(24/7)

পাঠক সেবা | A Trusted Online Book Shop

	কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ

কথাপ্রকাশ এর সকল অরিজিনাল বই সংগ্রহ করুন পাঠকসেবা থেকে।

নির্বাচিত প্রবন্ধ : নানা প্রসঙ্গ
নির্বাচিত প্রবন্ধ : নানা প্রসঙ্গ
শঙ্খ ঘোষ
  • কাব্যে আসক্ত মন-ই শঙ্খ ঘোষের রক্তগত। গদ্যলেখায় তিনি বিশেষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সম্ভবত, স্বযাচিতভাবে কখনো গদ্যে তাঁর মন ওঠেনি। কিন্তু ‘বাইরের চাপের বশীভূত হয়ে’ যখন কিছু লিখে ফেলেছেন, তখন সেটা সংবেদী পাঠকের জন্য নিতান্ত কম আস্বাদযোগ্য হয়নি। বর্তমান গ্রন্থের ‘নিঃশব্দের তর্জনী’ রচনাটি গদ্যকবিতা হিসেবে পাঠ করলে ক্ষতি নেই। আবার ‘আইয়ুবের ধর্ম’ প্রবন্ধটি হয়ে উঠেছে নিপুণ তত্ত্ববিচার। কবি এখানে তত্ত্বশিল্পী-একের ভিতর দুই, একই-সঙ্গে। এ বইয়ের প্রত্যেকটি রচনায় তথ্যের সঙ্গে মিলেছে অন্তর্দৃষ্টি, মনোহর ভঙ্গির সঙ্গে মিশেছে অনুপম ভাষা। অভিজ্ঞতা আর নানা জ্ঞানের উপাদেয় আলোচনায় এ বই উপভোগ্য।

225 300-25%
নির্বাচিত প্রবন্ধ : রবীন্দ্রনাথ
নির্বাচিত প্রবন্ধ : রবীন্দ্রনাথ
শঙ্খ ঘোষ
  • রবীন্দ্র-প্রসঙ্গে লেখা শেষ হয় না শঙ্খ ঘোষের। শেষ করতে চান হয়তো, ভাবেন যে লিখবেন না আর, রবিকে নিয়ে। কিন্তু তাঁর লেখায় ঘুরে-ফিরে আসেন তিনি, অনিঃশেষ রবীন্দ্রনাথ। আসেন শুধু তথ্যের জন্যে নয়, তত্ত্ব হয়ে নয়, প্রমাণ হিসেবেও নয়। আসেন সত্য হয়ে-কখনো বাস্তব, কখনো-বা কাব্য-সত্যের আলোয়, জীবনের ধ্রুব নক্ষত্রের মতো যেন। শঙ্খ ঘোষ রবি-বিশারদ নন, ব্যাখ্যাতা, ভাষ্যকার তাঁকে বলা যায় না। অথচ এসবই তিনি। তিনি কী শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্র-প্রেমিক? রবীন্দ্রনাথ কী তাঁর ‘প্রাণের সখা’? অসম্ভব নয়। রবীন্দ্র-প্রসঙ্গের অনেক লেখা থেকে বাছাই করা বর্তমান রচনাগুলি বলে দেয় শঙ্খ ঘোষের উল্লিখিত আত্মদর্শন। শীলিত বুদ্ধি আর আবেগের শুদ্ধতায় উজ্জ্বল ভাষার শিল্পে রচনাগুলি অনন্য। 

225 300-25%
নির্বাচিত রচনা
নির্বাচিত রচনা
রামেন্দু মজুমদার
  • বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার লেখালেখি করেন কম, কিন্তু এর মধ্যেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে তাঁর।  প্রথম তিরিশ তাঁর জীবনের প্রথম তিরিশ বছরের স্মৃতিকথা- যেখানে তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া ও কর্মজীবনে প্রবেশের কথা আছে।  নানা পরিবেশে জীবনযাপন করেছেন, সেসব নিয়ে কিছু লেখা রয়েছে।  বেশি লিখেছেন নাটক নিয়ে।  ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সাথে সংযুক্তি-র ফলে ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন পৃথিবীর অনেক দেশ, সেসব নিয়েও তাঁর লেখা আছে।
    তাঁর মৌলিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বিষয়: নাটক, একি সত্য সকলি সত্য, আমার স্কুল, কিছু শুনি কিছু ভুলি, প্রথম তিরিশ, ভুলি কেমনে, খুচরো লেখা, নাটক নিয়ে, বিশ্বনাট্যের গতি-প্রকৃতি ও অন্যান্য।
    বর্তমান সংকলনে তাঁর রচিত প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, বক্তৃতা, ভ্রমণ বৃত্তান্ত এসব থেকে নির্বাচিত লেখা রয়েছে।  অনেক লেখায় উঠে এসেছে আমাদের সমাজ ও রাজনীতির সমসাময়িক চিত্র।

450 600-25%
নির্বাচিত রসরচনা
নির্বাচিত রসরচনা
রুহুল আমিন বাবুল
  • ইংরেজিতে একটা কথা আছে-রিডিং ফর প্লেজার। বাংলাসাহিত্যে এমন সব রচনা আছে, পড়লে এমনিতেই হাসি ওঠে। এমন মধুর রস, পড়ে না হেসে থাকা যায় না। টেকচাঁদ ঠাকুর থেকে শুরু করে ঈশ্চরচন্দ্র, বঙ্কিম, কালীপ্রসন্ন, হরপ্রসাদ, রবীন্দ্রনাথ, মুজতবা কারা নেই বইটিতে! মজাই মজা। আজকের রসিক লেখকের রসের লেখাটিও যুক্ত হয়েছে এখানে। ফলে বইটি হয়ে ওঠেছে মধুর ভাণ্ড। রস আর রস

338 450-25%
নিঃসঙ্গতার মতো একা
নিঃসঙ্গতার মতো একা
মাহবুব আজীজ
  • ‘কিছু কবিতা লতাগুল্মময় আশ্চর্য সব স্থানে/ লুকিয়ে থাকে; ওখানে আকাশে উপুড় হয়ে/ মেঘেরা শুয়ে থাকে-নিবিড় ঘাসে শুনশান!/ ওই মেঘের ভেতরে-ওই লতাগুল্মের ভেতরে মৃদুমদির কবিতাদের আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি’...কবিতা মাহবুব আজীজের কাছে অনুভূতির নিবিড়তম স্পর্শ; তাঁর কবিতা পাঠকের বোধে ও মননে ধীর অথচ গভীরে রেখাপাত করে।  ব্যক্তিক অভিজ্ঞতাকে কবিতার শরীরে সঞ্চার করে দেয়ার আশ্চর্য কুশলতায় দক্ষ মাহবুব আজীজ  ফিরে ফিরে তাকান জীবন, মানুুষ, প্রকৃতি আর নিজস্ব বাস্তবতায়।  ‘অস্তিত্বের লড়াই তীব্র দাঁতে বসায় কামড়। চারপাশে/ অচেনা ভিড়।  তারপরও বেঁচে থাকবার আশ্চর্য সুস্বাদ-/ জীবনের পায়ে ইচ্ছে হয় তীব্র চুমো দিই’... জীবনতৃষ্ণা কবির প্রবল; তাই জগৎ ও জীবনের খুঁটিনাটি সবই তার সুষ্মিত আগ্রহে  স্নাত- যদিও কবির বোধে প্রবহমান অনন্ত নিঃসঙ্গতা আর সব ছাড়িয়ে মূর্ত হয়-‘বহমান অমেয় বাতাসের মতো/ অবিরাম দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষের মতো/ আজন্ম একা বয়ে চলা সমুদ্রের মতো/ সীমিত আয়ুর মানুষও চিরপ্রবহমান-/ একাকী, আদি ও অন্তহীন-/ নিঃসঙ্গতার মতো একা!’...
    মাহবুব আজীজের কবিতা তাই দার্শনিক জিজ্ঞাসায় দীপ্ত-মানুষের গন্তব্য ও পরিণতি নিয়ে রয়েছে কবির হাহাকারভরা ভাষ্য; সুখ ও দুঃখের বিলোড়নে উদ্ভাসিত মানুষকে তিনি দেখতে চান হাস্যময়, জীবনরসে পরিপূর্ণ- তাই তাঁর উচ্চারণ-‘যতটুকু দেখা যায়-ভাবনায় কুলোয়/ তা নিয়েই এতো তর্ক/ হানাহানি; রক্তারক্তি! জিঘাংসার চূড়ান্ত!/ আর যা দেখা যায় না; কল্পনার সীমা পরিধির মধ্যে আসে না/ তা থেকে যায় আকাশের ওপারে আকাশে’...
    ‘নিঃসঙ্গতার মতো একা’-য় রয়েছেন এমন এক কবি-যিনি নিঃসঙ্গ ও নীরবতাকাক্সক্ষী; এই কবি ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক-আখ্যান তাঁর কবিতায় প্রায়শ উজ্জ্বল হয়, তিনি গীতিময়। কল্পনা, প্রতীক, দৃশ্যকল্পে তিনি বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতার হাত ধরে কবিতার মধ্যে সঞ্চার করেন নানা অনুভব ও প্রশ্নমালা।
    আধুনিক বাংলা কবিতার চিরায়ত ধারাবাহিকতায় মাহবুব আজীজের কবিতার সুর ও স্বর ব্যতিক্রমী ও সৃজনীভাবনাসমৃদ্ধ; তাঁর কবিতা দূরগামী ও নিজস্বতাচিহ্নিত।  

