(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

মাকতাবাতুল আসলাফ

মাকতাবাতুল আসলাফ

মাকতাবাতুল আসলাফ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

কুররাতু আইয়ুন – ২ : যে জীবন জুড়ায় মনন
কুররাতু আইয়ুন – ২ : যে জীবন জুড়ায় মনন
ডা. শামসুল আরেফীন
  • ডা. শামসুল আরেফীনের পেশা চিকিৎসা। কিন্তু তার রচনা পড়লে মনে হয়, তিনি একজন জাতলেখক, যিনি কিনা অনেককাল লেখালেখি করে জনপ্রিয় ও মনপ্রিয় একজন; এখন যাবজ্জীবনের লব্ধ ও নির্যাসিত অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা লিখছেন পাঠকের সাথে বৈঠকি ভাষায়…

    এর আগে তিনি লিখেছিলেন কুররাতু আইয়ুন-১ : যে জীবন জুড়ায় নয়ন। মুড়ি-মুড়কির মতো সে বই পাঠকের প্রিয়তা ও ভালোবাসা পেয়েছিলো; আজও সে ধারা এতটুক ক্ষুণ্ণ হয়নি। অসংখ্য মানুষ পালটে ফেলেছিলো জীবনের অভিমুখ, আজও পাল্টায়। আমরা মুগ্ধচোখে দেখি, রচনার গুণে এ যুগেও ঘর-সংসার এমনকি জীবনেও লাগতে পারে পরকালের সোনারঙ…

    সেই ধারাবাহিকতায় লেখকের এবারের রচনা─কুররাতু আইয়ুন-২ : যে জীবন জুড়ায় মনন। এই বই পড়ে পাঠকের মনে হবে—মানুষ ইসলাম জানে না, আমি কী করলাম জীবনে; কোনো দিন কি দাওয়াত দিয়েছি? পড়তে পড়তে মরমে মরে যাবেন আর নতুন উজ্জীবনে এক দাওয়াতি জীবন শুরু হবে আপনার।

    নারীর প্রতি জীবনে যত অবহেলা, যা কোনো দিন দেখতে পান না, যাদেরকে কেবল মনে করেন—সমস্যার সার, ভাবেন—ফেতনা, বই পড়তে পড়তে দেখবেন, নারীকে কোনো দিন ভালো তো বাসেনইনি, সুবিচারও করেননি তার অধিকার বিষয়ে; দেখবেন, আল্লাহর আদালতে দাঁড়িয়ে আছেন অপরাধী হয়ে।

    জীবনে ঢুকে পড়েছে অশ্লীলতার নীল ছায়া, বের হতে পারছেন না? খ্যাতি আর মোহ যে লজ্জাহীনভাবে জেঁকে ধরেছে, জানেনই না সে কথা? দ্বীনই আসল ও মূল জানেন, তবু নানা প্রয়োজন ও ‘কিছু জিনিসের দরকার আছে’-র পাল্লায় পড়ে দ্বীনের খেয়ানত করতে থাকেন? বাচ্চা বিগড়ে যাচ্ছে, স্ত্রীকে দেখতে পারেন না, বুজুর্গদের জীবন মনে হয় রূপকথা? প্রিয় বন্ধু, জীবনে একটুও সময় নেই? বাসে ঢুলতে ঢুলতে, রিকশার জ্যামে বসে, ‘জরুরি’ ব্রাউজিংয়ের দশ মিনিট বাঁচিয়ে—মোটের ওপর একটু অবসর করে বইটি হাতে নিন; তারপর, বই কথা বলবে।

