(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

মাকতাবাতুল বায়ান-Maktabatul Bayan

মাকতাবাতুল বায়ান-Maktabatul Bayan

মাকতাবাতুল বায়ান-Maktabatul Bayan এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী
  • দুআ, যিকর ও রুকইয়ার উপরে বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত ‘আয যিক্‌র ওয়াদ দুআ, ওয়াল ইলাজ বির রুকা মিনাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ’ বইটির পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ ‘বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া’।
    বইটির বৈশিষ্ট্য :
    • প্রতিটি দুআ ও যিকরের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ হাদীসের অনুবাদ করা হয়েছে। যার ফলে নবি ﷺ কোন সময়ে, কোন পরিস্থিতিতে দুআ ও যিকরগুলো বর্ণনা করেছেন, তা আমাদের সামনে স্পষ্ট হবে।
    • কিতাবটিতে দুআ ও যিকরের মহত্ব, গুরুত্ব, দুআ কবুলের শর্ত, সময়, স্থান নিয়মকানুন ও দুআ কবুল না হওয়ার কারণ এবং পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত রুকইয়াগুলো আলাদা অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পাঠের মাধ্যমে আমরা জিন-জাদু-বদনজর ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারব ইন শা আল্লাহ।
    • কিতাবটিতে দুআগুলো লাইন-বাই-লাইন অনুবাদ করা হয়েছে, যাতে পাঠকগণ প্রতিটি লাইন বাংলার সাথে মিলিয়ে বুঝে বুঝে পড়তে পারেন।
    • এই বইটির নির্বাচিত কিছু হাদীস নিয়েই নিয়েই লেখক ‘হিসনুল মুসলিম’ নামক যিকরের কিতাবটি সংকলন করেছিলেন।
    • প্রতিটি হাদীসের মান নির্ণয় করে দেওয়া হয়েছে। পাঠক চাইলেই মূলসূত্র মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
    • দুআ, যিকির, ওযীফা, রুকইয়া ইত্যাদি বিষয়ের হাদীসের বিস্তৃত বর্ণনা স্থান পাওয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ দুআর বই হিসেবে মুসলিম সমাজে সমাদৃত হয়েছে।
    • বহুলপঠিত এই কিতাবটি এ যাবৎ প্রায় ৪০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
365 500-27%
মুমিনের পাথেয় (কিতাবুয যুহদের অনুবাদ) (দুই খণ্ড)
মুমিনের পাথেয় (কিতাবুয যুহদের অনুবাদ) (দুই খণ্ড)
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (
  • ধরুন আপনি ওয়েটিং রুমে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। কোনো কারণে ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে। বসে থাকতে থাকতে আপনি দেখতে পেলেন, ওয়েটিং রুমটা বেশ জরাজীর্ণ। মাকড়সা জাল বিস্তার করে রেখেছে চতুর্দিকে। জানালাগুলোও ভাঙা। এই দৃশ্য দেখে আপনি শ্রমিক খবর দিলেন। শ্রমিকদের দিয়ে ওয়েটিং রুমটা মেরামত করানোর কাজে লেগে গেলেন। কিন্তু এসব করতে করতে গন্তব্যে যাওয়ার একমাত্র ট্রেনটা মিস করলেন আপনি।

    বলুন তো, এটা কি কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে? এবার একটু চোখটা বন্ধ করুন। ভাবুন। এই দুনিয়াটা কি ওয়েটিং রুমের মতো নয়? আমরা তো এখানে এসেছি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে। মৃতুর ট্রেন ধরে আমরা চলে যাব পরপারে। ওখানে গিয়েই যাত্রাবিরতি দেব। এরপর পৌঁছে যাব পরম সুখের মঞ্জিলে। তবে কীসের আশায় এই দুনিয়ার পেছনে লেগে গেলাম? কেন দুনিয়াবি চাকচিক্যের মোহে পড়ে মঞ্জিলের কথা ভুলে গেলাম? কেন পরপারের পাথেয় অর্জন না করে দুনিয়ার পেছনে দিবানিশি ছুটে চললাম? এখনও কি বোঝার সময় হয়নি? পাথেয় সংগ্রহ করার দিকে মনোযোগ দেবার সময় কি এখনও হয়নি?