120 150-20%
নিঃসঙ্গতার মুখর সময়
নিঃসঙ্গতার মুখর সময়
সেলিনা হোসেন
  • নিঃসঙ্গতার মুখর সময় সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।  ব্যক্তির সংকটের টানাপোড়েন এই উপন্যাসের মূল দিক।  আরও বলা যায় ব্যক্তির সংকটের নেপথ্যে কি ধরনের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে এই উপন্যাস তার বয়ান।
    গল্পের নায়ক জয়নুল মিয়া পঞ্চম কন্যাসন্তান জন্মের পরে রাশিদুনকে মুহূর্তের উত্তেজনায় তালাক দেয়।  তার একটি ছেলের প্রত্যাশা ছিল।  তারপর শুরু হয় জীবনযাপনের দ্বন্দ্ব। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাশিদুন পরিস্থিতির কাছে হার না মেনে সংসার ছেড়ে চলে যায়।  নিজের ভুলে অনুতপ্ত জয়নুল বিষাদাক্রান্ত হয়ে পড়ে। ঠিক করে ভুলের খেসারত দেবে জীবনভর।
    দুজন মানুষের নিঃসঙ্গতা মুখর করে রাখে পাঁচ কন্যা।  এই সূত্র ধরে একদিন আবার দুজনে কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়।

188 250-25%
নিঃসঙ্গতার মতো একা
নিঃসঙ্গতার মতো একা
মাহবুব আজীজ
  • ‘কিছু কবিতা লতাগুল্মময় আশ্চর্য সব স্থানে/ লুকিয়ে থাকে; ওখানে আকাশে উপুড় হয়ে/ মেঘেরা শুয়ে থাকে-নিবিড় ঘাসে শুনশান!/ ওই মেঘের ভেতরে-ওই লতাগুল্মের ভেতরে মৃদুমদির কবিতাদের আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি’...কবিতা মাহবুব আজীজের কাছে অনুভূতির নিবিড়তম স্পর্শ; তাঁর কবিতা পাঠকের বোধে ও মননে ধীর অথচ গভীরে রেখাপাত করে।  ব্যক্তিক অভিজ্ঞতাকে কবিতার শরীরে সঞ্চার করে দেয়ার আশ্চর্য কুশলতায় দক্ষ মাহবুব আজীজ  ফিরে ফিরে তাকান জীবন, মানুুষ, প্রকৃতি আর নিজস্ব বাস্তবতায়।  ‘অস্তিত্বের লড়াই তীব্র দাঁতে বসায় কামড়। চারপাশে/ অচেনা ভিড়।  তারপরও বেঁচে থাকবার আশ্চর্য সুস্বাদ-/ জীবনের পায়ে ইচ্ছে হয় তীব্র চুমো দিই’... জীবনতৃষ্ণা কবির প্রবল; তাই জগৎ ও জীবনের খুঁটিনাটি সবই তার সুষ্মিত আগ্রহে  স্নাত- যদিও কবির বোধে প্রবহমান অনন্ত নিঃসঙ্গতা আর সব ছাড়িয়ে মূর্ত হয়-‘বহমান অমেয় বাতাসের মতো/ অবিরাম দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষের মতো/ আজন্ম একা বয়ে চলা সমুদ্রের মতো/ সীমিত আয়ুর মানুষও চিরপ্রবহমান-/ একাকী, আদি ও অন্তহীন-/ নিঃসঙ্গতার মতো একা!’...
    মাহবুব আজীজের কবিতা তাই দার্শনিক জিজ্ঞাসায় দীপ্ত-মানুষের গন্তব্য ও পরিণতি নিয়ে রয়েছে কবির হাহাকারভরা ভাষ্য; সুখ ও দুঃখের বিলোড়নে উদ্ভাসিত মানুষকে তিনি দেখতে চান হাস্যময়, জীবনরসে পরিপূর্ণ- তাই তাঁর উচ্চারণ-‘যতটুকু দেখা যায়-ভাবনায় কুলোয়/ তা নিয়েই এতো তর্ক/ হানাহানি; রক্তারক্তি! জিঘাংসার চূড়ান্ত!/ আর যা দেখা যায় না; কল্পনার সীমা পরিধির মধ্যে আসে না/ তা থেকে যায় আকাশের ওপারে আকাশে’...
    ‘নিঃসঙ্গতার মতো একা’-য় রয়েছেন এমন এক কবি-যিনি নিঃসঙ্গ ও নীরবতাকাক্সক্ষী; এই কবি ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক-আখ্যান তাঁর কবিতায় প্রায়শ উজ্জ্বল হয়, তিনি গীতিময়। কল্পনা, প্রতীক, দৃশ্যকল্পে তিনি বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতার হাত ধরে কবিতার মধ্যে সঞ্চার করেন নানা অনুভব ও প্রশ্নমালা।
    আধুনিক বাংলা কবিতার চিরায়ত ধারাবাহিকতায় মাহবুব আজীজের কবিতার সুর ও স্বর ব্যতিক্রমী ও সৃজনীভাবনাসমৃদ্ধ; তাঁর কবিতা দূরগামী ও নিজস্বতাচিহ্নিত।  
     

120 150-20%
নিঃসঙ্গতার মুখর সময়
নিঃসঙ্গতার মুখর সময়
সেলিনা হোসেন
  • নিঃসঙ্গতার মুখর সময় সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।  ব্যক্তির সংকটের টানাপোড়েন এই উপন্যাসের মূল দিক।  আরও বলা যায় ব্যক্তির সংকটের নেপথ্যে কি ধরনের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে এই উপন্যাস তার বয়ান।
    গল্পের নায়ক জয়নুল মিয়া পঞ্চম কন্যাসন্তান জন্মের পরে রাশিদুনকে মুহূর্তের উত্তেজনায় তালাক দেয়।  তার একটি ছেলের প্রত্যাশা ছিল।  তারপর শুরু হয় জীবনযাপনের দ্বন্দ্ব। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাশিদুন পরিস্থিতির কাছে হার না মেনে সংসার ছেড়ে চলে যায়।  নিজের ভুলে অনুতপ্ত জয়নুল বিষাদাক্রান্ত হয়ে পড়ে। ঠিক করে ভুলের খেসারত দেবে জীবনভর।
    দুজন মানুষের নিঃসঙ্গতা মুখর করে রাখে পাঁচ কন্যা।  এই সূত্র ধরে একদিন আবার দুজনে কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়।

