় একালে যুক্ত হয়েছে নতুন এক বিষয়, যাকে আতলাসুল কুরআন বা কুরআনের ভূগোল আখ্যা দেওয়া হয়। বিংশ শতাব্দীর শেষাবধি কুরআনের ভূগোল, নবীদের আলোচনা, কুরআনসংশ্লিষ্ট স্থান এবং ব্যক্তিবর্গ এর নামে প্রচুরসংখ্যক বই রচিত হয়েছে। বিশ্বসভ্যতার তৃতীয় সহস্রাব্দে নতুন এই জ্ঞানকলা কুরআন—বোঝার একটি নতুন ধারা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কুরআনে বিভিন্ন স্থান, ব্যক্তিবর্গ এবং জাতিগোষ্ঠীর উল্লেখ হয়েছে, প্রথমবারের মতো মানচিত্র ও নকশার মাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরার সফল চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থাদির ব্যাখ্যা—বিশ্লেষণের জন্যে ওল্ড এবং নিউ টেস্টামেন্টে প্রাচ্যবিদরা যে কাজ করেছেন, তা জ্ঞান ও গবেষণার উপযোগিতায় উল্লেখযোগ্য। তাওরাতে বা ইঞ্জিল চতুষ্টয়ে যে স্থান ও ব্যক্তিবর্গের আলোচনা রয়েছে, তা এক ডজনেরও বেশি ভৌগোলিক মানচিত্রের বইয়ে সুন্দরভাবে স্থান পেয়েছে। যেগুলোকে অ্যাটলাস (অঃষধং) বলা হয়। অপরদিকে কুরআন মজিদের বিভিন্ন সূরায় আরব ও হিজাজের যেসব জাতি, স্থান, ব্যক্তিত্ব, মহাসাগর, নদী, উপসাগর, হ্রদ, পর্বত, মরুভূমি, গুহা, শহর এবং জনবসতির উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো শত শত লেখকের দ্বারা বিশদভাবে অধিত হয়েছে এবং এর উপর রচিত হয়েছে মূল্যবান বহু গ্রন্থ। কিন্তু এই তথ্যগুলোকে মানচিত্র বা নকশার সাহায্যে উপস্থাপন করার জন্য কোনো মৌলিক প্রয়াস আমাদের সামনে ছিল না, ফলস্বরূপ যখন একজন কুরআন—পাঠক কুরআনে উল্লেখিত স্থানগুলোকে পাঠ করেন এবং দেখেন, তখন তার মনের মধ্যে স্থির ও স্বচ্ছ কোনো ধারণা প্রতিফলিত হয় না। আমরা স্বীকার করি যে, মুসলিম গবেষক ও আলিমগণের হাতে আরব ও হিজাজের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার উপর বহু মৌলিক গ্রন্থ লেখা হয়েছে। ওবায়েদ বিন শারিয়ার কিতাব আল—মুলুক ওয়া আখবার আল—মাযিয়ীন, আবু উবাইদার “কিতাবুল মাগাজাত”, মুবাররাদের “কিতাবু আয়্যামি বানি মাজিন, নাসাবু কাহতান ওয়া আদনান”, হিশাম কালবির বিভিন্ন কিতাব, ইবনে হিশামের আল—সিরাত আল—নববিয়্যাহ। ইবনুল হিশাম হামদানীর “সিফাতু জাজিরাতু আল—আরব”, এবং “আকলিল”, ইবনে ইসহাকের কিতাবুস সীরাত, আবু ওয়ালিদ আজরাকির মাক্কাহ, ইবনে কুতায়বার কিতাব আল—মাআরিফ, আবু জাফর আল—তাবারির তারিখুর রুসুল ওয়াল আম্বিয়া, মাসুদির “মুরুযুয যাহাব”, আবুল ফিদার আল মুখতাসার ফি আখবারিল বাশার, ইবনে খালদুনের “কিতাবুল ইবার” ইবনে আসাকিরের তারিখু দিমাশকসহ বহুবিধ উপকারী গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যাতে কুরআনে উল্লেখিত স্থান, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে দরকারী তথ্য উপস্থিত রয়েছে। এভাবে ভূগোল ও ইতিহাসের উপর হিশাম বিন মুহাম্মদ কালবি, আবু সাঈদ আল—আসমাঈ, সা’দান ইবনে মুবারক, আবু সাঈদ হাসান আল—সুকরি, উমর বিন রিস্তা, আবু জায়েদ বলখি, আবু সাঈদ আল—সাইরাফি, হাসান বিন মুহাম্মদ আল—মারুফ, মাহমুদ বিন উমর আয যামাখশারি, আল—বাকরী, ইমাম সুয়ূতী, ইবনে ফকিহ হামদানী, ইবনে মারদুইয়া, ইবনে হাওকল, মাকদিসি, ঈদ্রিসি, ইয়াকুত হামাভি, জাকারিয়্যা কাজভিনি এবং শামস—উদ—দীন দিমাশকি’র মতো পণ্ডিতগণ খুব দরকারী জ্ঞানভাণ্ডার রেখে গেছেন। ইদ্রিসির তৈরিকৃত পৃথিবীর মানচিত্র আজও বিস্ময় সৃষ্টি করে এবং আধুনিক মানচিত্রসমূহের জননী হিসেবে নিজের প্রাপ্য সম্মান দাবি করে। আল—বিরুনীর “আল—আসারুল বাকিয়াহ আনিল কুরূনি আল—খালিয়াত”ও খুব দরকারী তথ্য সরবরাহ করে। কোনো না কোনোভাবে এসব বইয়ের সেই উপযোগিতা রয়েছে, যা কুরআনের স্থান, জাতি ও ব্যক্তিবর্গ অধ্যয়ন ও উপলব্ধির ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হতে পারে।

451 550-18%
অবৈধ প্রেম থেকে দূরে থাকুন
শায়খ মুহাম্মদ সালিহ আলী মুনাজ্
  • আজকে একুশ শতকে সবচেয়ে ব্যাপক হারে যে রোগটি ছয়লাপ করেছে, হারাম যে কাজটি মানুষ হালাল-জ্ঞান করা শুরু করেছে, তা হলো বিয়ে বহির্ভূত ভালোবাসা। স্কুল পড়ুয়া শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণী, চাকুরীজীবী, এমনকি বিবাহিত, কেউই বাদ নেই।
    .
    ফলে সমাজে যেমন দেখা দিচ্ছে নানামুখী বিশৃঙ্খলা, তেমনি বহু মানুষের জীবন, পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া হারাম ভালোবাসা অন্তরকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেয়, আল্লাহর মাঝে বান্দার দূরত্ব সৃষ্টি করে। কল্যাণের পথ থেকে দূরে সরিয়ে গোমরাহির পথে এগিয়ে দেয়।
    .
    ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা, যা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই ইসলাম ভালোবাসাকে হারাম করেনি, বরং অবৈধ প্রেমকে হারাম করেছে। হারাম ভালোবাসার ক্ষতি, এ থেকে বের হয়ে আসার উপায়, করণীয় বর্জনীয় ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয় ইসলাম। বক্ষ্যমাণ বইটি এই বিষয়ে চমৎকার একটি পাথেয়।

110 200-45%
আতশকাচে দেখা বাদশা হারুনুর রশিদ
ড. শাওকি আবু খলিল
  • ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এক চরিত্রের নাম আব্বাসি খলিফা বাদশা হারুনুর রশিদ। এ নামের সঙ্গে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। কারণ তার শাসনামল ছিল ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম উৎকর্ষের যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তখন উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে পৌঁছে ছিল বলে এ সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। সে সময়ে বাগদাদ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সূতিকাগার। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জ্ঞান আহরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সেখানে ছুটে যেত। 

    হারুনুর রশিদ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আব্বাসি খলিফা। সাম্রাজ্যের পরিধি বৃদ্ধি, ফেতনা ও বিদ্রোহ দমনে তার বীরত্ব ও সাহসিকতার গুণগান আজও মানুষের মুখে মুখে শোভা পায়। একদিকে নিরীহ ও সাধারণ প্রজাদের কাছে তিনি ছিলেন একজন স্নেহপরায়ণ শাসক, অপরদিকে অন্যায় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কাছে ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক। 

    এতসব কিছুর পরেও তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত প্রজাহিতৈষী শাসক। যিনি রাতের আঁধারে ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করতেন এবং তাদের যাবতীয় প্রয়োজনাদি পূরণ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও সুন্নতে নববির অনুসরণে সদা তৎপর। যিনি সারাজীবন জ্ঞান ও জ্ঞাণী লোকদের সম্মান করেছেন এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

    এতসব মহৎ গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রী মহল এ মহান মুসলিম খলিফার নামে তার তিরোধানের পর থেকেই নানা বিষোদগার করে আসছে। তাদের বক্তব্যমতে হারুনুর রশিদ ছিলেন একজন ব্যর্থ ও অত্যাচারী শাসক। বস্তুত এসকল চালবাজ লোকেরা নিজেদের হীন মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে খলিফা হারুনুর রশিদের নামে বিভিন্ন অপবাদ ও কুৎসা রটিয়ে বেড়ায়। এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়ে সাধারণ মুসলিম সমাজ আজ এ মহান খলিফার প্রকৃত ইতিহাস ও জীবনচরিত থেকে দূরে সরে পড়েছে।

    বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ মহান খলিফার জীবনচরিত নিয়েই রচিত। এর রচয়িতা হলেন আরব বিশ্বের প্রখ্যাত গবেষক ও ইতিহাসবিদ ড. শাওকি আবু খলিল। তিনি বইটিতে নির্ভরযোগ্য সব সূত্র ও গবেষণার আলোকে খলিফা হারুনুর রশিদের জীবনের আদ্যোপান্ত অত্যন্ত সুনিপুণ ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় তুলে ধরেছেন।

450
নিলিন (হার্ডকভার)
মোশতাক আহমেদ
  • পৃথিবীর প্রথম মানব ক্লোনের নাম নিলিন। তৈরি করেছেন প্রফেসর রহমান, বাংলাদেশেই। সম্পূর্ণ প্রজেন্টটি ছিল অতি গোপনীয়। প্রজেক্টটিতে অর্থায়ন করেছে ভিডিলিন নামক এক বিদেশি ওষুধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উনিশ বছর বয়সি সোনালি সবুজ চুলের অপূর্ব সুন্দর নিলিনকে সবার সম্মুখে উন্মোচন করার আগেই ডিডিলিন কোম্পানি দাবি করে বসে নিলিনকে তাদের নিকট হস্তান্তর করতে হবে এবং আরো জানায় নিলিনের উপর তারা গবেষণা করবে। রাজি হন না প্রফেসর রহমান, ডিডিলিনকে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে নিলিন 'মানুষ"। কিন্তু ডিডিলিন কর্তৃপক্ষ রাজি নয়, নিলিনকে তাদের চাই-ই-চাই। নিলিনের উপর গবেষণা করে এক নিলিন থেকে হাজার হাজার নিলিন তৈরি করবে. তারা। তারপর তাদের অঙ্গপরত্যঙ্গ বিক্রি করবে পৃথিবীর মানুষের কাছে। পুরো বিষয়টা ব্যবসায়িক। প্রফেসর রহমান রাজি না হওয়ায় ডিডিলিন দুজন সিক্রেট এজেন্টকে দায়িত্ব দেয় নিলিনকে পাচার করে বাংলাদেশের বাইরে এনে ডিডিলিনের গবেষণাগারে পৌঁছে দেয়ার জন্য। মিশনের প্রথম পর্বে তারা অপহরণ করে প্রফেসর রহমানকে। কিন্তু হাতছাড়া হয়ে যায় নিলিন। ইনকিউবেটর থেকে বের হয়ে নিলিন এখন ঢাকার রাস্তায়, অলি-গলিতে। সবকিছুই অপরিচিত তার। ঘটনাক্রমে তার সাথে পরিচয় হয় নিরবের। নিরব বুঝতে পারে নিলিন সাধারণ কোনো মানুষ নয়। নিলিনের অবিশ/ঠাস্য সব ক্ষমতা রয়েছে। একটি ক্ষমতা হলো সে ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। আর তাছাড়া রয়েছে তার সুন্দর, কোমল আর নিষ্পাপ ভালোবাসায় ভরা একটা মন। সেই ভালোবাসার মনে নিরব যখন হারিয়ে যাচ্ছে তখনই নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টরা অপহরণ করতে সমর্থ হয় নিলিনকে।

    নিলিন এখন গোপন গবেষণাগারে, শুরু হতে যাচ্ছে তার উপর গা শিউরে ওঠা ভয়ংকর সব গবেষণা।

    শেষ পর্যন্ত কী নিলিনকে বাঁচাতে পেরেছিল নিরব!

300
ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ
শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.
  • আল্লাহর সঙ্গে কিভাবে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করবেন?

    মুমিন মানুষ আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। আল্লাহর গোলামীর মাধ্যমেই মানুষ তার সান্নিধ্য লাভ করে। আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভ করতে হলে পূতপবিত্র থাকতে হবে, যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, ফিতনা থেকে বেচে থাকতে হবে, রবের নিকটবর্তী হওয়ার রাস্তা খুজতে হবে। আর তাঁর গোলামি বা ইবাদত করার অন্যতম মাধ্যম হলো কিয়ামুল লাইল বা নামাজ। যা মুমিন মুসলমানের অনন্য গৌরবময় ইবাদত। এ ইবাদতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

    রবের দিকে ফিরা যায়, এমন কিছু বই নিয়ে আমাদের এই 'ফিরে আসুন রবের দিকে প্যাকেজ'

    .

    বই- রাতের আঁধারে প্রভুর সান্নিধ্যে

    মূল- শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী রহ.

    অনুবাদ- আব্দুল আহাদ তাওহীদ

    মুদ্রিত মূল্য- ২৪০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৪৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1eu8TjrBqB2AYUCHfVM3AOr9C8Ze5iVth/view?usp=drivesdk 

    .

    বই- গুনাহ থেকে ফিরে আসুন

    মূল- ইমাম ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ রহ.