    প্রিয় ভাই, প্রিয় বোন। আসুন, মঞ্জিলে পৌঁছোবার প্রস্তুতি নিই। নিশ্বাস ফুরোবার আগেই সফরের পাথেয় জোগাড় করি। আপনার সফরের পাথেয় অর্জনে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্যে মাকতাবাতুল বায়ান নিয়ে আসছে “মুমিনের পাথেয়”। আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পূর্বে ইমাম ইবনুল মুবারাক রহিমাহুল্লাহ রচিত এই মহামূল্যবান কিতাবটি হতে পারে আপনার জন্যে সর্বোত্তম সহায়ক। সবকিছু একদিন মিলিয়ে যাবে। মিটে যাব সূর্যের আলো, রঙধনুর সাত রঙ, নীল আকাশ। মিলিয়ে যাবে স্তরে স্তরে সাজানো সপ্তাকাশ। একদিন সবকিছু তুলোর মতো ওড়ে যাবে। পাহাড়গুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। জমিন তার সবকিছু বের করে দেবে।

    মুসলিম পরিবারে জন্ম-নেওয়া প্রতিটি ব্যক্তিই বোধহয় এই কথাগুলো জানে। কারণ, মুসলিমমাত্রই পরকালকে বিশ্বাস করে। দুনিয়া যে চিরস্থায়ী কোনো আবাস সেটাও বিশ্বাস করে। পাশাপাশি এটাও বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন এক জীবনের সূচনা হবে। আর ওই জীবনটাই চিরস্থায়ী। যেটার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। ওটাই আমাদের গন্তব্য। ওখানে পৌঁছানোর জন্যেই দুনিয়ায় এসেছি আমরা। সেই চিরস্থায়ী জীবনের মুক্তি পাওয়ার জন্যে, জান্নাতের অনাবিল প্রশান্তির মধ্যে একটুকু ঠাঁই পাওয়ার জন্যে আমরা কি পাথেয় সংগ্রহ করব না? আমাদের সামনে তো বিশাল সফর। দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তির পর শুরু হবে সেইটা। তো, সেই জীবনের জন্যে কিছুই নিয়ে যাব না আমরা? প্রস্তুতি নেব না সেখানকার সফর শেষ করে চিরশান্তির মঞ্জিলে পৌঁছোনোর? আজ থেকে ১৩০০ বছর পূর্বে লিখিত এই বইটি আপনাকে সেই দিকেই পথ দেখিয়ে দেবে।