188 250-25%
নিসর্গ আখ্যান
নিসর্গ আখ্যান
মোকারম হোসেন
  • প্রকৃতির নিজস্ব আবর্তনচক্র ও আন্তঃপ্রক্রিয়ার বহুমাত্রিকতা নিয়ে লেখা নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থটি।  একাধিক শিরোনামে বিন্যস্ত ছোট-বড় প্রায় ৪৫টি প্রবন্ধ এখানে স্থান পেয়েছে।  এসব লেখায় প্রকৃতির প্রতি আমাদের মনোভাবের কথা সবিস্তারে উঠে এসেছে।  দেশজুড়ে প্রকৃতি ও বন ধ্বংসের যে মহোৎসব শুরু হয়েছে তারই কিছু খণ্ডচিত্র এখানে পাওয়া যাবে।  দেশের বিশিষ্ট লেখক, রাষ্ট্রনায়ক এবং ভিনদেশি বৃক্ষবিদদের বৃক্ষ-মনস্ক ভাবনা এ বইয়ের বিশেষ দিক।  আছে বিলুপ্ত কয়েকটি উদ্যানের বর্ণনা।  দেশে ইংলিশ রীতিতে তৈরি বাগানের প্রসঙ্গ।  ছয় ঋতুর শহর এবং পুষ্প উৎসববিষয়ক স্বপ্নের কথা।  তাছাড়া রাজধানী ঢাকাকে একটি সমৃদ্ধ উদ্যান নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনাও এখানে পাওয়া যাবে।  অনুসন্ধানী লেখক মোকারম হোসেন এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছেন ঢাকার শতবর্ষী বা শতোর্ধ্ববর্ষী কিছু বৃক্ষের খবরাখবর।  বিশ্বব্যাপী বৃক্ষ বাদ দিয়ে শুধু প্রাণিজগৎ নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয়েছে তা খণ্ডিত মনোভাব হিসেবেই দেখছেন এই নিসর্গী।  বৃক্ষ ছাড়া প্রাণী যেমন বাঁচতে পারে না তেমনি গাছপালার বংশপরম্পরার ক্ষেত্রেও প্রাণী ও পতঙ্গদের দরকার।  এ বাস্তবতা এড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই।  কাজেই প্রকৃতি সংরক্ষণে আমাদের একপেশে মনোভাব পরিহার করে সমগ্র প্রাণবৈচিত্র্য নিয়েই ভাবা উচিত।  এমন উদার ভাবনাই কেবল আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে।  নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থে মূলত এসব কথাই বারবার উঠে এসেছে।

188 250-25%
নীল এই যে আমি!
নীল এই যে আমি!
সুমন্ত আসলাম
  • চেহারা কঠোর করে আমি ঘুরে দাঁড়ালাম। মোটা ফ্রেমের চশমার ফাঁকে উজ্জ্বল দুটো চোখ, উসকো-খুসকো চুল, সাদা টি-শার্টটার বাঁ পাশে হলুদ ঝোলের দাগ। কপাল কুঁচকে ফেলি আমি, চেহারা আরো কঠোর হয়ে যায় আমার। মোটা ফ্রেম ছাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এবার তাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আরো। তার চশমার বাঁ পাশে ডাঁটি নেই। অদ্ভুত কায়দায় আটকে আছে সেটা নাকের সঙ্গে।
    কানাটা বলে কি-আমি নাকি বিষণ্ন করছি বিকেলটা। কিন্তু না শোনার ভঙ্গি আমার, ‘কিছু বললেন?’
    ‘সম্ভবত ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ইচ্ছে আপনার। আমার বাবা পৃথিবীর অনেক কিছু দেখিয়েছেন আমাকে। কিন্তু একটা জিনিস কখনো দেখাতে পারেননি।’ মুখ টিপে হাসল ছেলেটা, ‘জিনিসটা কি জানেন?’
    বিরক্তিমাখা স্বর আমার, ‘কী?’
    ‘একটা মেয়ের মৃত্যু।’
    ‘কী!’ কিছুটা শব্দ করে উঠি আমি।
    ‘ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে কিংবা লাফিয়ে গাড়ির নিচে পড়ে একটা মেয়ে মারা যাচ্ছে-এই জিনিসটা দেখার খুব শখ আমার।’ কানা বাবা মুচকি হাসে, ‘শখটা অনেকদিনের।’
    রাগে পিত্তিটা জ্বলে যাচ্ছে আমার-কানাটা বলে কি! ইচ্ছে করছে লাফ দিয়ে ওই ছাদে গিয়ে কানাটার চোখ থেকে চশমাটা খুলে ফেলি আগে। তারপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই ছাদ থেকে। 

120 150-20%
নীল চশমা
নীল চশমা
মুহম্মদ মনিরুল হুদা
  • নীল রবিনের প্রিয় রং... তাই সে সবসময় নীল জিন্স আর নীল শার্ট পরে।  টিশার্ট হলেও সেটা নীল হওয়া চাই... ছোটবেলা থেকেই নীল রঙের প্রতি তার ভীষণ দুর্বলতা...
    নীলগিরিতে বেড়াতে যেয়ে পথে পড়ে থাকা একটা নীল রঙের চশমা দেখে সে নিজেকে সংযত করতে পারেনি... চশমাটা পরে ফেলে... কিন্তু এ সামান্য ভুল তার জীবনে এক মহাবিপদ ডেকে আনে... সে প্রবেশ করে এক রহস্যময় অচেনা জগতে...। 

120 150-20%
নুন পান্তার গড়াগড়ি
নুন পান্তার গড়াগড়ি
সেলিনা হোসেন
  • শব্দ এবং অনুভূতির দ্রোহে গল্পের কাঠামো নির্মাণ করেন, বাংলা সাহিত্যের অনন্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন।  তিনি কেবল গল্প লেখেন না, গল্পের আখ্যানে বুনে দেন বাঙালি চেতনার সৌরগ্রাম।
    তাঁর সাম্প্রতিকতম গল্পগ্রন্থ নুন-পান্তার গড়াগড়ি।  বইটিতে জায়গা পেয়েছে পনেরটি গল্প। প্রত্যেকটি গল্প চেতনার রক্তজবায় মোড়ানো।  
    চিলির বিপ্লবী কবি পাবলো নেরুদা’র জীবনের আখ্যানের গল্প ‘নেরুদার কবিতা’ শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রান্তিক দলিত আর লড়াকু মানুষদের ন্যায়সংগত লড়াইয়ের আশ্চর্য হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ‘মৃত্যুর সূত্র কী’ গল্প ময়মনসিংহ অঞ্চলের আদিবাসীদের লড়াই, বেঁচে থাকার আর্তি ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে শব্দের শিল্পিত কারুকাজ। আমাদের মানবিক সম্পর্ক কতো ঠুনকো, স্বার্থের সুই-সুতোয় আমরা কতোটা আবদ্ধ, তারই শ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞাপন ‘ভাঙনের শব্দ’ গল্প। প্রান্তিক বাঙালির জীবন- নুন-পান্তার জীবন। একজন আরজ আলী; শিক্ষক স্কুলের, বেতন দিতে না পাড়ায় মেয়ে কৌমার্য হারিয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।  তিনি এসেছেন ঢাকায়, বেতন বাড়ানোর মিছিলে, পুলিশ রাজপথে ফেলে বুকের উপর রেখেছে বুট, নুন-পান্তার নির্মম গড়াগড়িতে ডুবে যায় চোখ, ডুবে যায় আবহমানকালের শিক্ষা এবং সমগ্র বাংলাদেশ।  দরদ আর কাঠিন্যের কালিতে লেখা সেলিনা হোসেনের দগ্ধ মনের ক্ষুধিত গল্প ‘নুন-পান্তার গড়াগড়ি’।  গোবরা মিয়া ‘ক্ষতিপূরণ’ গল্পের চরিত্র।  জেলখাটা মানুষ দীর্ঘবছর বিনাকারণে জেল খেটে মুক্ত হয়েছে।  চাইছে যৌবনের ‘ক্ষতিপূরণ’।  কার কাছে? যে আইন তাকে বন্দি রেখেছে, সেই আইন তাকে ক্ষতিপূরণ দেবে?
    এভাবে মানবজীবনের নানা অনুষঙ্গ চিত্রিত হয়েছে বইয়ের অন্যান্য গল্পে।
    সেলিনা হোসেনের গল্প মানে চেতনার ইতিহাস, ভূগোলের প্রকৃতি, সুন্দর ও অসুন্দরের লড়াই, জল ও কাদার মতো মিশে থাকার পানপাত্র।  পাঠক কেবল গল্প-ই পাঠ করেন না, পাঠ করেন জীবনবোধ নিংড়ানো ক্যানভাস।