    তাখরিজ- মাওলানা তাহের নাক্কাশ পাকিস্তানি

    অনুবাদ- মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার

    মুদ্রিত মূল্য- ২৬০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৬০

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1_xpjCYWLmPklt3sWNp8kPmO9r6hhZL9l/view?usp=drivesdk

    .
    বই- ফিতনা থেকে বাঁচুন

    মূল- শাইখ ইউসুফ বিননূরী রহ.
    অনুবাদ- মারগুব ইরফান

    মুদ্রিত মূল্য- ২৮০৳

    পষ্ঠা সংখ্যা- ১৮৪

    বই সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://drive.google.com/file/d/1Uvl7cQvgCKkf4T1w3YsyxBTOkZZB_ObB/view?usp=drivesdk

780
একটি আয়াত একটি গল্প
ফারজানা বিনতে নাছির
  • কুরআন কারিমের উপদেশগুলো সব বয়সের মানুষের জন্য সমান উপযোগী। প্রয়োজন সেখান থেকে প্রত্যেকের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা নেওয়া। শিশুর সক্ষমতা অনুসারে গল্পকারে উপদেশগুলো সাজানোর পরিশ্রমসাধ্য কাজটি করেছেন সৃজনশীল লেখক সায়্যিদ হামিদ মুসাভি।
    বইটি আমাদের ছোট্ট সোনামনির জন্য- যে বাংলা বানান করে সবে পড়তে শিখেছে। তার বাংলাপড়া চর্চাকে বুদ্ধিদীপ্ততার সাথে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করবে।
    যারা পড়বে, তাদের আচরণে নানা রঙের ‍উপদেশগুলো ফুটে উঠবে, সঠিক দীন চর্চায় হাতেখড়ি হবে ‘একটি আয়াত একটি গল্প’।

178 260-32%
সোনামণিদের লাইব্রেরি (FOR DONATION)
মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ, সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, ড. উম্মে বুশরা সুমনা, তানবীর হাসান বিন আব্দুর রফিক, মোরশেদা কাইয়ুমী, শাইখ আব্দুল কাইয়্যূম আস-সুহাইবানী
5366
নবী মুহাম্মদের পর
লেসলি হ্যাজলেটন
  • নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন মৃত্যু শয্যায় সে সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, কে হবে মুসলিম সাম্রাজ্যের নেতা? যে দ্বন্দ্ব কালক্রমে যুদ্ধে রূপ নেয় এবং শিয়া-সুন্নি বিভাজনের সূত্রপাত ঘটায়। যে বিভাজন ও দ্বন্দ্ব আজও ব্যাপকভাবে বিরাজমান। লেসলি হ্যাজেলটনের বর্ণনায় উঠে এসেছে সেই লোমহর্ষক কাহিনি। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্র ও গুপ্তহত্যাসহ বিচিত্র সব ঘটনার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় এই বইয়ে, যা শিয়া-সুন্নি বিভাজনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সাহায্য করে আমাদের৷ এমনকি বর্তমানে মুসলিম সাম্রাজ্যে এই বিভাজনকে কেন্দ্র করে যে রাজনীতি তা বুঝতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বই।

550
ইলা মাগফিরাহ
মুফতি মুহাম্মাদ খুবাইব ফাফি.
  • মাগফিরাত! শব্দটি শুনতেই হৃদয়ে এক অন্যরকম প্রশান্তি-প্রশান্তি শিহরণ অনুভব হয়। একজন মুমিনের গোটা জীবনের পরম চাওয়াটাই হল এই মাগফিরাত। আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা আর পরকালের চিরমুক্তি। মাগফিরাতের জন্য প্রয়োজন খাঁটি তাওবা আর ইস্তিগফার। আর এ বিষয়ে পাকিস্তানের মাজলুম কারাবন্দি মুজাহিদ আলেম মুফতি খুবাইব হাফি.- এর রচিত “ইলা-মাগফিরাহ” গ্রন্থটি একটি অসাধারণ গ্রন্থ। যে গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে মুহতারাম লেখক পুরো কুরআনুল কারিমের মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সংক্রান্ত সকল আয়াত, আয়াতের অর্থ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির সুরার বিন্যাস অনুসারে একত্রিত করেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের সংজ্ঞা, ফজিলত ও মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার বিষয়ের হাদিস ও আসার তথা বিভিন্ন বাণী একত্রিত করেছেন। মোটকথা মাগফিরাত, তাওবাহ ও ইস্তিগফার সম্পর্কে অসাধারণ একটি গ্রন্থ। যে গ্রন্থে পাঠক পাবেন তাওবাহ-ইস্তিগফার ও মাগফিরাতের এক অনাবিল ঝর্ণাধারা। আসুন! পাঠ করি আর অবগাহন করি মাগফিরাতের পরম কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নীল ভুবনে।




500 1000-50%
মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা.
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
  • কাতিবে ওহি, প্রিয়নবির প্রিয় শ্যালক, ইসলামি জগতের প্রথম শাহানশাহ, আমিরুল মুমিনিন মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান রা. আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত এমন এক সমুজ্জ্বল নাম। যাঁর সুমহান কীর্তিসমূহের আলোচনা মুমিনহৃদয়ে বইয়ে দেয় আনন্দের প্রস্রবণ। অপরদিকে ইয়াহুদিদের পোষ্য ইবনু সাবা, তার পদলেহী রাফিজিরাসহ প্রাচ্যবিদরা এবং অধুনার গবেষকরা সত্যাসত্য নিরূপণ না করে তাঁর ওপর নিন্দাবাদের যে ছুরি চালিয়েছে, তা যেকোনো মুমিনের অন্তরে তুলে বেদনার রক্তপ্লাবন। যেখানে উম্মাহর স্বীকৃত ইতিহাসবিদ জাহাবি, ইবনু কাসির ও ইবনু খালদুনরা তাঁর সুউচ্চ মর্যাদা ও কৃতিত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন ভাষা, খুঁজে পান না উপযুক্ত শব্দ, সেখানে রাশিদ রেজা আর আব্বাস মাহমুদ আক্কাদরা তাঁর মর্যাদায় দুর্গন্ধময় ভাষা; দূষিত সব শব্দ ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হন না।


    তাঁর সঙ্গে হাসান ইবনু আলির সন্ধি একসুতোয় গেঁথে দেয় দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে। উম্মাহর ঐকমত্যে তিনি অধিষ্ঠিত হন ইসলামি খিলাফতের সিংহাসনে। ক্ষণের জন্য স্থাণু হয়ে পড়া জিহাদ ও বিজয়ের ধারায় এনে দেন গতির সঞ্চার। ইসলামের পক্ষে সমুদ্রযুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন তিনি, যে ব্যাপারে নবিজির সুসংবাদ বিদ্যমান। বিলাদুল মাগরিব তথা দূর আফ্রিকা থেকে নিয়ে মধ্য-এশিয়ার খোরাসান পর্যন্ত ইসলামের নিশান ছড়িয়ে দেন এই দিগ্‌বিজয়ী বীর সাহাবি। এতকিছুর পরেও তিনি পদে পদে বিদ্বেষী ইতিহাসবিদদের দ্বারা বিদ্ধ হয়েছেন অন্যায্য সমালোচনার তিরে।


    মাজলুম সেই সাহাবিকে নিয়ে ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত এ গ্রন্থটি আপনাকে দেবে তাঁর সম্পর্কে সত্য-সুন্দর ধারণা। পাতায় পাতায় পাবেন তাঁর ওপর আরোপিত মিথ্যা সব অপবাদের দাঁতভাঙা জবাব। দূর হবে তাঁর ব্যাপারে শোনা সব সংশয়জাগানিয়া মিথ্যা।

580 750-23%
সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আটাশ বছর
বীরপ্রতীক
  • সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আটাশ বছর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার স্মৃতিচারণ মাত্র নয়। এটি একার্থে আমাদের সেনাবাহিনীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও। ১৯৯৬-এর ১৮-২০ মে’র ঘটনাপ্রবাহ, যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন সেনা প্রধানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়, লেখক নিজেও যার শিকার হন, এই বইটির মূল উপজীব্য হলেও, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে–তার যুদ্ধকালীন গঠনপর্ব, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদান, স্বাধীনতা-উত্তর সংগঠন ও কার্যক্রম, পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনা, পরবর্তী অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা , সামরিক শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর তৎপরতা, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সেনাদলের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু ধারাবাহিক ও বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

113 150-25%
ফ্রিডম ফ্রিল্যান্সার
Test Writer
  • যখন আমরা ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি, ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করার চিন্তাটা মাথায় তত বেশি জেঁকে বসতে থাকে। তখন চারপাশে থাকা ক্যারিয়ার অপশনগুলো দেখে মনে হতে থাকে, “ডাক্তার -ইঞ্জিনিয়ার হব, বিজনেস করব নাকি কোনো জব?’’
    সত্যি বলতে এই ক্যারিয়ার গোল সিলেক্ট করার সময় বেশির ভাগই ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করেন না। তারা হয়তো কোনো জব করেন বা কোনো বিজনেস স্টার্ট করেন। আমার টার্গেট কিন্তু সেসব মানুষ নন।
    বরং আমার টার্গেট হলেন ফ্রিল্যান্সাররা। আরেকটু স্পেসিফাই করে বলতে গেলে সেসব সাহসী ও ক্রিয়েটিভ ফ্রিল্যান্সার যারা এমন নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখেই একটা স্টেবল ও স্মার্ট ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে রেডি। এই মানুষগুলোই আমার কাছে ফ্রিডম ফ্রিল্যান্সার, যাদের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করতে আমি কাজ করে চলেছি বেশ কিছুদিন ধরে।
    এবার আমার পরিচয়টা দিই। আমি আরিফুল ইসলাম। আমি প্রফেশনে একজন ডিজাইনার ও মার্কেটার। আমি বর্তমানে গ্রাফিক সোলো নামের একটা এজেন্সি রান করছি। আমার একটা ছোট ও এক্সপার্ট টিম রয়েছে। গত ছয় বছর আমার অসংখ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজের সৌভাগ্য হয়েছে।
    নিজের প্রফেশনের বাইরে আমার একটা বৈশিষ্ট্য হলো, আমি মানুষকে শেখাতে খুব পছন্দ করি। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ফিল্ডে অনেক বছর কাজের এক্সপেরিয়েন্স থাকায় এজেন্সি রান করানোর পাশাপাশি আমি এখন ফ্রিডম ফ্রিল্যান্সারদের নিজের স্মার্ট ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে সহায়তা করার জন্যে তাদের সক্রিয়ভাবে মেন্টরিং করছি।
    আমার আরিফ নোটস নামে একটা ব্লগ, একটা ফেসবুক পেজ ও একটা গ্রুপ আছে, যেখানে আমি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য হেল্পফুল ব্লগ, ভিডিও ও রিসোর্স শেয়ার করে থাকি। একইসঙ্গে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এক্সপার্ট, তাদের লং-টার্মে স্ট্যাবিলিটি আনতে হেল্প করতে আমার একটা কোর্সও রয়েছে।
    আমার এই ফ্রিডম ফ্রিল্যান্সার বইটাতে আমি একজন ফ্রিল্যান্সারের একদম শুরু থেকে লং-টার্মে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে যেসব গাইডলাইন প্রয়োজন সেগুলোর সব ডিটেইলে প্রোভাইড করার চেষ্টা করেছি। তাই বিগিনার ও এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সাররা তো বটেই, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু না-ও জানেন এবং এই ফিল্ডে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে ডিটেইলড গাইডলাইন চান, তাহলে বইটা পড়ে দেখতে পারেন। আবার এই সেক্টরটা সম্পর্কে জানতে চাইলেও এই বইটা পড়তে আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।
    সবার জন্য শুভকামনা রইল। স্মার্ট ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে আপনি রেডি তো?

270 360-25%
আল কুরআন এক মহাবিস্ময়
ড. মরিস বুকাইলি
  • বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের ভাষায় আল-কুরআনের ভ্রুণতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যে যুক্তিযুক্ত গবেষণামূলক বই

100
ছোবল
মাকসুদা আখতার প্রিয়তী
400
শয়তান তোমার শত্রু
শাইখ খালিদ আর-রাশিদ
  • মানুষের সাথে শয়তানের শত্রুতা বেশ পুরোনো, বলা যায় যেদিন থেকে মানবজীবনের সূচনা সেদিন থেকেই শয়তান মানুষের শত্রু। তাইতো শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, Ôশয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রুরূপেই গ্রহণ করো। সে তার দলবলকে আহ্বান করে যেন তারা জাহান্নামি হয়।’ (সুরা ফাতির, ৬) বুদ্ধিমান তো সে, যে তার শত্রু সম্পর্কে ভলোভাবে জানে এবং জানে তাকে নিয়ে তার শত্রুর চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী। সুতরাং শয়তান যেহেতু আমাদের শত্রু, তাই আমাদেরকে শয়তান সম্পর্কে ভলোভবে জানতে হবে এবং জানতে হবে আমাদেরকে নিয়ে তার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী । সাথে সাথে এটাও জানতে হবে যে, আমরা কীভাবে শয়তানের চক্রান্তের ফাঁদ এড়িয়ে সিরাতে মুসতাকিমের ওপর চলে জান্নাতে যেতে পারি। Ôশয়তান তোমার শত্রু’ বইটি মূলত আরবের প্রসিদ্ধ দায়ি শাইখ খালিদ আর—রাশিদের লেকচার Ôহুওয়া আদুউউকা’—এর বাংলা রূপান্তর। শাইখ এতে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বয়ান করেছেন শয়তানের পরিচয়, শয়তানের চক্রান্ত, শয়তান কীভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং শয়তানের চক্রান্ত ও তার ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে। ইনশাআল্লাহ শয়তান ও তার চক্রান্ত সম্পর্কে জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বইটি সাহায্য করবে।

56 80-30%
ছোটদের ৫০ আয়াত (১ ও ২)
ফারজানা বিনতে নাছির
  • একটা সময় ছিল যখন ফজরের পরপরই মসজিদের বারান্দায় কচিকাঁচার কণ্ঠ শোনা যেত। বগলের নিচে কায়দা-আমপারা নিয়ে শিশুরা মক্তবের দিকে ছুটত। উস্তাযের কাছে বসে শিখত কুরআনের ছোট ছোট সূরা, মাসনূন দুআ ও পবিত্রতার বিধিবিধান। এভাবে শিশুমন হয়ে উঠত ঈমানের এক উর্বরভূমি।
    এখন সময় বদলেছে। কচিকণ্ঠের সেই কলতান এখন বিলুপ্ত। কোমল-কাঁধে চেপেছে ভারী ব্যাগ। ঢাউস সাইজের বইপত্তর নিয়ে এখন ছুটোছুটি চলে কোচিং থেকে কোচিংয়ে। শিশুর কচিমন যেন এখন বস্তুবাদী চেতনার এক ধু-ধু বালুচর।
    সচেতন অভিভাবকরা শিশুর দ্বীনি শিক্ষার জন্য হোমস্কুলিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। সে প্রচেষ্টাকে একধাপ এগিয়ে নিতে কুরআনের বাছাইকৃত কিছু আয়াত নিয়ে আমাদের এই আয়োজন—‘ছোটদের ৫০ আয়াত’। প্রতিটি আয়াতের সাথেই রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু কথা। এতে সোনামণিরা সহজেই আয়াতের ভেতরের কথা বুঝে যাবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় ছবি ও নান্দনিক ডিজাইন তো আছেই।
    আপনার সোনামণির অন্তরকে কুরআনি চেতনার সুরক্ষিত দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে আজই সংগ্রহ করুন ‘ছোটদের ৫০ আয়াত’।

224 320-30%
কিতাবুল ফিতান
আল্লামা ইব্‌নে কাছীর (রহ.)

  • আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর শেষ নবী। তাঁর পর আর কেউ আল্লাহর বার্তা নিয়ে দুনিয়ায় আসবেন না। এজন্য তিনি কিয়ামতের পূর্বে বহু ফেতনার কথা বয়ান করে গেছেন। তার অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে; কিছু বাস্তবায়িত হতে চলেছে; আর কিছু বাকি রয়েছে। কিন্তু আমরা গাফলতের কারণে যেগুলো ঘটে গেছে, সেগুলোর খবরও রাখছি না। আর যেগুলো ঘটে চলেছে, সেগুলোর খবর নিচ্ছি না। আর যেগুলো ভবিষ্যতে ঘটবে, সেগুলো সম্পর্কে তো কিছু বলারই অপেক্ষা রাখে না।


    দুনিয়া যত বুড়িয়ে যাবে, ততই এর নিয়মনীতি বিঘ্নিত হতে থাকবে। পরিভাষায় এই বিবর্তনকে ‘ফিতনাহ’ বহুবচনে ‘ফিতান’ বলা হয়ে থাকে। তাসবীহের সূতা ছিঁড়ে দিলে যেভাবে তার দানাগুলো একের পর এক পড়তে থাকে, দুনিয়ার বার্ধক্যের সময় ফিতানের আবির্ভাবও সেভাবেই সংঘটিত হতে থাকবে। রসূলুল্লাহ ﷺ-এর ভাষ্য এই দাবির উপরই সাক্ষ্য প্রদান করে।


    ইসলামের মহামনীষীগণ অত্যন্ত চৌকসভাবে রসূলুল্লাহ ﷺ-এর এজাতীয় ভাষ্যের সংকলন উম্মাহর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। যাঁরা এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন, তাঁদের তালিকা অত্যন্ত দীর্ঘ। যাবতীয় নাম সন্বিবেশিত করতে গেলে একটি ছোটখাট পুস্তিকায় পরিণত হবে। তবে তাঁদের মধ্যে ইমাম ইবনে কাসীর’র নাম খুব গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করার মত।


    তিনি তাঁর ইতিহাসগ্রন্থ ‘আল-বেদায়াহ ওয়ান-নেহায়াহ’র ‘ফিতান’ অধ্যায়ে এই প্রসঙ্গে বর্ণিত প্রায় যাবতীয় রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে অনেক আলেমে দীন এই অংশটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিমার্জিত করে স্বতন্ত্র পুস্তকহিসাবে প্রকাশ করেছেন।


    পরিমার্জন বলতে কেউ ব্যাখ্যা যুক্ত করেছেন। কেউ বিভিন্ন হাদীস-তাফসীরের গ্রন্থ থেকে তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। কেউ ইবনে কাসীর উদ্ধৃত দীর্ঘ সূত্র সংক্ষিপ্ত করেছেন। ইত্যাদি। আমরা একটি পরিমার্জিত সংস্করণের অনুবাদ পেশ করছি। এ ধরণের গ্রন্থের অনুবাদ করা খুব কঠিন। কেননা, এমন গ্রন্থাবলিতে এমন কিছু তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেগুলো শুধু আরবীতেই ব্যক্ত করা সম্ভব। তবুও বাংলা-উপস্থাপন-রীতি অনুসরণ করতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।


330 600-45%
আমার ইলমি সফর
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.
  • সাইয়িদ আবুল হাসান আলি নদবি রহ. এক জীবনে কতগুলো বই পড়েছেন? সংখ্যাটা সম্ভবত তিনি নিজেও বলতে পারবেন না। সব বই নিয়ে আলাপ করতে গেলে কয়েক খণ্ডের ভলিয়ম হয়ে যাবে। তাই তিনি কথা বলেছেন তার নির্বাচিত এমন কয়েকটি বই নিয়ে, যেগুলো তাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। জীবনে দাগ রেখে গেছে। চিন্তায় বিপ্লব এনেছে। 

    বইয়ের প্রথম-দুটি রচনা এই বিষয়েই। শেষে একটি সাময়িকী থেকে পাঠানো কিছু প্রশ্নপত্রের জবাব উল্লেখ হয়েছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে তার পাঠ-জীবনের আরও কিছু না-বলা গল্প।

    সেইসঙ্গে তরুণ সাহিত্যসেবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। প্রত্যেক বইপ্রেমী, কিতাবপ্রেমী তালিবুল ইলমের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য!

70 140-50%
আর-রাহিকুল মাখতুম (স্ট্যান্ডার্ড)
শায়খ সফিউর রহমান মোবারকপুরী
  • কাগজ : 70 ও 61 গ্রাম কালার কাগজ
    ১ কালারে মানচিত্র ও সিরাত অ্যালবামসহ

    ১৩৯৬ হিজরিতে রাবিতায়ে আলমে ইসলামির উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সিরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার গৌরবে ভাস্বর এক বিরল সিরাতগ্রন্থ আর-রাহিকুল মাখতুম। ধারালো কলমের নিবে সুবিন্যস্ত করে তোলা হয়েছে নবিজির গোটা জীবন।

    রাসুল সা.-এর মহিমান্বিত মোহরাঙ্কিত সুধাময় মহাকাব্যিক জীবনের প্রতিটি অবস্থা অঙ্কন করা হয়েছে বইটিতে। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রহণীয় বর্ণনাটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বইটির জন্য। ইখতিলাফি বর্ণনা নিয়েও করা হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা।

    বইটি তার বৈশিষ্ট্য এবং সৌন্দর্যের মাধ্যমে এক অনন্য অবস্থান গড়ে নিয়েছে। বইটি যেন সিরাত-পাঠের এক সফল আন্দোলন। বইটি এর পাঠককে নিয়ে যাবে নবিজির পাশে—মক্কা, মদিনা, তায়েফ; আর বদর, উহুদ, হুদাইবিয়ার প্রাঙ্গনে। জানাবে নববি জীবনের ঐশ্বর্য, সৌন্দর্য, মাহাত্ম্য।

350 750-54%
কিংবদন্তির মুখোমুখি
মাওলানা এহসানুল হক
  • চিন্তা-চেতনা ও মতাদর্শের কথা সাক্ষাৎকারেই উঠে আসে স্পষ্টভাবে। যেন কাগজের বুকে ভিন্ন ধরনের আলপনা, যেখানে ভেসে ওঠে মানুষের হৃদয়ের স্বপ্ন ও কল্পনার কথা। শাইখুল হাদীস এর প্রতিটি সাক্ষাৎকারেই পাঠক খুঁজে পাবে নতুন নতুন স্বাদ। কোথাও ফুটে উঠেছে তার ফেলে আসা শৈশব কৈশোরের স্মৃতি, আবার কোথাও ছাত্রজীবনের কথা, শুধু তাই নয়, আরও রয়েছে রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ও সমকালীন রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ।



    সাপ্লায়ার জানিয়েছেন এই পণ্যটি 18 February প্রকাশিত হতে পারে। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পণ্যটি পেতে আগেই অর্ডার করে রাখুন ।

210 300-30%
সোনামণিদের প্রথম পাঠ
মোঃ আশিকুর রহমান
  • শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু সেটি কোন শিক্ষা? পাঠ্যপুস্তকের অন্তঃসারশূন্য, বিকৃত সিলেবাসের শিক্ষা কি আদৌ জাতির মেরুদণ্ড গড়তে পারবে? না কি উলটো মেরুদণ্ড ভাঙ্গার ব্যবস্থা করবে?
    শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ মেরুদণ্ড। বড় হয়ে তারাই জাতির হাল ধরবে। ছোটকালেই যদি তাদের অন্তরে নৈতিকতার বীজ রোপণ করে দেওয়া যায়, তাহলে বড় হয়ে তারাই হবে আদর্শ নীতিবান মানুষ।
    এ-জন্য শিশুর প্রাথমিক পাঠ হওয়া চাই নৈতিকতার শিক্ষা, দ্বীনি শিক্ষা। আপনার সোনামণির ইসলামি নৈতিকতার পাঠ সহজ করতে আমরা নিয়ে এসেছি ‘সোনামণিদের প্রথম পাঠ’ বই। এ-বইটিতে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও আরবির সহজ প্রাথমিক পাঠ।
    বইটির মনকাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন ছোটদের নজর কাড়বে নিশ্চিত। সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে দেখতে তারা শিখে যাবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও আরবি। আপনার সন্তানের শক্তিশালী প্রাথমিক পাঠ নিশ্চিত করতে আজই সংগ্রহ করুন ‘সোনামণিদের প্রথম পাঠ’।

154 220-30%
হে উদাসীন সতর্ক হোন
সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী
  • উদাসীনতা মানুষের একটি ভয়ংকর আত্মিক ও মানসিক ব্যাধি। যাদের অন্তরে, মন—মানসিকতায় এই ব্যাধি বাসা বেঁধেছে, সমূহ আশঙ্কা রয়েছে, দুনিয়া—আখেরাতে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তভুর্ক্ত হবে, সফলতার চূড়া থেকে ব্যর্থতার অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা ক্রমশ জান্নাতের পথ ছেড়ে জাহান্নামের দিকে অগ্রসর হয় ধীরে ধীরে। যেহেতু উদাসীনতা মানুষের আত্মিক ও মানসিক ব্যাধি, আর প্রতিটি ব্যাধিরই কোনো না কোনো নিরাময় ও প্রতিষেধক রয়েছে, সুতরাং উদাসীনতা নামক ব্যাধিরও নিরাময় ও প্রতিষেধক রয়েছে। তাই আমাদেরকে সেই প্রতিষেধক গ্রহণ করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে হবে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হবে। ‘হে উদাসীন সতর্ক হোন’ বইটিতে উদাসীনতা কী? উদাসীনতার ভয়ঙ্কর পরিণতি, মানুষ কেন উদাসীন হয় এবং উদাসীনতা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ উদাসীনতা সম্পর্কে জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বইটি সাহায্য করবে।

103 147-30%
বাবরি মসজিদ : ইতিহাস ও আন্দোলন
মাওলানা এহসানুল হক
  • ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর। হিন্দুরা পেশি শক্তি আর ক্ষমতার পরোক্ষ মদদে বাবরি মসজিদটিকে শহীদ করে। ক্ষোভার্ত মুসলিমের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠে। বাংলাদেশে জেগে উঠেছিলেন এক সিংস শার্দুল। শুরু করলেন ভারত অভিমুখে লংমার্চ। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পূবার্পর ঘটনাবলী, পৃথিবীব্যাপী আন্দোলন, অযোধ্যা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ, জিকিরের মিছিলে গুলি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদে বিমানবন্দর ঘেরাও কর্মসূচি, শাইখুল হাদীস গ্রেফতার এইসব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যাবে বইটিতে।

266 380-30%
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ (১-১০ খণ্ড)
মাওলানা ইসমাইল রাইহান
  • এক মলাটে মুসলিম জাতিসত্তার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসগ্রন্থ। যে বইয়ে মানবজাতির হাজার বছরের ইতিহাস সংক্ষেপে এবং মুসলিম উম্মাহর চৌদ্দশো বছরের ইতিহাস সবিস্তারে উঠে এসেছে। তথ্যের প্রাচুর্য, প্রতিটি তথ্যের সঙ্গে প্রাচীন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স বুক থেকে উদ্ধৃতি, নির্মোহ বিশ্লেষণ এবং বিশুদ্ধ মানদণ্ডে পরখ করে সাবলীল তথ্য উপস্থাপনার বৈশিষ্ট্য অন্য যেকোনো বই থেকে এই বিশ্বকোষকে স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছে।
    উর্দুর সুবিশাল চার ভলিউম থেকে বাংলায় দশ খণ্ডে বইটি অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের ইউরোপ অভিযান, অর্থাৎ হিজরি ৯ম শতাব্দী/ঈসায়ি ১৫তম শতাব্দী পর্যন্ত পুরো আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে উঠে এসেছে।
    বইটি লিখেছেন, মাওলানা ইসমাইল রাইহান। যিনি পাকিস্তানের জামিয়াতুর রশিদ করাচির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। বইটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন, সাবেক বিচারপতি মাওলানা তাকি উসমানি, ড. মনযুর মেঙ্গলসহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য বিদগ্ধ মনীষী।
4770 9000-47%
আলেম উদ্যোক্তাদের সোনালি অতীত
মাওলানা কাজি আতহার মুবারকপুরী
  • ইসলামে জীবিকা অন্বেষণে ব্যবসার তাগিদ এসেছে সর্বাগ্রে। সৎ ব্যবসায়ীদের হাশর নবি-সাহাবিদের সঙ্গে হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