173 247-30%
রুকইয়াহ
রুকইয়াহ
আবদুল্লাহ আল মাসউদ
  • যখন দেখতাম জিন শয়তানেরা মানুষকে নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলছে, মানুষ তাদের ভয়ে ফ্যাঁকাসে মুখ নিয়ে রাত কাটাচ্ছে, জীবন থেকে নিরাশ হয়ে যাচ্ছে; অপরদিকে মানুষ শয়তান— কবিরাজ-জাদুকরগুলো আল্লাহর জমিনে ইচ্ছেমত শয়তানি করে যাচ্ছে, এদের জন্য কারও ঘর ভাঙছে, কেউ বছরের পর বছর ধরে অসুস্থ হয়ে থাকছে, কারও বারবার মিসক্যারেজ হচ্ছে, অথবা প্রচণ্ড মেধাবী ছাত্রীর দিনে দিনে সব কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে; এত কিছুর পরেও কবিরাজদের কেউ কিছুই বলছে না। তাদের কুফরী-শিরকী কর্মকান্ডের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ তো বটেই, সামান্য কিছু হলে মাদরাসাপড়ুয়ারা পর্যন্ত কাফির তান্ত্রিক-কবিরাজের দরজায় ধরণা দিচ্ছে। অবচেতন মনে পুরো সমাজ এই শয়তানগুলোকে বসিয়ে রাখছে রবের আসনে। আল্লাহর পানাহ! তখন এই বিষয়গুলো মেনে নিতে পারতাম না, হিসাব মিলত না, এমন কেন হবে?
    আমার কাছে সবচেয়ে বেশী জঘন্য মনে হতো কাউকে নিজের ইচ্ছার বিপরীতে বাধ্য করার বিষয়টা। যেমন ধরুন, একটা মানুষের ওপর জিন ভর করে তার শরীর ব্যবহার করে কথা বলছে, যা খুশি করছে, অথবা কাউকে বশ করে যা ইচ্ছা করানো হচ্ছে, অথবা দুজনের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো হচ্ছে। আরও খারাপ লাগত যখন দেখতাম মানুষ সেগুলো চেয়ে চেয়ে দেখছে, কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কবিরাজদের দরজায় ঘুরে ঘুরে দুনিয়া-আখিরাত সব নষ্ট করছে। এগুলো আমার কাছে মনুষ্যত্বের অবমাননা মনে হতো। অনুভব করতাম এখানে অন্য কিছু হওয়া উচিত, যা হচ্ছে না।
    যা হোক, আল্লাহর শোকর! দেরিতে হলেও আমাদের দেশে রুকইয়াহ শারইয়াহ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অনেকেই রুকইয়াহ শারইয়াহ বিষয়ে জানছে। ইসলাম সম্মত স্প্রিচ্যুয়াল হিলিং দিনদিন জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য হচ্ছে। তবে এতটুকুতেই সন্তুষ্ট হলে চলবে না, শয়তান বসে নেই, আমাদেরও বসে থাকা যাবে না। সচেতন মানুষের সংখ্যা হাজার থেকে লাখে, লাখ থেকে কোটিতে নিয়ে যেতে হবে।

    মানুষের মাঝে এমনই কিছু সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘রুকইয়াহ’ বইটি

280 400-30%
নবীজির পাঠশালা ﷺ
নবীজির পাঠশালা ﷺ
ড. আদহাম আশ শারকাবি
  • কুরআন ও সুন্নাহতে অনেক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে আমাদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য। যেমন: নবীগণের ঘটনা, পূর্বেকার উম্মতের ঘটনা কিংবা হাদীসে বর্ণিত সাহাবীদের কোনো শিক্ষণীয় ঘটনা।
    আচ্ছা… কেমন হয়, যদি এসব ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এর শিক্ষণীয় বিষয়গুলো একত্রিত করা হয়? কোন ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি, কীভাবে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তা একেবারে সহজ ভাষায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়ে দেয়া হয়?
    জি, এমনটিই করা হয়েছে ‘নবীজির পাঠশালা ﷺ’ বইটিতে। এতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক হাদিসভাণ্ডার হতে ৩১টি বিশুদ্ধ হাদিস একত্রিত করা হয়েছে। ঘটনা বর্ণনার পর তা থেকে গ্রহণীয় শিক্ষাগুলো দারস আকারে প্রতি ঘটনার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি দারসে রয়েছে জীবনঘনিষ্ট উপদেশমালা, আছে জীবন পথে চলার পাথেয়। প্রতিটি লাইনই যেন এক-একটি নাসীহাহ!
    কিছু ঘটনা হয়ত আপনি জানেন। বারবার শুনেছেন, পড়েছেন। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, এভাবে কখনো ভেবে দেখেন নি। একই ঘটনা হয়ত পড়বেন আবার। কিন্তু এবার তা হৃদয়কে নাড়া দিবে। জীবন পরিবর্তন করে দিবে ইন শা আল্লাহ।
    তাহলে দেরি কীসের? চলুন ঘুরে আসি, নবীজি ﷺ এর পাঠশালায়। মুগ্ধ হয়ে হাদিসের গল্প-ঘটনা শুনবো, সাথে এর মাঝে ছড়িয়ে থাকা মনিমুক্তোও সেচে আনবো। নবীজির পাঠশালায় ﷺ আপনাকে স্বাগতম।