160 200-20%
নেতা যে রাতে নিহত হলেন
নেতা যে রাতে নিহত হলেন
ইমদাদুল হক মিলন
  • ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ ইমদাদুল হক মিলনের এক অবিস্মরণীয় গল্প।  বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এরকম গল্প বাংলা ভাষায় আর কেউ লেখেননি।  একজন মহান নেতাকে দেশের অতি সামান্য এক মানুষ কতটা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে পারে এই গল্প তার প্রমাণ। বাংলাসাহিত্যে ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ গল্পটির কোনও তুলনা নেই।  গ্রন্থের অন্যান্য প্রতিটি গল্পই দেশাত্মবোধের।  কখনও বা রূপকের অন্তরাল থেকে বলা হয়েছে দেশপ্রেমের কথা, কখনও বা সরাসরি বলা হয়েছে।  কখনও এক ভাসমান কিশোরের চোখ থেকে দেখানো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময়টিকে, কখনও বলা হচ্ছে যুদ্ধ পরবর্তীকালের কথা।  তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটা যুদ্ধের প্রস্তুতি, একজন রাজাকারের আত্ম-উপলব্ধি, আবার প্রবাসে এক বাঙালির পাকিস্তানির মুখে ঘুষি মারা।  সব মিলিয়ে নেতা যে রাতে নিহত হলেন অসাধারণ এক গ্রন্থ।

188 250-25%
নৈঃশব্দ্যের নামগান
নৈঃশব্দ্যের নামগান
আলম খোরশেদ
  • কথাসাহিত্যের পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার কবিতারও যে একটি সুদীর্ঘ, প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ধারা বর্তমান সেটি হয়তবা আমাদের অনেকেরই সেইভাবে জানা নেই। নেরুদা, গিয়েন, পাস কিংবা বায়েহোর বাইরেও আরও অসংখ্য মেধাবী, শক্তিমান ও তাৎপর্যপূর্ণ কবির নিরন্তর সাধনা ও সক্রিয়তায় লাতিন আমেরিকার সাহিত্যে আজ কবিতার যে-গৌরবময় অধিষ্ঠান, তার খানিকটা ধারণা ও পরিচয় পাওয়া যাবে নৈঃশব্দ্যের নামগান নামধারী এই নাতিদীর্ঘ সংকলনটিতে। দ্বীপদেশ কুবার বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী কবি হোসে মার্তি থেকে শুরু করে উরুগুয়াইবাসী হালের কবি ও কথাকার রাফায়েল কুর্তোয়াসি বাইয়ত পর্যন্ত একশত বছরের এই কালপরিক্রমার ভেতর দিয়ে উপস্থাপিত হন মহাদেশের উল্লেখযোগ্য অধিকাংশ কবিই; আর তাঁদের তন্নিষ্ঠ কাব্যোচ্চারণে ধ্বনিত হয় লাতিন আমেরিকান কবিতার কত না বিচিত্র ভাষা ও ভঙ্গি, ধারা ও ধরন,  বোধ ও ব্যাকরণ।
    রুবেন দারিয়োর আধুনিকতার প্রথম উদ্ভাস, গাব্রিয়েলা মিস্ত্রালের লিরিক-লালিত্য, নিকানোর র্পারার প্রতিকবিতার প্রতিরোধ, বিসেন্তে উইদোব্রোর সৃষ্টিবাদী কাব্য, এর্নেস্তো কার্দেনালের মুক্তির ধর্মতত্ত্ব, হাইমেসাবিনেসের স্বতশ্চল স্বতঃস্ফূর্তি; লাতিন আমেরিকার বিস্তীর্ণ কাব্য ভূগোল আর দীর্ঘ ইতিহাস-পরম্পরার হেন কোনো নির্মাণ ও নিরীক্ষাচিন্তা, কিংবা ভাবনা-তরঙ্গ নেই যার সন্ধান পাওয়া যাবে না এখানে। দক্ষ, দায়বদ্ধ ও সৃজনশীল অনুবাদক আলম খোরশেদের নিজস্ব কাব্য-সংবেদনা, সুগভীর পঠন-পাঠন ও দীর্ঘ প্রবাসজীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে হিস্পানি ভাষাজ্ঞানের স্বর্ণসম্মিলনে লাতিন আমেরিকার কবিতা তার সত্যস্বরূপে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে এই সমৃদ্ধ সংকলনটিতে।
    আমাদের অনুবাদ-সাহিত্যের আরও একটি মূল্যবান ও মাইলফলক সংযোজনের জন্য কৃতী অনুবাদক আলম খোরশেদ বিশ্বসাহিত্যের অনুরাগী পাঠকমাত্রেরই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাভাজন হবেন, সন্দেহ নেই।

120 150-20%
নোটবুকের গদ্য
নোটবুকের গদ্য
শাহাবুদ্দীন নাগরী
  • কিছু কিছু লেখা লেখককে লিখতে হয় নিজের তাগিদ থেকে।  এসব লেখা ছাপাও হয়ে যায় চটজলদি।  এ ধরনের লেখার ভেতর বিষয়ের প্রতি লেখকের ভালোবাসা অটুট থাকে।  পাঠক বুঝতে পারেন লেখকের  মূল্যায়নের ধার, বিশ্লেষণের মাত্রা।  নোটবুকের গদ্য শাহাবুদ্দীন নাগরীর তেমনই একটি বই, যা তাঁর মননশীল সাহিত্যকর্মের পরিচয় ধারণ করে আছে।  আমাদের সাহিত্যের খ্যাতিমান অনেক লেখকের সাহিত্য বা বই নিয়ে তিনি নিজস্ব চিন্তা-চেতনার আলোকে তাঁর বিশ্লেষণপ্রসূত মতামত তুলে ধরেছেন, যা সাহিত্যের মনস্ক পাঠক-ছাত্রছাত্রী-গুণবিচারী গবেষকদের হাতের কাছে মজুদ সূত্র হিসেবে কাজে লাগবে। 

120 150-20%
পঞ্চাশ পাখির গল্প
পঞ্চাশ পাখির গল্প
মানজুর মুহাম্মদ
  • প্রকৃতির সঙ্গে পাখি অবিচ্ছেদ্য এক সত্তা। বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল নিসর্গে যেমন নদ-নদী, হাওর-বাঁওড়-বিল বিধৌত সমতল ভূমি ছড়িয়ে আছে, তেমনি রয়েছে দিগন্তের কোলঘেঁষে পাহাড়ের সারি। কোথাও বনরাজি। এ দেশের সর্বত্রই পাখপাখালির রাজত্ব। শীতে বাংলাদেশের জলাশয়গুলো ভরে ওঠে পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচিরে। এসবের বাইরে আমাদের নিজস্ব বিহঙ্গের সংখ্যা কম নয়। তাদের নাম এবং রূপেরও রয়েছে বৈচিত্র্য।
    এমনই পঞ্চাশটি পাখির রূপময় জগৎ উঠে এসেছে এই বইটিতে। তবে সেসবের সঙ্গে মিশেছে লেখকের কল্পনাপ্রতিভা। পাখিদের জীবনযাপনের সঙ্গে তিনি মানবিক অনুভূতির সমন্বয় ঘটিয়েছেন। ফলে এসব গল্পে এ দেশের প্রকৃতি, পাখির জীবনযাপন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ উপজীব্য হয়ে উঠেছে। গল্পগুলো পাঠককে বাংলার চিরসবুজ প্রকৃতির গভীরে যেমন টেনে নেবে, তেমনি অনেক গল্প বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় দিকনির্দেশনায় পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষের পাশাপাশি পাখিদের অংশগ্রহণের মতো নতুন কল্পজগতের সঙ্গে পরিচিত করাবে। 
    গল্পগুলো কিশোর-উপযোগী হলেও পরিণত পাঠকের ভাবাবেগ এবং মননকেও উজ্জীবিত করতে পারে। এর ভাষার সারল্যও পাঠককে আনন্দ দেবে। 