    নবি, সাহাবি, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ থেকে নিয়ে হাজার বছরের ইতিহাসে সোনালি একটা অধ্যায় ছিল। যেখানে ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্প ছিল। তবে কালের পরিক্রমায় বলি কিংবা সামাজিক বিস্মৃতি—আমরা সেই ইতিহাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। আল্লামা কাজি আতহার মুবারকপুরি রহ. রচিত ও আবুল ফাতাহ কাসেমি অনুদিত বইটি আমাদের সেই হারানো ইতিহাস খুঁজে পাওয়ার একটি সূত্র তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

    বইটি সম্পর্কে ভারতের প্রখ্যাত লেখক, বিদগ্ধ মনীষী মাওলানা আবদুল মাজিদ দরিয়াবাদি বলেন, ‘এ বইটি সব মানুষের চোখ খুলে দেবে।’

    আশা করি গ্রন্থটি উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী তৈরিতে দারুণ ভূমিকা রাখবে।

336 480-30%
আমল সিরিজ (সমকালীন প্রকাশন)
সমকালীন সংকলন টিম
  • আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল

    অল্প আমলে অধিক সাওয়াব পেতে কে না চায়! আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে কার না ইচ্ছে করে! অথচ অধিকাংশ মুসলিমই জানে না, কীভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে আমল করতে হয়; কোন সময় কোন আমলগুলো করলে সারারাত ঘুমিয়েও পাওয়া যায় তাহাজ্জুদের সাওয়াব, হজে না গিয়েও মিলে পূর্ণ হজের নেকি, শহিদ না হয়েও লাভ করা যায়শাহাদাতের মর্যাদা।

    আল্লাহ তাআলা ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনসব সুযোগের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যাতে আমরাসীমিত সময়ে এবং কম পরিশ্রমে নিজেদের আমলনামায় যুক্ত করতে পারি পাহাড়সমান সাওয়াব; পাপের সাগরে যা হবে আমাদের নাজাতের তরি। হাশরের ময়দানে সাওয়াবে ভরপুর আমলনামা দেখে নিজেরাই হয়ে যাববিস্মিত।

    এজন্য জীবনকে আমলেরমাধ্যমে পরিপূর্ণ করে তুলতে এবং আল্লাহর আরও বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হতে আমাদের এবারের আয়োজন—‘আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল’।

    জান্নাতিদের আমল

    আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। ছোট্ট এই জীবনে চাইলেও আমরা খুব বেশি আমল করতে পারি না। আর তাই আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহে আমাদের জন্য বিপুল সাওয়াব অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে, একটু ভেবেচিন্তে, বিশেষ কিছু আমল নিয়মিত করতে পারি, তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের নেকির পাল্লা অনেক বেশি ভারী হয়ে উঠবে। হাশরের ময়দানে যখন কেউ কাউকে চিনবে না, তখন এই আমলগুলোই হবে আমাদের একমাত্র সম্বল,জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম অসিলা।

    ‘জান্নাতিদের আমল’ বইটির পাতায় পাতায় বর্ণিত হয়েছে হাজারো আমলের কথা।যেসব আমলের মাধ্যমে মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য, রাতে ঘুমিয়ে থেকেও অর্জন করা যাবে তাহাজ্জুদের সাওয়াব, শহিদ না হয়েওলাভ করা যাবেশহিদি মর্যাদা, কবরের আজাব থেকে মিলবে চিরমুক্তি, হাশরের ময়দানে আরশের ছায়া, প্রিয় নবিজির সুপারিশ এবং আরও কত কি!

798 1228-36%
ছোটদের ৫০ আয়াত (২)
ফারজানা বিনতে নাছির
  • একটা সময় ছিল যখন ফজরের পরপরই মসজিদের বারান্দায় কচিকাঁচার কণ্ঠ শোনা যেত। বগলের নিচে কায়দা-আমপারা নিয়ে শিশুরা মক্তবের দিকে ছুটত। উস্তাযের কাছে বসে শিখত কুরআনের ছোট ছোট সূরা, মাসনূন দুআ ও পবিত্রতার বিধিবিধান। এভাবে শিশুমন হয়ে উঠত ঈমানের এক উর্বরভূমি।
    এখন সময় বদলেছে। কচিকণ্ঠের সেই কলতান এখন বিলুপ্ত। কোমল-কাঁধে চেপেছে ভারী ব্যাগ। ঢাউস সাইজের বইপত্তর নিয়ে এখন ছুটোছুটি চলে কোচিং থেকে কোচিংয়ে। শিশুর কচিমন যেন এখন বস্তুবাদী চেতনার এক ধু-ধু বালুচর।
    সচেতন অভিভাবকরা শিশুর দ্বীনি শিক্ষার জন্য হোমস্কুলিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। সে প্রচেষ্টাকে একধাপ এগিয়ে নিতে কুরআনের বাছাইকৃত কিছু আয়াত নিয়ে আমাদের এই আয়োজন—‘ছোটদের ৫০ আয়াত’। প্রতিটি আয়াতের সাথেই রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু কথা। এতে সোনামণিরা সহজেই আয়াতের ভেতরের কথা বুঝে যাবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় ছবি ও নান্দনিক ডিজাইন তো আছেই।
    আপনার সোনামণির অন্তরকে কুরআনি চেতনার সুরক্ষিত দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে আজই সংগ্রহ করুন ‘ছোটদের ৫০ আয়াত’।

112 160-30%
থামুন! পথ দেখাবে কুরআন
শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
  • গন্তব্য চট্রগ্রাম। একটি উন্নত গাড়িতে চড়ে আপনি রওনা হয়েছেন ঢাকা মিরপুর থেকে। পথিমধ্যে নানান জায়গায় স্পিড ব্রেকারের সামনে আপনার গতি রোধ করতে হচ্ছে। আপনার চট্রগ্রাম সফর সফল করতে কিছু জায়গায় স্পিড ব্রেকারের কাছে গিয়ে থামতেই হবে আপনাকে। আপনার গাড়ি যত দামিই হোক, যত দক্ষই হোক আপনার ড্রাইভার যদি আপনি না থামেন, আপনার গাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ হবে, মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হবেন আপনি।
    ঠিক এমনই জ্ঞানের জগতেও কিছু স্পিড ব্রেকার রয়েছে, যেখানে আপনাকে থামতে হবে, মেনে নিতে হবে আপনার অক্ষমতা। আপনি হয়তো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ ইত্যাদি নিয়ে দুর্দান্ত অধ্যয়ন করছেন নিজের এবং মানবতার মুক্তির জন্য। কিন্তু আপনি কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আল্লাহ যেন আপনাকে ডেকে ডেকে বলছেন, বান্দা! আমার পরিচয় ভালোভাবে জেনে আমার সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে শুরু করো ভিন্ন এক যাত্রা। সে যাত্রার শুরুতেই আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে আলিফ-লাম-মীমের। যেখানে থামিয়ে দিতে হচ্ছে আপনার জ্ঞানের গতিকে, স্বীকার করে নিতে হচ্ছে নিজের অজানা আর অক্ষমতাকে। তারপর আল্লাহ আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, এমন একটি কিতাবের সঙ্গে, যার মধ্যে নেই কোনো ভুলত্রুটি, কোনো সন্দেহ-সংশয়। যার সবটুকুই আপনার এবং মানবতার কল্যাণ, যার পু্রোটা জুড়েই রয়েছে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার সমাধান। কুরআনের আলিফ-লাম-মীম, ইয়া-সীন, হা-মীম ইত্যাদি মুকাত্তাআত হুরূফগুলো আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত এক একটি স্পিড ব্রেকার, যা আপনার জ্ঞানের গতিকে থামিয়ে দেয়, আপনার জ্ঞানের জগৎকে করে দেয় অক্ষম। পরিচয় করিয়ে দেয় জ্ঞানের সম্পূর্ণ নতুন এক দিগন্তের সঙ্গে। যা আসমান থেকে আসা নির্ভুল এবং মহাসত্য। চলুন আল্লাহ তাআলা আমাদের অক্ষম করে দিয়ে কী জানাচ্ছেন, কোন বিষয়গুলো তুলে ধরছেন, তা জেনে নিই—‘থামুন! পথ দেখাবে কুরআন’ বই থেকে।

231 330-30%
আসমাউল হুসনা বুকমার্ক
Test Writer
  • আল্লাহ তাআলার গুণবাচক ৯৯টি নামে ৯৯টি বুকমার্ক
    প্রতিটি বুকমার্কে আল্লাহ তাআলার আরবী নাম, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ রয়েছে।

200
গল্পভাষ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি
আমিন আশরাফ
  • হে যুবক! তুমি কাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসো? নিশ্চয় প্রিয় নবীজিকে। তবে কি তুমি ভালোবাসবে না তাদেরকে, যারা প্রিয় নবীজির পবিত্র পরশে ধন্য হয়েছেন, যারা তাঁর সৌরভে সুরভিত হয়েছেন? তারাই হলেন নবীজির হাতে গড়া সাহাবায়ে কেরাম। তাদের অনুসরণের মাঝেই রয়েছে রাসুলের অনুসরণ। তাদের অনুকরণের মাঝেই রয়েছে এ জাতির মুক্তি। তবে এখনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও- সাহাবিদের জীবনের আলোকে আমার জীবন আলোকিত করব, তাদের আদর্শ জীবনে ধারণ করব, তাদের আকাশচুম্বী মর্যাদা বুকে লালন করব। তবেই তো তুমি হবে আদর্শ মানুষ, আলোকিত মানুষ। তোমার দ্বারা আলোকিত হবে পৃথিবী।
    হে যুবক ! কিশোরদের উপযোগী এই গল্পভাষ্যটি আপনার জন্যই।

140 200-30%
ওয়ার্ড অব মাউথ মার্কেটিং
মোঃ মাছুম চৌধুরী
  • সারা পৃথিবীতে ১৬৩ প্রকারের মার্কেটিং আছে। সাধারণত আমরা ৪৩ ধরনের মার্কেটিং সবসময় দেখতে পাই। হরেকরকম মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য মার্কেটিং হচ্ছে ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং। আপনি যে উপায়ে মার্কেটিং করেন না কেন আপনাকে শেষ পর্যন্ত আপনার প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড কিংবা সার্ভিসকে সাধারণ মানুষের ওয়ার্ড অপ মাউথে পরিণত করতে হবে কারণ সেলস বৃদ্ধি করতে হলে ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং এর কারণে যেকোন প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের দীর্ঘমেয়াদী সেলস তৈরি হয়। স্বল্প সময়ে কম খরচে সবচেয়ে কার্যকর মার্কেটিং এর নাম ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং। মার্কেটিং করার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিটি প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড কিংবা সার্ভিসের মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন মিডিয়ার মধ্যে কোন মিডিয়া সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য?
    এই প্রশ্নের একটাই উত্তর সেটি হচ্ছে, মানুষের মুখ হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য কার্যকর মিডিয়া। পৃথিবীতে ব্যবসায়িকভাবে সফল যেকোন প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের সফলতার পেছনে ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং এর একটি প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত মার্কেটিং এ কাজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বিভিন্ন কোম্পানি মার্কেটিং এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কিন্তু এতো খরচের পরও কোনো প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং হচ্ছে না। মার্কেটিং কৌশলের ভিন্নতার কারণে অথবা মার্কেটারদের এ বিষয়ে জ্ঞানের অভাবে মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করার পরও ওয়ার্ড অপ মাউথ হতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ ওয়ার্ড অপ মাউথ হতে হলে অবশ্যই এ বিষয়ে বিস্তর জেনে তারপর মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করলে ওয়ার্ড অপ মাউথ মার্কেটিং হবে।

220 300-27%
ছোটদের ৫০ আয়াত (১)
জাকারিয়া মাসুদ
  • একটা সময় ছিল যখন ফজরের পরপরই মসজিদের বারান্দায় কচিকাঁচার কণ্ঠ শোনা যেত। বগলের নিচে কায়দা-আমপারা নিয়ে শিশুরা মক্তবের দিকে ছুটত। উস্তাযের কাছে বসে শিখত কুরআনের ছোট ছোট সূরা, মাসনূন দুআ ও পবিত্রতার বিধিবিধান। এভাবে শিশুমন হয়ে উঠত ঈমানের এক উর্বরভূমি।
    এখন সময় বদলেছে। কচিকণ্ঠের সেই কলতান এখন বিলুপ্ত। কোমল-কাঁধে চেপেছে ভারী ব্যাগ। ঢাউস সাইজের বইপত্তর নিয়ে এখন ছুটোছুটি চলে কোচিং থেকে কোচিংয়ে। শিশুর কচিমন যেন এখন বস্তুবাদী চেতনার এক ধু-ধু বালুচর।
    সচেতন অভিভাবকরা শিশুর দ্বীনি শিক্ষার জন্য হোমস্কুলিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। সে প্রচেষ্টাকে একধাপ এগিয়ে নিতে কুরআনের বাছাইকৃত কিছু আয়াত নিয়ে আমাদের এই আয়োজন—‘ছোটদের ৫০ আয়াত’। প্রতিটি আয়াতের সাথেই রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু কথা। এতে সোনামণিরা সহজেই আয়াতের ভেতরের কথা বুঝে যাবে। এ ছাড়া আকর্ষণীয় ছবি ও নান্দনিক ডিজাইন তো আছেই।
    আপনার সোনামণির অন্তরকে কুরআনি চেতনার সুরক্ষিত দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে আজই সংগ্রহ করুন ‘ছোটদের ৫০ আয়াত’।

112 160-30%
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল
সমকালীন প্রকাশন-somokalin prokashon
  • অল্প আমলে অধিক সাওয়াব পেতে কে না চায়! আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে কার না ইচ্ছে করে! অথচ অধিকাংশ মুসলিমই জানে না, কীভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে আমল করতে হয়; কোন সময় কোন আমলগুলো করলে সারারাত ঘুমিয়েও পাওয়া যায় তাহাজ্জুদের সাওয়াব, হজে না গিয়েও মিলে পূর্ণ হজের নেকি, শহিদ না হয়েও লাভ করা যায়শাহাদাতের মর্যাদা।