533 730-27%
মাদারিজুস সালিকীন
মাদারিজুস সালিকীন
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ
  • ভালো মানুষ হওয়ার জন্য সবার আগে প্রয়োজন আত্মার সংশোধন। আত্মার সংশোধন ছাড়া দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ লাভ করা সম্ভব নয়। যার অন্তর সংশোধন হয়ে যায়, সে-ই প্রকৃত সফল। কিন্তু আত্মশুদ্ধির পথে রয়েছে নানান তরীকা। সঠিক তরীকা খুঁজে না পাওয়ার ফলে মানুষ অন্তরকে জীবন্ত করার বদলে মেরে ফেলে। কোন তরীকাটি সঠিক সাধারণ মানুষের জন্য তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছেন অষ্টম শতাব্দীর মহান ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ)। তিনি ছিলেন আত্মার অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
    প্রায় ছয়শত বছর পূর্বে তিনি আত্মশুদ্ধি-বিষয়ে পৃথিবীর সেরা একটি কিতাব রচনা করেছেন, যার নাম মাদারিজুস সালিকীন। সচেতন মুসলিম মাত্রই এই বইটির গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। পৃথিবীর অসংখ্য ভাষায় এই বইটি অনূদিত হয়েছে। হাজার হাজার বইয়ে এর উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। এটি আত্মশুদ্ধি-বিষয়ে রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত। আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ পরিশ্রমের পর বিখ্যাত এই বইটির প্রাঞ্জল অনুবাদ নিয়ে এসেছি আমরা। বইটি যত বেশি পড়া হবে, পাঠক তত বেশি উপকৃত হবে এবং নিজেকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত করতে উৎসাহ পাবে।
    লেখক বইটিতে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আত্মশুদ্ধির সঠিক পথ দেখিয়েছেন। আত্মশুদ্ধি অর্জন করার জন্য তিনি অর্ধশত মানযিলের বর্ণনা দিয়েছেন। এ রকম কিছু মানযিল হলো—তাওবা, আল্লাহভীতি, গভীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া, আল্লাহর ওপর ভরসা করা, সবর, শোকর, উত্তম চরিত্র, আল্লাহর স্মরণ, আত্মসম্মানবোধ ইত্যাদি। আত্মশুদ্ধির পথে এই বইয়ের প্রতিটি মানযিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বইয়ে রয়েছে এক মানযিল থেকে আরেক মানযিলে সফর করার দিকনির্দেশনা। যে নির্দেশনায় বান্দা একের-পর-এক মানযিল পাড়ি দিয়ে হয়ে ওঠে আল্লাহওয়ালা।

592 800-26%
সবার ওপরে ঈমান
সবার ওপরে ঈমান
জিয়াউর রহমান মুন্সি
  • চলুন বইটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।

    ১. বইটিতে ঈমান বিষয়ক প্রায় সকল হাদীস একত্রিত করা হয়েছে। এরকম সংকলন বাংলা ভাষায় এটাই প্রথম।

    ২. হাদীসগুলোকে প্রায় ৯০টি সুবিশাল হাদীসগ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ একটি বই পড়লেই পড়া হয়ে যাবে প্রায় ৯০টি হাদীসের কিতাব। সেই সাথে হাজার হাজার হাদীসও জানা হয়ে যাবে।

    ৩. ঈমান সংক্রান্ত ৪৪৬২টি হাদীস একত্র করে মাত্র ৪৬৯টি হাদীসে পরিণত করা হয়েছে।

    ৪. প্রতিটি হাদীসের ক্ষেত্রেই ঈমান বিষয়ক একটি প্রামাণ্য হাদীসের টেক্সট উল্লেখ করার পর প্রাসঙ্গিক বাকি হাদীসগুলোকে টীকা আকারে একত্রিত করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাদীসের ভিন্নপাঠও তুলে ধরা হয়েছে।

    ৫. পাঠকের সুবিধার জন্য পুরো বইটিকে মোট ২৮টি অধ্যায়ে এবং ২৬টি শিরোনামের অধীনে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

    ৬. প্রিয় নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথাগুলো হাইলাইট করতে রঙিন কালিতে ছাপানো হয়েছে।

    ৭. সাবলীল, বাহুল্যবর্জিত ও আকর্ষণীয় অনুবাদ।

    ৮. বিস্তারিত রেফারেন্স, তাহকীক ও টীকা যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের অস্পষ্টতা টীকার মাধ্যমে দূর করা হয়েছে।

    ৯. বইটির শেষে বিস্তারিত পরিসরে একটি নির্ঘণ্ট সংযুক্ত করা হয়েছে, যা পাঠকের জন্যে বহুগুণে উপকারী হবে ইন শা আল্লাহ।

    ১০. ঈমান-আকীদা ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত তালিম করার মতো একটি বই।

    ১১. স্বয়ং নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জবানিতে ঈমানের পরিপূর্ণ ধারণা পেতে বইটি এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইন শা আল্লাহ।