900 1200-25%
পরিবেশের প্রতিপক্ষ
পরিবেশের প্রতিপক্ষ
মোকারম হোসেন
  • আমরা জানি উন্নয়ন পরিবেশের প্রতিপক্ষ।  উন্নয়নের সূচক যত ঊর্ধ্বমুখী হবে পরিবেশ সূচক ততটাই নিম্নগামী হবে।  কিন্তু মানুষ প্রাত্যহিক জীবনে সমৃদ্ধির প্রয়োজনে উন্নয়নে বিশ্বাসী।  দুটি বিষয় এতই সাংঘর্ষিক যে, এর সমাধান প্রায় অসম্ভব।  কারণ মানুষ হিসেবে আমি যদি উৎকর্ষ কামনা করি তাহলে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেই।  আবার এর দায়ও তো এড়ানো যাবে না।  তবে আমরা সংযমী হতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে, সন্দেহ নেই। 
    পরিবেশের প্রতিপক্ষ গ্রন্থে মূলত পরিবেশ সম্পর্কিত এমন সব সাংঘর্ষিক বিষয় বিবৃত হয়েছে।  এসব কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানি।  কিন্তু জীবন-বাস্তবতায় বার বার ভুলে যাই।  বইটি ভুলে যাওয়া কথাগুলোই আমাদের মনে করিয়ে দিবে।  মোকারম হোসেন এখানে দেখাতে চেয়েছেন একজন সাধারণ মানুষের পরিবেশ ভাবনা কতটা বিস্তৃত হতে পারে, কতটা সংবেদনশীল হতে পারে।  আসলে এসব আলাপচারিতার মাধ্যমে লেখক যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি পৌঁছে দিতে চেয়েছেন তা হলো-আমরা নিজেদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রকৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে যেন আত্মরক্ষার একটি যুৎসই কৌশল আবিষ্কার করতে পারি সেই চেষ্টা করা।  আদতে বড় বড় অট্টালিকা বানিয়ে তার ভেতরে সুরক্ষা না খুঁজে নির্মল প্রকৃতির কোলেই সুরক্ষিত জীবনযাপনের পথ খুঁজতে হবে আমাদের। 

120 150-20%
পরিস্থিতি যেহেতু আগুন হয়ে আছে
পরিস্থিতি যেহেতু আগুন হয়ে আছে
মাসরুর আরেফিন
  • ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প এবং পৃথিবী এলোমেলো সকালবেলায়-এর পরে এই তৃতীয় কাব্যগ্রন্থের নাম হওয়ার কথা ছিল-‘জিনারদী, জিনারদী’, কারণ কে যেন কবির মাথার মধ্যে সেই কবে বলে দিয়েছে সত্য জানবার ইচ্ছা থাকলে জিনারদী চলে যেতে। সেই থেকে মাসরুর আরেফিন ঘুরছেন পাঁচরুখী, মঠখোলা, বান্টি পার হয়ে ‘দী’ দিয়ে নামের শেষ এমন সব প্রান্তরের পথে পথে-মাধবদী আনন্দী নরসিংদী মৈষাদী চরনগরদী জিনারদী। ওরা বিশ্বপ্রকৃতি আর মানব ইতিহাসের সদর বারান্দা, যার সামনের উঠানে পাতাবাহারের গাছ, যার ওপরের আকাশে জনতার প্রতি হুকুমদাতা বিষাক্ত নীল, আর যার পেছনের জঙ্গলে জাতিগত বিদ্বেষ, শ্রেণিঘৃণা, বর্ণবাদ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যালান্সশিটের টুকরোটাকরা ধরনের ইট-খোলামকুচি। তারপরও গড়গড় করে এগিয়ে চলেছে দুনিয়া-মেশিন-ভ্রুক্ষেপহীন। দেখা যাচ্ছে স্বর্ণলতা চেপে ধরেছে বটের গাছগুলোকে, আর কোকলতার ওপরে উঠে গেছে আলোকলতাগুলো। হস্টাইল হয়ে উঠছে সব কিছু। বাংলা কী এর? জিনারদীর প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশে দাঁড়িয়ে ইনসিকিউরিট ফিল করছেন রোদ্দুর রায়। বাংলা কী এর? বলা হলো, সত্য হচ্ছে এই যে, কোনো রবার বুলেট যখন মাথায় আঘাত করে, তখন যে প্রক্রিয়ায় সে খুলি ভাঙে, সেটা রবার বুলেট ও খুলির মধ্যকার যৌথ এক স্ট্রাকচারাল বিজ্ঞান বটে। বাংলা কী এর? কিন্তু কী দরকার বাংলার? জিনারদীর ভাষা তো ইউনিভারসাল, পরিস্থিতি যেহেতু আগুন হয়ে আছে।

188 250-25%
পরীর মতো মেয়ে
পরীর মতো মেয়ে
জসিম মল্লিক
  • যে রাতে নীলার বাসায় থাকার প্লান করল-সে রাতেই আরিফের বুকে তীব্র ব্যথা উঠল। আরিফকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে। আরিফ মাত্র এসেছে বিদেশ থেকে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। নীলা জলভরা চোখে তাকিয়ে আছে।  সে কি আর ফিরবে! আরিফ সবসময় নীলাকে বলত, ওল্ডএজে আমাকে কেউ দেখার নাই; এই পৃথিবীতে আমার কেউ নাই।  নীলা সবসময় বলত, তোমাকে আমি দেখব, তোমার সব করে দেব; তোমার কাছে আমি কিছু চাই না, আমার কোনো স্বার্থ নাই।  আরিফ বলত, তুমি কেন করবা এতকিছু আমার জন্য! নীলা বলত, এমনি করব, ভালবাসি তাই করব।  ভালবাসার এমনই শক্তি।  অথচ আরিফের সাথে নীলার পরিচয় ফেসবুকে।  দেখাও হয়েছে মাত্র একদিন। কিন্তু একটা গভীর সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে।  নীলা মেয়েটি দুঃখী টাইপের।  পরীর মতো সুন্দর একটি মেয়ে কিন্তু সে যেমন একটা জীবনের স্বপ্ন দেখে সেরকম জীবন পায়নি।  এইসব নানা ঘটনা নিয়েই প্রেমের উপন্যাস পরীর মতো মেয়ে।  এই উপন্যাসে রয়েছে আরো অনেক চরিত্র, অনেক নাটকীয়তা।

120 150-20%
 পাঁচ গোয়েন্দার মহাচ্যালেঞ্জ
পাঁচ গোয়েন্দার মহাচ্যালেঞ্জ
সুমন্ত আসলাম
  • ‘তোমার চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম। আজ এবং একটু পরেই সব কিছু টের পেয়ে যাবে তোমরা। দেখি, তোমরা কীভাবে ধরতে পারো আমাদের।’ দুর্জয় নামে পাড়ার নতুন একটা ছেলে কথাটা বলে নিজের নাকের নিচে আঙুল রাখল স্টাইল করে। তারপর আবার বলল, ‘এটা আমার চ্যালেঞ্জ। পাগল করে ফেলব আমরা তোমাদের। আর ডিটেকটিভ ফাইভ করার সাধও মিটে যাবে চিরতরে।’
    থুতনিতে হাত ঠেকিয়ে এতক্ষণ ওর কথা শুনছিল রাফিন, চুপচাপ। অর্চি, জুহাম, তৌশি আর সাবাবকে পাশ কাটিয়ে খুব দৃঢ় এবং ধীর পায়ে এগিয়ে গেল সে দুর্জয়ের সামনে, ‘তোমাদের প্রতিটি পাগলামি আমরা থামিয়ে দেব দুর্জয়।’ নাকের নিচে আঙুল রাখল রাফিনও, ‘এটা চ্যালেঞ্জ নয়, মহাচ্যালেঞ্জ!’