    আল্লাহ তাআলা ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনসব সুযোগের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যাতে আমরাসীমিত সময়ে এবং কম পরিশ্রমে নিজেদের আমলনামায় যুক্ত করতে পারি পাহাড়সমান সাওয়াব; পাপের সাগরে যা হবে আমাদের নাজাতের তরি। হাশরের ময়দানে সাওয়াবে ভরপুর আমলনামা দেখে নিজেরাই হয়ে যাববিস্মিত।

    এজন্য জীবনকে আমলেরমাধ্যমে পরিপূর্ণ করে তুলতে এবং আল্লাহর আরও বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হতে আমাদের এবারের আয়োজন—‘আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল’।

455 700-35%
প্রোপাগান্ডা
Sondipon Prokashon Ltd. - সন্দীপন প্রকাশন লিমিটেড
  • আগেকার যুগে রাজারা ঘোড়া হাঁকিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, যুদ্ধ করে, রক্তপাত ঘটিয়ে রাজ্য দখল করত। তবে সেটা ছিল কেবল ভূমির দখল। বিজিত রাজ্যের মানুষের হৃদয়ের দখল এভাবে পাওয়া যেত না। ভয়ের শাসনে তারা অসহায় আত্মসমর্পণ করত কেবল।

    সময় বদলেছে। বদলেছে যুদ্ধের ধারণা। বদলে গেছে বিজিত বস্তুও। ভূমির বদলে এখন দখল হয় মানুষের মন-মগজ। কেননা, ভূমির চেয়ে মগজের দখল শতগুণ বেশি কার্যকরী ও স্থায়ী। কোনো রক্তপাত নেই; অস্ত্র কিংবা সৈন্যবাহিনী কিছুরই প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু কিছু সাজানো-গোছানো ও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তথ্যের সমাহার। আর তা প্রচারের মোক্ষম মাধ্যম তথা মিডিয়া। ব্যস, কেল্লাফতে।

    মিডিয়াসন্ত্রাসের এই যুগে তথ্যই অস্ত্র। আর এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপই এককথায় ‘প্রোপাগান্ডা’ নামে পরিচিত। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্য নামক অস্ত্র ব্যবহার করে যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়, তারই ‘কী-কেন-কীভাবে’-র উত্তর খোঁজা হয়েছে এ বইতে।

315 450-30%
পৃথিবীর পথে পথে
রেহনুমা বিনত আনিস
  • ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিস্তৃত হয়, নিজের অসহায়ত্বের অনুভূতি এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে; বিশ্বাসে অবিচলতা আসে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার মানুষের সাথে মেলামেশার ফলে মানুষের মানসিকতার পরিধি বিস্তৃত হয়, এবং মানুষ জাতীয়তাবাদের ক্ষুদ্রতা থেকে উত্তরণ করে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয়।

    যেখানে সৎ উপার্জনের সংস্থান সম্ভব না হয়, পরিবারকে সৎ পথে পরিচালনা করা সম্ভব না হয়, নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, অথবা অন্যায়-অত্যাচার-উৎপীড়ন সহ্য করা অপরিহার্য হয়ে যায়, সেখানে প্রয়োজন হলে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। কারণ, ‘সবাই ঘুস খেত বলে আমিও খেতাম; সংসার চালাতে পারতাম না বলে ঘুস খেতাম; পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে ঘুস খেতাম’—এমন বাহানাগুলো আল্লাহর সামনে গ্রহণযোগ্য হবে না।

    অসহায়ত্বের শিকার হয়েই হোক, বা শিক্ষাগ্রহণের মানসেই হোক, দেশত্যাগী এই মানুষগুলো সাধারণত দেশকে বড়ই ভালোবাসে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এসব মানুষের নানারকম সুখ-দুঃখের কাহিনি নিয়ে আমার এবারের উপস্থাপনা “পৃথিবীর পথে পথে”। জীবনের এই জীবন্ত সব ঘটনাগুলোকে আমি চেষ্টা করেছি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে এবং সহজভাবে তুলে ধরতে। ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। আপনাদের ভালো লাগাই আমার শ্রমের সার্থকতা নির্দেশ করে।

285 380-25%
মিশন ইসলাম (প্রত্যকে কাচা-পাকা ঘরে)
ডা. শামসুল আরেফীন
  • আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন।ইনশাআল্লাহ, এই শতাব্দী হবে মুসলিমদের বিজয়ের শতাব্দী।জুলুমের যাঁতা কলেপিষ্ট পৃথিবী দেখবে ইনসাফ ও আদলের স্নিগ্ধ, সোনালি সৌন্দর্য।

    তবে বিজয়েরপূর্বে বিজয়েরমঞ্চ প্রস্তুত করার কাজটা করতে হবে এই আমাদেরকেই।ইসলামের বিজয়ের জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরা কী করতে পারি এবং কী ভাবে করতে পারি—তারই এক নির্মোহ আলোচনা এই ‘মিশনইসলাম’ বইখানা।মুসলিম যুবকদের মাঝে ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখার যেইসুপ্তইচ্ছা রয়েছে, সেটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রাথমিক গাইডবুক হিসেবে কাজ করবে এই বইটি, ইনশাআল্লাহ।

    অতএব আসুন, সকলে মিলে নেমে পড়িমিশন ইসলামে।আর জমিনে আমাদের পদচিহ্ন রেখে যাই!

185 265-31%
কুরআন মাজীদ মূলপাঠ, সরল অনুবাদ, পার্শ্বটীকা
জিয়াউর রহমান মুন্সী
  • অনূদিত এই মুসহাফটির বৈশিষ্ট্য


    লাখো লাখো বিষয় আর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছে কুরআন। তবে কুরআন আমাদের জীবনের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো একটির-পর-একটি আলোচনা করেনি। বরং জীবনের সকল প্রয়োজনের কথা আল্লাহ ছড়িয়ে রেখেছেন পুরো কুরআন জুড়ে। জীবনের পাথেয় গুছিয়ে নিতে আমরা যখন কুরআনের অনুবাদ পড়তে যাই, তখন কখনো কখনো এমন হয় যে, আমরা ঠিক বুঝেই উঠতে পারি না—কুরআন কোন প্রসঙ্গে আমার সাথে কথা বলছে? কোন প্রেক্ষাপটে আলোচনা করছে? ‘সে’ আর ‘তুমি’ সম্বোধন দ্বারা কুরআন কাকে বোঝাচ্ছে? আবার এমনও হয়—কিছু আয়াত পরপর প্রসঙ্গ পরিবর্তন হওয়ায় আলোচনার ধারাবাহিকতা বুঝতে আমরা হিমশিম খেয়ে যাই। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগে সাহাবায়ে কেরামের জন্য কুরআন হৃদয়ঙ্গম করা ছিল খুবই সহজ। কারণ তাঁদের সামনেই উপস্থিত ছিল এ-সকল প্রসঙ্গ আর প্রেক্ষাপট। তাই তাঁরা কুরআনকে করে নিতে পেরেছিলেন অনেক আপন। বিপরীতদিকে কুরআনের সাথে আমাদের সম্পর্ক আজ অনেকটাই ফিকে। কারণ কুরআনে-বলা প্রসঙ্গগুলো আমাদের কাছে খানিকটা অস্পষ্ট। কুরআনের সাথে আমাদের সম্পর্ক জীবন্ত করার সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে এই অনুবাদে যুক্ত করা হয়েছে চমৎকার কিছু বৈশিষ্ট্য। 


    • কোন আয়াত কোন প্রসঙ্গে কথা বলছে, সেই প্রেক্ষাপট বা প্রসঙ্গগুলো তুলে আনা হয়েছে কুরআন-নাযিলের-কাছাকাছি-সময়কার তাফসীর-গ্রন্থগুলো থেকে, আর তা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলা অনুবাদের পাশেই। আবার যে আয়াতগুলো মিলে একটি বিষয়ের ভাব প্রকাশ করছে সেগুলোকে আমরা একসাথে রেখেছি, যাতে করে প্রসঙ্গ পরিবর্তনের মোড় আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 

    • আয়াতের শিক্ষা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো অনুবাদের পাশেই উল্লেখ করার কারণে কুরআন অনুধাবন করা অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। এ ছাড়া পার্শ্বটীকায় আরও দেওয়া হয়েছে ওই সূরার মেজর থিম বা মূল আলোচ্য বিষয়গুলো, যা এক-নজরে পড়ে নিলে সূরার ব্যাপারে সার্বিক ধারণা পাওয়া যাবে, সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য মূল পার্শ্বটীকাগুলোকে রঙিন কালিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    • সাবলীল ও সরল অনুবাদের কারণে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়তেও আপনার ক্লান্তি অনুভব হবে না, ইন শা আল্লাহ। বরং আপনি উদ্‌গ্রীব থাকবেন পরের আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাকে কী বলছেন তা জেনে নিতে! এই অনুবাদটি সাবলীল ও যথার্থ রাখার প্রয়াসে অনুবাদক মহোদয় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে। এক্ষেত্রে তিনি সাহায্য নিয়েছেন প্রাচীনতম সব তাফসীর, প্রামাণ্য অভিধান ও মাআনি-গ্রন্থগুলোর।

    • কেবল মাক্কী বা মাদানী না বলে, বরং প্রতিটি সূরার পাশে নাযিলের আনুমানিক সময়কাল ও বিশেষ ঘটনা থাকলে তা উল্লেখ করা হয়েছে; যাতে কুরআন অধ্যয়নকালে সেই সময়ের চিত্রটা কল্পনায় ভেসে ওঠে। 

    • আয়াতের আরবি মূলপাঠে উপমহাদেশে প্রচলিত সহজবোধ্য ও স্পষ্ট হরকত-সমৃদ্ধ এক নতুন ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখতে ঝরঝরে ও পড়তে আরামদায়ক। 

    • হাফেজদের জন্যও রয়েছে বাড়তি সুবিধা : উপমহাদেশে প্রচলিত হিফযুল কুরআনের পৃষ্ঠা-বিন্যাসই এ-অনুবাদে রাখা হয়েছে, যেন হাফেজদের স্মৃতিপটে থাকা পৃষ্ঠা বিন্যাসের সাথে তা মিলে যায়, এতে করে হাফেজগণ তিলাওয়াতের সাথে সাথে অনুবাদও পড়ে নিতে পারবেন খুব সহজে। 

    • ‘মিলিয়ে পড়ুন’—শীর্ষক অংশটি আপনাকে তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআনের ফায়দা দেবে। এ ছাড়াও নাযিলের সম্ভাব্য সময়কাল, শিক্ষা, প্রেক্ষাপট, পার্শ্বটীকা, পাদটীকা—এ-সকল ফিচার মুখতাসার বা সংক্ষিপ্ত তাফসীরের প্রয়োজনও মেটাবে, ইন শা আল্লাহ। 

944 1180-20%
বাতাসে ভাসছে আত্মা পোড়ার গন্ধ
শরীফ মুহাম্মদ
  • ‘বাতাসে ভাসছে আত্মা পোড়ার গন্ধ’

    বিচিত্র স্বাদের একগুচ্ছ কলাম।

    নিউজ পোর্টাল ইসলাম টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম; যার কলামে লেখা হয়েছে দেশ-বিদেশ, সমাজ ও রাজনীতির পর্যবেক্ষণ কথকতা।

    বইটি মূলত লেখকের ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন কলামের একটি সযত্ন বাছাই দেশ-বিদেশ, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ এ কলামগুলোতে ফুটে উঠেছে। নানামুখী বিশ্লেষণ, রম্য আলোকপাত এবং ঘটনার কাটাছেঁড়া করা হয়েছে।

    ফিলহাল-এর গদ্য যারা পড়েছেন, সাম্প্রতিকতা নিয়ে লেখকের গদ্যের স্বাদ ও ধারের সঙ্গে তাদের এখানেও দেখা হয়ে যাবে। এ বইয়ের গদ্যে উঠে এসেছে উনিশ-কুড়ি ও একুশের ইস্যু-প্রসঙ্গ; সে সময় এবং একই সঙ্গে ভবিষ্যতের অনেক বার্তা। সাহিত্য, পর্যবেক্ষণ ও বোঝাপড়ার একটি উড়ন্ত সফর।

180 360-50%
মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে ১-৪ খণ্ড
ড. রাগিব সারজানি
  • ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন।

    গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।

1377 1450-6%
দুআ কবুলের গল্পগুলো
রাজিব হাসান
  • দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।

    সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।

    আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।

    আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]

    আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।

    সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্‌ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।

    শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।

    আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্‌ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”

196 280-30%
শাস্তি ও বিপর্যয় : কেন আসে? প্রতিকার কী?
ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া রাহ.

  • আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর শত-সহস্র বছর আগেই পৃথিবীকে সাজিয়েছেন প্রাকৃতিক সম্পদে। আগুন, পানি, বাতাস, মাটি- এ মূল চার উপাদানে সৃজন করলেন প্রকৃতি। পাহাড়, সাগর, নদী-নালা, খাল-বিল, গাছপালা, উদ্ভিদ ও তৃণলতা, ফলমূল, বৃক্ষ-তরু; পশু পাখি, জীব, জড় প্রাণী- এসব দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ করে সাজালেন এই জগৎ ও সংসার।
    সৃষ্টি ও সৃষ্টজগতের শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা ও সামাজিক সাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। এ জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত প্রকৃতি ও সুশৃঙ্খল সামাজিক পরিবেশ। জলবায়ু ও আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন মানবসভ্যতার জন্য এক অশনিসংকেত। বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া এবং ওজনস্তরের ফুটো বা ফাটল সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, (অর্থ) জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল।-সুরা রুম : ৪১।
    এমতাবস্থায় এমন আজাব ও গজব তথা সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে, যা থেকে কেউ রক্ষা পাবে না এবং সে প্রকৃতির রোষ থেকে নিরপরাধ লোকেরাও রেহাই পাবে না। এ প্রকার সামাজিক ও জাতীয় দুর্যোগের কারণ হলো, ‘আমর বিল মারুফ’ তথা সৎকাজের আদেশ ও ‘নাহি আনিল মুনকার’ অর্থাৎ অসৎকাজের নিষেধ করা ছেড়ে দেওয়া। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো বিশ্বাস, সৎকর্ম, সদুপদেশ ও ধৈর্য। মানুষের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য অন্য যে গুণটি বিশেষ প্রয়োজন, তা হলো, দায়িত্বশীল হওয়া। সৎকর্ম ও কর্তব্যপরায়ণতা ব্যতীত শুধু ইমান মানুষকে অনিষ্ট, অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে সম্পূর্ণ রক্ষা করতে পারে না। অন্য যেসব বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি পারস্পরিক, যা সামগ্রিক ক্ষতি, অমঙ্গল ও অকল্যাণ থেকে বাঁচার জন্য একান্ত জরুরি তা হচ্ছে সৎকর্ম, সদুপদেশ ও ধৈর্য তথা সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা।
    সম্মানিত লেখক এই গ্রন্থে আল্লাহর শাস্তি ও বিপর্যয় হতে বেঁচে থাকা বিষয়ে কুরআনের আয়াত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িগণের মূল্যবান বক্তব্য অত্যন্ত চমৎকার ও অভিনব পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেছেন।
270
ইসলামি জীবনব্যবস্থার মূলনীতি
সাইয়েদ কুতুব শহীদ
  • এটি দর্শন, ধর্মতত্ত্ব কিংবা মেটাফিযিক্সের কোনো বই নয়। এই বই বাস্তবতা নিয়ে। বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধান নিয়ে।

    দর্শন আর মিথ্যা দ্বীনের ভ্রান্ত ধ্যানধারণার স্তূপের নিচে মানবজাতি যখন হাহাকার করছিল, বিভ্রান্তের মতো মানুষ যখন ছুটে মরছিল মানবীয় জল্পনাকল্পনা আর অনুমানের গোলকধাঁধায়, তখন ইসলাম এসেছিল মানুষকে সেই আবর্জনার স্তূপ থেকে মুক্ত করতে। মানবজাতিকে ইসলাম উপহার দিয়েছিল এক নতুন জীবন, আল্লাহর নির্ধারিত এক নতুন ব্যবস্থা। কিন্তু আজ আলো ছেড়ে মানুষ আবারও সেই আবর্জনার স্তূপ আর গোলকধাঁধায় ফিরে গেছে। উম্মাহ আজ নিজের নেতৃত্বের দায়িত্ব ত্যাগ করেছে। তারা আজ ওই সব জাতির অনুকরণে ব্যস্ত, যারা নিজেরাই বিভ্রান্ত, আকণ্ঠ আবর্জনায় নিমজ্জিত।

    লাইব্রেরিগুলোতে ‘ইসলামি চিন্তা’ আর ‘ইসলামি দর্শনের’ শিরোনামে শত শত বই আছে। সেই লম্বা তালিকায় আরেকটি বই যুক্ত করার ইচ্ছে আমাদের নেই। আমরা চাই জ্ঞানকে শক্তিতে পরিণত করতে। এমন শক্তি যা মানুষকে উদ্‌বুদ্ধ করবে পৃথিবীতে তার উদ্দেশ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করতে। আমরা মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে-পড়া বিবেককে জাগাতে চাই, যেন সে ওহির আলোতে নিজ সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারে।

    এই বইটি ইসলামি ওয়ার্ল্ডভিউ এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রচেষ্টা। যাতে এ ওয়ার্ল্ডভিউ-এর আলোকে আমরা বুঝতে পারি  মহান আল্লাহ আমাদের জন্য কেমন জীবন চান। একই সাথে ইসলামের এই সামগ্রিক ব্যাখ্যা থেকে চিন্তা, জ্ঞান ও সভ্যতাসহ—সব মানবীয় উদ্যোগের ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও যেন আমরা পাই। ইসলামি ব্যবস্থা ও সভ্যতার মূল ভিত্তি হতে হবে সঠিক ইসলামি চিন্তাধারা। মন ও মস্তিষ্ক, উম্মাহ এবং মানবজাতি—সব ক্ষেত্রে এবং সবার জন্যই এই চিন্তাধারা প্রয়োজন।

266 380-30%
আমি
হুমায়ূন আহমেদ
500
বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
  • নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।

    বইটি কাদের জন্য?

    এই বই তাদের জন্য যারা আমার কাছে ‘সাজিদ হতে চাই’ বলে বিভিন্ন সময়ে আবদার করেন। পরামর্শের আবদার, পথনির্দেশের আবদার। সাজিদ হতে হলে, আমি মনে করি, সবার আগে একটা অন্ধকার বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সাজিদ যেভাবে অন্ধকারের কৃষ্ণগহ্বর ছেড়ে, আলোর ফোয়ারাতে তার জীবন রাঙিয়েছে, সেরকম ঝলমলে আলোর মাঝে নিজেকে মেলে ধরাই ‘সাজিদ’ হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত। কেবল ভারি ভারি বই আর যুক্তির পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার মধ্যেই ‘সাজিদ’ হয়ে উঠার সার্থকতা নেই। সাজিদ হয়ে উঠার সার্থকতা তখনই যখন সাজিদ যে আদর্শের আলো প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে দিতে চায়, তা আমরা জীবনে মেখে নিতে পারবো।

287
শেষ
জুনায়েদ ইভান
350
সন্তান : স্বপ্নের পরিচর্যা
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
  • একটি সন্তানকে শুধু খাইয়ে-পরিয়ে বড় করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু মানব-সন্তানের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট নয়। একটি শিশুকে আদর-যত্ন-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করতে হয়। সমাজে তার স্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হয়। সাফল্য লাভের উপায়গুলো শিখিয়ে দিতে হয়। তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে তাকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হয়। প্রতিটি শিশুকেই এ বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন; তবে মুসলিম শিশুদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা আরও অনেক বেশি, অনেক…। আমাদের এ বইটি আমাদের সন্তান প্রতিপালন ও পরিচর্যা নিয়ে। লিখেছেন মির্জা ইয়াওয়ার বেগ। দুনিয়াকে তিনি ব্যবসায়ীর নির্মোহ চোখে দেখেছেন, ধর্মের নির্ভুল দণ্ডে ব্যবচ্ছেদ করেছেন। অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, উপদেশ দিয়েছেন। কখনও কঠিনভাবে; কখনও কোমলভাবে। উভয়টাই আমাদের কল্যাণের জন্য—সেই জীবন ও এই জীবনের।

119 125-5%
বিয়ের আগে : ফ্যান্টাসি নয়, হোক বাস্তব প্রস্তুতি
মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান
  • স্পিডব্রেকারের কাজ কি মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছতে বাধা দেয়া? কক্ষনো না। স্পিডব্রেকার তো মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। বাধনহারা গতি যেন বিপদ ডেকে না আনে সে জন্য। সুস্থভাবে যেন স্বজনের কাছে সবাই ফিরতে পারে সে জন্য। ‘বিয়ের আগে’ বইটাও তেমনই এক স্পিডব্রেকার। এর উদ্দেশ্য কখনোই বিয়েকে বাধাগ্রস্ত করা, বিয়েকে নিরুৎসাহিত করা নয়।

    ‘বিয়ের আগে’ বইটির উদ্দেশ্য, বুঝেশুঝে বিয়েতে উৎসাহিত করা। পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে বিয়ে করতে বলা। সঠিকভাবে সঠিক মানুষকে বিয়ে করতে বলা। কারণ? কারণ, আমরা অসংখ্য অপরিণামদর্শী বিয়ে দেখেছি। কত দ্রুত ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে সেসব বাঁধন, যা সৃষ্টি হয়েছিল ফ্যান্টাসির ওপর ভর করে।

    আর তেমনটা না হোক। বিয়েকে কেউ খেলা না ভাবুক। তরুণ-তরুণীরা বিয়ের আগেই বিয়ের বাস্তবতাগুলো বুঝে নিক, প্রস্তুত হোক, বিয়ে করুক। অতঃপর সুখে-শান্তিতে দুনিয়া-আখিরাতে একত্রে বসবাস করুক। আল্লাহুম্মা আমীন।

103 147-30%
বিহাইন্ড দ্যা ইসলামোফোবিয়া
হাবিবুর রহমান রাকিব

  • ইসলাম একটি আদর্শিক জীবনব্যবস্থা। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় ইসলামের ভূমিকা অত্যুজ্জ্বল। ইসলাম তার আবেদন নিয়ে পৃথিবীর সমগ্র মানচিত্রে ছড়িয়ে দিয়েছে এক অনুপম প্রাণশক্তি। ইসলামের মহান আদর্শই ইসলামবিদ্বেষীদের প্রতিহিংসার কারণ। বিশ্বব্যাপী তাদের অনুদার ও সংকীর্ণ প্রচারণায় ইসলামকে প্রতিনিয়ত দানবীয় রূপে হাজির করা হচ্ছে। প্রোপাগাণ্ডার মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ইসলামোফোবিয়া’ তত্ত্ব। ফলশ্রুতিতে আধুনিক বিশ্বের অনেকের কাছেই ইসলাম একটি ভীতিকর শব্দ, তাদের কাছে ইসলাম ধর্মের অনুসারী মানেই সন্ত্রাসী-উগ্রপন্থী।


    ইসলামবিদ্বেষী এ মহামারীতত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ছে পশ্চিম থেকে প্রাচ্যে; এমনকি বাংলাদেশেও এ তত্ত্বের আমদানি করা হচ্ছে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে। ‘বিহাইন্ড দ্যা ইসলামোফোবিয়া’ বাংলাভাষায় এবিষয়ে সর্বপ্রথম প্রচেষ্টা। বইটিতে দেশ-বিদেশের গবেষকদের অনুসন্ধানী কলমে উঠে এসেছে পাশ্চাত্যে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে অনৈতিক প্রচারণার স্বরূপ। বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে বয়ান করা হয়েছে—কেন পাশ্চাত্য জগতে ইসলাম ও আরববিশ্বকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেমনটা তারা নয়! কেন ইসলামকে অতিরঞ্জিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে দানবীয় ও সন্ত্রাসী ধর্মে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়! কীভাবে রাজনৈতিক প্রয়োজনকে বৈধতা দিতে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়।


    সংকলনটির গুরুত্ব বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অমুসলিমদের লেখাও এখানে স্থান পেয়েছে। বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা সামনে রেখে প্রতিটি লেখা সাজানো হয়েছে। বইটিতে যাদের লেখা স্থান পেয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য – নোম চমস্কি, এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদ, ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. হাতেম বাজিয়ান, ড্যানিয়েল হাকিকাতজু, দীপা কুমার, হাবিবুর রহমান রাকিব, রকিব মুহাম্মদ প্রমুখ। 


    বইটি পাঠ করে গভীর মননশীল ব্যক্তিমাত্র উপলব্ধি করতে পারবেন, ইসলামের অনুপম বিষয়াবলি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা পশ্চিমের দ্বিমুখী বক্তব্য, নেতিবাচক ও অবজ্ঞাসূচক দৃষ্টিভঙ্গি। অথচ এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে ইসলামের শক্তিশালী অবস্থান ও মানবিক মূল্যবোধ—যার ওপর কখনো পশ্চিমা পণ্ডিতদের চোখ পড়ে না। এ সময়ের নানা রাজনৈতিক ও সামরিক মেরুকরণ, নাইন-ইলেভেনউত্তর পাল্টে যাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতি ও পশ্চিমি করপোরেট রাজনীতি ও তথাকথিত মানবতার স্বরূপ সম্পর্কেও জানা যাবে।


300
বিশ্বসেরা প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব
মাহমুদুল হাসান
  • মুসলিম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে জরিপ বিষয়ে আগ্রহ নিশ্চয় সকলেরই আছে। ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি জরিপ পরিচালনা করে থাকে। The world 500 most influential Muslims জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত RISSC দ্বারা পরিচালিত একটি আয়োজন।তারাই এই জরিপটি করে থাকেন।
    বিশ্বে মুসলিম উম্মাহর অবস্থান গোটা মানবজাতির এক চতুর্থাংশের বেশি। পুরো পৃথিবীতে ১.৯ বিলিয়ন মুসলমানের বসবাস। যারা বিভিন্ন দেশের বৈধ নাগরিক। সাংস্কৃতিক, আদর্শিক, আর্থিক, রাজনৈতিক বা যেকোন সেক্টরে মুসলিম বিশ্বে অবদান ও উল্লেখযোগ্য প্রভাবের কারণে বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের নাম উঠে এসেছে বইয়ের পাতায় পাতায়।
    জ্ঞান-গরিমা, পারিবারিক আভিজাত্য, রাজনৈতিক প্রতিপত্তি কিংবা আধিপত্যের বিচারেও বিশেষ স্থান দখল করে নেওয়া সেসব ব্যক্তিত্ব আমাদের জীবনের সেলিব্রেটি। ধাপে ধাপে নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি ও প্রণয়নের বিভিন্ন কার্যপদ্ধতি রয়েছে। তারা সর্বমোট ১৩টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তির প্রভাব নির্বাচন করে থাকেনঃ
    ১. পান্ডিত্য ২. রাজনৈতিক ৩. প্রশাসনিক ৪. ধর্ম প্রচার এবং আধ্যাত্মিক গাইড ৫. মানবপ্রীতি, দাতব্য ও উন্নয়ন ৬. সামাজিক ৭. ব্যবসায়িক ৮. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৯. শিল্প ও সংস্কৃতি ১০. কুরআন তিলাওয়াত ১১. মিডিয়া ১২. সেলিব্রিটি এবং ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ১৩. উগ্রবাদ ও চরমপন্থা
    এই বইটি দ্বাদশ বার্ষিক সংখ্যার মূল অংশের ছায়া অনুবাদ।
800
ভালোবাসার রামাদান
ড. আয়েয আল-কারনী
  • ভাষান্তর : আবুল হাসানাত, জুবায়ের নাজাত, আব্দুল বারী।
    সম্পাদনা : আকরাম হোসাইন।