463 634-27%
যুহদ প্যাকেজ
যুহদ প্যাকেজ
ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল
  • জনৈক ব্যক্তি রসূল ﷺ এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল ﷺ ! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন; যা আমি করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষও আমাকে ভালোবাসবে। তখন তিনি ﷺ বললেন- দুনিয়া বিমুখতা অবলম্বন করো; তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। আর মানুষের নিকট যা আছে, সেগুলোর ব্যাপারে নির্মোহী হও; তাহলে মানুষ তোমাকে ভালোবাসবে।'(সুনান ইবন মাজাহ)
    .
    “এত এত বই আসছে, কোনটা রেখে কোনটা কিনবো?!” বর্তমানে এরকম দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। সত্যি বলতে এত বই পড়ে কোনো লাভ নেই যদি না সেই অধ্যয়ন আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে, আল্লাহকে ভালোবাসতে শেখায়। আল্লাহর ভালোবাসা, তাঁর রহমত ব্যতীত কোন পাঠক উপকৃত হতে পারে না, কোনো আমলকারী স্বীয় আমল দিয়ে জান্নাত পাবে না। আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন হয় কেবল দুনিয়ার বিমুখতার দ্বারা। দুনিয়া বিমুখতা আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। লোভ লালসা, অহংকার, হিংসা, রিয়া, কুনজর, ব্যভিচার, চুরি, হত্যা- সকল ফাসাদের সমাধান হচ্ছে দুনিয়া বিমুখতা। 
    তাই মাকতাবাতুল বায়ানের সৌজন্যে দুনিয়া বিমুখতার ওপর সবচে’ প্রাচীনতম বই ইমাম আহমাদের  কিতাবুয যুহদের বাংলা রূপ ‘রাসূলের চোখে দুনিয়া‘ ,  ‘সাহাবিদের চোখে দুনিয়া‘, এবং তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া—এই ৩টি বইয়ের অবলম্বনে ‘যুহদ প্যাকেজ’ নিয়ে আপনাদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। 

656 1009-35%
কুরআন মাজীদ মূলপাঠ, সরল অনুবাদ, পার্শ্বটীকা
জিয়াউর রহমান মুন্সী
  • অনূদিত এই মুসহাফটির বৈশিষ্ট্য


    লাখো লাখো বিষয় আর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছে কুরআন। তবে কুরআন আমাদের জীবনের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো একটির-পর-একটি আলোচনা করেনি। বরং জীবনের সকল প্রয়োজনের কথা আল্লাহ ছড়িয়ে রেখেছেন পুরো কুরআন জুড়ে। জীবনের পাথেয় গুছিয়ে নিতে আমরা যখন কুরআনের অনুবাদ পড়তে যাই, তখন কখনো কখনো এমন হয় যে, আমরা ঠিক বুঝেই উঠতে পারি না—কুরআন কোন প্রসঙ্গে আমার সাথে কথা বলছে? কোন প্রেক্ষাপটে আলোচনা করছে? ‘সে’ আর ‘তুমি’ সম্বোধন দ্বারা কুরআন কাকে বোঝাচ্ছে? আবার এমনও হয়—কিছু আয়াত পরপর প্রসঙ্গ পরিবর্তন হওয়ায় আলোচনার ধারাবাহিকতা বুঝতে আমরা হিমশিম খেয়ে যাই। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগে সাহাবায়ে কেরামের জন্য কুরআন হৃদয়ঙ্গম করা ছিল খুবই সহজ। কারণ তাঁদের সামনেই উপস্থিত ছিল এ-সকল প্রসঙ্গ আর প্রেক্ষাপট। তাই তাঁরা কুরআনকে করে নিতে পেরেছিলেন অনেক আপন। বিপরীতদিকে কুরআনের সাথে আমাদের সম্পর্ক আজ অনেকটাই ফিকে। কারণ কুরআনে-বলা প্রসঙ্গগুলো আমাদের কাছে খানিকটা অস্পষ্ট। কুরআনের সাথে আমাদের সম্পর্ক জীবন্ত করার সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে এই অনুবাদে যুক্ত করা হয়েছে চমৎকার কিছু বৈশিষ্ট্য। 