120 150-20%
পাঁচটি উপন্যাস
পাঁচটি উপন্যাস
প্রশান্ত মৃধা
  • প্রশান্ত মৃধার বেশ কিছু চমৎকার লেখা আছে, ওর হাতেও অনেক ধরনের গদ্য।
    -হাসান আজিজুল হক।
    প্রশান্ত মৃধার গল্প পড়ার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে সংগীতবিদ্যা থেকে ধরতাই, স্থাপত্যবিদ্যা থেকে গড়ন, নৃত্যবিদ্যা থেকে চলন এই শব্দগুলো ধার নিতে হলো।
    -দেবেশ রায়
    তিনি বিশেষ করে পর্যবেক্ষণ করেন দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনজীবন, যাদের প্রান্তিক অবস্থানের সঙ্গে আবার ধর্মপরিচয় যুক্ত হয়ে প্রান্তিকতাকে আরও নিপীড়নোপযোগী করে ফেলে।
    -ইমতিয়ার শামীম
    অভিনব ডিটেইলিং থাকে তাঁর বর্ণনায় আর এর জন্য তিনি ব্যবহার করেন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দৃষ্টি।
    -আহমাদ মোস্তফা কামাল
    ‘এমন অনেক কারিকুরি আছে যা কারিকুরি বলে মনে হয় না; আর তাতেই তাঁর মুন্সিয়ানা। গতি সহজ-সাবলীল। কিন্তু তলে তলে চোরা স্রােত, এমনকি বহুমুখী টান। ... যদিও ওপর-ওপর খুবই সাদামাটা, তেমন বুদ্ধির কসরত নিজেকে জাহির করে না, এবং সমস্যাও আমাদের দৈনন্দিন গ্রামীণ বাস্তবতায় অলীক মনে হয় না। তাই বলে কোথাও স্থূল নয়, গ্রাম্য নয়। রাজহাঁস যেন।’ প্রশান্ত মৃধার উপন্যাস বিগতকালের অনুমান সম্পর্কে একথা লিখেছেন বিশিষ্ট চিন্তক সনৎকুমার সাহা। এই সংকলনের পাঁচটি রচনায়ও পাঠক বুঝে নিতে পারবেন দৈনন্দিনতার নিঠুর বাস্তব এখানে কী নিপুণভাবে বাক্সময় হয়ে উঠেছে! আমাদের চারপাশের পরিচিত জগৎ এত সহজে সেখানে ধরা রয়েছে যে মনে হবে যেন এই চেনাজানা জীবন এতদিন চোখ খুলে দেখা হয়নি, অথবা আর-একবার দেখা হলো নতুন করে।

338 450-25%
পাঁচমিশালি খেলা
পাঁচমিশালি খেলা
উৎপল শুভ্র
  • শরীর গঠনের জন্যই কেবল নয়, শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও সুস্থতার জন্যও প্রয়োজন খেলা। কেননা খেলা শরীর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নির্মল আনন্দও দেয়। সে কারণেই বিশ্বব্যাপী খেলা নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। খেলোয়াড়দের প্রতিও আমাদের আগ্রহ অসীম। বরং তারাই ক্রীড়ামোদীদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। এমনই কিংবদন্তিতুল্য বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড়, খেলা এবং ক্রীড়ানৈপুণ্য নিয়ে উৎপল শুভ্র বইটি সাজিয়েছেন। লেখক দীর্ঘদিন ক্রীড়া-সাংবাদিকতার  সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এসব লেখায় নানা তথ্যের সমাবেশ যেমন রয়েছে, তেমনি রচনার সরস উপস্থাপনাও বেশ উপভোগ্য।
    উৎপল শুভ্র এই উপমহাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তের ক্রীড়া-কিংবদন্তিদের তুলে এনেছেন। তাঁদের বেড়ে ওঠা, অধ্যবসায়, ক্রীড়া নৈপুণ্য, আনন্দ, বেদনা বলা হয়েছে অনেকটা গল্পের ছলে। ক্রিকেট থেকে ফুটবল, সাঁতার থেকে দৌড়, বিশ্বকাপ থেকে অলিম্পিক আসরের কত বৈচিত্র্য, জানা-অজানা গল্প এই বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে আছে। 
    খেলায় শরীর ও মন গঠনের কথা শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন বলা যেতেই পারে—এই বইটি পাঠকের আনন্দ তথা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।

225 300-25%
পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব
পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব
হাবিব আর রহমান
  • হাবিব আর রহমান-এর জন্ম যশোর জেলার চৌগাছা থানার জগদীশপুর গ্রামে, ১৯৫৪ সালে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন খুলনার দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পিএইচ.ডি গবেষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রজলাল কলেজে প্রায় পনেরো বছর পড়িয়ে ১৯৯৬ সালের আগস্টে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। বর্তমানে সেখানে বাংলা বিভাগে প্রফেসর পদে কর্মরত। আধুনিক বাংলার সামাজিক ইতিহাস ও চিন্তাশীল বাঙালি মুসলমান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্মকাণ্ডের তিনি তন্নিষ্ঠ গবেষক। সাহিত্যশিল্পের তাত্ত্বিক দিক সম্পর্কেও তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।
    হাবির আর রহমান লেখেন কম। কিন্তু তাঁর প্রতিটি লেখায় শ্রমশীলতা ও সযত্ন পরিচর্যা স্বয়ংপ্রকাশ। দুই বাংলার প্রাজ্ঞজনদের কাছে তিনি সমাদৃত গবেষক। প্রকাশিত গ্রন্থ : মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জীবন-ভাবনা (১৯৯২), মোহম্মদ বরকতুল্লাহর জীবন ও সাহিত্যসাধনা (১৯৯৯), মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর চিন্তাধারা (২০০৩), বাঙালি মুসলমান সমাজ ও বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন (কলকাতা, ২০০৯), বাঙালি মুসলমানের সামাজিক ইতিহাস : কতিপয় প্রসঙ্গ (২০১০) এবং বাঙালি মুসলমান সমাজে প্রগতিশীলতা ও রক্ষণশীলতার দ্বন্দ্ব (১ম প্রকাশ ২০১২, ২য় মুদ্রণ ২০১৪; বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত)।

375 500-25%
পিরামিড রহস্য
পিরামিড রহস্য
রকিব হাসান
  • লস অ্যাঞ্জেলিসের টাঁকশাল থেকে বিপুল অঙ্কের সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে কিশোরের চাচা বিখ্যাত গোয়েন্দা রাশেদ পাশাকে নিয়োগ দেয়া হলো।  পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি তিন গোয়েন্দার সহায়তা চাইলেন।  রহস্য রোমাঞ্চ অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পেলে নিজেদের বিরত রাখতে পারে না তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন।  ছুটল ওরা।  চোরের গন্ধ শুঁকে শুঁকে সুইজারল্যান্ড, সেখান থেকে মেক্সিকোয় পাড়ি জমাল।  তারপর একটা ভূতুড়ে প্লেনের সূত্র ধরে হাজির হলো মেক্সিকোর গহিন অরণ্যে।  বিচিত্র প্রাণী আর্মাডিলো ধরতে গিয়ে কাকতালীয়ভাবেই আবিষ্কার করে বসল বহুকাল আগে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়া এক প্রাচীন পিরামিড।  শুরু হলো মানুষখেকো অজগর, কুমির আর হিংস্র প্রাণীর চেয়েও ভয়ঙ্কর খুনে ডাকাতদের সঙ্গে ওদের মৃত্যুপণ লড়াই। 