    রামাদান এতই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস যে, এই মাসে জান্নাতের সবগুলো দরজা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং জাহান্নামের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই মাসেই রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের প্রতিটি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দুআ কবুল হয় এবং অগণিত বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। অথচ কত-ই না দুর্ভাগা আমরা যে, উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে আমাদের অনেকেই মূল্যবান এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি না। ফলে আমরা ব্যর্থ হই রামাদানের অমূল্য-সব নিয়ামতপ্রাপ্তি থেকে।
    .
    মূল্যবান এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই সমকালীন প্রকাশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

125 250-50%
হাদীস বোঝার মূলনীতি
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স
  • জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ–প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায় তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে।
    আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদীসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
    হাদীস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়।
    হাদীসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদীস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।
    এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।

269 395-32%
ওপারে
রেহনুমা বিনতে আনিস
140 200-30%
নির্মল জীবন
ইমরান রাইহান
  • একটি আত্মপরিচর্যামূলক সংকলন। আত্মার পরিচর্যা করতে গিয়ে যেসব প্রশ্ন, অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসার উখোমুখি হয় মানুষ, সেসবের জবাব খোঁজা হয়েছে এতে। সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে নয়; বরং নিজের কিছু স্মৃতি, পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চেয়েছেন লেখক। প্রতিটি আলোচনার সাথে যুক্ত হয়েছে প্রাসঙ্গিক আয়াত, হাদিস, সালাফের বক্তব্য ও ইতিহাসের ঘটনাবলি। পাঠক খুঁজে পাবেন জীবনকে নিষ্কলুষ ও নির্মল করে গড়ে তোলার কিছু জরুরি উপাদান।

203 350-42%
শেষ
জুনায়েদ ইভান
350
একলা মানুষ কবরী
মতিউর রহমান
  • ’‘মানুষের জীবনে অনেকগুলো দরজা থাকে। তার মধ্যে মৃত্যু হলো শেষ দরজা। মৃত্যুর কথা মনে হলে আমার চোখ জলে ভরে যায়।


99 120-18%
তাকওয়া মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন
শাইখ ড. উমর সুলায়মান আল আশকার

  • তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ, বেঁচে থাকা, দূরে থাকা, পরহেজ করা, নিজেকে বাঁচানো ইত্যাদি। পরিভাষায় এটি আল্লাহকে ভয় করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আল্লাহর শাস্তি ও তাঁর আজাবের ভয়ে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার নামই হল তাকওয়া। জাহান্নামের আজাবের ভয়ে গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকা।
    ইমাম রাগেব ইসফাহানি বলেন, ‘তাকওয়া বলা হয় নফসকে সেসব জিনিস থেকে বাঁচানো যেগুলোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করা হয়। তাকওয়ার এই অর্থই সঠিক ও যথার্থ।

    মুত্তাকি মানে হলো পরহেজগার ব্যক্তি; যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন। তাকওয়ার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যথা:
    ১। সাধারণ তাকওয়া। যেমন, কুফর থেকে বেঁচে থাকা।
    ২। বিশেষ তাকওয়া। যেমন, সন্দেহ-সংশয়মূলক জিনিস বা বিষয় থেকে হারাম হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেঁচে থাকা।
    ৩। সর্বোচ্চ পর্যায়ের তাকওয়া। যেমন, মুবাহ এবং সন্দেহমূলক জিনিস থেকে বেঁচে থাকা।

    আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের আদেশ তাকওয়া অবলম্বন করো—

    মহান আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে তাকওয়া অবলম্বন করার আদেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন— ‘তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তাদেরকে আদেশ করেছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।’ (সুরা নিসা: ১৩১)

    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘সুতরাং সে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।’ (সূরা বাকারা: ২৪)

    অন্য জায়গায় আরো বলেন, ‘আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারো সামান্য উপকারে আসবে না।’ (সূরা বাকারা: ৪৮)

    এক হাদীসে এসেছে, হযরত আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের বদৌলতে বেশিরভাগ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেনঃ তাক্বওয়া ও সচ্চরিত্রের বদৌলতে। তাকে আরও জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্‌ জিনিসের কারণে অধিকাংশ লোক জাহান্নামে যাবে? তিনি বলেনঃ দু’টি অংগ- মুখ ও লজ্জাস্থান। [৩৫৭৮]
    (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৪৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

           তাকওয়ার স্থান হল হৃদয়। নীরবে নিভৃতে, একাকী সর্বদা অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকার নামই হল তাকওয়া। প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে বান্দার নিয়ত খালেস হওয়া শর্ত। যদি বান্দার নিয়ত থাকে প্রসিদ্ধি অর্জন এবং লোক দেখানো তাহলে তাকওয়া সামান্যও অর্জিত হবে না। তাকওয়া অবলম্বন করা ব্যতীত প্রকৃত মুমিন হওয়া অসম্ভব। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে আবশ্যিকভাবে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তা জানেন যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে।’
    (সূরা মায়িদা: ৭)

    তাকওয়া তথা খোদাভীতির ফায়দা ও উপকারিতা এবং আবশ্যকীয়তা সহ মুত্তাকিদের ঘটনা এবং তাদের উত্তম পরিসমাপ্তির ব্যাপারে জানতে হলে পড়ুন ‘তাকওয়া: মুমিনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন’ ।


320
বন আইন
বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া
250
সবুজ চাঁদে নীল জোছনা
আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব
  • কবিতা হৃদয়-তরঙ্গের বাহ্যিক প্রতিফলন। কবিতার রয়েছে অসাধারন এক শক্তি, যা দিয়ে সে কবিতাপ্রেমীদের মুগ্ধতার সাগরে সাঁতার কাটিয়ে নেয়। সাধারণ কথায় যা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে না, ছন্দবদ্ধ  কথায় তা মানুষের হৃদয়কে জয় করে ফেলতে পাারে।  

    এমনই কিছু হৃদয়স্পর্শী কাব্যকে মলাটবদ্ধ করা হয়েছে ‘সবুজ চাঁদের নীল জোছনা’-তে। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহে আলোড়িত হয়েছে বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। অঙ্কিত হয়েছে পবিত্র ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। ধ্বনিত হয়েছে মহা সত্যের জয়গান; যা পাঠকের মাসনপটে পরিতৃপ্তির আল্পনা এঁকে দেবে ইনশাল্লাহ।

100
মুমিনের পাথেয় (কিতাবুয যুহদের অনুবাদ) (দুই খণ্ড)
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (
  • ধরুন আপনি ওয়েটিং রুমে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। কোনো কারণে ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে। বসে থাকতে থাকতে আপনি দেখতে পেলেন, ওয়েটিং রুমটা বেশ জরাজীর্ণ। মাকড়সা জাল বিস্তার করে রেখেছে চতুর্দিকে। জানালাগুলোও ভাঙা। এই দৃশ্য দেখে আপনি শ্রমিক খবর দিলেন। শ্রমিকদের দিয়ে ওয়েটিং রুমটা মেরামত করানোর কাজে লেগে গেলেন। কিন্তু এসব করতে করতে গন্তব্যে যাওয়ার একমাত্র ট্রেনটা মিস করলেন আপনি।

    বলুন তো, এটা কি কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে? এবার একটু চোখটা বন্ধ করুন। ভাবুন। এই দুনিয়াটা কি ওয়েটিং রুমের মতো নয়? আমরা তো এখানে এসেছি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে। মৃতুর ট্রেন ধরে আমরা চলে যাব পরপারে। ওখানে গিয়েই যাত্রাবিরতি দেব। এরপর পৌঁছে যাব পরম সুখের মঞ্জিলে। তবে কীসের আশায় এই দুনিয়ার পেছনে লেগে গেলাম? কেন দুনিয়াবি চাকচিক্যের মোহে পড়ে মঞ্জিলের কথা ভুলে গেলাম? কেন পরপারের পাথেয় অর্জন না করে দুনিয়ার পেছনে দিবানিশি ছুটে চললাম? এখনও কি বোঝার সময় হয়নি? পাথেয় সংগ্রহ করার দিকে মনোযোগ দেবার সময় কি এখনও হয়নি?

    প্রিয় ভাই, প্রিয় বোন। আসুন, মঞ্জিলে পৌঁছোবার প্রস্তুতি নিই। নিশ্বাস ফুরোবার আগেই সফরের পাথেয় জোগাড় করি। আপনার সফরের পাথেয় অর্জনে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্যে মাকতাবাতুল বায়ান নিয়ে আসছে “মুমিনের পাথেয়”। আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পূর্বে ইমাম ইবনুল মুবারাক রহিমাহুল্লাহ রচিত এই মহামূল্যবান কিতাবটি হতে পারে আপনার জন্যে সর্বোত্তম সহায়ক। সবকিছু একদিন মিলিয়ে যাবে। মিটে যাব সূর্যের আলো, রঙধনুর সাত রঙ, নীল আকাশ। মিলিয়ে যাবে স্তরে স্তরে সাজানো সপ্তাকাশ। একদিন সবকিছু তুলোর মতো ওড়ে যাবে। পাহাড়গুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। জমিন তার সবকিছু বের করে দেবে।

    মুসলিম পরিবারে জন্ম-নেওয়া প্রতিটি ব্যক্তিই বোধহয় এই কথাগুলো জানে। কারণ, মুসলিমমাত্রই পরকালকে বিশ্বাস করে। দুনিয়া যে চিরস্থায়ী কোনো আবাস সেটাও বিশ্বাস করে। পাশাপাশি এটাও বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন এক জীবনের সূচনা হবে। আর ওই জীবনটাই চিরস্থায়ী। যেটার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। ওটাই আমাদের গন্তব্য। ওখানে পৌঁছানোর জন্যেই দুনিয়ায় এসেছি আমরা। সেই চিরস্থায়ী জীবনের মুক্তি পাওয়ার জন্যে, জান্নাতের অনাবিল প্রশান্তির মধ্যে একটুকু ঠাঁই পাওয়ার জন্যে আমরা কি পাথেয় সংগ্রহ করব না? আমাদের সামনে তো বিশাল সফর। দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তির পর শুরু হবে সেইটা। তো, সেই জীবনের জন্যে কিছুই নিয়ে যাব না আমরা? প্রস্তুতি নেব না সেখানকার সফর শেষ করে চিরশান্তির মঞ্জিলে পৌঁছোনোর? আজ থেকে ১৩০০ বছর পূর্বে লিখিত এই বইটি আপনাকে সেই দিকেই পথ দেখিয়ে দেবে।

533 730-27%
সন্তান গড়ার কার্যকরী কৌশল
প্রফেসর ড. আব্দুল কারিম বাক্কার
  • আদর্শ পরিবার সিরিজের ২য় বই ‘সন্তান গড়ার কার্যকরী কৌশল’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব—

    ১. শিশুকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বেশকিছু কার্যকরী ও উদ্ভাবনী কৌশলের দেখা মিলবে এখানে।

    ২. পড়াশোনায় শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি, টিভি আর ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি এবং সন্তানদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ দূর করে কীভাবে তাদেরকে সুন্দর জীবন উপহার দেবেন তা জানতে পড়ে ফেলুন এ বইটি।

    ৩. শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই চরিত্র গঠন করে। তাই সন্তানের সামনে নিজেকে আদর্শ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এ বইটি নিঃসন্দেহে অবশ্যপাঠ্য।

    ৪. সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে, তাদেরকে ভদ্রতা, শৃঙ্খলা ও নীতি-নৈতিকতা শেখাতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।

    ৫. বইটি পড়লে আরো জানা যাবে, বাবা-মায়ের কোন কথা আর কাজে শিশুদের মন ভেঙে যায় এবং হতাশায় ডুবে গিয়ে তারা বিপথে চলে যায়।

145
ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকার নির্বাচিত কবিতা : রক্ত ও অশ্রুর গাথা
ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা , সাজ্জাদ শরিফ (অনুবাদক)
  • আধুনিক সময়ের জটিলতা ও বৈপরীত্য এবং সব ছাপিয়ে তুচ্ছ ঘটনা ও অনুভূতির মধ্যেও মানুষকে তার সমগ্রতায় ছোঁয়ার ব্যগ্রতা লোরকার কবিতায় ধরা পড়েছে অনুপম ভাষায় ও অসামান্য গভীরতায়। তাঁর কবিতা এই সময়েও সমান প্রাসঙ্গিক। প্রাঞ্জল অনুবাদে, অন্তদৃ‌র্ষ্টিময় ভূমিকায় ও বিশদ তথ্যে এ বই লোরকাকে তুলে ধরেছে পূর্ণতর এক আয়োজনে। 


200 250-20%
আমলার আমলনামা
মাহবুব তালুকদার
  • ‘আমলার আমলনামা’ মাহবুব তালুকদারের সরকারি কর্মজীবনের অন্তরঙ্গ কাহিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চোধুরী তাকে বঙ্গভবনে চাকরিতে নিয়োগ করেন এবং পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বদান্যতায় তিনি ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হন ।

225 300-25%
ইমানদীপ্ত আহবান
শাইখ খলিদ আর রাশিদ

  • শাইখ খালিদ আর রাশিদ—বিগত কয়েক দশকের দাওয়াহর ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁর দরদভরা আওয়াজ, আবেগাপ্লুত অভিব্যক্তি আর ইমানদীপ্ত আহ্বান নতুন উপলব্ধির ঝড় তুলত তরুণদের হৃদয়ে। দ্বীনের পথে প্রত্যাবর্তনের এক তীব্র আহ্বান ধ্বনিত হতো তাদের অনুভবে। তাঁর ইমান জাগানিয়া ভাষণ কত আরব যুবককে আলোকিত জীবনের সন্ধান দিয়েছে, কত বিভ্রান্ত পথহারাকে আলোর দিশা দিয়েছে তার কোনো লেখাজোখা নেই। তাঁর আবেগকম্পিত কণ্ঠস্বর শ্রোতাদের মুহূর্তেই নিয়ে যেত উপলব্ধি দুনিয়ায়—নাড়া দিত হৃদয়ের মর্মমূল ধরে।

