প্রত্যেক বাবা মা-ই চান তার সন্তানটি সেরাদের সেরা হোক। আলোকিত মানুষ হোক। কিন্তু কীভাবে? গুড প্যারেন্টিং…
শিশু সন্তান লালন-পালনে যে তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা দরকার সাধারণত নতুন বাবা-মায়ের মধ্যে তা অনুপস্থিত। আর যারা আগেই বাবা-মা হয়েছেন তারাও মনে করেন যে, সন্তান জন্মানোর আগেই যদি তাঁরা প্যারেন্টিং সম্পর্কিত জ্ঞান ও কৌশল ভালোভাবে জানতে পারতেন, তাহলে সন্তানদের আরো কার্যকরী পন্থায় লালন-পালন করতে পারতেন।
সন্তান লালন পালনের মতো একটি কঠিন কাজের ক্ষেত্রে যোগাযোগ (Communication) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই যোগাযোগের অভাবে বর্তমানে অনেক কিশোর-কিশোরীর কাছে ঘরের চাহিদা একটি থাকার হোস্টেল আর খাওয়ার রেস্তোরাঁর চেয়ে বেশি কিছু নয়। এমতাবস্থায় ঘরে সুখ-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি বাবা-মা ও সন্তানদের উভয়ের জন্য খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ঘর শুধু একটি থাকার স্থান না, বরং এটি একটি সৃজনশীল প্লাটফর্ম যেখানে পরিবারের সদস্যরা এক একজন অভিনেতা অভিনেত্রী। আর তাদের মধ্যকার কার্যকলাপ হলো অভিনয়ের স্ক্রিপ্ট। এ মঞ্চে প্রত্যেকের তার নিজ নিজ ভূমিকা সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি।
এটি খুবই দুঃখজনক যে, অনেক বাবা-মা এবং সন্তান জানে না কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করতে হয়, যার ফলস্বরূপ পরিবারটি একটি অকার্যকর পরিবারে রূপান্তরিত হয়। অনেক বাবা-মা ও সন্তান একে অন্যকে ভয় পায় বা সন্দেহপূর্ণ চোখে দেখে তারা জানে না কীভাবে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে হয়। এভাবে একসময় তারা একে অন্যকে বুঝতে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়, হতাশ ও রাগান্বিত হয়ে পড়ে। পরিশেষে পারস্পরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
আজকাল অনেক বাবা-মা (আমরাসহ) মনে করেন যে, তাদের বাবা-মা হবার আগেই যদি প্যারেন্টিং-এর জ্ঞান কলা-কৌশল জানা থাকতো তাহলে অনেক ভালো হতো। এমন হলে তারা তাদের সন্তানদের আরো বেশি কার্যকরী পন্থায় লালন-পালন করতে পারতেন। বেশিরভাগ বাবা-মা মনে করেন যে, সন্তান লালন-পালনে আরো বেশি সময় দেয়া প্রয়োজন ছিল।
সব বাবা-মাই চান তাদের সন্তান সুখী ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষে পরিণত হোক। এ গ্রন্থটি আপনার সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আপনাকে সাহায্য করবে; আপনার সন্তানের সাথে একটি পরিপূর্ণ ও সফল সম্পর্ক তৈরি করতে সহায়তা করবে।