160 200-20%
পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র
পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র
রতনতনু ঘোষ
  • পৃথিবী চালাচ্ছে পুঁজিবাদের নামে ছদ্মবেশী গণতন্ত্র।  পুঁজিবাদের এই স্বরূপটাকে পুরোপুরি বুঝতে হলে জানা প্রয়োজন পুঁজিবাদ কী, সমাজতন্ত্রের সঙ্গে এর দ্বন্দ্বটাই বা কী! এ বিষয়ে পৃথিবীর বিখ্যাত দার্শনিক ও গবেষকরা কী মতামত দিয়েছেন? পুঁজিবাদের সঙ্গে সমাজতন্ত্রের দূরত্ব কতটুকু? এই দুই তন্ত্রের উৎস, বিকাশ, বিস্তার, প্রকার, পরিবর্তন, সমস্যা-সংকট জানার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে বইটিতে।  এক মলাটে দুই তন্ত্রের দুই পৃথিবী।  এই দুই তন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কসবাদ, সামরিকতাবাদ, নারীমুক্তি, মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞান-ধর্ম ইত্যাদি বিষয়।  এসব নিয়ে দেশী-বিদেশী মনীষীদের বক্তব্য বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।  প্রবন্ধগুলি আমাদের জানার পরিধিকে যেমন বিস্তৃত করবে, তেমনি শাণিত করবে আমাদের বুদ্ধিকে।

375 500-25%
পুরানো জানিয়া
পুরানো জানিয়া
সনৎকুমার সাহা
  • আজকে যিনি মননশীল ও বিচক্ষণ পাঠকদের কাছে এক পরিচিত নাম, সেই প্রজ্ঞাবান প্রাবন্ধিক সনৎকুমার সাহার লেখালেখির শুরুটা হয় রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাহিত্যপত্র পূর্বমেঘ-এ। ১৯৬১ সালে যার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল প্রয়াত জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও মুস্তাফা নূরউল ইসলামের সুনিপুণ সম্পাদনায়।  ষাটের দশকের প্রায় পুরোটা জুড়েই সনৎকুমার সাহার লেখালেখি সেখানে সাদরে স্থান পেয়েছিল।  পরে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সম্পাদনায় সাড়া জাগানো ছোটকাগজ কণ্ঠস্বর-এও তিনি লিখতে আরম্ভ করেন।  উপরোক্ত দুই পত্রিকায় ষাট ও সত্তরের দশকে প্রকাশিত তাঁর এগারোটি প্রবন্ধের সাথে প্রায় একই সময়ে লেখা আরো তিনটি প্রবন্ধ যোগ করে নির্মিত হয়েছে এই বই।  একজন মেধাদীপ্ত তরুণের ষাট-সত্তরের দশকে লিখিত সাহিত্য-সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি সংক্রান্ত প্রাণবন্ত ও মৌলিক চিন্তা-সংবলিত প্রবন্ধগুলো যেগুলো কিনা এতদিন একরকম দুষ্প্রাপ্যই ছিল এখনও যে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং ভাবনা-জাগানিয়া, বইটি পড়লে আশা করি তা সম্যকরূপে অনুধাবন করা যাবে।  সনৎকুমার সাহার এখনকার লেখার সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, সেই তরুণ-বয়স হতেই তাঁর প্রাবন্ধিক-সত্তা কখনই যুক্তিবিচারের পথকে পরিত্যাগ করেনি।  নিজের মত প্রকাশে তিনি বরাবরই এক শান্ত সাহসের পরিচয় দিয়ে এসেছেন, যেখানে তাঁর যুক্তি সুদঢ়, কিন্তু অযথা উচ্চকণ্ঠ নয়।  প্রতিপক্ষের মতকেও তিনি বিচার করেন ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে।  হুজুগের ডামাডোল থেকে বেরিয়ে নির্মোহভাবে পরিপার্শ্বকে দেখার শিক্ষা আমরা তাঁর লেখা থেকে পাই।  সমাজ-সংস্কারের তৎকালীন ও সাম্প্রতিক সঙ্কট বিষয়ে স্বচ্ছ-সঠিক দিকনির্দেশনা মিলবে এ গ্রন্থে সংকলিত প্রবন্ধসমূহ থেকে এমন কথা আশা করি অত্যুক্তি বলে বিবেচিত হবে না।

160 200-20%
 পূর্বসূরিগণ স্মরণ সত্তা মনন
পূর্বসূরিগণ স্মরণ সত্তা মনন
আহমাদ মাযহার
  • পূর্বসূরিগণ : স্মরণ সত্তা মনন আমাদের শিল্প-সাহিত্য ভুবনে আহমাদ মাযহারের চিন্তাদীপ্ত অবলোকনের সাক্ষ্য।  ব্যক্তির বিচিত্রবিধ কৃতির সূত্রে তিনি বৃহত্তর বাঙালি মনীষার স্বরূপ উদ্ঘাটনে ব্রতী।  বিষয় নির্বাচনে লেখক সমগ্রতাবাদী।  তাই রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-বুদ্ধদেব বসু সম্পর্কিত আলোচনার পাশে তাঁকে দেখি ‘আধুনিকের উপেক্ষা’ জর্জর মোহাম্মদ লুৎফর রহমানদের শিল্পসত্তা আবিষ্কার-তৎপর। আহমাদ মাযহার তাঁর শিল্পসাহস ও স্বাতন্ত্র্যে পূর্বসূরি-বিচারের প্রথাসিদ্ধ, ভক্তিবাদী দৃষ্টিকোণকে খারিজ করে সংশ্লেষণ-বিশ্লেষণের এক নতুন পথ নির্মাণ করেছেন।  ব্যক্তিকে উন্মূল একক না ধরে তাকে সমাজ-সময় ও পরিপ্রেক্ষিতের পাটাতনসমেত দেখতে চেয়েছেন।  ফলে অতিমূল্যায়ন বা অবিচার কোনোটারই আশঙ্কা থাকে না।  পূর্বসূরিগণকে ভিত্তিভূমে রেখে লেখক সন্ধান করেছেন সমাজ-সাহিত্য-রাষ্ট্রের সম্মুখগামী অভিমুখ।  প্রচল কিংবদন্তি বা লোকপ্রিয় বিশেষণের প্রতি বিন্দুবৎ মোহিত না হয়ে পূর্বসূরিগণকে উদ্ধার করেছেন গভীরতাগামী পাঠে, স্বচ্ছ যুক্তিবিচারে এবং তুলনামূলক আলোচনা-প্রত্যালোচনায়।  সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লেখকের উদার-অসাম্প্রদায়িক-ইহজাগতিক দৃষ্টিভঙ্গি আর ব্যক্তিত্বব্যঞ্জিত ভাষার লাবণ্য।  স্মারক-আলোচনার পরিসর ছাপিয়ে অতঃপর এই বই হয়ে ওঠে আমাদের গদ্যসাহিত্যের এক বলবান-নিরুপম সংযোজন। 
    পিয়াস মজিদ

188 250-25%
পৃথিবীর পরিবেশ
পৃথিবীর পরিবেশ
মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক
  • দিনকে দিন আমরা আমাদের কৃতকর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবেশ বিষিয়ে তুলছি, প্রকারান্তরে যা ধরিত্রী ধ্বংসের নামান্তর। উন্নত বিশ্বের অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণ যেমন বায়ুমণ্ডলকে করছে কলুষিত এবং বিপর্যস্ত, তেমনি দৈনন্দিন জীবনাচারের নানা অনুষঙ্গের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ প্রভাবে পৃথিবীর সার্বিক পরিবেশ হয়ে উঠছে বিষময়।
    এ কারণে পরিবেশ নিয়ে আজ যেন ভাবনার অন্ত নেই। দেশ মহাদেশ নির্বিশেষে শাসকগোষ্ঠী যেমন এ বিষয়ে চিন্তিত, তেমনি চিন্তাশীল সচেতন জনেরাও এ নিয়ে যারপরনাই উৎকণ্ঠিত। পরিবেশবিষয়ক এসব নানা দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে।