    • কোন আয়াত কোন প্রসঙ্গে কথা বলছে, সেই প্রেক্ষাপট বা প্রসঙ্গগুলো তুলে আনা হয়েছে কুরআন-নাযিলের-কাছাকাছি-সময়কার তাফসীর-গ্রন্থগুলো থেকে, আর তা উল্লেখ করা হয়েছে বাংলা অনুবাদের পাশেই। আবার যে আয়াতগুলো মিলে একটি বিষয়ের ভাব প্রকাশ করছে সেগুলোকে আমরা একসাথে রেখেছি, যাতে করে প্রসঙ্গ পরিবর্তনের মোড় আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 

    • আয়াতের শিক্ষা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো অনুবাদের পাশেই উল্লেখ করার কারণে কুরআন অনুধাবন করা অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। এ ছাড়া পার্শ্বটীকায় আরও দেওয়া হয়েছে ওই সূরার মেজর থিম বা মূল আলোচ্য বিষয়গুলো, যা এক-নজরে পড়ে নিলে সূরার ব্যাপারে সার্বিক ধারণা পাওয়া যাবে, সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য মূল পার্শ্বটীকাগুলোকে রঙিন কালিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    • সাবলীল ও সরল অনুবাদের কারণে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়তেও আপনার ক্লান্তি অনুভব হবে না, ইন শা আল্লাহ। বরং আপনি উদ্‌গ্রীব থাকবেন পরের আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাকে কী বলছেন তা জেনে নিতে! এই অনুবাদটি সাবলীল ও যথার্থ রাখার প্রয়াসে অনুবাদক মহোদয় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে। এক্ষেত্রে তিনি সাহায্য নিয়েছেন প্রাচীনতম সব তাফসীর, প্রামাণ্য অভিধান ও মাআনি-গ্রন্থগুলোর।

    • কেবল মাক্কী বা মাদানী না বলে, বরং প্রতিটি সূরার পাশে নাযিলের আনুমানিক সময়কাল ও বিশেষ ঘটনা থাকলে তা উল্লেখ করা হয়েছে; যাতে কুরআন অধ্যয়নকালে সেই সময়ের চিত্রটা কল্পনায় ভেসে ওঠে। 

    • আয়াতের আরবি মূলপাঠে উপমহাদেশে প্রচলিত সহজবোধ্য ও স্পষ্ট হরকত-সমৃদ্ধ এক নতুন ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখতে ঝরঝরে ও পড়তে আরামদায়ক। 

    • হাফেজদের জন্যও রয়েছে বাড়তি সুবিধা : উপমহাদেশে প্রচলিত হিফযুল কুরআনের পৃষ্ঠা-বিন্যাসই এ-অনুবাদে রাখা হয়েছে, যেন হাফেজদের স্মৃতিপটে থাকা পৃষ্ঠা বিন্যাসের সাথে তা মিলে যায়, এতে করে হাফেজগণ তিলাওয়াতের সাথে সাথে অনুবাদও পড়ে নিতে পারবেন খুব সহজে। 

    • ‘মিলিয়ে পড়ুন’—শীর্ষক অংশটি আপনাকে তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআনের ফায়দা দেবে। এ ছাড়াও নাযিলের সম্ভাব্য সময়কাল, শিক্ষা, প্রেক্ষাপট, পার্শ্বটীকা, পাদটীকা—এ-সকল ফিচার মুখতাসার বা সংক্ষিপ্ত তাফসীরের প্রয়োজনও মেটাবে, ইন শা আল্লাহ। 

944 1180-20%
Home
Categories
Cart
Account