    শাইখের কালজয়ী বক্তৃতামালার অনবদ্য সংকলন—(روائع الشيخ خالد الراشد) ‘রাওয়াইউশ শাইখ খালিদ আর রাশিদ। এরই বাংলা সংস্করণ—‘ইমানদীপ্ত আহ্বান’। এতে শাইখের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ২৭ টি ভাষণ মলাটবদ্ধ হয়েছে। বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এই ভাষণগুলোতে সব শ্রেণির মুসলমানদের জন্য রয়েছে আত্মার খোরাক

218 294-26%
Animals
Shishu Shahittya Center
40
শবেবরাত
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
15
হামাস: ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের ভেতর-বাহির
আলী আহমাদ মাবরুর
  • হামাস। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এক মুক্তি আন্দোলনের নাম। হামাসের চোখ দিয়ে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা আল কুদুস মুক্তির স্বপ্ন দেখে। জাতির বেঈমান বড়ো একটা অংশ যখন জয়োনবাদীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা ও আপসকামীতায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুরন্ত সাহসে গর্জে ওঠে আমৃত্যু লড়াকু হামাস যোদ্ধারা। মজলুম জননেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের হাত ধরে জন্ম নেওয়া হামাস এখন রক্তাক্ত জনপদ ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ে আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীকে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অবস্থানে পৌঁছতে অসংখ্য শাহাদাত এবং ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হয়েছে। ইজরাইলের মতো ঘৃণ্য অপশক্তির মোকাবিলায় হামাস যে দুঃসাহসিতার পরিচয় দিচ্ছে, তা অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়।  

    ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাভাষী পাঠকবৃন্দ হামাস নিয়ে বেশ অনুসিন্ধুৎসু। বাস্তবে বাংলা ভাষায় এই বৈপ্লবিক মুক্তি আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো একাডেমিক কাজ হয়নি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত এই মুক্তি আন্দোলনকে বাংলাভাষীদের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন তরুণ লেখক ও অনুবাদক জনাব আলী আহমদ মাবরুর। অনেক পরিশ্রম করে তুলে এনেছেন হামাস সম্পর্কিত অনেক আজানা তথ্য ও ঘটনা। দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অনেক ঘটনা পড়ে পাঠকবৃজন্দ কখনো অশ্রুসিক্ত হবেন, কখনো রিক্ত হবেন, কখনো-বা শিহরণ জাগবে রক্তকণিকায়।

330
জার্নি বাই ফুড
মাহাথীর মোহাম্মদ ফাহিম
  •  বাংলাদেশের জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকম ঐতিহ্যবাহী ও সুস¦াদু খাবার। আমরা এই বইটিতে বাংলাদেশের দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন রকম ঐতিহ্যবাহী খাবার ও হোটেল সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে চেষ্টা করেছি। অনেকেই আছেন যাঁরা ঘুরতে ও খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা এই বইটির মাধ্যমে উল্লেখিত জেলাগুলোর শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা হোটেল এবং ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
    আশা করছি, ভ্রমণপিপাসু ও খাদ্যরসিক পাঠকবৃন্দের কাছে বইটি সহায়ক ভ‚মিকা রাখবে।

246 300-18%
বন আইন
বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া
300
তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমাজ ও রাজনীতি (হার্ডকভার)
ভীষ্মদেব চৌধুরী
  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের ঐ যুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল মানব-অস্তিত্বকে; নৈরাজ্য-নৈরাশ্য ক্লেদ-শঙ্কা আর মনস্তাপে পৃথিবীর বৃহদংশ মানুষ সন্ধান করেছিল বেঁচে থাকার আত্মপ্রতারণামূলক নির্বিঘ্ন বিবর। তবে অপরাংশ মানুষ নবোদিত সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের ইতিবাচক প্রভাবে সন্দীপিত হয়ে স্বপ্ন রচনা করেছিল আলোকময় ভবিষ্যতের। সমকালীন প্রতীচ্য-সাহিত্য মহাসমরোত্তর বিপন্নতার আর লিবিডো-চেতনার ছায়ান্ধকার ভুবনে সন্ধান করেছিল বন্ধ্যাযুগের জীবন-উৎস। ঐ না-অর্থক চেতনাস্রোতের বিপরীতে সমকালীন বাংলা সাহিত্যে বিকীর্ণ হয়েছিল যে স্বল্পালোক রশ্মি-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার অগ্রগণ্য প্রতিনিধি। তারাশঙ্কর যুগন্ধর; কালের দ্বৈরথকে ধারণ করেই তিনি শিল্পী। বাংলার সামন্ত ও ধনতান্ত্রিক সমাজের সন্ধিকালের রূপ-রূপান্তর এবং ব্যক্তি ও সমাজচৈতন্যের আন্তঃসম্পর্কের রহস্য উন্মোচনে তাঁর উপন্যাস মহাকাব্যিক মহিমায় সমৃদ্ধ। সমাজগতি ও সমকালের রাজনীতির রূপায়ণ দক্ষতায়, সর্বোপরি আস্তিক্যধর্ম-নির্ভর আশাবাদী জীবনার্থের পরিচর্যায় তারাশঙ্কর-সাহিত্য বাঙালির সমকালীন সমাজ-ইতিহাসের চিরায়ত শিল্পসাক্ষ্য।
    তারাশঙ্কর যেমন কালান্তরের সমাজের শিল্প-ভাষ্যকার, তেমনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিপ্রবাহেরও তুলনারহিত শিল্প-রূপকার। তাঁর সাহিত্যে সমাজ ও রাজনীতির পরস্পরিত রূপ শিল্পবিচারে কতটুকু অর্জন-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস : সমাজ ও রাজনীতি গ্রন্থে নান্দনিক-সমাজতাত্ত্বিক গভীর মূল্যায়নদৃষ্টির আলোয় তারই বিশ্লে­ষণ সম্পন্ন হয়েছে। মননচর্চায় ও মূল্যায়নধর্মী গবেষণায় গ্রন্থটি এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। 

480 600-20%
Math Q Bank
সৈয়দ খাইরুল হাসান
590
VocaBuilder
ফরহাদ হোসেন মাসুম
300
উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
নোমান আলী খান

  • আল-কুর’আনের প্রজ্ঞাময় পবিত্র জীবনব্যবস্থার সাথে তার সাহিত্য শৈলিও যে মু’জিযার অন্তর্ভুক্ত সেকথা কতোজনই বা জানে! বাংলাভাষায় আলঙ্কারিক কুর’আনের সাহিত্যশৈলির উপর কাজ নেই বললেই চলে। অথচ এর উপলব্ধি কুরআনের সাহিত্যমান, চ্যালেঞ্জ ও এর মূল্যায়ন বুঝতে বেশ জরুরী। সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রথম স্বতন্ত্রভাবে বিস্তৃত পরিসরে এর রচনা শুরু করেন তার “তাফসির ফি যিলালিল কুর’আন” এর অনন্য ভূমিকা হিসেবে স্বতন্ত্র “আল-কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য” বইতে। আমরা এখানে উপমা ও বাগধারার ক্ষেত্রে অনন্য এক মাত্রা যোগ করবো ইন শাআ আল্লাহ।


    কুর’আনে রয়েছে বর্ণনা, যুক্তি, উপমা ও বাগধারা-অভিব্যক্তিসহ উচ্চমাত্রিক সাহিত্য-অলঙ্কারের সমাবেশ। কুর’আন নাযিলের পর মুশরিকরা কেন একে পরাজিত করতে সেসময়কার সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষিত কবি-সাহিত্যিকদের পাঠাতো? তারাই বা কেন বলতো “এ কুর’আন মানুষের পক্ষে রচনা করা অসম্ভব”, অথচ এ তো তাদেরই ভাষায় নাযিলকৃত! ফলে, তখনকার কাফির-মুশরিকরা কুর’আনের অনন্যতা ও অলঙ্কার বুঝতে পেরে যেভাবে নুইয়ে পড়তো, আজ আমরা মুসলিমরাও সেই অনন্য শক্তি ও শৈলি থেকে দূরে, বিস্মৃত। অথচ এর সৌন্দর্য, শৈলি, চ্যালেঞ্জ ও মূল্যায়ন আমাদেরকে কুর’আনের অমূল্যতা বুঝতে ও এর প্রতি ভালোবাসার তীব্রতা জাগাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।


    কুর’আনের অলঙ্কারের এই উপমা-বাগধারার অভ্রভেদী বয়ান ও সেই বর্ণনায় বর্ণিত অনন্য শৈলির হেদায়াত সরলভাবে বর্ণিত হয়েছে উস্তাদ নোমান আলী খানের সংকলন গ্রন্থ “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুর’আন” বইটিতে। এসব উপমা মুমিনদের প্রাণে দেয় দৃঢ়তা আর অলঙ্কারের নিশ্ছেদ্র শক্তি অবিশ্বাসীদের অন্ধ বিশ্বাসকে করে ভঙ্গুর।


200
‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ- (৫ খণ্ড)
মুহাম্মদ শামীমুল বারী
  • আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনোও-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়া কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুন- মনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন।

    অথচ, পবিত্র কুরআনেই রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণ বৃত্তান্ত, পৃথিবীর সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, শিক্ষামূলক ঘটনা, সঠিক পথে পরিচালিত করার দিক-নির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা। এসবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশু-মনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ।

    এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এ সিরিজ পড়ে শিশুরা সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, সত্যবাদী এবং মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।

450
সবর
আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম আল
290
বিষয়ভিত্তিক বিশুদ্ধ হাদিস সংকলন
শাইখ ড. আওয়াদ আল-খালফ
  • আমাদের যাপিত জীবনের যাবতীয় সমস্যার সুন্দর সমাধান মেলে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে। কিন্তু এত এত হাদিসের ভিড়ে আমরা বুঝব কী করে, কোনটা বিশুদ্ধ আর কোনটা দুর্বল ও জাল হাদিস?

    .

    বিশুদ্ধতার বিচারে কুতুবুস সিত্তাহ তথা  সহিহুল বুখারি, সহিহ মুসলিম, জামি তিরমিযি, সুনানুন নাসায়ি, সুনানু আবি দাউদ, সুনানু ইবনি মাজাহ—এই ছয়টি প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থের অবস্থান সবার ওপরে। আর যেসব হাদিস রয়েছে এই ছয়টি গ্রন্থের প্রত্যেকটিতেই, সেগুলো যে বিশুদ্ধতম হাদিস তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    .

    কুতুবুস সিত্তাহর কমন হাদিসগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে আমাদের এবারের আয়োজন ‘বিষয়ভিত্তিক বিশুদ্ধ হাদিস সংকলন’। জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এমন গ্রন্থের জুড়ি মেলার ভার। জীবনঘনিষ্ঠ এসব হাদিস থেকে সমাজের প্রতিটি মানুষ উপকৃত হবে, ইনশা আল্লাহ।

    .

370 515-29%
সভ্যতার সংকট
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স
  • সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইসলামকে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুধাবন করার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ অনেকেই মনে করেন যে, খোদ মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চলমানের সংঘাতের আসল কারণ ‘সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব’। এই একুশ শতক, এবং একুশ শতককে ছাড়িয়ে মুসলিম জাতির সভ্যতার সাথে ইসলামের এই যে সুগভীর সম্পর্ক, তা উপলব্ধি করতে হলে ‘সংস্কৃতি’ এবং সংস্কৃতির আলোচনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা অপরিহার্য।

245 350-30%
আমার ঢাকা
শামসুর রাহমান , পিয়াস মজিদ (সম্পাদক)
191 238-20%
আযকার
শাইখ খালিদ আল হুসাইনান
65 88-27%
আলোকপাত
শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহার
350
পাখি
শিশু সাহিত্য সেন্টার
40
দুর্গম পথের যাত্রী
আসাদ বিন হাফিজ
  • মহাবীর। সাইফুল্লাহ। অপরাজেয়। চৌকস।

    আর কোনো পরিচয় লাগে? তিনি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)।

    জাহেলিয়াতের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন। একের পর এক বিজয়ের মালা পড়ছেন; তবুও কী এক আড়ষ্টতা যেন তাঁকে পেয়ে বসেছে! স্বস্তি নেই মনে; কী যেন খুঁজে ফিরছে।

    অবশেষে তিনি ফিরে এলেন। ফিরলেন বিশ্বাসীদের মিছিলে স্লোগান হাঁকতে, হায়দারি হাঁক ছাড়তে।

    এ এক রোমাঞ্চকর ফেরার গল্প! এক শিহরন জাগানিয়া সফর!

175
প্রোডাক্টিভ মুসলিম
মোহাম্মদ ফারিস
  • প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর।

    এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল।

    লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে Dr John Ratey, Graham Allcott সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ্য ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বইটিতে।

    ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মিশেলে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে, তা একজন মানুষকে পার্থিব জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে।

280
সাংবাদিকতা আমার ক্যামেরায়
পাভেল রহমান
  • ছবি কথা বলে। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো একটি ছবি এমন কি হাজার শব্দের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। লেখক পাভেল রহমান আমাদের দেশের একজন নামী আলোকচিত্র সাংবাদিক। প্রায় তরুণ বয়সেই আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় যে নৈপুণ্য, সাহস ও সৌকর্যের তিনি পরিচয় দিয়েছেন এককথায় তা অতুলনীয়। যেমন দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রের তেমনি কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সাময়িকীর জন্যও তিনি কাজ করেছেন। অল্পসময়ের নোটিশে কিভাবে তাঁকে সেসব জায়গায় ছুটে যেতে হয়েছে, কতোটা ঝুঁকি নিয়ে ও অনেক সময় বিপদ মোকাবেলা করে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে, এ বইয়ে তার অন্তরঙ্গ বর্ণনা পাঠককে চমকিত, হয়তো কিছু পরিমাণে  করবে ।

1125 1500-25%