128 160-20%
পোড়োবাড়ি ও মৃত্যুচিহ্নিত কণ্ঠস্বর
পোড়োবাড়ি ও মৃত্যুচিহ্নিত কণ্ঠস্বর
চন্দন আনোয়ার
  • লেখক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের সমস্ত পরিবর্তনগুলিতে সাড়া দেবার চেষ্টা আছে বর্তমান গল্পগুলিতে জাতীয় জীবনের অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতি, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান, যুদ্ধাপরাধের বিচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাটের মতো বিষয়গুলি তো আছে-ই, বিশ্বরাজনীতি, আমেরিকার আধিপত্যনীতি, বিশ্বায়ন, বিশ্বব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী ও উন্নত দেশগুলির শিল্পায়নের ফাঁদে পড়ে ফাঁদে পড়া ঘুঘুর মতো আমাদের বাঁচার-চিৎকার আর তাদের করুণা ভিক্ষা এখন জাতি হিশেবে যেনো নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এসব যদি গল্পের বিষয় না করা যায়, তবে কী করে দায় শোধ হবে? গল্পগুলি এই প্রশ্নের জীবন্ত রূপ।

96 120-20%
প্রকৃতিপুত্র দ্বিজেন শর্মা
প্রকৃতিপুত্র দ্বিজেন শর্মা
সৈকত হাবিব, মোকারম হোসেন
  • বরণ্যে নিসর্গী, লেখক ও অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা গত ছয় দশক ধরে বাংলাদেশের পরিবেশ সচেতনতা ও উদ্যানচর্চায় নিরলস ভূমিকা পালন করে চলেছেন।  নির্লোভ ও নিরহঙ্কার এই মানুষটি তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ছাড়াই প্রকৃতি-সচেতনতাকে একটি আন্দোলনে পরিণত করেছেন; সারা জীবন বৃক্ষ-পরিবেশপ্রেমী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিরলস সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। কর্মসাধক এই মানুষটি কোনো পুরস্কার/প্রাপ্তির লোভে নয়, বরং রক্তের ভেতরে জেগে থাকা অন্তর্গত পিপাসায় এখনো কাজ করে চলেছেন।
    সামান্য ভক্ত-অনুরাগী হিসেবে আমরা তাঁর জীবনব্যাপী কর্ম ও সাধনার একটি প্রামাণ্য ধরে রাখতে চেয়েছি, এই গ্রন্থে, তাঁর ৮৫তম জন্ম-উৎসব উপলক্ষে। বহু স্বরের ভালোবাসা-সমবায়ে নির্মিত প্রকৃতিপুত্র দ্বিজেন শর্মা সংকলনটি তাঁর প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

600
প্রণীত শেকল
প্রণীত শেকল
ইসহাক হাফিজ
  • পপুলিজমের এ যুগে বাংলা সাহিত্যটাও খুব পপুলিস্ট হয়ে গেছে।  যেহেতু পাঠকদের বৃহৎ অংশ শহুরে, তাই আজকাল ব্রাত্যসাধারণের আটপৌরে জীবনের জঞ্জাল দিনকে দিন এসকেপিস্ট সাহিত্য থেকে খসে পড়ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতই দুঃখ যে বেশিরভাগই সাহিত্যে মুখ গুঁজে এখন হাসির রসদটা বেশি খোঁজে।  এসব এসকেপিস্ট পপুলিস্ট সাহিত্যের গণ্ডি ছেড়ে বৃহত্তর জীবনের নিত্যদিনকার বিষাদভাবনার উদ্গার ঘটেছে ইসহাক হাফিজের এ বইয়ে।  প্রতিটি গল্পের পর খুব ‘মানুষ’-স্বপ্ন জাগে মনে।
    সরদার ফজলুল করিম বলেছিলেন, ইতিহাস আর সাহিত্যে পার্থক্য হলো ইতিহাসে শুধু কোন রাজার কোন কীর্তি, কত সালে জন্ম-মৃত্যু, কখন তিনি কী করেছেন- সেই সব পাওয়া যায়।  আর সেই তুলনায় সাহিত্যে পাওয়া যায় একটা সমাজের সার্বিক চিত্র। যেমন : পথের পাঁচালী দিয়েছে হরিহর রায়, ইন্দির ঠাকরুন, সর্বজয়া, অপু-দুর্গাদের সক্লেশে বয়ে নেওয়া জীবনকে। আর এটাই সাহিত্যের মূল।  লেখক এ বইয়ে তেমনই আধুনিক নগর ও গ্রামীণ জীবনের কিছু গল্প তুলে এনেছেন, যেসব গল্প আমাদের খেয়ালের বাইরেই থেকে যায়।  লেখক এখানে আমাদেরই জীবন থেকে তুলে এনেছেন সেই সব ‘বেদনার গাঢ় রস’।        
    - নাজিব হায়দার

120 150-20%
প্রত্যয় প্রতিজ্ঞা প্রতিভা
প্রত্যয় প্রতিজ্ঞা প্রতিভা
যতীন সরকার
  • অর্ধশতাব্দী কালের সারস্বত সাধনায় বাংলা প্রবন্ধসাহিত্যে যতীন সরকার অন্যতম চিন্তানায়কের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।  আধুনিক বাংলা সাহিত্যে সৃজনশীল রচনার যে সম্ভাবনা ও বিকাশ দেখা যায় মননশীল রচনার ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত।  প্রবন্ধসাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য শাখার তুলনায় অনগ্রসর।  বাংলা সাহিত্যে মৌলিক চিন্তাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক দুর্লভ।  সেই দুর্লভ প্রাবন্ধিকদের অন্যতম যতীন সরকার।
    প্রত্যয় প্রতীজ্ঞা প্রতিভা যতীন সরকারের সাম্প্রতিকতম প্রবন্ধ সংকলন।  অসামান্য পাণ্ডিত্য ও ক্ষুরধার যুক্তির সমন্বয়ে এই বইয়ের প্রতিটি রচনা চিন্তাউদ্দীপক প্রবন্ধে পরিণত হয়েছে।  দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী জীবনদর্শনের একনিষ্ঠ অনুসারী যতীন সরকার রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে পরবর্তীকালের কৃতী বাঙালিদের বহুমাত্রিক প্রতিভার বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করেছেন।  ব্যক্তি মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মে দিবস, দুর্গোৎসব, জঙ্গিবাদের মতো সমকালীন প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন তিনি অকাট্য যুক্তি দিয়ে।  কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের আলোচনা আমাদের সমালোচনা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন।  সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির নানা প্রসঙ্গের আলোকসঞ্চারী বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ প্রত্যয় প্রতিজ্ঞা প্রতিভা চিন্তাশীল পাঠকমাত্রেরই অবশ্যপাঠ্য।

225 300-25%
প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন চা খেতে আসেন আমাদের বাসায়
প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন চা খেতে আসেন আমাদের বাসায়
সুমন্ত আসলাম
  • অবশেষে প্রধানমন্ত্রী এলেন।
    চা খেলেন।
    গল্প করলেন।
    কিন্তু কোনো কোনো দিন-।
    না, বাকিটুকু বলতে একটু কঠিনই হচ্ছে। কারণ এই ছোট্ট জায়গাটায় ওই বড় কথাগুলো বলা যাবে না, সম্ভব না।
    কেবল এটা বলা যায়-
    এ রকম উপন্যাস কি কখনো লেখা হয়েছে এর আগে?
    ব্যস, এটুকুই।
    টুকরো টুকরো অকৃত্রিম ভালোবাসা, ছোট্ট ছোট্ট জটিল সম্পর্ক আর প্রতিদিনের এইসব অদ্ভুতুড়ে জীবনযাপন, হঠাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া-এ রকম কেন হলো, এটা কী হলো!
    আপনার সেই ভাবনা আর শেষ হবে না। 
    প্রকৃত পাঠকদের একবার হলেও বইটি পড়া দরকার, তা কেবল নিজের জন্য, যেখানে তিনি তার নিজেকে দেখতে পাবেন কোনো না কোনো অংশে। তারপর আপনার মনে হবে-সত্যি, এটা অন্যরকম একটা উপন্যাস!

300 400-25%
Home
Categories
Cart
Account