415
 ইসলামের ইতিহাস : নববী যুগ থেকে বর্তমান
ইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
ড. মুহাম্মাদ ইবরাহীম শারীকী

  • আচ্ছা কেমন হয় যদি নবীজি ﷺ এর যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত পুরো ইসলামের ইতিহাসের সারনির্যাস এক মলাটে ৩৫০-৩৬০ পৃষ্ঠার বইতে পেয়ে যান?
    মুসলিম উম্মাহর একজন সদস্য হয়ে আপনার কি উচিত না রাসূলের যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাসের পুরো সিকুয়েন্সটা মাথায় রাখা? প্রত্যেকের ইতিহাসবেত্তা হওয়া জরুরি না, কিন্তু পুরো ইসলামি ইতিহাসের ঘটনা পরিক্রমাগুলোত অন্তত জানা দরকার।

    নবীজির যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান ইতিহাসের একদম মূল সারনির্যাস ধাপেধাপে এক মলাটে লিখেন আরবের বিখ্যাত শাইখ ডক্টর মুহাম্মাদ ইবরাহীম শারীকী। নাম দেয়া হয় ‘তারিখুল ইসলামিয়া’। এটিরই অনূদিত রূপ ‘ইসলামের ইতিহাস : নববী যুগ থেকে বর্তমান’।

    ১। বইটি পাকিস্তান বেফাকের (মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড) সিলেবাসভুক্ত।
    ২। বইর ভূমিকায় বইটির ব্যাপারে পাকিস্তানের বিখ্যাত শাইখুল হাদিস আল্লামা সলিমুল্লাহ খান রহিমাহুল্লাহর সারগর্ভ ভূমিকা যোগ করা হয়েছে।
    ৩। মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ায় শায়খ আবদুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ ছাত্রদের ইতিহাস অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এই বইটি পড়ার পরামর্শ দেন।
    ৪। মূল বইতে রেফারেন্স কম ছিল। লেখক বইর শেষে বইর একটা লম্বা তালিকা দেন যেখান থেকে তিনি সহায়তা নিয়েছেন। কিন্তু পাঠকদের সুবিধার্থে অনুবাদক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সাহেব প্রচুর পরিশ্রম করে নিজের পক্ষ থেকে অনেক রেফারেন্স যোগ করেছেন।
    ৫। বইটির আদ্যোপান্ত সম্পাদনা করেছেন শাইখ মীযান হারুন।



329 470-30%
সংক্ষিপ্ত ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন (দুই খণ্ড)
সংক্ষিপ্ত ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন (দুই খণ্ড)
মাহদি হাসান
  • তাহকীক ও সংক্ষেপণ – ইমাম ইবনুল জাওযী ও ইমাম ইবনু কুদামা আল-মাকদিসী রাহিমাহুমাল্লাহ।
    ‘ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ জগদ্বিখ্যাত মনীষী ইমাম গাযালী রাহিমাহুল্লাহর অমর রচনাকীর্তি। এর বিষয়বস্তু—ইবাদাত, আদাত তথা দৈনন্দিন জীবনের আচার-আচরণ, আয়-উপার্জন, সামাজিক সংস্কার-সংশোধন, আকীদা ও চরিত্রের পরিশুদ্ধি-পরিমার্জন, ফিকহ, আধ্যাত্মিকতা, আত্মার পরিচর্যা, ইতিহাস, নবী-সাহাবী-তাবেয়ীগণের জীবন দর্শন, ইসলামী বিধি-বিধানের হেকমত-রহস্য ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে ব্যাপ্ত। বক্ষ্যমাণ ‘সংক্ষিপ্ত ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ মূলত তারই দ্বিতীয় সংক্ষেপণের অনুবাদ।

    কিতাবের অধিকাংশ আলোচনাই নির্দেশ করে, মানবজাতির অগ্রগতি ও সভ্যতার উৎকর্ষ—ব্যক্তি ও সামাজিক চরিত্রের উন্নয়ননির্ভর। এবং তা আকীদা, ইবাদাত ও মুআমালাতের জন্যেও সম্পূরক বৈশিষ্ট্য। কিতাবের প্রতিটি আলোচনা কুরআন ও সুন্নাহর ঝর্ণাপ্রবাহ থেকে প্লাবিত।

    মোদ্দাকথা, বিষয়বস্তুর ব্যাপকতার বিচারে এটি অত্যন্ত বিরল একটি কিতাব; এতে একইসাথে তারবিয়াত, আখলাক, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সাথে বান্দার আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক-তত্ত্ব, ইবাদাত, মুআমালাত, আকীদা, তাসাউফ—এককথায় একজন মুসলিম কুরআনের চরিত্র ধারণ করতে এবং নববী বৈশিষ্ট্যে মণ্ডিত হতে যে-যে বিষয়ের মুখাপেক্ষী, তার প্রতিটি বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে এই কিতাবে।

700 1000-30%
সন্তান গড়ার ১১০ টিপস
সন্তান গড়ার ১১০ টিপস
মুজাহিদ মামূন দীরানিয়্যাহ
  • শিশু-সন্তান হচ্ছে কাদামাটির মতো, আপনি তাকে যেভাবে প্রতিপালন করবেন, সেভাবেই সে বেড়ে উঠবে। জন্মের পর থেকে নিয়ে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তই শিশুদের দীক্ষা গ্রহণের সময়কাল। বিশেষত জীবনের প্রথম ১২টি বছর। এই সময়কালের ভেতর প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিস্ফুটিত হয় এবং তার বোধ তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। এই সময়কালে সে যে দীক্ষা প্রাপ্ত হয় এবং যে জীবনপদ্ধতির অনুশীলন করে, জীবনের বাকিটা সময় এই পরম্পরাই তার চলন ও চরিত্রে পরিস্ফুটিত থাকে। তাই প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত পরিকল্পিত পন্থায় সন্তানকে প্রতিপালন করা।

    আপনার সন্তানকে কীভাবে প্রতিপালন করবেন—বিশেষত তার জীবনের প্রথম ১২টি বছর—এ বইয়ে ইসলামী শরীয়াহ ও জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে তা তুলে ধরা হয়েছে অতি সাবলীল বর্ণনায়। ১১০ টিপসের কোনগুলো কোন বয়সের জন্য উপযোগী তাও ভাগ ভাগ করে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ফলে, পরিকল্পিত সন্তান-প্রতিপালনে প্রত্যেক মা-বাবার জন্য অবশ্যপাঠ্য এক গাইডলাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে 

129 185-31%
রূহের খোরাক
রূহের খোরাক
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ
  • আল-জাওয়াবুল কাফী তাযকিয়াতুন নফস বা আত্মশুদ্ধি বিষয়ে রচিত অতুলনীয় এক গ্রন্থ। অন্তরের ব্যাধিতে দিশেহারা এক ব্যক্তির একটি মাত্র প্রশ্নের জবাবে হিজরি ৭০০ শতাব্দীর যুগশ্রেষ্ঠ আলিম ইমাম ইবনু কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ আত্মশুদ্ধির খনি রেখেছেন এ গ্রন্থে। রূহের খোরাক তারই অনূদিত রূপ।

    ভারত উপমহাদেশসহ বাংলা ভূখণ্ডের বরেণ্য সব বুযুর্গ ব্যক্তিত্ব ও আধ্যাত্মিক মনীষীর বিভিন্ন নসীহতে, আলোচনায়, বয়ানে—এমনকি আত্মশুদ্ধিমূলক নানা বইয়ে আছে এ গ্রন্থের উদ্ধৃতি। অন্তরের রোগে পেরেশান অসংখ্য মানুষ এ গ্রন্থ থেকে আত্মশুদ্ধির খোরাক নিয়ে হিদায়াতের পথে হেঁটেছেন, পেয়েছেন মুক্তির দিশা। এতে বিবৃত আত্মার রোগের ব্যবস্থাপত্র শত শত বছর ধরে যাঁরাই পাঠ করেছেন, নিজের পাপ- পুণ্যের হিসাব মেলাতে গিয়ে অঝোর নয়নে ভিজিয়েছেন রাতের জায়নামায।

    আত্মশুদ্ধি বিষয়ক গ্রন্থগুলোর প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—যে কোনো আলোচনা হৃদয়গ্রাহী ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা, যা মানুষকে গুনাহ ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সওয়াব অর্জনেও করবে উদগ্রীব। বৈশিষ্ট্যটি এ গ্রন্থে পরিপূর্ণরূপে উপস্থিত। প্রায় হাজার বছর অতিক্রান্ত হলেও এর আবেদন ও প্রয়োজনীয়তা এতটুকুও ম্লান হয়নি। আজও কোনো মুমিনের অন্তর গুনাহের খরতাপে রুক্ষ-তৃষিত হলে এ গ্রন্থ এক পশলা বৃষ্টির মতো তার হৃদয়কে শীতল করে দেয়।

301 430-30%
বিবাহ-পাঠ
বিবাহ-পাঠ
ডা. শামসুল আরেফীন
  • বিয়ে! কেমন হবে একজন মুসলমানের বিয়ে? বিয়ের সময় একজন মুসলিম পাত্র- পাত্রী বা তাদের অভিভাবকদের কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে? আমাদের সমাজের বিয়েগুলো কতটুকু ইসলামসম্মত? উত্তর আমাদের সবারই জানা। বিয়ের সংকল্প করা, পাত্র-পাত্রী নির্বাচন, পাত্র-পাত্রীর গুণাবলি, পাত্র-পাত্রী দেখা, বিয়ের সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বাসর রাত পর্যন্ত সমস্ত বিষয়াদির ইসলামসম্মত গাইডলাইন এই বই। বিবাহ ইসলামের এমন এক বিধান, যা দেহ-মন-আত্মা-প্রজন্ম-সমাজ-পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। বিপরীতে বিবাহের অনুপস্থিতি বা বিবাহ-প্রক্রিয়ার জটিলায়ন জন্ম দেয় শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, পরিবার-সমাজে অস্থিরতা, অসুস্থ হতাশ প্রজন্মের; পশ্চিমা সমাজ যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ইসলাম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা। এতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আগাম-সমস্যা এড়ানোর এবং উদ্ভূত-সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা রয়েছে। জীবনের যতগুলো সেক্টরের মুখোমুখি মানুষকে হতে হয়, সবগুলো। বিবাহ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে।
    তাই, আমাদের ঘরে ঘরে বরকতময় পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইসলামের গাইডলাইন অনুসারে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন থেকে শুরু করে বিবাহের অনুষ্ঠান সবকিছু সম্পন্ন করা উচিত। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রত্যেকের অবশ্যপাঠ্য একটি বই হতে যাচ্ছে ‘বিবাহ-পাঠ’।

168 240-30%
Home
Categories
Cart
Account